এই এত বিচিত্র রকমের গান গাওয়া, যদি একটু ক্যারিয়ার গ্রাফ দেখতে দেখতে মেলাই, দেখব কীভাবে নিজেকে বদলে বদলে একটু একটু করে পালিশ করে নিজেকে আপগ্রেড করছেন মহম্মদ রফি। গলা তো ছিলই সম্পদ, তলিয়ে দেখলে দেখব, সেটাও কিন্তু খুব পেলব ছিল না। এর প্রমাণ মেলে প্রথমদিকের গানগুলোতে তো বটেই, একটু পরে– ‘জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ, এয় মহব্বত জিন্দাবাদ’– ‘মুঘল-এ-আজম’-এর গানটা শুনলে। সেখান থেকে সিনেমার গতিপ্রকৃতি যত বদলেছে, তিনিও নিজেকে বদলেছেন।
গ্রাফিক্স: দীপঙ্কর ভৌমিক
সোমনাথ শর্মা
সাধারণ মানুষের জীবনে স্বাভাবিক সাময়িক স্বস্তির উপাদান এখন এতটাই কম যে ভাবতে বসে অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়! এরমধ্যে নানাভাবে পত্রপত্রিকায় দেখা যায়, এই বছর অমুকের জন্মশতবর্ষ, অমুক বড় মানুষের মৃত্যুর ৫০ বছর! এখন এমন একটা অবস্থা, এঁদের নিয়ে যে কথা বলে স্বস্তি হবে, তার উপায় নেই! এই বছর ঋত্বিক ঘটকের শতবর্ষ, ঋত্বিক ঘটক-কে নিয়ে কথা বললে কি স্বস্তি পাব? সমরেশ বসুর শতবর্ষ এটা, সমরেশ বসু ‘ছেঁড়া তমসুক’ বলে একটা গল্প লিখেছিলেন– স্বস্তি পাব কথা বলে? এরই মধ্যে ত্রাতা হয়ে যে মাধ্যম আসে, যে মাধ্যমকে আমরা আর একটু সিরিয়াসলি নিলেই পারতাম, সেটা হল গান।
গানের এক দিক্পাল তালাত মেহমুদের ১০০ বছর পেরিয়ে এলাম এ-বছরই, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ। আরেক দিক্পাল মহম্মদ রফির আজকে জন্মদিন, তিনিও শতবর্ষী। আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তো নয়ই, এমনকী ব্যক্তিগত পরিসরেও আমাদের শেখানো হয়নি, হয় না যে, গণমাধ্যমে আসা উৎকৃষ্ট শিল্পের কদর কীভাবে করতে হয়! মহম্মদ রফি অনেক দূরের ব্যাপার, অনেক বড় ব্যাপার– আমরা আমাদের ছোটদের শেখাতে পারি না যে, অরিজিৎ সিং-এর একটা অনবদ্য গাওয়া গান যে ছোটদের ভালো লাগে, কেন যে ভালো লাগে– সেটা তলিয়ে দেখতে! কেন যে শুভমন গিলের একটা কভার ড্রাইভ একজনের ভালো লাগে, এই প্রশ্ন যদি ভাতের মতো করে যত্নে না উঠিয়ে দেওয়া যায়, একটা বাচ্চা তাহলে থাকে কী নিয়ে!
মহম্মদ রফি একজন খুব উঁচুমানের গায়ক কথাটা বারবার বলা হলেও তা প্রাসঙ্গিক, তার নানা কারণ আছে, সেগুলো তাঁরাই খুব ভালো জানাতে পারেন, যাঁদের হাতে-কলমে সংগীত-শিক্ষা আছে।
খুব সাদা চোখে একটু কান খুলে রাখলেই খেয়াল হয় আমাদের ভদ্রলোক কী কী সব গান গেয়েছেন! একজন মানুষ কৃষ্ণের ভজন গাইছেন, কাওয়ালি গাইছেন, রাগাশ্রয়ী গান গাইছেন রোম্যান্টিক গান গাইছেন, ঈদ উপলক্ষে গাইছেন, কমেডিয়ানের মুখে গাইছেন, দেশাত্মবোধক গান গাইছেন, আবার গাইছেন ‘কংগ্রেস কো ভোট দো’!
এই এত বিচিত্র রকমের গান গাওয়া, যদি একটু ক্যারিয়ার গ্রাফ দেখতে দেখতে মেলাই, দেখব কীভাবে নিজেকে বদলে বদলে একটু একটু করে পালিশ করে নিজেকে আপগ্রেড করছেন তিনি। গলা তো ছিলই সম্পদ, তলিয়ে দেখলে দেখব, সেটাও কিন্তু খুব পেলব ছিল না। এর প্রমাণ মেলে প্রথমদিকের গানগুলোতে তো বটেই, একটু পরে– ‘জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ, এয় মহব্বত জিন্দাবাদ’– ‘মুঘল-এ-আজম’-এর গানটা শুনলে। সেখান থেকে সিনেমার গতিপ্রকৃতি যত বদলেছে, তিনিও নিজেকে বদলেছেন। শুরুর দিকে গাইতে গিয়ে মহম্মদ রফি নিজেও কি জানতেন শাম্মি কাপুরের মতো একজন ফ্ল্যামবয়েন্ট নায়কের পাল্লায় তাঁকে পড়তে হবে! তিনি কি জানতেন, নৌশাদ থেকে ও পি নাইয়ার হয়ে তাঁর যাত্রাপথ লক্ষ্মীকান্ত প্যায়ারেলালের দিকে যাবে!
যে প্রসঙ্গে এ-কথাগুলো উঠে এলো– মহম্মদ রফি কেন বড় গায়ক? কী সেই এমন বিশিষ্টতা, যার জন্যে তাঁকে মাথায় তুলতে হবে!
একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ওঁর উচ্চারণ, উচ্চারণ মানেই স্পষ্ট উচ্চারণ শুধু না, একটা শব্দের মুড বুঝে তাঁর উচ্চারণ। ধরা যাক, সন্ধে অর্থে শাম উচ্চারণ– ‘এক হসিন শাম কো দিল মেরা খো গয়া’– এখানে ‘শাম’ উচ্চারণ, ‘অভি না যাও ছোড় কর কে দিল অভি ভরা নেহি’-তে, ‘ইয়ে শাম ঢল তো লে জরা, হুই শাম উনকা খয়াল আ গয়া’। তিনটে সন্ধের প্রেক্ষাপট আলাদা, তিনটে শামের উচ্চারণ তাই আলাদা। এরকম প্রচুর গান আছে যেগুলো থেকে উচ্চারণ শেখা যায়। আবার মদনমোহনের সুরে ‘তুমহারি জুলফকে সায়ে মে শাম কর লুঙ্গা’, এই শাম-এর প্রেক্ষাপট একেবারেই আলাদা। গায়কী এবং উচ্চারণের একটা মাস্টারক্লাস হতে পারে ওঁর গানগুলো শোনা।
…………………………………………..
এই লোকটাই যখন গান, ‘হাম কালে হ্যায় তো ক্যায়া হুয়া দিলওয়ালে হ্যায়, মনে হয় এটা কে গাইছে?’ কোথায় গেল সেই ডিকশন, যেখান থেকে আসে ‘বহুত শুকরিয়া বড়ি মেহেরবানি’! কিংবা, ‘পুকারতা চলা হু ম্যায় -এর লোকটাই এই লোকটা? বিশ্বাস হয় না ! এতবছর বাদে দূর থেকে যখন গানগুলো শোনা যায় বুঝতে অসুবিধে হয় না যে এটা একটা পরিশ্রমের কাজ। পরিশ্রমের কাজ বললে কিছুই বলা হয় না। ৩০-৩২ বছরের ক্যারিয়ারে ভদ্রলোক আর যাই হোক, হাজার চারেকের কম গান গাননি।
…………………………………………..
আবার ধরা যাক, আকাশ অর্থে ‘আসমান’ শব্দটা, ‘খোয়া খোয়া চাঁদ, খুলা আসমান’, এই আসমানের সঙ্গে ‘আসমান সে আয়া ফরিস্তা, প্যায়ার কা সবক শিখলানে’– এই আসমান উচ্চারণ কত আলাদা, আবার ‘জানে মন তুম নে মুঝে দেখা, হো কর মেহরবান, রুক গয়ি ইয়ে জমিন, থম গয়া আসমান’– তিনটে আসমানের মধ্যে আকাশপাতাল পার্থক্য। এই যে প্যায়ার– একটা কমন শব্দ কথাটার কোনও pair নেই। কত বিচিত্রভাবে গানে ব্যবহার হয়েছে। ‘স সাল পেহলে মুঝে তুমসে প্যায়ার থা’ আর ‘কেয়হ দো কোই না করে ইয়াহা প্যায়ার’, আবার ‘মেরি দোস্তি মেরা প্যায়ার’– তিনটে প্যায়ার, একটা আরেকটার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মান্না দে-র গান ছিল– ‘হৃদয়ের গান শিখে তো গায় গো সবাই, ক-জনা হৃদয় দিয়ে গাইতে পারে’! শোনা কথা, বেগম আখতারের নাকি একবার গলায় কী সমস্যা হয়েছিল, একজন উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, ‘কী করে গাইবেন?’ বেগম আখতার বলেছিলেন, ‘কৌন কমবক্ত গলে সে গাতা হ্যায়!’
মহম্মদ রফি বলতে গেলে যেটা অসুবিধের, একসঙ্গে অনেকগুলো সমস্যা পোহাতে হয়। একসঙ্গে অনেকগুলো মানুষের নাম না বললে বৃত্তটা সম্পূর্ণ হয় না। একটু আগে যেমন মহম্মদ রফি বলতে গিয়ে মদনমোহন মনে পড়ছিল, তেমন মনে পড়ার কথা শৈলেন্দ্র, সাহির বা মজরুহ সুলতানপুরি-সহ সমস্ত গীতিকারদের কথা। মনে পড়ার কথা গীতা দত্ত, সমসাদ বেগম, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলের কথাও।
এই আশালতাই আমাদের জীবনে সাময়িক সরলতা ( sorrowলতাও কি না?) এনে দেয়। এঁদের প্রত্যেকের গান যে ভালো লাগে, তার জন্য তাঁদের গলা শুধু না, গাইবার ভঙ্গিও দায়ী, যাকে শিক্ষিতজন বলেন গায়কী। গায়কীর ভঙ্গি-পার্থক্যে এঁরা সবাই সবার থেকে আলাদা। একটা ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে এস পি বালাসুব্রহ্মণিয়ম বলছিলেন, রফির ‘দিওয়ানা হুয়া বাদল’ গানটির কথা। ওইটুকু শোনা একটা অভিজ্ঞতা বটে! একটু আগে প্রসঙ্গ উঠল উচ্চারণ আর গায়কীর, ওই যে, ‘ইয়ে দেখকে দিল ঝুমা’– যেমনটা এস পি বলছিলেন যে, ওই ‘ঝুমা’ উচ্চারণ আমরা ভাবতে পারি ওইভাবে একটা লোক উচ্চারণ করতে পারেন! এস পি নিজেও প্রভাবিত রফির থেকে। ‘লভ’ নামে সিনেমাটায় গেয়েছিলেন সলমান খানের লিপে, ‘সাথিয়া তুনে ক্যায়া কিয়া’। শুনলে বোঝা যায়, কী অনবদ্য গাওয়া! ‘সাজন’-এ এস পি-র গান শুনলেই বোঝা যায়, রফি সাহাব ভদ্রলোকের ভেতরে আছেন।
এই যে গায়কী, সুর এ-সবের কথা উঠছে যখন, একটা গানের কথা তখন না বললেই নয়। ১৯৬০ সাল, রফি এন দত্ত-র সুরে গাইলেন, ‘না কিসি কি আঁখ না নুর হু, না কিসি কে দিল কা করার হু।’ কবিতাটা পড়লে খেয়াল হয়, এমন উপাদান আছে যে সুর করে লোককে কাঁদিয়ে দেওয়া যায়, এন দত্ত এমন একটা সুর করলেন, যেন মনে হচ্ছে একজন লোক নিজের দুঃখের কথা বলছে, তাতে আবেগ আছে, কিন্তু এমন আবেগ নেই যা দিয়ে অন্যের চোখে জল পড়ে। একটা ভাইব্রাফোন বাজছে, আর রফির গলা। গানটা দু’বার শোনা যায় না পরপর, গলাটা এমন ধরে আসে। এই যদি কেঁদে ফেলা যেত, বরং সহজ হত। একটা নিষ্কৃতি হত। কিন্তু রফির আর পাঁচটা গানের মতো গানটা ভালোবাসা আদায় করলেও সম্ভ্রম-বঞ্চিত হত।
এরকম হয় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলা শুনলে। ‘বনতল ফুলে ফুলে ঢাকা’ গানে ‘ফেলে আসা দুটি কথা তার, ভোলা শুধু হল না আমার, একা থাকা এত যে ব্যথার বুঝিনি আগে’– গেয়ে হেমন্ত শ্রোতার জন্য কেঁদে ভাসাবেন অত সময়ই নেই! ওই সিনেমাতেই অসামান্য আরেকটা গান আছে, ‘লগতা নেহি হ্যায় দিল মেরা, উজড়ে দয়ার মে।’ ওই একই কথা খাটে এই গানটা সম্পর্কেও। সংগীত পরিচালকরা এইখানে কৃতিত্বের অধিকারী গানে সুর করা ছাড়াও, এঁরা জানতেন, কোন গান কাকে দিয়ে গাওয়ালে মানায়। ‘গাইড’-এ ‘গাতা রহে মেরা দিল’ কিশোর কুমার, আবার ‘তেরে মেরে স্বপ্নে অব এক হি রংগ হ্যায়’-তে রফি। ‘মধুমতী’-তে নায়কের লিপে অধিকাংশ গান মুকেশ, একটা গান তাও লিপে না, ব্যাকগ্রাউন্ডে রফি।
এই লোকটাই যখন গান, ‘হাম কালে হ্যায় তো ক্যায়া হুয়া দিলওয়ালে হ্যায়, মনে হয় এটা কে গাইছে?’ কোথায় গেল সেই ডিকশন, যেখান থেকে আসে ‘বহুত শুকরিয়া বড়ি মেহেরবানি’! কিংবা, ‘পুকারতা চলা হু ম্যায় -এর লোকটাই এই লোকটা? বিশ্বাস হয় না ! এতবছর বাদে দূর থেকে যখন গানগুলো শোনা যায় বুঝতে অসুবিধে হয় না যে এটা একটা পরিশ্রমের কাজ। পরিশ্রমের কাজ বললে কিছুই বলা হয় না। ৩০-৩২ বছরের ক্যারিয়ারে ভদ্রলোক আর যাই হোক, হাজার চারেকের কম গান গাননি। এত জন সংগীত পরিচালক বিচিত্র রকমের সিনেমার সিচুয়েশনে তাঁর গান ব্যবহার করেছেন! কী হারে গলা-কে খাটালে এইভাবে গলাবাজি করা যায়!
যখন রফি এইসব গানগুলো গাইছেন একটা ঝড় আসব আসব করে জানান দিচ্ছে, ‘দুখি মন মেরে শুন মেরা কহনা’ বা ‘কোই হমদম না রাহা’– এইসব শুনেটুনে মানুষের মনে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। ওই সময়ের নায়করা, যাঁরা পরে ওই ঝড়ের কাছে নিজেদের ঠিকানা রেখে যাবেন, তাঁরা প্রায় সকলেরই শুরুর দিকের অনেক গান রফির গলার ‘হাত ধরে’, সে জিতেন্দ্রই বলুন কিংবা রাজেশ খান্না, বিনোদ খান্নাই বলুন কিংবা অমিতাভ বচ্চন, বা ঋষি কাপুর– এমন অনেক সিনেমা আছে, যার নায়কের নাম মনে নেই, কিন্তু গানটা মনে থেকে গেছে।
‘পড়োসন’-এ একটা সিন ছিল, যেখানে কিশোরকুমার সুনীল দত্ত-কে সা রে গা মা পা ধা নি সা শেখাচ্ছেন, সুনীল দত্ত মা-তে এসে মায়ের জন্য কেঁদে ফেলছেন, তৃতীয় সুর ষষ্ঠ সুর স্বয়ং দরজায় দণ্ডায়মান। পরের সিনে কিশোরকুমার ভাবছেন উতরোবেন কী করে, ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে, সেটা শুনে আইডিয়া এল যে কিশোরকুমার গাইবেন, লিপ দেবেন সুনীল দত্ত– সেই অসামান্য গান, ‘মেরে সামনেওয়ালি খিড়কি মে এক চাঁদ কা টুকরা রহতা হ্যায়’। ব্যাকগ্রাউন্ডে যে গানটা বাজছিল, ‘আঁচল মে সজা লে না কলিয়া জুলফো মে সিতারে ভর লেনা’। অনবদ্য একটা গান মজরুহ সুলতানপুরি, ও পি নাইয়ার আর রফির, জয় মুখার্জি আর আশা পারেখের ওপর পিকচারাইসড। ওইখানে রাহুল দেববর্মনের সুরের অন্য গান বা কিশোরকুমারের অন্য গান বা যেহেতু লিরিসিস্ট রাজেন্দ্র কিসান, তাঁর লেখা অন্য সিনেমার গান থাকতেই পারত। এতগুলো সহজ সম্ভাবনাকে ছেড়ে দিয়ে আরও এক সম্ভাবনাকে তার পরিবর্তে আনা হল। এতে রফি অনেক উঁচুদরের গায়ক বলে নতুন করে প্রমাণ হয় না, নতুন করে ওঁর খ্যাতিও বাড়ে না। আমরা দেখি, একটা অসামান্য ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে। যে কোনও উঁচুদরের শিল্পী এভাবেই, যেখানে সরাসরি তাঁর নামগন্ধ থাকার কথা না, তবু কোথাও একটা থেকে যান।
এই বছর কয়েক আগে ‘ফোটোগ্রাফ’ বলে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি আর সনয়া মালহোত্রার একটা সিনেমা এল, একটা সিচুয়েশনে নওয়াজ সানায়া মালহোত্রা-কে ট্যাক্সি-তে তুলে দিয়ে দাঁড়িয়েছেন, সনয়া পেছন ঘুরে সিটে বসে নওয়াজকে দেখছেন, ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে রাহুল দেববর্মনের সুরে রফির, ‘জানেমন , জানে যা তুমনে মুঝে দেখা’।
যে কোনও বড় সৃষ্টি, ভালো সৃষ্টি মানুষের জীবনে ওই লালমোহন গাঙ্গুলির বই-এর মতো, দুর্ধর্ষ দুশমন। এগুলোকে প্রশ্রয় দিলেই জীবন মন্থর হয়ে যায়, সনয়া মালহোত্রার মতো ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখতে ইচ্ছে করে! সমস্যা ওখানেই!
……………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………….