Robbar

indian classical music

‘অন্নপূর্ণা’ না হলে, সমাজ কি রোশন-আরাকে দেবীত্বে গ্রহণ করতে পারত?

সংগীতকে অন্নপূর্ণা দেবী ভক্তির সাধনা মনে করতেন– বিনিময়মূল্য ধার্য হলে, ওঁর ‘সরস্বতীর’ মানে লাগত। কলকাতায় দাদার নির্মাণ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন, বম্বের এনসিপিএ-তেও পড়িয়েছেন কিছুকাল– হাতে গোনা শিষ্যকেই জায়গা দিয়েছেন ঘরে। যাঁদের সে জায়গা দিয়েছেন, তাঁদের কাছে পারিশ্রমিক নেননি।

→

জাকির হুসেনের ছায়া থেকে আমায় বের করে এনেছিলেন জাকির হুসেন

‘এই যে এখন বিক্রম অনেক বড় বড় কথা বলছে; আপনারা জানেন না, আমি কিন্তু একসময় ওকে বেবিসিট করিয়েছি!’ বলে, মঞ্চে বসেই আমার গালে চুমু খেয়ে নিলেন। আমাদের সম্পর্কটাই এমন। স্নেহের, ছেলেমানুষির। ঈশ্বরকে স্পর্শ করা যায় না। আমি জাকির হুসেনকে স্পর্শ করেছি। উনি আমার ঈশ্বর নন। পিতা, মাতা, গুরু কেউ নন– ‘হিরো’। ‘হিরো’দের কখনও মৃত্যু হয় না।

→

তাত্ত্বিক কাঠামোতেও ভারতীয় রাগসংগীতের মাধুর্যকে অক্ষুণ্ণ রেখেছিলেন বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে

ভাতখণ্ডেজির প্রবর্তিত স্বরলিপিতে উত্তর ভারতীয় স্বর-সপ্তক বাইশ শ্রুতির আধারে সাজিয়ে তোলা, যার মধ্যে বারোটি ‘শ্রুতি স্বর’ রাগ সৃষ্টির সময় ব্যবহৃত হয়। এক স্বরের সঙ্গে পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বরের দূরত্ব প্রায় অর্ধস্বর বা সেমিটোন। রাগের ক্ষেত্রে আবার কানাড়া, মল্লার, সারঙ্গ, বিলাবল, কল্যাণ, শ্রী ইত্যাদি নানা রাগাঙ্গ প্রচলিত। তাঁর ব্যাখ্যায় সংগীতের অন্তর্লীন মাধুর্য এবং নান্দনিকতার সঙ্গে সঙ্গে তার কাঠামোগত বিশেষ বৈশিষ্ট্যও অনুধাবন করা সহজসাধ্য হয়েছিল।

→

শ্রোতা নয়, বাঁশি বাজানোর আনন্দই আজও হরিপ্রসাদের শেষ আশ্রয়

পালোয়ানের পুত্র হিসেবে তাঁর হয়ে ওঠার কথা ছিল কুস্তিগির। কিন্তু মাত্র চার বছর বয়সে হঠাৎ মাতৃহারা হয় যে শিশু, তার ভেতরে গুঁড়ি মেরে বেড়ে ওঠে শূন্যতা। বাবার প্রখর নিয়মানুবর্তিতায় হাঁপিয়ে ওঠে সে, কিন্তু মুক্তি পায় সুরে। বাঁশিই হয়ে ওঠে তার আশ্রয়। পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার ৮৮-তম জন্মদিনে বিশেষ এই নিবন্ধ।

→

‘মৃত’ ঘোষণা চিকিৎসকের, কিন্তু অলৌকিক পুনর্জন্মে উস্তাদ আলি আকবর খান গেয়ে উঠেছিলেন গান

ফকির আফ্‌তাবউদ্দিন তখন মন্ত্র বলতে বলতে গুরুবাবার শরীরের চারপাশে ঘুরছেন। সাত-আট পাক ঘোরার পর গুরুবাবার বুকে পা রাখলেন। শোনা যায়, পা রাখার পরই তিনি উঠে বসে গান গাইতে শুরু করেন। মেঘ রাগ।

→

ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না

বিদ্বেষ বিষ বর্তমানে যতই সংখ্যাগরিষ্ঠ হোক না কেন, কেবলমাত্র গণতান্ত্রিকতার যুক্তিতেই বলা যায়, ভারত দেশ আর রাষ্ট্র এক নয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তা অন্যথা হয় না। মৌলবাদীর গলা দিয়ে গোটা দেশের সুর ধরা যায় না কখনও।

→

‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’ আর ভারতীয় রাগ সংগীতের ফিউশন সুখশ্রাব্য হলেও ইতিহাস-বিচ্যুত

আজকের সংগীতচর্চার ভেতরেও একপ্রকার সাংস্কৃতিক পণ্যায়ন চলছে, যা আরেক ধরনের ঔপনিবেশিকতা– নব্য উপনিবেশ বা কসমোপলিটানাইজড ঔপনিবেশিকতা। এখানেও গুরু-শিষ্য পরম্পরার গাম্ভীর্য, সুর ও রসের অনুশীলন এবং সাংগীতিক আত্মানুসন্ধানকে পেছনে ফেলে ‘পারফর্মেন্স’ ও ‘কমোডিফিকেশন’ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

→