Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার

আরবি ভাষায় ‘সুমুদ’ কথাটার অর্থ প্রতিরোধ। সেই সুমুদের ঢেউয়ে আছড়ে পড়ছে সুদান, কঙ্গো, কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন মুক্তি সংগ্রামের প্রতিরোধের স্রোত। সেই দিনবদলের জোয়ারেই জর্ডান নদী থেকে ভুমধ্যসাগর যেন গেয়ে উঠছে– ‘ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে, আলো ফুটছে প্রাণ জাগছে’।

→

মন্ত্রী চাইলে সব হয়

হেলিকপ্টার এবার উপরে উঠল। এবং পাহাড়ের চারপাশে ঘুরতে লাগল। এটা এমনি পাক খাওয়া নয়, প্রদক্ষিণ। সাতবার হেলিকপ্টারটা তুমুল শব্দে জঙ্গলেশ্বরীর থান প্রদক্ষিণ করল। মন্ত্রীর পুজো দেওয়া শেষ।

→

সত্যজিৎ রায়ের আঁকা তিনটি প্রচ্ছদ ঠাঁই পেলেও যে প্রদর্শনী বিস্মৃত!

‘পথের পাঁচালী’-রও আগে ১৯৪৯ সালের সেই প্রদর্শনী। পরে ‘গ্রাফিস’ পত্রিকায় ছাপা হয় সেই প্রদর্শনীতে জায়গা পাওয়া সত্যজিৎ রায়ের প্রচ্ছদগুলি। সত্যজিৎ তাঁর মাকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘গ্রাফিসে বেরোনোর চেয়ে আর বড় সম্মান commercial artist এর কিছু থাকতে পারেনা।’ এ লেখায় রইল সেই চিঠিও!

→

ভাঙা বিগ্রহ জানান দেয়, সৌন্দর্যের শত্রুরা আজও বর্তমান

সিকিমের পথের ধারে পাথরের ওপর খোদাই করা একটা বুদ্ধমূর্তি দেখেছিলাম একবার। শ‍্যাওলায় জীর্ণ, ফাটল ধরেছে গায়ে, কিন্তু সেই একরত্তি ফাটলের মধ‍্যে থেকেও মাথা তুলে ফুটে রয়েছে লাল টুকটুকে উদ্ধত একটি গোলাপ। ভাঙা বিগ্রহের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ওই ছিল প্রকৃতির জীবন্ত প্রতিবাদ।

→

জীবনানন্দ কি তবে ‘দেশ’ বলতে স্পেস বুঝিয়েছেন?

সময় জীবনানন্দের বাহুবন্ধনে অন্যরকম ভাবে ধরা দিল। এ রতিশয্যা বক্র-বাস্তবতার। কী আশ্চর্য প্রতিভায় যে জীবনানন্দ বুঝতে পারলেন, প্রচলিত সাহিত্যের ছাত্র হয়েও, গত শতাব্দীর ঠিক প্রথম দশকটিতেই গ্যালিলিও, নিউটন, যেমন কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস বা হোমার– পরিত্যক্ত হয়েছেন মহাকাব্যের সম্মানে।

→

পোকামাকড়ের থেকে আমরা কী কী শিখি?

প্রজাপতির ডানা থেকে শিখে নাও সোলার প্যানেলের নকশা; ব্যবহার করো বারুদগর্ভ ট্যাঙ্কারের ছাদে। পাহাড়ি বিটলের থেকে শিখে নাও কীভাবে সাজাতে হবে করাতের শ্বদন্ত; যাতে আরও সুনিপুণ দক্ষতায় কাটা যায় গাছ। টাইগার মথের থেকে শিখে নাও কীভাবে এড়ানো যাবে সাউন্ড নেভিগেশন; গোপনে চালনা করো যুদ্ধবিমান। এ শিক্ষার পাপ বয়ে চলে যেতে হবে।

→

উৎপল দত্ত মঞ্চে যা করতে পারে আমার পক্ষে সিনেমাতেও করা সম্ভব নয়, বলেছিলেন সত্যজিৎ

উৎপল দত্তকে নিয়ে তথ্যচিত্র, কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার অর্থসাহায্য করল না! বিস্মিত হয়েছিলাম। কিন্তু বিস্মিত হননি উৎপল দত্ত। উৎপলদা বললেন, ‘ওরা করবে না। ট্রটস্কি আর চারু মজুমদারকে এখনও ভুলতে পারেনি।’ তখন বুঝিনি। ছবিটা করতে গিয়ে পরিষ্কার হল।

→

ফিরোজ গান্ধীর কল্যাণেই সংসদের ‘মন কি বাত’ জানছে আজকের আমজনতা

আইনসভার বিবরণী ছাপার ব্যাপারে মানহানির অভিযোগ থেকে সংবাদমাধ্যমকে সুরক্ষিত রাখাটা কতটা জরুরি, তা ফিরোজ গান্ধী অনুভব করেছিলেন।

→

হাতে আঁকার কদর নেই, চালচিত্রের সুলভ ডিজিটাল প্রিন্টই রেবা পালের বিষণ্ণতার কারণ

কলকাতার জাঁকজমক থেকে দূরে থাকা, প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই চালচিত্র শিল্পী রেবা পাল। ৬০ বছর ধরে জড়িয়ে এই পেশায়। কিন্তু এই বছরের শরৎকালে কাশফুলের পাশে ফুটে উঠেছে তাঁর অপরিমেয় বিষণ্ণতা। কারণ হাতে আঁকা চালচিত্রর আজ কদর নেই। ডিজিটাল যুগ এসে, হাতে আঁকা শিল্পের কদর কমায়নি শুধু, অর্থপ্রাপ্তিরও পথগুলোও শীতের কুয়াশায় মিলিয়ে গিয়েছে।

→

সাতের দশকের কলকাতার ‘মিশ্র’ দৃশ্য অনুভূতি

যে যুগে বাংলা ভাষা নিজেকে প্রকাশ করতে ভয় পায়নি, এ বই সে যুগের। যে যুগে রীতির বিপরীতে বাংলা সাহিত্য দুর্দান্ত স্পর্ধায় নিজেকে কেটেছে-ছিড়েছে, শার্টের বোতাম খুলে উন্মুক্ত বুকে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে মাঝরাতে টহল দিয়েছে রাস্তায়, বিনা তোয়াক্কায়, এ বই সে যুগের।

→