Robbar

Bangladesh

বাঙাল ভাষা রপ্ত না হলেও ‘দ্যাশের বাড়ি’র প্রতি জ্যোতি বসুর টান ছিল অতুলনীয়

ঢাকার বিপ্লবী মদনমোহন ভৌমিক জ্যোতি বসুদের বারদীর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। ডাক্তার বাড়ি বলে তেমন কেউ সন্দেহ করত না। তাই বিপ্লবীদের ভরসার আশ্রয়স্থল ছিল বসুদের বারদীর বাড়ি।

→

দুরন্ত ঘূর্ণির এই লেগেছে পাক

বাংলাদেশের সঙ্গে একদিনের ম্যাচে ৫০ ওভারই বল করলেন ক্যারিবিয়ান স্পিন বোলাররা! এই কাণ্ডকারখানা দেখে অবাক সারা পৃথিবী! এ যেন লেখালিখি ছেড়ে নিয়মিত র‍্যাম্পে হাঁটছেন সলমন রুশদি, যেন তবলা বাজানো ছেড়ে পায়রা পুষছেন জাকির হোসেন!

→

সমরেশ বসুর ‘দ্যাশের বাড়ি’ বেঁচে রয়েছে তাঁর সৃষ্টিতে, তাঁর গল্পে, উপন্যাসে

সমরেশ বসু ’৭২ সালে ঢাকা শহর ঘুরে গিয়ে পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে ‘মোক্তারদাদুর কেতুবধ’ নামে আত্মজীবনীমূলক একটি কিশোর উপন্যাস লেখেন। এই উপন্যাসে সমরেশের ঢাকার শৈশবজীবনের অনেকটাই ছবির মতো পাওয়া যায়।

→

বিলুপ্ত ওয়ালীউল্লাহ, ছদ্মনামের ওয়ালীউল্লাহ

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ অনেক বেশি সেল্ফ- ক্রিটিক্যাল নিজের এশীয় পরিচয়কে বিশ্বনাগরিকতার সাপেক্ষে বিচার করে দেখার ব্যাপারে। এবং, এই জন্য শিম রান্নার উৎকৃষ্ট পদ্ধতি জানার চেষ্টা নতুন ধরনের গদ্যভাষার অন্বেষণ মাত্র। আসল উদ্দেশ্য, নিজের বিশ্ববীক্ষার সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থিত করা।

→

পাসপোর্ট-ভিসা করে জন্মভূমিতে ফিরতে হবে, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা ছিল অপমানের

১০০ বছর পর ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের দিকে তাকালে দেখতে পাই তাঁর জীবনে বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত ও বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর ছায়া ছিল কায়ার মতো। কৈশোরে ভানুর উপাস্য– দীনেশদা (দীনেশ গুপ্ত), যাঁর সাইকেলে চড়ে ঢাকা শহর ঘুরে বেড়াতেন।

→

মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে: আমার মা সন্‌জীদা খাতুন

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মা ছেলেমেয়ে নিয়ে আগরতলা কলকাতা হয়ে শান্তিনিকেতনে। ঈদের সময় মায়ের কিপটের মতো শুধু জর্দা পোলাও রান্না। দু’-একজন বন্ধু আসে কি আসে না। ব্যস ওইটুকুই। স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পরে নানুর আশ্রয়ে কিছুদিন থেকে মা থিতু হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায়। প্রায় দুই দশক অন্য এক ঈদের স্বাদ।

→

সৃষ্টিশীল রবীন্দ্রনাথ শুধু নন, কর্মী রবীন্দ্রনাথকেও নির্মাণ করেছিল পূর্ববঙ্গের বাসস্থানগুলি

রবীন্দ্রনাথের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, সাজাদপুরের কাছারিবাড়ি এবং পতিসরের কাছারিবাড়ি এখন মিউজিয়াম হিসেবে সংরক্ষিত। এই সব বাড়ির পাশাপাশি তিনি কিছুটা সময় কাটিয়েছেন জলপথে, বোটে। তাঁর অতিপ্রিয় পদ্মাবোট তো ছিলই চঞ্চলা ও চপলা এই দু’টি ছোট নৌকোতেও তিনি যাতায়াত করেছেন। যার কিছুটা অংশ কুঠিবাড়িতে রাখা আছে।

→

ভূপেন হাজারিকা: আসাম ও বাংলার মধ‍্যেকার সাংগীতিক সেতু

আজকের আসামে যখন ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে উচ্ছেদের বুলডোজার চলেছে নির্বিচারে– তখন যদি ভূপেন যদি জন্মশতবর্ষে ফিরে এসে আবার গেয়ে ওঠেন, ‘মানুষ মানুষেরই জন্যে’ তবে কি তাঁকেও স্ট্যান স্বামী বা উমর খালিদের মতো দেশদ্রোহিতার অভিযোগে জেলে যেতে হবে?

→

‘বাংলাদেশি’ নাকি ‘ভারতীয়’, আতরেরও গন্ধবিচার!

যখন সম্পূর্ণ অপরিচিত কেউ কাউকে তীব্র ঘৃণার সহযোগে ‘বাংলাদেশি’ বলে তাহলে তার মানে দাঁড়ায়– সে এদেশের নাগরিক নয়। যাঁরা দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে করে এদেশে এসে কোনও মতে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে নিজেদের শ্রম, ঘাম, রক্ত দিয়ে দেশ গড়ে চলেছেন– এই কথায় তাঁদের খুব খারাপ লাগে। আমার জন্ম বাংলাদেশে না হলেও এই কথার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাই।

→

আমৃত্যু ময়মনসিংহের গ্রাম্য ভাষায় কথা বলেছেন উপেন্দ্রকিশোর

‘বাংলা শিশু সাহিত্য’ যাঁদের হাতে সৃষ্টি, তাঁদের সবাইকে এক ফ্রেমে এই বনাকীর্ণ জলাভূমির যাত্রাপথে দেখতে পাওয়া যায়। রায় পরিবারের সবার মধ্যে ভাষার যে আশ্চর্য সরলতা বা প্রসাদগুণ, তার শিকড় ময়মনসিংহের মসূয়ার মাটিতে পোঁতা রয়েছে।

→