গঠনশৈলী অনুসারে পাঁচ ধরনের মন্দির এখানে দেখা যায়, চালা, রেখ, মঞ্চ, একবাংলা ও সমতল ছাদবিশিষ্ট। মলুটির ৫৭টি চালা মন্দিরের মধ্যে ৫১টিতে শিবলিঙ্গ এবং একটি মাত্র রেখ দেউলেও শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত। যদিও মলুটির রাজপরিবারের কুলদেবী সিংহবাহিনী দুর্গা এবং তাঁরা বংশপরম্পরায় শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত, তবু এত শিবমন্দির কেন? বস্তুত, স্বল্প আয়তনের মলুটির ঘনত্বের বিচারে শিবক্ষেত্র কাশীধামের চেয়েও বেশি। এর অন্যতম কারণ, রাজাদের গুরু বংশ শৈব এবং কাশীধামের বাসিন্দা। তাই তাঁদের নির্দেশ মেনে রাজপরিবার হয়তো এখানে গুপ্তকাশী বানাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
২৪.
ঠিক বাংলায় নয়, তবু আবার যেন বাংলাতেই– মহুলাটী। আসলে বাংলা আর ঝাড়খণ্ডের সীমানায় এর অবস্থান। ১৮৫৫ সালের আগে পর্যন্ত গ্রামখানি ছিল বীরভূমের অন্তর্গত, সিদো-কানহুর নেতৃত্বে সাঁওতাল বিদ্রোহের পরে পরেই সাঁওতাল পরগনার জন্ম হলে গ্রামখানি বীরভূম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বীরভূম জেলার সার্ভে রিপোর্ট ১৯২৪-’২৫ অনুযায়ী, ১৭৯০ সালের ইংরেজ কালেক্টরের রিপোর্টে ওই অঞ্চলে বাঘ-ভাল্লুক ছাড়াও বুনো হাতির উপদ্রবের ঘটনা ছিল নিয়মিত। মলুটির রাজার তাই এক বিরাট বরকন্দাজ বাহিনী নিযুক্ত করেছিলেন বুনোহাতির উপদ্রব ঠেকাতে। একদা গোটা অঞ্চলটাই ছিল মল্ল রাজাদের অধীন, ফলে এলাকাটি মল্লভূমের অংশ বলেই পরিচিত ছিল। আবার দামোদর নদের উত্তরভাগ সূক্ষ্মদেশ, এই অঞ্চলটি তারই অংশ। মলুটির রাজারা তাই ‘সমু’ নামেও পরিচিত ছিলেন, যদিও তাদের পদবি ছিল ‘রায়’।
কেমন করে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল মলুটির রাজবংশ? তা নিয়ে এক চিত্তাকর্ষক কাহিনি প্রচলিত আছে। ১২৯৩ খ্রিস্টাব্দে আলাউদ্দীন খিলজী দেশের ভিতরে ঘুরে ঘুরে বিদ্রোহ দমনের চেষ্টায় ব্যস্ত। এভাবেই একদিন এসে পৌঁছলেন মৌরেশ্বরের কাছে ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে। বড্ড ভালো লেগে গেল জায়গাটা। নদীর জল আছে, শিবির ফেলার উপযুক্ত, জ্বালানির জন্যে বনের কাঠ, কাছেই গ্রাম, অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। সুলতানের হাতে সব সময় ধরা থাকত তাঁর অতি প্রিয় এক বাজপাখি। পাখিটা সেই উদার, মুক্ত বনের ডাক শুনে না কি অন্য কারণে জানা যায় না, সুলতানের সোহাগের তোয়াক্কা না করেই উড়ে গেল শূন্যে, একেবারে গহীন বনে উধাও হয়ে গেল নিমেষে। কাতর হয়ে পড়লেন শাহেনশা, ঘোষণা করে দিলেন পাখি ধরে দিলে আশাতীত পুরস্কার মিলবে।
সামান্য গ্রাম্য-বালক বসন্তকুমার বনের পথে ঘরে ফিরছিল কোথা থেকে, এমন সময় সাদা ধপধপে এক পাখি এসে বসল তার কাঁধে। সে তো আর জানে না কার পাখি, কী বৃত্তান্ত, গ্রামে সে ছিল না, ফলে রাজ-ঘোষণার কথাও তার অজানা। কিন্তু তার মামা, মাসি, যাদের বাড়ি সে যাচ্ছিল, তারা সবাই জানত গোটা বৃত্তান্ত। তাই পাখি নিয়ে বসন্তকে দেখেই তারা পাখির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
পাখি কিন্ত বসন্ত ছাড়া কারও কাছে গেল না। অগত্যা বসন্তকে সব খুলে বলা হল। পরদিন সকালে মামা বসন্তকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হলেন সুলতানের শিবিরে। হারানিধি ফিরে পেয়ে সুলতান তাঁর কর্মচারীদের আদেশ দিলেন সবচেয়ে জোরে ছোটে যে ঘোড়া, তার পিঠে চাপিয়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত, বৃত্তাকারে যতটা পথ অতিক্রম করতে পারবে ততটাই হবে বসন্তের রাজ্যসীমা। আর সেই রাজ্যকে কোনও কর দিল্লির দরবারে জমা দিতে হবে না।
পরের দিন ঘোড়া ছুটল, সে অনেকটা জমি হাসিল হল, সন্ধে-আঁধার যেই না বনের দিকে থাবা বাড়াল, অমনই ঘোড়া দৌড় দিল সুলতানের শিবির পানে। দলিল তৈরি হল জমির সীমানা নির্দেশ করে। সুলতান তখন নৈশভোজে ব্যস্ত, কিন্তু সেই এঁটো হাতেরই ছাপখানি এঁকে দিলেন দলিলের ওপর। ‘বাজের বদলে রাজ’ পেল বসন্ত, থুড়ি সে তখন থেকে ‘বাজ বসন্ত’ নামে পরিচিত ছিল। আর মলুটি হল ‘নানকার’, অর্থাৎ ‘করহীন’ বা নিষ্কর। আর রাজধানী স্থাপিত হল বীরভূমের ডামরা গ্রামে।
সুলতানি আমল শেষ হয়ে দিল্লিতে তখন বাদশাহী আমল। গৌড় নয়, বাংলা তখন ‘সুবে বাংলা’। বীরভূমের শাসন ভার সামলাচ্ছেন আলিলকি খাঁ। আকস্মিক আক্রমণ করে বসলেন ডামরা। বাজ বসন্ত-এর ছয় পুরুষের ডামরা শাসন খতম! পালিয়ে এলেন মাত্র চার কিলোমিটার দূরে, মলুটিতে।
রাখরচন্দ্র তখন ওই বংশের রাজ-প্রতিভূ। মলুটিতে বাসস্থান গড়তে হবে, তার আগে চাই কুলগুরুর অনুমতি। আনা হল কাশী থেকে সুমেরু মঠের দণ্ডী স্বামী দ্বিতীয় সর্বানন্দ তীর্থ মহারাজকে। ১৬৭৬ সালে তিনি এসে অঞ্চলটি পরিদর্শন করে জঙ্গল সাফ করার অনুমতি দিলে, একদিন দেখা গেল এক অতি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, তার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত এক দেবীর মাথা। দেবী মৌলিক্ষা, মৌলি অর্থে মাথা বা মস্তক আর ইক্ষা অর্থে দর্শন।
ত্রিনয়নী, হসনমুখী, রক্তিম-বর্ণা অপরূপা। যদিও বর্তমানে ইনি দুর্গা, সিংহবাহিনীরূপে পূজিতা, কিন্তু আদিতে তিনি আদৌ হিন্দু দেবী ছিলেন কি না, সন্দেহ আছে। বীরভূম চিরকালই তন্ত্রসাধকদের অতি প্রিয় সাধন ও বিচরণস্থল, আর এক সময় সেই বীরভূমে বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল প্রশ্নাতীত। সম্ভবত সেই কালে দেবীর আরাধনা করত বৌদ্ধতান্ত্রিকেরা, ওই নির্জন অরণ্য মধ্যে। বৌদ্ধ মতে, যে পাঁচ ধ্যানী-বুদ্ধের কথা জানা যায়– বৈরচন, রত্নসম্ভব, অমিতাভ, অমোঘসিদ্ধি ও অক্ষোভ্য, এঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে একজন করে শক্তি যুক্ত ছিলেন। অমিতাভের শক্তির নাম পান্ডারা, বৌদ্ধতান্ত্রিক মতে, সেই পাণ্ডারাও লোহিত-বর্ণা, সম্ভবত মৌলীক্ষা আদিতে পান্ডারা রূপেই পূজিতা হতেন।
মল্লারপুরে দাঁড়িয়ে দু’দিকে দুই বাহু প্রসারিত করলে দক্ষিণে পড়বে বীরভূমের অন্যতম সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ, আর বায়ে পড়বে মলুটি। সেও এক সিদ্ধপীঠই। আবার দু’জায়গাতেই বামাক্ষ্যাপার নানা স্মৃতি ছড়িয়ে আছে।
বামাচরণ সাবালক হতে না হতেই পিতৃহীন হলে সংসারী বামাচরণ যায় মলুটি। কাজ পায় নারায়ণ মন্দিরে ফুল তোলার, কিন্তু অল্প দিনেই কাজে আর মন নেই, শুধু ধ্যানে-জ্ঞানে ঈশ্বরী ভাবনা। রাজামশাইয়ের কাছে অভিযোগ গেল, নিজের চোখে দেখলেন, ফুলের গাছের নিচে, ঝাড়ের মধ্যে তন্ময় হয়ে বামাচরণ যেন কার চরণ চিন্তায় বিভোর। কী যেন আবেশ স্পর্শ করল রাজা মশাইকেও, তিনি বাঁধা-কাজের ধরা সময়সীমা থেকে মুক্তি দিলেন বামাকে।
বামা তখন থেকেই মৌলিক্ষা মায়ের মন্দিরে পড়ে থাকে, বনের ফল তুলে এনে মাকে দেয় খেতে, বনের ফুলে সাজায়, সে এক নিবিড় অন্তরঙ্গতা। তারাপীঠে বামার ছোট মা আর মলুটীতে তাঁর বড় মা।
খুব বেশিদিন কিন্ত মলুটিতে ছিলেন না বামাক্ষ্যাপা। কিন্তু সেই অল্পদিনেই মলুটির সঙ্গে তাঁর এক আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেখানকার কেউ তারাপীঠে এলে, তাঁর সঙ্গে দেখে করলে বড় খুশি হতেন, আপ্যায়ন করতেন সাধ্যমত। অন্য কেউ কিছু চাইলে প্রচণ্ড রেগে জেতেন, কিন্তু সেই মানুষটি মলুটির হলে বামার তখন ভিন্ন মূর্তি। প্রসন্ন সদাশিব অভয়, বর দানে উন্মুখ হতেন অনায়াসে। আবার সাধনে আগ্রহী কোনও মানুষ তাঁর পরামর্শ চাইলে পাঠাতেন মলুটিতে। সেখানে ‘মলুটি মায়ের পাঠাশালায় পাঠ’ নিতে উপদেশ দিতেন। নিজের মতো অন্যদেরও প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আদর্শ স্থান মলুটি বলেই মনে করতেন।
……………………………………………………………………
ত্রিনয়নী, হসনমুখী, রক্তিম-বর্ণা অপরূপা। যদিও বর্তমানে ইনি দুর্গা, সিংহবাহিনীরূপে পূজিতা, কিন্তু আদিতে তিনি আদৌ হিন্দু দেবী ছিলেন কি না, সন্দেহ আছে। বীরভূম চিরকালই তন্ত্রসাধকদের অতি প্রিয় সাধন ও বিচরণস্থল, আর এক সময় সেই বীরভূমে বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল প্রশ্নাতীত। সম্ভবত সেই কালে দেবীর আরাধনা করত বৌদ্ধতান্ত্রিকেরা, ওই নির্জন অরণ্য মধ্যে। বৌদ্ধ মতে, যে পাঁচ ধ্যানী-বুদ্ধের কথা জানা যায়– বৈরচন, রত্নসম্ভব, অমিতাভ, অমোঘসিদ্ধি ও অক্ষোভ্য, এঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে একজন করে শক্তি যুক্ত ছিলেন। অমিতাভের শক্তির নাম পান্ডারা, বৌদ্ধতান্ত্রিক মতে, সেই পাণ্ডারাও লোহিত-বর্ণা, সম্ভবত মৌলীক্ষা আদিতে পান্ডারা রূপেই পূজিতা হতেন।
……………………………………………………………………
মলুটির আকর্ষণ ১০৮টি মন্দির, যার মধ্যে বর্তমানে ৭২টি দেখা যায়, বাকিগুলি কালের গর্ভে বিলুপ্ত। ১৬৯৫ খ্রিস্টাব্দে নানকর রাজাদের রাজধানীতে রূপান্তরিত হয় মলুটি। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দশক থেকেই ওই পরিবার চারটি শাখায় বিভক্ত হয়ে পড়ে, আর ‘চারটি তরফের মধ্যে মন্দির নির্মাণের একটা প্রবল প্রতিযোগিতা আরম্ভ হয় এবং মন্দির নির্মাণের সেই গতি শতাধিক বর্ষ পর্যন্ত চলতে থাকে’ বলে লিখেছিলেন মলুটির গবেষক তথা ভূমিপুত্র গোপালদাস মুখোপাধ্যায়।
গঠনশৈলী অনুসারে পাঁচ ধরনের মন্দির এখানে দেখা যায়, চালা, রেখ, মঞ্চ, একবাংলা ও সমতল ছাদবিশিষ্ট। মলুটির ৫৭টি চালা মন্দিরের মধ্যে ৫১টিতে শিবলিঙ্গ এবং একটি মাত্র রেখ দেউলেও শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত। যদিও মলুটির রাজপরিবারের কুলদেবী সিংহবাহিনী দুর্গা এবং তাঁরা বংশপরম্পরায় শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত, তবু এত শিবমন্দির কেন? বস্তুত, স্বল্প আয়তনের মলুটির ঘনত্বের বিচারে শিবক্ষেত্র কাশীধামের চেয়েও বেশি। এর অন্যতম কারণ, রাজাদের গুরু বংশ শৈব এবং কাশীধামের বাসিন্দা। তাই তাঁদের নির্দেশ মেনে রাজপরিবার হয়তো এখানে গুপ্তকাশী বানাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
কত যে অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে মৌলীক্ষা মন্দিরে তার ইয়ত্তা নেই। সন্ধ্যার অন্ধকারে জনহীন মন্দিরের ভিতরের যজ্ঞকুণ্ড থেকে দাউদাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা প্রত্যক্ষ করেছেন, এমন মানুষ ক’দিন আগেও ছিল। রাতে, ভোরেও মন্দিরে ঝাঁটা দেওয়ার শব্দ শুনেছেন, এমন অনেকেই আছেন। এই মন্দিরে নিত্যদিন উৎসব, বলিদান পূজা ও ভক্তদের আনাগোনা। তবে যা কিছু সব দিনের আলো থাকতে থাকতে, সন্ধ্যার অন্ধকারে মা নির্জনে একাকী। এমনকী দীপান্বিতা কালীপুজোর রাতেও সন্ধ্যায় মায়ের মন্দিরের পুজো শেষ হলে তবেই গ্রামের নানা মণ্ডপে কালী পুজোর আরাধনা শুরু হয়। আট তরফের লোক মিলে সেদিন সন্ধ্যায় সবার আগে মৌলিক্ষা মায়ের পুজো করেন, এই মিলিত পুজোর নাম ‘এয়োজা’। পরের দিন দীর্ঘ সময় ধরে বাজি পোড়ানো হয় মৌলিক্ষা মন্দিরে। আটকালীকে মৌলীক্ষা মন্দির প্রদক্ষিণ করানো হয়, যার পোশাকি নাম ‘বাচ’ খেলা। তারপর বিসর্জনের পালা।
………………………………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………………………………
তবে সেই সন্ধ্যার বিশেষ আকর্ষণ– মন্দিরের খানিক দূরের পাহাড়শ্রেণি বেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আদিবাসী পুরুষ নারীদের হাতে বয়ে আনা পূজার ডালায় জ্বলতে থাকা প্রদীপ। সারাটা পাহাড়ের গায়ে যেন আলোর আলপনা আঁকা হয়ে যায়।
(সমাপ্ত)
…পড়ুন তীর্থের ঝাঁক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৩। তারাশঙ্করের লেখায় উল্লেখ রয়েছে অট্টহাস শক্তিপীঠের কথা
পর্ব ২২। মূর্তি নয়, শিলাখণ্ডেই পুজো পান দেবী কল্যাণেশ্বরী
পর্ব ২১। এক কুমোর পণ্ডিতদের নাজেহাল করেছিল বলে জায়গাটির নাম ‘কুমারহট্ট’
পর্ব ২০। মামলার টাকায় হংসেশ্বরী মন্দির গড়েছিলেন রাজা নৃসিংহদেব
পর্ব ১৯। হুতোমের কথায়, মাহেশের রথের মতোই স্নানযাত্রারও ধূম ছিল সে কলকাতায়
পর্ব ১৮। কঙ্কালীতলায় বলিদানের বীভৎসতা ব্যথিত করেছিল রবীন্দ্রনাথকে
পর্ব ১৭। শ্রীরাধার মূর্তিকে কনের সাজে যুগল কিশোর মন্দিরে পাঠিয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
পর্ব ১৬। যে দেবীর পুজোর নির্ঘণ্ট ঠিক করা হয় জলঘড়ির সাহায্যে
পর্ব ১৫। হেস্টিংসের নজর থেকে গুহ্যকালীর মূর্তি রক্ষা করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার
পর্ব ১৪। সারা বছর দেবী থাকেন জলের তলায়, পুজো পান কেবল বৈশাখের সংক্রান্তিতে
পর্ব ১৩। দ্বিধাগ্রস্ত বিবেকানন্দকে পথ দেখিয়েছিল যে কন্যাকুমারী
পর্ব ১২। রানি অহল্যাবাইয়ের উদ্যোগে পুনর্নির্মাণ ঘটে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরের
পর্ব ১১। বৈজু গোয়ালা যেভাবে পেয়েছিল শিবের দর্শন
পর্ব ১০। নবদ্বীপ বরাবর সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্র, সেই সমাহার আজও বর্তমান
পর্ব ৯। দেবী কামাখ্যার পুজোর নেপথ্যে রয়েছে আদিবাসীদের কৃষিকাজের উৎসব
পর্ব ৮। শতবর্ষ আগে বাংলার প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তারকেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে
পর্ব ৭। বামাক্ষ্যাপার টানে তারাপীঠে এসেছিলেন বিবেকানন্দ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
পর্ব ৬। তান্ত্রিক, কাপালিক এবং ডাকাতদের থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কালীঘাটে পুজো দিতেন যাত্রীরা
পর্ব ৫। কপিলমুনির আশ্রম খুঁজে না পেয়ে ‘শতমুখী’ হয়েছিল গঙ্গা
পর্ব ৪। কোন উপায়ে লুপ্ত বৃন্দাবনকে ভরিয়ে তুললেন রূপ-সনাতন?
পর্ব ৩। পুত্র রাম-লক্ষ্মণ বিদ্যমান থাকতেও পুত্রবধূ সীতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন গয়ায়
পর্ব ২। এককালে শবররা ছিল ওড়িশার রাজা, তাদের নিয়ন্ত্রণেই পুজো পেতেন জগন্নাথদেব
পর্ব ১। ছোটবেলায় ছবি দেখেই কাশীধামে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন ম্যাক্সমুলার সাহেব