সৃজনশীল কাজ, যেমন চিত্রকলা এবং ভাস্কর্য ইত্যাদিতে নিম্নমানের কাজ বা অদক্ষতার কারণে বর্জ্য উৎপাদন অনেকাংশে বাড়তে পারে। এটি শুধু শিল্পীদের অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে না, বরং উপকরণের অপচয়, পরিকল্পনার অভাব এবং বাজারের চাপের ফলে ঘটে।
ছবির ইতিহাস ফিরিয়ে আনা, সেই রেস্টোরেশন বা পুনরুদ্ধার কীভাবে হয়? এদেশে এখনও সে কাজের পরিসর রয়েছে?
নাসার এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী সমুদ্রের রং পরিবর্তন হচ্ছে অতি দ্রুত। পরিবর্তন হচ্ছে বলতে গেলে, গত দু’-দশকে উপগ্রহ থেকে দেখা গেছে সমুদ্রপৃষ্ঠের রং নীল থেকে ধাপে ধাপে সবুজের দিকে সরে যাচ্ছে। নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণায় বলা হচ্ছে যে গত কুড়ি বছরে সমুদ্রের সবুজ রঙের আভা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ক্লোরোফিল এবং ফাইটোপ্লাংটন সম্প্রসারণ বা তাদের গঠনের পরিবর্তনের নির্দেশ দিচ্ছে।
কয়েকটা রঙিন কাচের টুকরো আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে তৈরি করছে অসংখ্য অপ্রত্যাশিত প্যাটার্ন। সুখ, দুঃখ, সাফল্য, ব্যর্থতা, সম্পর্ক এবং অভিজ্ঞতা। জীবনের ক্যালাইডোস্কোপের উপাদান। প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন আকার, নতুন সম্ভাবনা। একটু ঘুরিয়ে দিলেই বদলে যায় নকশা, জীবনকে একঘেয়ে হতে দেয় না।
ঈশপের গ্রিক সরল উপকথা হোক বা ভারতের জটিল কাহিনির পঞ্চতন্ত্র– শিয়াল বারবার ফিরে আসে। কখনও চাতুর্যের মুখোশ পরে, কখনও রাজনীতির মঞ্চে উপদেষ্টার আসনে বসে। দুটোতেই শিয়াল আমাদের শেখায় এক চিরন্তন সত্য: শক্তি সবসময় জিততে পারে না, বুদ্ধিই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে।
ঘুটঘুট্টি অন্ধকারে নিজের হাতে ধরা টর্চের মতো আলো যখন মঞ্চে কুশীলবরা নিজেরই মুখে ফেলে নাটক করে, তখন তাদের আমি আলেয়ার দল ভাবি। রাতের মাঠে হঠাৎ দেখা দেওয়া নীলচে আলো মানুষকে এখনও থমকে দেয়, শিহরিত করে।
১৭৫২ সালের এক ঝোড়ো বিকেল। ফিলাডেলফিয়ার আকাশে ঘন কালো মেঘ। ফ্র্যাঙ্কলিনের ঘুড়ি আকাশে উঠতেই বজ্র মেঘে ঘুড়ির লেজে বাঁধা ধাতুর চাবি হঠাৎ ঝলসে উঠল। উল্লাসে চেঁচিয়ে ওঠেন ফ্র্যাঙ্কলিন। সেদিন থেকে বিদ্যুৎ আর রহস্য নয়, বিজ্ঞানের হাতের শক্তি হয়ে উঠল।
কলা হয়ে উঠল সামাজিক মাধ্যমের নায়ক, শিল্পজগতে এক ঝড়। হাসির মাঝে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল, শিল্প আসলে কী? এই কলা তো একদিন পচে যাবে, তবু কেন এটি ১২০,০০০ ডলারে বিক্রি হল? কেন আরেকটি সংস্করণ গেল ১৫০,০০০ ডলারে?
ভারতীয় সমকালীন শিল্পের ইতিহাসে তায়েব মেহতা এক অনন্য নাম। তাঁর চিত্রকলায় এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব লক্ষ করা যায়– সহিংসতা ও লালন-পালনের সহাবস্থান। তাঁর কালী এবং মহিষাসুর-মর্দিনী সিরিজে আমরা দেখতে পাই সেই রূপ।
যেহেতু আমি লেখক নই, তাই এটা মূলত লেখা-চর্চা। অক্ষর, শব্দ, বাক্য, ব্যাপারটা তো সবার মনের মধ্যে আছেই। অগোছালো, অসংগঠিতভাবে আছে। সব মাধ্যমেই স্রষ্টা এবং গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগের কিছু শর্তাবলি থাকে। সেটুকু জানার, বোঝার একটা মস্ত সুযোগ হল এখানে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved