আজকের আসামে যখন ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে উচ্ছেদের বুলডোজার চলেছে নির্বিচারে– তখন যদি ভূপেন যদি জন্মশতবর্ষে ফিরে এসে আবার গেয়ে ওঠেন, ‘মানুষ মানুষেরই জন্যে’ তবে কি তাঁকেও স্ট্যান স্বামী বা উমর খালিদের মতো দেশদ্রোহিতার অভিযোগে জেলে যেতে হবে?
যখন সম্পূর্ণ অপরিচিত কেউ কাউকে তীব্র ঘৃণার সহযোগে ‘বাংলাদেশি’ বলে তাহলে তার মানে দাঁড়ায়– সে এদেশের নাগরিক নয়। যাঁরা দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে করে এদেশে এসে কোনও মতে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে নিজেদের শ্রম, ঘাম, রক্ত দিয়ে দেশ গড়ে চলেছেন– এই কথায় তাঁদের খুব খারাপ লাগে। আমার জন্ম বাংলাদেশে না হলেও এই কথার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাই।
‘বাংলা শিশু সাহিত্য’ যাঁদের হাতে সৃষ্টি, তাঁদের সবাইকে এক ফ্রেমে এই বনাকীর্ণ জলাভূমির যাত্রাপথে দেখতে পাওয়া যায়। রায় পরিবারের সবার মধ্যে ভাষার যে আশ্চর্য সরলতা বা প্রসাদগুণ, তার শিকড় ময়মনসিংহের মসূয়ার মাটিতে পোঁতা রয়েছে।
তাঁর কবিতা স্বরগ্রাম সুকান্ত কিংবা নজরুলের হয়ে ওঠেনি এমনকী সমকাল-ঘনিষ্ঠ অগ্রজ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের দিকেও গড়ায়নি। কাদরীর কবিতা, অবস্থান, কাদরীর মতোই সর্বজনীন হয়েও ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক হয়েও প্রেমের, নাগরিক হয়েও চরচরব্যাপী, একান্ত বাঙালির আবার আন্তর্জাতিক।
হামাগুড়ি দিলেও বাঙালি সমাজে গোপাল কিন্তু নিতান্ত ‘শিশু’ নয়। এপার বাংলা আর ওপার বাংলা এক হয়ে গিয়েছে গোপালের কাছে। শহরে গোপাল তাঁর ঈশ্বরত্ব সরিয়ে রেখে ঘরের এক মানুষ হয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে।
ওপার বাংলায় তাঁর গান জাতীয় সংগীত থেকে বাদ দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। এপারে শোনা যাচ্ছে বাংলা ভাষা বলেই কিছু হয় না। রবীন্দ্রনাথ নিহত হচ্ছেন প্রতিদিন। প্রতিমুহূর্তে। উদযাপনের জন্যে আমরা কেবল বাইশে শ্রাবণ দিনটা পছন্দ করেছি।
আসলে বিষয়টা ভাষার নয়। ভাষা এখানে গহীন চিত্রনাট্যের প্রচ্ছদ মাত্র। এবং বড় অস্ত্রও। অমিত মালব্যরা খুব ভালো করেই জানেন, দেশজুড়ে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি বাঙালি ভাবাবেগ একজোট হতে চায়, তাহলে তাকে ভাষা দিয়েই কাটতে হবে। তাই ‘বাঙালি’ ও ‘বাংলাদেশি’ তত্ত্বের অবতারণা।
‘ভারত সরকার সম্প্রতি অবৈধভাবে শত শত বাঙালি মুসলিমকে বাংলাদেশে পুশইন করছে’– এমনটাই অভিযোগ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটির দাবি, এসব মানুষকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বলে চিহ্নিত করে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
নিজের মা তীর্থমণির নাম অনুসারে বাড়িটির নাম রাখেন 'তীর্থ নিবাস'। এই তীর্থ নিবাসে সেই সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল। হঠাৎ হঠাৎ বিপ্লবী পূর্ণচন্দ্র দাস তাঁর ‘শান্তিসেনা’ নিয়ে চলে আসতেন দুপুররাত্রে ঝিলটুলিতে, সকলের খাওয়ার রান্না একহাতে করতেন মৃণাল সেনের মা সরযূবালা সেন।
ব্রহ্মপুত্র তাঁর জন্মের চেনা নদী। ব্রহ্মপুত্রের স্রোত এখনও শীর্ষেন্দুর বুকের ভেতরে বয়ে চলে, বাঁক নেয়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved