রাত-দুপুর বালাই নেই। ইচ্ছেখুশি জল নিরুদ্দেশে। তারপর বাথরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করে কাউকে ডাকা, তার দৌড়ে গিয়ে মেসমালিকের কাছে দরবার, অতঃপর কেন এত জল খরচ নিয়ে নাতিদীর্ঘ সমীক্ষা পাঠ এবং অবশেষে পাঁচ মিনিটের জল চালানোর দরুন আবার ফাঁকা প্লাস্টিকের বালতিতে যখন জলতরঙ্গ বেজে উঠত, মনে হত, ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ কখনও মেসে থাকেননি। তাহলে আর ‘নাবার’ ঘরটিকে গান ‘গাবার’ ঘর বলে অমন আদর-লেখা লিখতে পারতেন না। জল-সংকট রোধে এবং অপচয়ের জীবনকে লাইনে আনতে এই ছিল মেসমালিকদের সবিপ্লব ইশতেহার।
৪.
ধর্মের ঘটে জল থাকে, তবে জলের ধর্মঘট হয়, মেসে না-এলে জানতাম না।
জল-অচল সাধারণত বর্ণবাদীর হাতিয়ার। মেস ওসবের ধার ধারে না। চৌষট্টি খোপের বিভাজনকে চেকমেট করে সে টিমমেট তৈরি করে। ফলত কোনও ফিকিরেই অচলপত্র হয়ে ওঠার অভিপ্রায় তার ছিল না। তবু, সময়বিশেষে জল যে অচল হয়ে যেতে পারে, এই লোকশিক্ষে মিলল মেসে-ই। খাবার জল নিয়ে না-হয় বন্দোবস্ত হল, তবে ‘নাবার জল’! ডিমান্ড-সাপ্লাইয়ের বাজারি সমীকরণ তা যে অস্বীকার করবে, আমরা ভাবিনি। ‘কুয়োতোলা’ নয় আমাদের সময়ে আউট-অফ-প্রিন্ট, কিন্তু গ্রাম-মফস্সলে কলতলার অফুরন্ত জলপ্রবাহে কোনও দিন চাক্কা জ্যাম ছিল না। সাঁতার শেখার কসরত করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গিয়েছে যারা, তারাও জানত, গেরস্থালির গায়ে-গায়ে থাকা জল কখনও শাসক নয়। ঔদ্ধত্যের থেকে দূরে সে তো ক্রমশ নিচের দিকেই নেমে যায়। সবার পিছে, সবার নিচে, সব-হারাদের মাঝে সবার আগে যে পৌঁছে যায়, সে জল-ই। সেই জল শহরে দলে পড়ে ধর্মঘট শিখে ফেলেছে। অবশ্য, জলের আর কী দোষ! মানুষ তাকে তেমন গুরুত্ব দেয় কই! দিলে জলের দরে বিকিকিনির কথাটাই উঠত না।
মেসের জল গায়ে পড়তে আমরা বুঝলাম, জল তুমি কোথা হইতে আসিতেছ, এ-প্রশ্ন করাও জরুরি। সে আসছে উপর থেকে নিচে। বাড়িওলার থেকে ভাড়াটের কাছে। অর্থাৎ ক্ষমতার উঁচু স্তর থেকে। সুতরাং, জল যদি বন্ধ হয় বুঝতে হবে, সন্তর্পণে কাজ করছে নিয়ন্ত্রণ-বাসনা। মেসের যা জল, দেশের কাছে তাই-ই কথা বা বিরুদ্ধতা। বন্ধের উপক্রম হলেই মালুম হবে মাথার ওপরে চলছে কারসাজি। তখন প্রাতঃকৃত্য সারুন আর উৎসবে ফিরুন, কোনওটাই আপনার ইচ্ছেমতো হওয়ার উপায় নেই। যে উপরে বসে সব তার-ই বশে। অতএব, শোকের এক্সপায়ারি ডেট থাকতে পারে, জলও ফুরিয়ে যেতে পারে আচমকা। হাতে তখন পেনসিল কিংবা খালি মগ।
অথচ জলের সঙ্গে মানুষের কতদিনের কত সহজ সখ্য। তীর্থে যে জ্ঞান সেখানে জলেরই অনুষঙ্গ। জলে-জলে যোগাযোগ, বাণিজ্য, মানুষের মঙ্গলকাব্য। পালা-পার্বণে জলের সঙ্গেই আলাপ। কত ব্রতকথায় জলের দিকে তাকিয়ে আমরা মনের কথা বলে ফেলি। এমনকী, জীবনানন্দেও সেই জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা একা কথা বলা। এই সারল্যের ভিতর ক্ষমতার বাস চোখে পড়ে না। ফলে জল সম্পর্কে আমাদের এযাবৎ ধারণায় খানিক মান্দাসে ভেসে যাওয়ার তৃপ্তি ছিল। এখন থেকে বোঝা যাবে, ব্যাপারটা আর শুধু যাওয়া-আসা স্রোতে ভাসার মতো সহজ নয়। মাঝখানে রাখা আছে স্পেশাল চাবি। যা ঘুরিয়ে জলের ছলে মানুষকেও খানিক নিজের মতো চালানো যায়। পুকুর-কলতলার ভিতর গ্রাম্যতা থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণের তন্ত্র নেই। তখনও তেমন বুদ্ধি ফোটেনি, তবে মেসে এসে আমাদের চক্ষুরুন্মীলিতং যেন…!
…………………………………………………
সাধারণত মেস সম্পর্কে অপবাদ আছে যে, তা রাতে নেশাতুর, দিনে ঘুমকাতর, বিকেলে প্রিয় বন্ধুর স্পর্শকাতর। আমাদের এই নতুনদাদাটি সে অপবাদকে প্রবাদের মর্যাদা দিয়েছিল। প্রতিদিন সকালে মাসি ঘর মুছতে এসে তার দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে বিফল মনোরথে ফিরে যেত। আর ফেরার সময় কী যেন গজগজ করত! অনেক কষ্টে একদিন বুঝলাম ‘কুমভোকন্নো’ নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার মহাকাব্যে যে একটি নতুন পাতা যোগ হয়েছে, সে ব্যাপারেই কিঞ্চিৎ বিরক্ত-বিড়বিড় বরাদ্দ ছিল রোজ।
…………………………………………………
এখন, সেদিন কথাটা ঠিক এত ‘গুরুতর’ হয়ে বাজেনি। মনে হয়েছিল, জল-সংরক্ষণের সে এক অপূর্ব সচেতনতা প্রকল্প। তখন বয়স কম। আর সত্যি বলতে, অল্প বয়সে সকলেরই কিঞ্চিৎ ফেলে ছড়িয়ে জীবন কাটানোর অভ্যেস। এককালে লোকে অল্পবয়সিদের দেখলেই রেডিওতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মতো বেজে উঠতেন। হেলাফেলা করা জীবন যে কতখানি ঝঞ্ঝাসংকুল হতে চলেছে, সে বিষয়ে সচেতন করতেন। কিন্তু তাতে খানিক নীতিপুলিশির গন্ধ থাকে। আর ছেলেপুলেরাও ক্রমে স্মার্ট হয়ে উঠছিল। মেসমালিকগণ তাই এই সচেতনতার প্রসারে একটি অভিনব পন্থা নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রয়োজনমতো (?) জলের লাইন বন্ধ করে দিতেন। ফলত প্রায়শই মেসবাসীর যা হত, গায়ে-মুখে সাবান, চোখ বন্ধ– এই সময় বোঝা যেত জল শেষ। কটিদেশে ঈষৎ স্খলিত ভিজে গামছা, তাই বেরনোর জো নেই। এ-দশা যার হয়নি মেসে সে দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ।
রাত-দুপুর বালাই নেই। ইচ্ছেখুশি জল নিরুদ্দেশে। তারপর বাথরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করে কাউকে ডাকা, তার দৌড়ে গিয়ে মেসমালিকের কাছে দরবার, অতঃপর কেন এত জল খরচ নিয়ে নাতিদীর্ঘ সমীক্ষা পাঠ এবং অবশেষে পাঁচ মিনিটের জল চালানোর দরুন আবার ফাঁকা প্লাস্টিকের বালতিতে যখন জলতরঙ্গ বেজে উঠত, মনে হত, ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ কখনও মেসে থাকেননি। তাহলে আর ‘নাবার’ ঘরটিকে গান ‘গাবার’ ঘর বলে অমন আদর-লেখা লিখতে পারতেন না। জল-সংকট রোধে এবং অপচয়ের জীবনকে লাইনে আনতে এই ছিল মেসমালিকদের সবিপ্লব ইশতেহার। এমনকী, দুপুরে তাঁরা মাঝেমধ্যে চেক করতে নামতেন যে, জলের কল আলগা আছে কি-না, অকারণে জল পড়ে যাচ্ছে কি-না ইত্যাদি। সে-কথা আমরা আগে জানতাম না, জানলাম, যখন তখন ঘটনার জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
দিবাকর আর আমার পাশের ঘরটিতে যে থাকত, আমাদের থেকে সিনিয়র। আমরা আসার কিছুদিন পরে এল, আমরা তার নাম, ধরে নিলাম, নতুনদা। সাধারণত মেস সম্পর্কে অপবাদ আছে যে, তা রাতে নেশাতুর, দিনে ঘুমকাতর, বিকেলে প্রিয় বন্ধুর স্পর্শকাতর। আমাদের এই নতুনদাদাটি সে অপবাদকে প্রবাদের মর্যাদা দিয়েছিল। প্রতিদিন সকালে মাসি ঘর মুছতে এসে তার দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে বিফল মনোরথে ফিরে যেত। আর ফেরার সময় কী যেন গজগজ করত! অনেক কষ্টে একদিন বুঝলাম ‘কুমভোকন্নো’ নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার মহাকাব্যে যে একটি নতুন পাতা যোগ হয়েছে, সে ব্যাপারেই কিঞ্চিৎ বিরক্ত-বিড়বিড় বরাদ্দ ছিল রোজ। আমরা কলেজ বেরোনোর সময় দেখতাম, নতুনদা সবে ঘুম থেকে উঠছে। তখন একটু অবাক লাগত বইকি! ক্রমে আমরা যত মেসে পুরনো হলাম, দেখলাম দিনে দিনে নতুনদা হয়ে উঠছি। সে-প্রসঙ্গ আলাদা।
যাই হোক, সারারাত জেগে থাকতে এলেম লাগে। প্রেম করা, কবিতা লেখার মতো চোরাগোপ্তা আক্রমণ তো নয় সামলে নেওয়া যাবে। কিন্তু বাকি রাত? অতএব প্রবাদ সত্যি হয়ে ওঠে নতুনদার ঘরে। তবে মুশকিল একটাই। দারু তো সাগ্রহে সে শেষ করে ফেলে, বোতলের বিগ্রহগুলো রাখে কোথায়? আমাদের সেই মেসটার সামনের দাওয়ার অনেকটা ফাঁকা। একেবারে কোনায় পরপর দুটো জরুরি জায়গা। রান্নাঘর আর বাথরুম। সামান্য কৌণিক দূরত্ব বজায় রেখে দুয়ের সম্ভ্রম বজায় রাখা হয়েছে, উপরন্তু দুয়ের মধ্যে একটা কোমর সমান দেওয়াল গেঁথে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বার্লিন মূলত দু’-ভাগ। নতুনদা বাথরুম পেরিয়ে সেই দেওয়ালের ওপারেই সাজিয়ে তুলল তার রাতজাগা প্রদর্শনী। কতদিন এভাবে চলেছিল, হিসাব নেই। মাসের মাঝামাঝি এল মালিকের তলব, একদিন অকস্মাৎ!
সেই প্রথম আমরা বুঝলাম জল সংকট মোকাবিলার স্থানিক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডাররা মেসমালিকের ছদ্মবেশে টহল দিতে আসেন। এ যাবৎ তাঁরা বাথরুম অবধি দেখেই চলে আসতেন। নেহাত বাঙালি বলে খানিকটা বিলম্বে আর অনেকটা কৌতূহলে একদিন বাথরুম পেরিয়ে চোখ চালাতেই ধরা পড়ে গেল বোতলদের গণবিবাহ। সার দিয়ে যেভাবে পরপর বসে ছিল! পালানোর কথা কেউ ভাবেনি, সে উপায়ও নেই। পাড়ায় প্রেম করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়া কাঁচা প্রেমিক-প্রেমিকা তো আর নয়!
বোতলেরা লজ্জারুণ কিংবা ব্রীড়াবনতা ছিল কি-না বলতে পারি না, তবে আমাদের নতুন দাদা বাঘের মুখেও নির্বিকার। ‘কে খায়?’– এল মালিকের হালুম। দাদার মুখের রেখায় কোনও ঢেউ খেলল না। বেশ কাঁচা কিংবা উঁচুদরের অভিনেতার মতো সে সংক্ষেপে ঠান্ডা গলায় জানাল, ‘আমি। কেন?’ এই কেন-র কোনও উত্তর হয় না। যে খায় সে জানে, যে খায় না তাকে বলে বোঝানো যায় না। তা ছাড়া এত নিখুঁত অব্যর্থ এবং অকপট জবাবের পর আর কথাও চলে না। অতএব আবার সেই রেডিও-র আসর। এবার বেজে উঠল স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বুলেটিন। নতুনদার মুখ দেখে বোঝা গেল, চলতি শব্দকে কানের দু’-পাশ দিয়ে বের করে আবার উৎসে ফিরিয়ে দেওয়ার বিরল গুণ তার আয়ত্তে। আমরা বাকিরা নীরবে সেই উপদেশবাণ হজম করলাম। এবং বিনিময়ে প্রণামি হিসাবে ক্ষমাপ্রার্থনা তাঁদের করকমলে তুলে দিয়ে ফিরে এলাম। নতুনদার খালি একটাই কাজ মেস দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
তা দ্রুত সেই কাজ সে করে ফেললও বটে। বলেও দিল যে, রাতের মধ্যেই জায়গা খুঁজেপেতে এসব জিনিস ভ্যানিশ করে দেবে। যাতে অহেতুক তলব না আসে। সেই রাতেই যে কাজটি হয়ে গেছে বুঝিনি, বুঝলাম পরদিন সাতসকালে। তালা খুলছি, একটু পরেই মাসি আসবে। ঠিক এই সময়েই আমাদের প্রবীণ মালিক নামেন ট্যাঙ্কে জল আছে কি-না, পরখ করে নিতে। সেইমতো সকালে পাম্প চালানোর হিসাব। প্রতিদিনই তাই সকালে আমাদের শুভদৃষ্টি। সেদিন সেই অভ্যস্ত দৃষ্টিপাতে হঠাৎ দেখলাম, তাঁর দু’-চোখ বিস্ফারিত। ‘এসো এসো দেখে যাও’– বলে তিনি একবার সগর্জনে উঠে দাঁড়ালেন। পরক্ষণেই বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে বসে পড়েন। আমি ভাবলাম, ট্যাঙ্কের ভিতর কি গার্ডেনরিচ থেকে কুমির এল নাকি! হিসি চেপে পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে মালিকের আঙুলনির্দিষ্ট পথ অনুসরণ করে দেখলাম, ট্যাঙ্কের জল একেবারে তলানিতে। আর সেই অল্প জলে জলকেলি শেষে ক্লান্ত হয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর ঘুমিয়ে পড়েছে বোতল-যুগলেরা। ট্যাঙ্ক যে তাদের এমন সুখশয্যা হয়ে উঠবে কে জানত! মদীয় সকাল অতএব শুরু হল তদীয় চিৎকারে। বাড়ির আর যাঁরা নেমেছিলেন সকলেই প্রবল ছিছিকারে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। এদিকে আমাদের ঘুমন্ত মেস জেগে ততক্ষণে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে, নতুনদাও।
…………………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার.ইন
…………………………………………….
ভর্ৎসনা যদিও শেষ হল তাড়াতাড়ি। কেননা জল এসে যাওয়ার সময় এগিয়ে আসছে। প্লাস্টিকের ব্যাগ তার সমস্ত অপকারিতা সত্ত্বেও সে যাত্রায় পরিস্থিতি অনেকটা সামাল দিল। পরিষ্কার-টরিষ্কার করে ফেলা হল দ্রুত, সবাই হাত লাগালাম। মনে মনে বললাম, ট্যাঙ্কি এবার শুকায়ে গেলে করুণাধারায় এসো…। এসেছিল। সেই জল নিয়েও আমাদের সেদিন কোনও অভিযোগ ছিল না। ফলত জীবন নিয়েও।
নতুনদা শুধু পরে মাথা-টাথা চুলকে পরে বলেছিল, শুনে তো ছিলাম পুরসভার হালত খারাপ। ম্যানহোলের ঢাকনা তো আজকাল খোলাই থাকে!
…পড়ুন মেসবালক-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩। মেস আসলে জীবনের ক্রিকেট-সংস্করণ
পর্ব ২। আদরের ঘরের দুলালদের সদর চেনাল মেস
পর্ব ১। মেস এমন দেশ যেখানে বাঁধাকপির পৃথক আত্মপরিচয় চিবিয়ে নষ্ট করা যায় না
পশ্চিমবঙ্গের একশ্রেণির মানুষ বলতেন, ওঁরা তো ভোটে না জিতে নেতা হয়েছেন। হ্যাঁ, সীতারাম ইয়েচুরি কখনও ভোটে জিতে মন্ত্রী বিধায়ক হননি। তারপরও দলমত নির্বিশেষে যে গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা তিনি দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অর্জন করেছিলেন, সেটা ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত।