তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এক বিশাল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র, হয়ে উঠেছিলেন আধুনিক বাংলা কার্টুনের জনক। ইতিহাস আর সিভিকসের জোরালো ব্যাকগ্রাউন্ডের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘচর্চা আর গভীর অন্তর্দৃষ্টি তাঁকে করে তুলেছিল এক আন্তর্জাতিক মানের কার্টুনিস্ট, গোটা দেশে যাঁর সমকক্ষ কাউকে খুঁজে পাওয়া শক্ত।
“ফেনি কলেজেই আমার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। এখানেই আমার সঙ্গে ইংরেজির অধ্যাপক গোপাল হালদারের প্রথম পরিচয় হয়। আমার খাতায় আঁকা হিজিবিজি ছবি দেখে তিনি লাফিয়ে ওঠেন– ‘আপনি এক্ষনি কলকাতায় চলে যান। এখানে মাস্টারি করে কি জীবন খোয়াবেন?” পরিণত বয়সে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এই কথাগুলো বলেছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র লাহিড়ী, অর্থাৎ, বাংলা-কার্টুনের কিংবদন্তি পি.সি.এল।
১৯০০ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা শহরে জন্ম হয়েছিল তাঁর, লেখাপড়ায় বরাবর ভালো ছিলেন পাশাপাশি ছবি আঁকার হাতটিও ছিল চমৎকার। ফলে ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া ছাত্র নোয়াখালির ফেনি কলেজে অধ্যাপনা করতে গিয়েও আঁকা ছাড়েননি। মাস্টারিতে মন বসত না বলে অবসর সময় শুরু করলেন আঁকাআঁকি। ধীরে ধীরে যোগাযোগ হল কলকাতায় ‘শনিবারের চিঠি’-র সম্পাদক সজনীকান্ত দাসের সঙ্গে। ফেনি থেকে পাঠানো প্রফুল্লচন্দ্রর কার্টুন উনি ছাপতে লাগলেন নিজের কাগজে। প্রফুল্লচন্দ্রের মধ্যে কার্টুনিস্টের বিশাল সম্ভাবনা দেখে একসময় তাঁকে পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় চলে আসার প্রস্তাবও দিলেন সজনীকান্ত। অনেক দোনামোনার পর শেষমেশ রাজি হয়ে যান প্রফুল্লচন্দ্র। অতঃপর, ১৯৩৩ সালে কার্টুনকে জীবিকা করার আশায় ফেনির পাট চুকিয়ে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
একমাত্র পৃষ্ঠপোষক সজনীকান্ত তখন আশ্বাস দিয়েছিলেন, ‘কার্টুন শিল্পকে তুমি ত্যাগ না করিলে উহা কখনই তোমায় ত্যাগ করিবে না।’ ফলে প্রথম দিকে লড়াই চলল প্রায় বিনি পয়সায় কাজ করে, মাঝে মাঝে কিছু রোজগার হত বিজ্ঞাপনের টুকিটাকি ছবি এঁকে, সেই সঙ্গে বাধ্য হয়ে খুঁজছিলেন নতুন করে কলেজের চাকরিও। শেষে ভাগ্য খুলল ১৯৩৩ সালে যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর ‘অ্যাডভান্স’ কাগজের কল্যাণে। ওখানেই ‘ডায়োজেনিস’ ছদ্মনামে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার সুযোগ পেলেন প্রফুল্লচন্দ্র। এবং এর পরের বছরেই স্টাফ কার্টুনিস্ট হিসেবে পাকা চাকরি হয়ে গেল ইংরেজি দৈনিক ‘অমৃত বাজার পত্রিকা’-তে। নিজের নামকে ছোট করে ‘পি.সি.এল.’ ছদ্মনামে শুরু করলেন নিয়মিতভাবে বিশুদ্ধ রাজনৈতিক কার্টুন আঁকতে। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি প্রফুল্লচন্দ্রকে।
ধীরে ধীরে তিনি এগিয়ে চললেন খ্যাতি আর সাফল্যের পথ ধরে। পরে ১৯৩৭ সালে চালু হল ওই প্রতিষ্ঠানের দৈনিক বাংলা কাগজ ‘যুগান্তর’ এবং সেখান থেকেও নিয়মিত কার্টুন আঁকার প্রস্তাব এল প্রফুল্লচন্দ্রর কাছে। এবার তিনি নিলেন এক নতুন ছদ্মনাম– ‘কাফি খাঁ’! ইতিহাস বলে সম্রাট আকবরের সভায় এই নামে শিক্ষিত একজন ছিলেন, যাঁর কাজ ছিল বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর সংগ্রহ করে এনে তার ফিরিস্তি রাখা আর সময়মতো সম্রাটের কানে পৌঁছে দেওয়া। একজন কার্টুনিস্টের কাজও যে যাবতীয় ঘটনার ফিরিস্তি রাখা, এই বিশ্বাস থেকেই সম্ভবত প্রফুল্লচন্দ্রর ‘কাফি খাঁ’ নামটা বেছে নেওয়া।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এক বিশাল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র, হয়ে উঠেছিলেন আধুনিক বাংলা কার্টুনের জনক। ইতিহাস আর সিভিকসের জোরালো ব্যাকগ্রাউন্ডের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘচর্চা আর গভীর অন্তর্দৃষ্টি তাঁকে করে তুলেছিল এক আন্তর্জাতিক মানের কার্টুনিস্ট, গোটা দেশে যাঁর সমকক্ষ কাউকে খুঁজে পাওয়া শক্ত। পৃথিবী জুড়ে ভয়ঙ্কর এক উত্তাল সময়ে কার্টুন আঁকতে শুরু করেছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র, ফলে যাবতীয় সুযোগ এসেছিল নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ভারতের দ্রোহকাল, সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা, দেশভাগ, রিফিউজি সমস্যা, চতুর্দিকে বার্নিং ইস্যুর ছড়াছড়ি আর তারসঙ্গে কার্টুন এঁকে একের পর এক বোমা ফাটিয়ে চলেছেন প্রফুল্লচন্দ্র, কখনও পি.সি.এল, কখনও কাফি খাঁ হয়ে।
ওই সময় পি.সি.এল. এর দুটো কার্টুনের কথা বলতে হয়। প্রথমটা ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে, যেখানে দেখা যায় মহম্মদ আলি জিন্নাহকে, যিনি এক হাতে ধরে আছেন চাঁদ-তারা দেওয়া পতাকা, অন্য হাত সামনে বাড়ানো আর তাঁর ছায়াটা হয়ে গিয়েছে নাৎসিদের প্রতীকচিহ্ন-ওলা পতাকা হাতে হিটলারের। পরেরটা গান্ধী-হত্যা নিয়ে, যা ব্ল্যাক হিউমারের পর্যায় পড়ে এবং খুবই বেদনাদায়ক। ফ্রেমের মাঝখানে গান্ধী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন আর তাঁকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। এটা বোঝাতে আঁকা হয়েছে চারপাশে কিছু টুকরো টুকরো দৃশ্য, করাচিতে চিন্তিত মুখে পায়চারিরত জিন্নাহ, ভারতবর্ষের মুসলিমদের হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা, রাষ্ট্রপুঞ্জে নেতাদের একজোট হয়ে আলোচনা ইত্যাদি। ইতিহাসে ঝড় তোলা এই ঘটনার নিঃসন্দেহে এক মূল্যবান দলিল হয়ে আছে কার্টুনটি।
………………………………………………………
প্রথাগতভাবে কোথাও কোনওদিন তালিম না নিলেও ড্রয়িং-এর হাত যথেষ্ট পাকাপোক্ত ছিল প্রফুল্লচন্দ্রর।সাধারণত নিবের আঁচড় টানতেন এমন খোঁচা খোঁচা ভাবে যে, সব কিছু একটু কাট কাট দেখালেও সেটা দিব্যি মানিয়ে যেত ওঁর নিজস্ব ঘরানার হাস্যরসের সঙ্গে। সব থেকে বড় কথা, আঁকার মধ্যে সে যুগের বাঙালি নারী-পুরুষের আটপৌরে চেহারাটাও ধরা পড়ত নিখুঁতভাবে। যথেষ্ট নামডাক হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক সঙ্গতি বাড়াতে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমগুলোর জন্য কাজ করতে বাধ্য হন প্রফুল্লচন্দ্র।
………………………………………………………
রাজনৈতিক বিশ্লেষণক্ষমতা কত গভীর ছিল প্রফুল্লচন্দ্রর, এই ধরনের আরও বহু কার্টুনে তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে তিনি যে বিলেতের ডেভিড লো বা ভারতের আর. কে. লক্ষ্ণণের মতো মহান কার্টুনিস্টদের সমকক্ষ ছিলেন, একথা বলতে এতটুকু দ্বিধা নেই। ১৯৫০-’৬০ এর দশকে হাজারও সমস্যায় জর্জরিত ছিল আমাদের গোটা পশ্চিমবঙ্গ, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনায় কোণঠাসা হতে হয়েছে বারবার। এই সংকটকালে বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায় কীভাবে একা লড়াই চালিয়ে গেছেন, এ নিয়ে অজস্র কার্টুন এঁকে সোচ্চার থেকেছেন প্রফুল্লচন্দ্র। দামোদর নদের ওপর বাঁধ তৈরি, ‘দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন’-এর প্রতিষ্ঠা, সেই সঙ্গে দুর্গাপুরে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার জন্য বিধানচন্দ্র বহু কষ্টে কেন্দ্রের সম্মতি আদায় করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুগান্তরে ছাপা হয় কাফি খাঁর সেই বিখ্যাত কার্টুন– প্রবল ঝড় বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পিতা বাসুদেবরূপী বিধান রায় চলেছেন, হাতে ধরা নবজাত শিশু, যার গায়ে লেখা ‘দামাদর ভ্যালি প্রকল্প’। এই দুর্যোগে তাঁর মাথায় ছাতার মতো সঙ্গী হয়ে চলেছেন নাগরূপী উপরাষ্ট্রপতি ড. রাধাকৃষ্ণণ।
প্রথাগতভাবে কোথাও কোনওদিন তালিম না নিলেও ড্রয়িং-এর হাত যথেষ্ট পাকাপোক্ত ছিল প্রফুল্লচন্দ্রর।সাধারণত নিবের আঁচড় টানতেন এমন খোঁচা খোঁচা ভাবে যে, সব কিছু একটু কাট কাট দেখালেও সেটা দিব্যি মানিয়ে যেত ওঁর নিজস্ব ঘরানার হাস্যরসের সঙ্গে। সব থেকে বড় কথা, আঁকার মধ্যে সে যুগের বাঙালি নারী-পুরুষের আটপৌরে চেহারাটাও ধরা পড়ত নিখুঁতভাবে। যথেষ্ট নামডাক হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক সঙ্গতি বাড়াতে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমগুলোর জন্য কাজ করতে বাধ্য হন প্রফুল্লচন্দ্র। বলা হয়, আমাদের দেশে বিজ্ঞাপনের ছবিতে তিনিই প্রথম কার্টুন আঁকার রেওয়াজ চালু করেন। ভারতীয় রেল, সিজারস সিগারেট কিংবা কুকমি গুঁড়োমশলার বিজ্ঞাপনে দজ্জাল গিন্নি, গোবেচারা কর্তা, প্ল্যাটফর্মে বসে সিগারেটে সুখটান দিতে থাকা বাবু, এদের হয়ত আজও মনে রেখেছে জনসাধারণ। এই সব ক্যাম্পেন যে স্রেফ আঁকার গুণেই রীতিমতো জনপ্রিয় হয়েছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
সংবাদপত্রে কড়া রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে হালকা চালে নানা ধরনের মজাদার কমিক স্ট্রিপও করেছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র যার মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ইংরেজিতে অমৃতবাজারের খুড়ো আর বাংলায় যুগান্তরের শেয়াল পণ্ডিত। ১৯৩৫ সালে প্রথম ছাপা হয় অতি নিরীহ গোছের এই খুড়োর কীর্তিকলাপ, যিনি বাড়ির গিন্নি থেকে রাস্তার কুকুর– সবার কাছে সারাক্ষণ অপদস্থ হয়েও মুখ বুজে সহ্য করে যান সব কিছু। প্রায় তিন দশক ধরে ধুতি,বেনিয়ান পরা গোলগাল, গুঁফো এই লোকটি মাতিয়ে রেখেছিলেন সব বয়েসের পাঠককে।
শেয়াল পণ্ডিত শুরু হয় যুগান্তরের ছোটদের পাতায় ১৯৪০ নাগাদ। এখানে পণ্ডিতমশায়ের শাগরেদ হল এক কুমির এবং জামাকাপড় আর হাবভাবে দু’জনেই মানুষের মতো। ছবির সঙ্গে চার লাইনের ছড়া থাকত গল্পটাকে বোঝানোর জন্য। আসলে ছবি এঁকে গল্প বলার দিকে বরাবর ঝোঁক ছিল প্রফুল্লচন্দ্রর। তাই কমিক্স মাধ্যমটিকে নিয়ে মেতে উঠতেন সুযোগ পেলেই। এই প্রসঙ্গে ভীষণভাবে উল্লেখযোগ্য হল, পাতার পর পাতা ছবি এঁকে সাজানো সুভাষচন্দ্র আর গান্ধীজির রাজনৈতিক জীবন নিয়ে দুটো বড় আকারের বই ‘সুভাষ আলেখ্য’ আর ‘সত্যের সন্ধানে’। এই ধরনের প্রামাণ্য কাজের পরিকল্পনা ওঁর আগে ভারতে আর কেউ করেছিল বলে জানা নেই।
আরও একটি অভিনব জিনিস তিনি সৃষ্টি করেছিলেন মূলত ছোটদের কথা ভেবে। ‘কাফিস্কোপ’! একই আঁকাকে তার অবস্থানের সামান্য হেরফের ঘটিয়ে যদি পরপর কাগজে ধরে রেখে সেগুলো দ্রুত ওলটানো যায় তাহলে আঁকাটা মনে হবে নড়াচড়া করছে। অ্যানিমেশন ফিল্ম তৈরির এই প্রাথমিক কৌশলটিকে এখানে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু ছোট মাপের বই বানিয়েছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র। প্রতিটিতে ছিল হালকা আজগুবি সব গল্প।এককালে বিশাল চাহিদা ছিল এইসব বই-এর। আমেরিকা ভ্রমণের সময় খোদ ডিজনি স্টুডিও-তে গিয়ে এই ‘কাফিস্কোপ’ বাহবা কুড়িয়ে এসেছে। এমনকী ওঁর কার্টুন দেখে সে-দেশের একাধিক কাগজ প্রফুল্লচন্দ্রকে দিয়ে কাজ করিয়েছে, থেকে যেতেও বলেছে। উনি অবশ্য দেশের মায়া কাটাতে চাননি।
আজও বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামে গেলে দেখা যায় বিশাল মহাকাশের নিচে গোল হয়ে থাকা কলকাতার স্কাইলাইন, যার স্রষ্টা হলেন কাফি খাঁ। অনেক খেটেখুটে কাজটি করা হয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার পর যার সামনে দাঁড়িয়ে আবেগের বশে উনি বলে উঠেছিলেন, ‘কাফি খাঁ, চেয়ে দ্যাখ, বানিয়েছিস তো একটা জিনিস এই ভারতের বুকের ওপর যা অন্যে পারেনি’।
…………………………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………………………….
১৯৭৫-এর ২৭ অক্টোবর প্রয়াত হন প্রফুল্লচন্দ্র। শেষদিকে হয়তো কিছুটা আড়ালে চলে গিয়েছিলেন নানা কারণে। তবু বিরল প্রতিভার জোরে একটা প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠা বাংলার এই কার্টুনিস্টকে আজও এতটুকু নড়ানো যায়নি তাঁর সিংহাসন থেকে। ওঁর উত্তরসূরিদের মধ্যে রেবতীভূষণ, চণ্ডী লাহিড়ী কিংবা অমল চক্রবর্তী দীর্ঘকাল ধরে দাপটের সঙ্গে কার্টুন এঁকেছেন এবং ধীরে ধীরে সবাই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। দুঃখের বিষয়, এই প্রজন্মের খুব বেশি কেউ কার্টুন আঁকার সুযোগ পান না সংবাদমাধ্যমগুলোতে। ফলে বাংলার কার্টুন এখন শুধু ইতিহাস হয়েই বেঁচে আছে।
তথ্য ঋণ: ‘রঙ্গ ব্যঙ্গ রসিকেষু’ শতবর্ষে কাফি খাঁ সংখ্যা