Robbar

Sangbad Pratidin Robbar

অসহায় এক নারী ও চূড়ান্ত শক্তিশালী এক দেবীর মাঝখানে হারিয়ে যায় ফুলন নামে এক মানুষী

তিনি কি সুকৌশলে ‘দেবী’ হয়েই প্রদর্শিত হতে চেয়েছিলেন? এই ভাবনা মাথায় এলেই মালা সেনের বইয়ের ধারালো ফুলনের কথা কানে ভাসে, ‘আঠারো বছর বয়সেও আমাকে দেখতে বাচ্চাদের মতোই লাগত। ফলে আমি জানতাম পুলিশ আমার দিকে তাকিয়েও দেখবে না। অবশ্যই এর সুবিধা আমি নিয়েছি।’

→

‘কেচ্ছা’ থেকে বাঁচতে নিজেকে দেবীত্বের খোলস পরিয়েছিলেন সুপ্রিয়া?

তাঁর গ্ল্যামারাস ব্যক্তিত্ব, ভারী গলার স্বর, অত্যাশ্চর্য মেকআপ, বুফোঁ চুল, স্লিভলেস ব্লাউজ ছিল অতুলনীয়। এমনকী, ‘সূচিত্রা’র সঙ্গেও তুলনা চলে না– বলা যায়, সুচিত্রা সেন ছিলেন বাঙালি ভদ্রলোকের ফ্যান্টাসি, আদর্শিক নারী; কিন্তু সুপ্রিয়া দেবী ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, আগুনের শিখার মতো।

→

দুর্গা নিয়ে সমাজের চিন্তাধারা ঠিক কী, পর্যবেক্ষণ করতেই ছবিটা বানিয়েছিলাম

ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে টাইগার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী প্রথম ভারতীয় ফিল্মমেকার, সনল কুমার শশীধরন; তাঁর‘সেক্সি দুর্গা’ সিনেমাটির জন্য। রইল তাঁর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার।

→

সভায়-সাক্ষাৎকারে শকুন্তলা দেবী বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি কোনও ম্যাজিক করেন না

নিজেকে জাহির করতে হয়েছে তাঁকে দেশ-বিদেশের প্রদর্শনীতে, প্রমাণ দিতে হয়েছে দ্রুত গণন ক্ষমতার। কিন্তু উচ্চতর গণিতের ওপর ভর করে কোনও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পেয়ে তিনি এগোতে পারেননি। ভারতের তৎকালীন গণিতজ্ঞদের ধারাবাহিক গবেষণার পথের থেকে শকুন্তলার অভিজ্ঞতা অনেকটাই আলাদা।

→

দুর্গাপুজোর জন্য অনশনে বসেছিলেন রাজবন্দিরা!

প্রেসিডেন্সি জেলে সুভাষচন্দ্রই প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন অনেকেই জানেন। কিন্তু তারও ১৫ বছর আগে বার্মার জেলে থাকার সময়ও তিনি যে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, তা নিয়ে খুব বেশি কিছু চর্চা হয়নি।

→

সেযুগে নারীবাদী চলচ্চিত্র-চিন্তার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন অরুন্ধতী দেবী

বাংলার বহু ‘দেবী’-র মতো অরুন্ধতীও তাঁর শিল্প এবং সৃষ্টির মাধ্যমে সংস্কৃতির ইতিহাসে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। ফলে, সেইসব নারীদের গুণ এবং দক্ষতার মাপকাঠি এই ধরাধামেই উপস্থিত; তাঁরা দেবদত্তা নন। বরং, অনেক ক্ষেত্রেই সমাজের নিয়ম ভাঙার মানবিক সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাঁদের মাথা উঁচু করে বাঁচার পথ খুঁজতে হয়। তাই, পদবির ইতিহাসে খানিক আলগা সম্মান প্রদান করে এই দেবী সম্ভাষণ, অর্জিত স্বাতন্ত্র্য থেকে সরিয়ে নারীকে এক আরোপিত সামাজিক লিঙ্গ ভূমিকার দিকেই ঠেলে দেয়।

→

‘অন্নপূর্ণা’ না হলে, সমাজ কি রোশন-আরাকে দেবীত্বে গ্রহণ করতে পারত?

সংগীতকে অন্নপূর্ণা দেবী ভক্তির সাধনা মনে করতেন– বিনিময়মূল্য ধার্য হলে, ওঁর ‘সরস্বতীর’ মানে লাগত। কলকাতায় দাদার নির্মাণ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন, বম্বের এনসিপিএ-তেও পড়িয়েছেন কিছুকাল– হাতে গোনা শিষ্যকেই জায়গা দিয়েছেন ঘরে। যাঁদের সে জায়গা দিয়েছেন, তাঁদের কাছে পারিশ্রমিক নেননি।

→

‘মেয়ে’ না হলে হয়তো বিস্মৃত হতেন না হাসিরাশি দেবী

সুনয়নী দেবী, সুখলতা রাও, সীতা দেবী, শান্তা দেবীর মতো অনেকে কলমের সঙ্গে তুলিও তুলে নিচ্ছেন হাতে– যেন এভাবেই তাঁরা খুঁজতে চাইছিলেন আত্মপ্রকাশের ভাষা। শুধু নিজেদের নয়, সমকালীন সব মেয়েদের– যাতে তারা চিনে নিতে পারে নিজেদের বিকল্প পৃথিবীটাকে। হাসিরাশিও ছিলেন এঁদের মতোই প্রতিভাশালী, কিন্তু এ ব্যতীত তাঁর ছিল ভাগ্যের সঙ্গে অসম লড়াইয়ে হার না মানার মতো এক আত্মপ্রত্যয়ী নির্দ্বিধ মন।

→

দুধ পুড়ে যাওয়ার কুসংস্কারই পারে দুধের মতো অমূল্য শিশুখাদ‍্যের অপচয় থামাতে

যে পৃথিবীতে এখনও অনেক মানুষ থাকে অভুক্ত, অনেক শিশু অপুষ্টিতে ঢলে পড়ে মৃত‍্যুর চৌকাঠে, সেখানে কুসংস্কারও যদি দেবতার ভয়াল মূর্তির মতো এসে দাঁড়ায়, চোখ রাঙায় অপচয়ের কুঅভ‍্যাসের বিপরীতে, তবে তাকে স্বাগত।

→

ঠাকুরবাড়ির নারীচেতনায় নিহিত দেবীত্বের ‘ফাঁদ’ এড়িয়ে গেছেন সরলা দেবী

সরলার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক অবস্থান ঠাকুরবাড়ির পরিচিত নারীত্বের খোপের অনেকটা বাইরে দিয়ে চলেছে। পরিবারনির্দিষ্ট গণ্ডির ভিতরে নিজের রাজনৈতিক বোধকে বেঁধে রাখেননি বলেই নয়। পরিবারে প্রথম একা একা চাকরি নিয়ে মহীশূরে পড়াতে চলে গেছেন। রাজনৈতিক কার্যকলাপে নেপথ্যচারিণী ‘অনুপ্রেরণা’ হিসেবে নয়, সরাসরি নেত্রী হিসেবে লোকসমক্ষে এসে দাঁড়িয়েছেন বারবার।

→