বাবা উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেব খুব প্রাণের বন্ধু ছিলেন আমার দাদু সংগীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর। দাদুকে লেখা ওঁর চিঠির মধ্যে এক অদ্ভুত মায়া দেখেছি, সেই মায়ার জারণ ঘটেছিল তাঁর সংগীতেও। অন্নপূর্ণা দেবীকে বলতে শুনেছি যে, ‘বাবা বলতেন মন দিয়ে শেখো মা, এই সংগীত আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট সারিয়ে তোলে।’ অন্নপূর্ণা দেবীও হয়তো আমৃত্যু সেই কথাই পাথেয় করে চলেছেন।
মাইহার রাজপ্রাসাদের বারান্দায় এলিয়ে পড়ে আছে জ্যোৎস্না। একটা মিষ্টি অথচ বলিষ্ঠ, মেজাজি এবং সুরেলা হাতে সেতারে বাজছে মালকোষ, বুঁদ হয়ে শুনছেন মাইহার-রাজ ব্রিজনাথ সিং। কখনও কোমল গান্ধার, কখনও কোমল ধৈবত, আবার কখনও কোমল নিষাদের আন্দোলন মধ্যমকে ছুঁয়ে এসে ন্যাস করছে যেন ষড়জের পায়ে। আজ ব্রিজনাথ সিং তালিম না নিয়ে শুনতে বসেছেন গুরুকন্যার সেতার। তাঁর বিশ্বাস হতে চাইছে না এই বাজনা শুনতে শুনতে যে, এই তো সেদিন চৈত্র পূর্ণিমার রাত্রে এই কিশোরীরই জন্মের পর তাকে ও মদিনা বেগমকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সস্নেহে মেয়েটির নাম দিয়েছিলেন দেবী অন্নপূর্ণার নামে।
বাবা উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের কনিষ্ঠ সন্তান রৌশনারা, তবে তাঁকে ডাকে সবাই ‘অন্নপূর্ণা’ বলেই। আজ তানপুরায় তাঁর সঙ্গে বসেছেন একাধারে তাঁর বাবা এবং গুরু আলাউদ্দিন। কিশোরী মেয়েটির সংগীতের প্রতি নিষ্ঠা, মগ্নতা ও তাঁর প্রতিভা দেখে যতটা আশ্চর্য, ততটাই উৎফুল্ল হয়ে উঠেছেন মাইহার-রাজ। আজ তিনি ওঁকে প্রাণভরে আশীর্বাদ তো করবেনই, দস্তুরমতো নজরানায়ও ভরিয়ে দেবেন।
সেই জ্যোৎস্না-স্নাত মালকোষ-সন্ধ্যার কিশোরীটিকে ভারতীয় মার্গ সংগীতের ইতিহাস চর্যার আধুনিক পর্যায়ের এক বিস্ময় বললে অত্যুক্তি করা হয় না। ‘অন্নপূর্ণা দেবী’ নামে খ্যাত এই বিদুষী সুরবাহার-বাদিকাকে ছোটবেলা থেকেই জেনেছিলাম অন্তর্মুখী সাধিকা হিসেবে। বাবার মুখে ছোটবেলায় শুনতাম তিনি আসরে বাজান না এবং শুধুমাত্র যোগ্য আধার পেলে তবেই শেখান। কিন্তু কেন বাজান না– এই প্রশ্নের উত্তর তখন বোঝার বা জানার ক্ষমতা ছিল না। আজ যখন তাঁর গোটা জীবনের পর্যায়ক্রমের দিকে তাকাই, সেই উত্তর কিছুটা স্পষ্ট হলেও কিছুটা এই অসামান্য প্রতিভাময়ী শিল্পীর মতোই আড়ালে থেকে যায়। আর যেটুকু স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তার মধ্যে দেখতে পাই একটি আটপৌরে বাঙালি ঘরে বেড়ে ওঠা অন্তর্মুখী, আদর্শবাদী ও একরোখা মেয়ের আজীবন তাঁর বাবা তথা গুরুর দেখানো পথে হেঁটে যাওয়ার ঝাপসা চলচ্ছবি।
সাদিরা, জাহানারা ও রৌশনারা– এই তিন কন্যার প্রথমটিকে শিশুকালেই হারান বাবা আলাউদ্দিন। জাহানারাকে বড় যত্ন করে গান শিখিয়েছিলেন তিনি কিন্তু কিশোরী বয়সে ঢাকার রক্ষণশীল পরিবারে তার বিয়ে দেওয়ার পর, সে যখন ফিরে এল তখন তাকে দেখে মনে হল যেন এক ভয়ংকর কালবৈশাখীর মধ্যে পড়ে ছিল সে এত মাস। তার ভজন গাওয়া শুনে তাকে ‘কাফের’ বলে অন্ধকার বন্ধ ঘরে আটকে রাখা হত দিনের পর দিন। সৎ শাশুড়ি তার তানপুরা চুলায় ফেলে জ্বালিয়ে দিলেন, জোর করে গোমাংস খাওয়ানো হল, ওঝা ডেকে ঝাড়-ফুঁক করার কথাও উঠল। তারপর কোনওক্রমে বাপের বাড়িতে মাইহারে এসেও জাহানারার শরীর-মন সেরে উঠল না। সে ঝড় তাকে ক্ষইয়ে দিয়ে গিয়েছে এত যে, সে সেই যে অলক্ষুণে জ্বরে পড়ল আর উঠল না! মেয়ের এমন দুর্দশা যে সংগীতের কারণে হতে পারে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি বাবা। যে সংগীতের সাধনা ঈশ্বরের আরাধনারই শামিল বলে তিনি মেনে এসেছেন, তা শেষে তাঁর সন্তানের প্রাণ নিল– এ তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
পুরনো ক্ষতের মুখে প্রলেপ পড়ল সেইদিন। অন্নপূর্ণাকে মা সরস্বতীর সামনে দাঁড় করিয়ে হাতে সেতার তুলে দিলেন বাবা আলাউদ্দিন আর শুরু হল তার নিবিড় অনুশীলনের যাত্রা। অন্নপূর্ণাকে উৎকৃষ্ট আধার মানতেন তিনি। তার অধ্যবসায়, প্রতিভা, পরিশ্রম ও অবিমিশ্র সাধনার মনটিকে চিনে তিনি পরবর্তীতে তার হাতে তুলে দিলেন তুলনামূলকভাবে অধিক কঠিনতর যন্ত্র সুরবাহার।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
অন্নপূর্ণার বয়স তখন বছর ১২। সে যে খুব কিছু বুঝল, তা নয় কিন্তু বাবার আর তাকে শেখানোর কোনও স্পৃহা রইল না বরং কিছুটা অপরাধবোধ আর ভয় তাঁকে সরিয়ে নিয়ে গেল। এদিকে দাদা আলি আকবর সরোদ নিয়ে শিখতে বসে বাবার কাছে নিয়মিত কিন্তু কিশোরসুলভ অস্থিরতায় ভুল করে বারবার আর বকা খায়। অন্নপূর্ণা উৎকর্ণ হয়ে শোনেন আর মনে মনে শেখেন অজান্তেই। দাদাকে বকাঝকা করে, রেওয়াজ করতে দিয়ে একদিন বাবা বেরিয়ে গেলেন বাজারে। এদিকে খেলতে খেলতে অন্নপূর্ণার কানে আসে রেওয়াজ করতে করতে বাবার দেখানো কাজটি যেন একটু ভুল করে ফেলছে দাদা। সে গিয়ে দাদাকে থামিয়ে গেয়ে গেয়ে দেখিয়ে দেয় বারবার– অলক্ষ্যে দরজার কাছ থেকে তখন শুনছিলেন বাবা আলাউদ্দিন।
পুরনো ক্ষতের মুখে প্রলেপ পড়ল সেইদিন। অন্নপূর্ণাকে মা সরস্বতীর সামনে দাঁড় করিয়ে হাতে সেতার তুলে দিলেন বাবা আলাউদ্দিন আর শুরু হল তার নিবিড় অনুশীলনের যাত্রা। অন্নপূর্ণাকে উৎকৃষ্ট আধার মানতেন তিনি। তার অধ্যবসায়, প্রতিভা, পরিশ্রম ও অবিমিশ্র সাধনার মনটিকে চিনে তিনি পরবর্তীতে তার হাতে তুলে দিলেন তুলনামূলকভাবে অধিক কঠিনতর যন্ত্র সুরবাহার। মাইহার-সেনিয়া ঘরানার বৈশিষ্ট্য ধ্রুপদ অঙ্গের বাজ, বিশেষত মন্দ্র সপ্তক থেকে শুরু করে দীর্ঘ আলাপ সুরবাহারে খোলে বেশি তবে একে রপ্ত করা কঠিন কাজ। মেয়েকে বলেছিলেন ‘মা, তোমার খ্যাতির লোভ যখন নেই আমি আমার গুরুর গূঢ় বিদ্যা তোমাকে দেব। এই যন্ত্রে তুমি বাজালে হয়ত সাধারণ শ্রোতা তোমার দিকে টমেটো ছুড়ে মারবে কিন্তু গুণীজন তোমায় ধন্য ধন্য করবে। এখন তুমি কী চাও বল।’ অন্নপূর্ণা নতমস্তকে বললেন, ‘বাবা, আপনি যা বলবেন তাই।’ সংগীত বোদ্ধাদের মতে, বাবা আলাউদ্দিনের সুরশৃঙ্গারের যে বাজ, যে রাগদারী, বাজনার যে মেজাজ ছিল, তার ৭০ শতাংশ যদি উস্তাদ আলি আকবর খাঁ সাহেবের মধ্যে এবং ৫০ শতাংশ পণ্ডিত রবিশঙ্করের বাজনার মধ্যে পাওয়া যায়, তাহলে ৮০ শতাংশ ধরে রাখতে পেরেছিলেন অন্নপূর্ণা দেবী। তার একমাত্র কারণ যুগ এবং যুগের হাওয়া বদলালেও তিনি তাঁর বাজনাকে গুরুর শিক্ষার প্রতি একনিষ্ঠ রেখে তার থেকে এক চুলও সরে আসেননি। নিজের খ্যাতি বা সমৃদ্ধির চেয়েও এগিয়ে রেখেছিলেন তিনি তাঁর এই ধারক-বাহকের ভূমিকাকে।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে তাঁকে যত বেশি করে শোনা দরকার ছিল, তার সুযোগ আমরা যারা সংগীতের চিরশিক্ষার্থী তারা পাইনি। পাঁচের দশকে ওঁর যে কিংবদন্তি পরিবেশনগুলির কথা শুনেছি আমরা, তার মাত্র কয়েকটিরই রেকর্ডিং পাই, যেগুলির অবস্থাও খুবই খারাপ। তবে যার বোঝার সে তার থেকেই বুঝে নিতে পারবে, কী অসম্ভব দক্ষতা ও সুরের ঐশ্বর্য তিনি ধারণ করেছিলেন।
বাবা আলাউদ্দিন যোগ্য হাতেই তুলে দিয়েছিলেন সুরবাহার। সুরবাহার কিন্তু এমন যন্ত্র নয়, যাতে চারটে ধুন বাজিয়ে মানুষের বাহবা কুড়ানো যায়। যন্ত্রের প্রকৃতি যা তাকে সঠিকভাবে শিক্ষা করতে গেলে তাকে বাজিয়ে পরিবেশন করতে গেলে সেই প্রকৃতিকে অনেকটা ধারণও করতে হয়। যা অন্নপূর্ণা আমৃত্যু করেছেন। মন্দ্র, অন্তর্মুখী, প্রতিটি সুরের নির্যাসকে চুঁইয়ে বের করিয়ে আনার মতো ধ্যান ও দক্ষতা প্রয়োজন, হালকা মেজাজে তাকে ধরা যায় না।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
আরও পড়ুন: ‘মাকু’, ‘হলদে পাখির পালক’-এর চিত্রস্বত্ব পেতে লীলা মজুমদারকে চিঠি লিখেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
১৪ বছর বয়সে যে যুবকটির সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেন বাবা আলাউদ্দিন, তিনি তাঁর প্রতিভা ও শৈল্পিক দক্ষতার গুণে বিশ্ববন্দিত। পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে অন্নপূর্ণার সংগীতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ও সংগীতের ভবিষ্যৎ বিষয়ে মতের অমিল ছিল অনেক। অন্নপূর্ণা কোনও দিনই জনসমক্ষে বাজাতে বিশেষ চাইতেন না। তবু একসঙ্গে যখনই যুগলবন্দিতে বসেছেন– দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে হোক বা ঝংকারে বা মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজে সাবার্বান মিউজিক সার্কেলের অনুষ্ঠানে– প্রত্যেকবারই এই প্রভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে– দু’জনের কাছে তো বটেই, সংগীতবোদ্ধাদের কাছেও। কোথাও বাজিয়েছেন শ্রী, কোথাও ইমন-কল্যাণ, মাঝ খামাজ। মূলগত এই অমিল ও যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকা সংগীতজগতের যাত্রাপথ আরও যেন দূর থেকে দূরতম দ্বীপের মতো করে দিয়েছিল দু’টি মানুষ তথা শিল্পীকে।
পুত্র শুভশঙ্করের সেতার বাজনাকে পাশে সরিয়ে রেখে তদানীন্তন বম্বের জে জে কলেজ অফ আর্টস-এ ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্তকেও তিনি তাই মেনে নিতে পারেননি। তিনি জানতেন, শুভ কতটা প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময়। একদিকে মা, একদিকে বাবা, একদিকে তাঁর নিজের মন– এই টানাপোড়েনে এক শিশি ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শুভ। অন্নপূর্ণা এই ঘটনার পরে সব ছেড়ে দিয়েছিলেন ঈশ্বরের হাতে। শুভেন্দ্রশঙ্কর বাবার কাছে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার পর অন্নপূর্ণা আরও বেশি অন্তর্মুখী হয়ে পড়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি আজীবন শিখিয়ে গিয়েছেন যোগ্য আধার পেলেই। পণ্ডিত নিখিল ব্যানার্জি, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, উস্তাদ বাহাদুর খান, উস্তাদ আশীষ খান, উস্তাদ ধ্যানেশ খান, পণ্ডিত বসন্ত কাবরা, পণ্ডিত নিত্যানন্দ হলদিপুর তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম।
তাঁর শিষ্যদের মধ্যেই ছিলেন রুশিকুমার পান্ডিয়া– যাঁকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন অন্নপূর্ণা, শুভ বিদেশ চলে যাওয়ারও বেশ কিছু বছর বাদে। প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদ এবং আনুষঙ্গিক বিভিন্ন ঘটনার বহমানতায় তারপর বহু সময় লেগেছিল নতুন করে নিজেকে নিয়ে কিছু ভাবতে।
শেষ জীবনে রুশির মৃত্যুর পর পণ্ডিত নিত্যানন্দ হলদিপুরই তাঁর দেখাশোনা করেছেন একেবারে নিজের সন্তানের মতো।
সংগীতের বাড়িতে জন্মে থেকে দেখেছি যত শান্তি এই সংগীতের যাপনে, ততটাই লড়াই।
বাবা উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেব খুব প্রাণের বন্ধু ছিলেন আমার দাদু সংগীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর। দাদুকে লেখা ওঁর চিঠির মধ্যে এক অদ্ভুত মায়া দেখেছি, সেই মায়ার জারণ ঘটেছিল তাঁর সংগীতেও। অন্নপূর্ণা দেবীকে বলতে শুনেছি যে, ‘বাবা বলতেন মন দিয়ে শেখো মা, এই সংগীত আমাদের সব দুঃখ, কষ্ট সারিয়ে তোলে।’ অন্নপূর্ণা দেবীও হয়তো আমৃত্যু সেই কথাই পাথেয় করে চলেছেন। রাগের অবিমিশ্র পথে-ঘাটে চলতে চলতে আসলে তিনি নিজেরই মনের ভিতরে সঞ্চরণ করে গিয়েছেন আর সারিয়ে তুলেছেন নিজেকেই হয়তো। তাঁকে আরও অনেক শোনা আমাদের প্রয়োজন ছিল খুব– একথা ঠিকই কিন্তু হয়তো তাঁর প্রয়োজন ছিল প্রকৃত উত্তরসাধিকার মতো অন্তর্মুখী যাত্রার।
এ লেখার ইতি টানতে এসে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী শেখর সেনের কাছে শোনা মা অন্নপূর্ণার একটি ছোট্টগল্পের কথা বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে: মা তাঁর প্রিয় কুকুরশাবক মুন্নাকে কোলে নিয়ে বসে আছেন, তার চোখের দিকে তাকিয়ে মায়াভরে গাইছেন সা আর সে-ও সুর করে ডেকে উঠছে সা… মা বলেছেন রে, সে-ও সুর করে ডেকে উঠছে রে…।
ফটোগ্রাফির মস্ত শখ বিপুলদার। মাঝে মাঝেই ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন ছবি তুলতে পত্রপত্রিকার জন্য। নানা বিষয়ে আজগুবি সব ছবি দেখেছি সে ছবি খুব একটা কোথাও প্রকাশ করতেন না। অবাক হয়েছিলাম ওঁর পাবলিক টয়লেটের প্যান ভর্তি বিষ্ঠার ছবি দেখে। অনেক। গা ঘিনঘিন করেনি, বরং মনে হচ্ছিল যেন চমৎকার সব বিমূর্ত চিত্রকলা।