আজকের পুঁজিতান্ত্রিক রাশিয়ার সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের কোনও কোনও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস চলছে তাকে সমাজতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়াস বলে চালানো ঠিক হবে না। সমাজতন্ত্র থেকে পাঠ নিতে তার কোনও কোনও সুকৃতিকে কাজে লাগিয়ে গরিবগুর্বোদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তথাকথিত ‘জনকল্যাণ মূলক’ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের ভিত শক্ত করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
একটা কথা কোনও দিন মানিকদা জিজ্ঞেস করা হয়নি। লেখা, আঁকা, টাইপ করার সময় কখনও কখনও হাঁটু দুটোর দিকে ওই ভাবে তাকিয়ে থাকেন কেন? মানিকদা, আপনার এত বড় লেখার ঘর, ভাবনার ঘর, বসার ঘর, আঁকার ঘর, আড্ডার ঘর, সমস্ত ঘর জুড়ে লেখাপড়া আর সৃষ্টির চিহ্ন, সরঞ্জাম। কিন্তু লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
আকাশে তারা অনেক– শশীচন্দ্র তেমনই একটি তারা, যাঁর আলো হয়তো নীল আকাশে চোখে পড়ে না, কিন্তু ইতিহাসের অন্ধকার গুহায় পথ দেখায়। তাই নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির অ্যালেক্স টিকেল বিদেশি হয়েও যেভাবে শশীচন্দ্রের রচনা সংকলন করেছেন, আমরা তা পারিনি, চেষ্টাও করা হয়নি। শশীচন্দ্র দত্তের জন্মদ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রতিবেদন।
তবু বারবার মনে হয় ব্যক্তি ছাপিয়ে দল। একা নয়, সমগ্র। কারণ ওই ৫৫ মিনিটের নির্মাণ ছিল এই সিরিজের আগের ২৪ দিনের খেলায়। আর কে না জানে, থিয়েটারে ভালো ‘শো’-এর থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ‘রিহার্সাল’। প্রতিটা রিহার্সাল আসলে একটা শো।
নিষেধের বেড়াজাল মেনেও কীভাবে একটা সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়– পদার্থবিজ্ঞান, জীববিদ্যা বা অর্থনীতির পাঠ– সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এই ধরনের গাণিতিক সমস্যা। বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো গাণিতিকভাবে আরও জটিল, কন্সট্রেইন্ট বা নিষেধাজ্ঞাও নানাবিধ। কিন্তু তার একটা ছোট মডেল হিসেবে সুদোকুর তুলনা নেই।
বৃষ্টি-বাদলার জল-কাদায় ছপর-ছপর করা এমনিই বিশেষ প্রিয়। তার ওপর পুরাতন শুঁড়িখানা নামক মায়াকুম্ভ তল্লাশির অর্থ, মুকুলের সোনার কেল্লা সন্ধান!
ফুলন দেবীর গল্প আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসি অ্যান্টি-কাস্ট প্রতিবাদের এক রূপ হিসেবে। নারীবাদী মহলেও চম্বলের দস্যুরানি প্রায় এক পৌরাণিক স্থান অর্জন করেছেন। ২০০১ সালে গুপ্তহত্যার পরেও তাঁর প্রভাব কমেনি। কিন্তু এই প্রতিবাদ, হিংস্রতা ও ক্ষমতার উপস্থাপনার পেছনে রয়েছে খুবই জটিল এক সমীকরণ– জমি।
ভাতখণ্ডেজির প্রবর্তিত স্বরলিপিতে উত্তর ভারতীয় স্বর-সপ্তক বাইশ শ্রুতির আধারে সাজিয়ে তোলা, যার মধ্যে বারোটি ‘শ্রুতি স্বর’ রাগ সৃষ্টির সময় ব্যবহৃত হয়। এক স্বরের সঙ্গে পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বরের দূরত্ব প্রায় অর্ধস্বর বা সেমিটোন। রাগের ক্ষেত্রে আবার কানাড়া, মল্লার, সারঙ্গ, বিলাবল, কল্যাণ, শ্রী ইত্যাদি নানা রাগাঙ্গ প্রচলিত। তাঁর ব্যাখ্যায় সংগীতের অন্তর্লীন মাধুর্য এবং নান্দনিকতার সঙ্গে সঙ্গে তার কাঠামোগত বিশেষ বৈশিষ্ট্যও অনুধাবন করা সহজসাধ্য হয়েছিল।
এস এম সুলতান বলতেন, ‘আমার চিত্রকর্মের বিষয়বস্তু শক্তির প্রতীক নিয়ে। পেশি সংগ্রামের জন্য ব্যবহার হচ্ছে, মাটির সাথে সংগ্রামে। সেই বাহুর শক্তি হালকে মাটিতে প্রবাহিত করে এবং ফসল ফলায়। শ্রমই ভিত্তি, এবং আমাদের কৃষকদের সেই শ্রমের কারণে এই ভূমি হাজার হাজার বছর ধরে টিকে আছে।’
উকিল মশাই বলছেন ‘ধর্মাবতার, ফুল যদি তার রঙিন পাপড়ি মেলে ডাকে, বলে আয় আয়– ভ্রমর, প্রজাপতি সে দিকেই যায়। অগ্নি যখন জ্বলে, তার শিখাটি ছড়ায়, বাতাস ধাবিত হয়ে সেদিকেই যায়। সমুদ্র নিচে থাকে স্যর, নদীকে ডাকে আয়, নদী ওদিকেই ধায়। আমার মক্কেল নির্দোষ স্যর।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved