গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে দুই দেশের সাধারণ মানুষের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলির মধ্যে যে প্রভেদ, তার কথা ভাবতে হয়। ইউরোপ বা পশ্চিমকে আমরা যতটা উপলব্ধি করতে পারি, তা আমাদের কয়েক শতাব্দীর চর্চায় অর্জিত– সেসব দেশের সংস্কৃতির অনেক কিছুই আমাদের অনেকের মজ্জাগত। তাই আমাদের পক্ষে বোঝা সহজসাধ্য। সে তুলনায় ও দেশের মানুষের পক্ষে আমাদের সূক্ষ্ম অনুভূতি বা মানসিকতাকে গ্রহণ করার পথে বেশ খানিকটা বাঁধা আছে। তাই পশ্চিমের বুদ্ধিজীবী মহলে প্রাচ্য দেশের চর্চা যত ব্যাপকই হোক না কেন, সেখানকার ব্যাপক জনসাধারণের কাছে প্রাচ্যের মানসিকতা অনেকটাই অধরা থেকে যায়।
৩৫.
রুশ-ভারত কথা
বিদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও মৈত্রী সম্বন্ধ স্থাপন বরাবরই সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি সরকারি নীতি ছিল। এই উদ্দেশ্যে ১৯২৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিদেশের সঙ্গে মৈত্রী ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি সমিতি গঠিত হয়েছিল; দেশের বড়বড় শহরে তার শাখাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সোভিয়েত-ভারত বিভাগটি প্রথম থেকেই এই গণমৈত্রী সমিতির একটি বিশিষ্ট অঙ্গ ছিল। মস্কোয় কালিনিন স্ট্রিটের মৈত্রী ভবনে এই সংগঠনটির অবস্থান।
সরকারি নীতির যখন যেরকম বদল হয়েছে, সেই অনুযায়ী এই গণমৈত্রীর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ আমরা দেখেছি; সময় বিশেষে এক দেশ থেকে আরেক দেশের দিকে বেশি পক্ষপাতমূলক হয়েছে, এটাও ঠিক– কখনও বেশি ঝুঁকেছে মধ্যপ্রাচ্যের কোনও কোনও দেশের দিকে, কখনও লাতিন আমেরিকার, কখনও বা আফ্রিকার কোনও কোনও দেশের দিকে। সেটাই স্বাভাবিক, যেহেতু সোভিয়েত ইউনিয়নে এই ধরনের যে কোনও গণসংগঠনই ছিল সরকার-নিয়ন্ত্রিত, আর সরকার মানেই পার্টি, পার্টি মানেই ‘জনগণ’…
এসব সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বরাবরই যে একটা দুর্বলতা ছিল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। জারের রাশিয়াতেও ছিল। সোভিয়েত আমলে তার বিকাশ ঘটে, এমনকী পেরেস্ত্রৈকা পর্বেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। মাঝখানে ইয়েলৎসিনের আমলে কিছুটা ঢিলে হয়ে পড়েছিল– সেটা অবশ্য রাজনৈতিক কারণে। ১৯৯১ সালের আগস্টে কমিউনিস্টরা যখন অভ্যুত্থান ঘটিয়ে, ক্ষমতা পুনর্দখলের উদ্যোগ করেছিল, তৎকালীন ভারত সরকার তখন তাড়াহুড়ো করে সেই সরকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছিল। তিনদিন যেতে না যেতে সেই সরকারের পতন হওয়ার পরে এবং পরিণামে আরও কয়েক মাস পরে নতুন রাশিয়ায় যে সরকার গঠিত হল, সেই সরকার ভারত থেকে সেই যে মুখ ঘুরিয়ে নিল সেই অবস্থাটা বেশ দীর্ঘদিন চলেছিল। কিন্তু সরকারি নীতি দেশের জনমানস থেকে ভারতের ভাবমূর্তি এতটুকু মুছে ফেলে দিতে পারেনি। সেই সময়ে পত্রপত্রিকায় তাই ‘আমাদের ভারতকে ফিরিয়ে দাও’– এই শিরোনামে প্রতিবেদনও পড়েছি। অনেক পরে অবশ্য নতুন রাশিয়ায় ভারত ফিরেও এসেছিল।
রাশিয়ার সেই ভারত যেমন ভারতপথিক রোয়েরিখের ভারত, যেমন তাগোর, যেমন হিমালয়, তেমনই নেহরু, ইন্দিরা, সর্বোপরি রাজ কাপুর, ‘মেরা নাম জোকার’, ‘মেরা জুতা হ্যায় জাপানি’, ‘পরদেশি’-র।
এখানেই আমাদের দেশের অনেকে সে দেশের মানুষের রুচি সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়েন। কিন্তু যাঁরা তাঁদের নিজেদের দেশের দস্তইয়েভস্কি, তলস্তোয় বা তুর্গ্যেনেভ পড়ছেন, এমনকী, শেক্সপিয়র বা ডিকেন্সের মতো বিদেশি ক্লাসিক পড়ে উপভোগ করছেন, ব্যালে অপেরা দেখে অথবা বিঠোফেন, বাখ্ বা চাইকোভস্কি শুনে মুগ্ধ হচ্ছেন, তাঁদের রুচি যে ততটা ভোঁতা– এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। পঞ্চদশ শতাব্দীর রুশ ভূপর্যটক আফানাসি নিকিতিন বা অষ্টাদশ শতাব্দীর গেরাসিম লেবেদেভের কথা, ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত পণ্ডিত মিনায়েভ্, বিংশ শতাব্দীর ভারতবন্ধু, দার্শনিক ও শিল্পী নিকলাই রোয়েরিখ্ প্রমুখ বিদ্বজ্জনের ভারতচর্চা, রাশিয়ার এবং পরবর্তীকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির উদ্যোগে সংস্কৃত ও অন্যান্য ভারতীয় সাহিত্যের চর্চা, অনুবাদ বা গবেষণার মতো বিপুল কর্মকাণ্ডের কথাই বা কী করে ভোলা যায়? মনে রাখতে হবে, রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিরও আগে রুশ ভাষায় গীতাঞ্জলির অনুবাদ হয়েছে, রবীন্দ্রপ্রতিভার মূল্যায়ন হয়েছে। বরং সেই তুলনায় আমাদের দেশের রুশ চর্চার পরিধিই অনেক সংকীর্ণ– যেটুকু হয়েছে তাও অনেকটাই পরবর্তীকালে, সোভিয়েত প্রচারের গুণে।
তবে গবেষণার বস্তুর সঙ্গে উপভোগের বস্তুর গ্রহণযোগ্যতা মিলিয়ে ফেললে চলবে না। গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে দুই দেশের সাধারণ মানুষের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলির মধ্যে যে প্রভেদ, তার কথা ভাবতে হয়। ইউরোপ বা পশ্চিমকে আমরা যতটা উপলব্ধি করতে পারি, তা আমাদের কয়েক শতাব্দীর চর্চায় অর্জিত– সেসব দেশের সংস্কৃতির অনেক কিছুই আমাদের অনেকের মজ্জাগত। তাই আমাদের পক্ষে বোঝা সহজসাধ্য। সে তুলনায় ও দেশের মানুষের পক্ষে আমাদের সূক্ষ্ম অনুভূতি বা মানসিকতাকে গ্রহণ করার পথে বেশ খানিকটা বাঁধা আছে। তাই পশ্চিমের বুদ্ধিজীবী মহলে প্রাচ্য দেশের চর্চা যত ব্যাপকই হোক না কেন, সেখানকার ব্যাপক জনসাধারণের কাছে প্রাচ্যের মানসিকতা অনেকটাই অধরা থেকে যায়। এছাড়া পশ্চিমের আরও অনেক দেশে যেমন একটা বড় সংখ্যক ভারতীয় সম্প্রদায় আছে, রাশিয়ায় তেমনটা কখনও ছিল না এবং নেইও, ফলে সেইভাবে ব্যাপক মেলামেশার বা প্রভাব বিস্তারের সুযোগও হয়নি। এরই মধ্যে ভারতীয় সাহিত্য সংস্কৃতির যেখানে বিশ্বমানবতার স্পর্শ আছে, তা সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে– যেমন হয়েছে রবীন্দ্রনাথের অনেক রচনার ক্ষেত্রে। কিন্তু বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’র মতো উপন্যাসের পক্ষে তা হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। ‘হাথি মেরে সাথী’ দেখে সাধারণ মানুষ কাঁদবে, কিন্তু ‘পথের পাঁচালী’ দেখতে গিয়ে ছ্যা ছ্যা করে হল থেকে উঠে আসবে। তাই এই বিষয়ে রুশ মানসিকতা দেখে নিয়ে আমাদের ক্ষোভ করার কোনও অর্থ হয় না– আমাদের দেশের ব্যাপক জনসাধারণও অন্য দেশের মোটা দাগের ভাবানুভূতিকেই বেশি পছন্দ করে।
সোভিয়েত আমলে সে দেশে বসবাসকারী বিদেশিরা এবং সেখানে আগত বিদেশি অতিথিরা সুরক্ষিত ছিল। এমনকী, অনেক বিদেশির ছোটখাটো আইন লঙ্ঘনকে কর্তৃপক্ষ তেমন একটা আমলও দিতেন না। সেটা কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণে বা তথাকথিত মৈত্রীর খাতিরে অথবা পার্টি সংযোগের কারণেও হতে পারে। এ ধরনের একটি অভিজ্ঞতা কর্মসূত্রে আমার এদেশে থাকার প্রথম বছরেই হয়েছিল।
রুশ ভাষায় এমন কিছু শব্দ আছে, যা একাধিক অর্থদ্যোতক। সেবারে আমি অজ্ঞতাবশত একটি ভুল করে বসেছিলাম: থানায় নাম রেজিস্ট্রিভুক্ত না করেই আমি একজনকে দীর্ঘদিন আমার ফ্ল্যাটে থাকতে দিয়েছিলাম। একসময় তাই কৈফিয়ত দেওয়ার জন্য থানায় তলব পড়ল। পুলিশ অফিসারটি বয়স্ক, খুবই ভদ্র। আমাকে মৃদু তিরস্কার করার পর জিজ্ঞেস করলেন আমি ‘সদস্য’ কি না। কীসের সদস্য, কী ব্যাপার আমি বুঝতে পারলাম না। রুশ ভাষায় ‘সদস্যের’ প্রতিশব্দ যে ‘চ লেন’ তা যে বিশিষ্টার্থে ‘পার্টি’, অর্থাৎ ‘কমিউনিস্ট পার্টি’ কথাটা উহ্য থাকলেও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যকেই বোঝায় সেটা তখনও জানতাম না; কিন্তু রুশ ভাষার ব্যাকরণটা আমার জানা ছিল– সেদিক থেকে আক্ষরিক অর্থে ওই শব্দটি যেমন অঙ্গ অর্থে, তেমনই বিশেষ প্রত্যঙ্গ অর্থেও প্রযোজ্য। তাই অফিসারের কথা শুনে আমি তো হাঁ। যা হোক পরে যখন খোলসা করে বললেন কমিউনিস্ট পার্টির ‘চ্ লেন’, অর্থাৎ সদস্য কি না– তখন বোধগম্য হল। আমি ‘না’ বলতে তিনি শুধু নামমাত্র জরিমানা করে আমাকে ছেড়ে দিলেন। পার্টি সদস্য হলে হয়তো অন্য ব্যবস্থা হত। বুঝলাম বিশেষেরও বিশেষ আছে।
সাধারণ সোভিয়েত নাগরিক, তাই বিদেশিদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করতে একটু ভয় তো পেতই, এমনকী, তাদের রূঢ় ব্যবহারও অনেক সময় মুখ বুজে সহ্য করত, কেননা আশঙ্কা থাকত সেই ব্যক্তি হয়তো বা পার্টি সদস্য, নয়তো কোনও বন্ধু রাষ্ট্রের কোনও প্রভাবশালী পার্টি-নেতার কোনও আত্মীয় হতে পারে। পেরেস্ত্রৈকার আমলে লোকের সেই ভয়টা কেটে গিয়েছিল, তাই বিদেশিদের ওপর হামলার ঘটনাও বেড়ে গিয়েছিল।
…………………………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………………….
১৯৮৫ সালে যুব উৎসবের সময় ভারতের তৎকালীন শাসক দলের একটি যুব প্রতিনিধিদল এদেশে এসেছিল। ওই দলের এক যুবনেত্রী, যিনি তাঁর বদমেজাজ ও খামখেয়ালিপনার জন্য কুখ্যাত। তিনি এখানকার ক্যান্টিনের খাবার পছন্দ না হওয়ায় খাবারের টেবিল উল্টে হুলুস্থুল বাধিয়ে তুলেছিলেন, তাঁর সঙ্গী যুবনেতাটি, যিনি পরবর্তীকালে দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, তিনি প্রকাশ্য স্থানে বিয়ার পান করে স্থানীয় মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার জন্য তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি, দেশের প্রচারমাধ্যমে বা পত্রপত্রিকায় সেই সব ঘটনার কোনও উল্লেখ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
…পড়ুন রুশকথা-র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩৪। সোভিয়েত শিক্ষায় নতুন মানুষ গড়ে তোলার ব্যাপারে একটা খামতি থেকে গিয়েছিল
পর্ব ৩৩। দিব্যি ছিলাম হাসপাতালে
পর্ব ৩২। মস্কোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাধারণ ডাক্তাররা অধিকাংশই মহিলা ছিলেন
পর্ব ৩১। আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল শুধু আমার জন্য
পর্ব ৩০। শান্তিদা কান্ত রায়ের প্রিয় কাজ ছিল মস্কোয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিজম পড়ানো
পর্ব ২৯। পেরেস্ত্রৈকার শুরু থেকেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন গোপেনদা
পর্ব ২৮। দেশে ফেরার সময় সুরার ছবি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি গোপেনদা
পর্ব ২৭। বিপ্লবের ভাঙা হাট ও একজন ভগ্নহৃদয় বিপ্লবী
পর্ব ২৬। ননী ভৌমিকের মস্কোর জীবনযাত্রা যেন দস্তইয়েভস্কির কোনও উপন্যাস
পর্ব ২৫। ননীদা বলেছিলেন, ডাল চচ্চড়ি না খেলে ‘ধুলোমাটি’র মতো উপন্যাস লেখা যায় না
পর্ব ২৪। মস্কোয় শেষের বছর দশেক ননীদা ছিলেন একেবারে নিঃসঙ্গ
পর্ব ২৩। শেষমেশ মস্কো রওনা দিলাম একটি মাত্র সুটকেস সম্বল করে
পর্ব ২২। ‘প্রগতি’-তে বইপুথি নির্বাচনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে প্রায়ই খিটিমিটি বেধে যেত
পর্ব ২১। সোভিয়েতে অনুবাদকরা যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করত, সে দেশের কম মানুষই তা পারত
পর্ব ২০। প্রগতি-র বাংলা বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে ননীদাই শেষ কথা ছিলেন
পর্ব ১৯। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি খুব ভালো রুশভাষা জানতেন, প্রমথনাথ বিশী সাক্ষী
পর্ব ১৮। লেডি রাণু মুখার্জিকে বাড়ি গিয়ে রুশ ভাষা শেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার ওপর
পর্ব ১৭। একদিন হঠাৎ সুভাষদা আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে নিয়ে
পর্ব ১৬। মুখের সেই পরিচিত হাসিটা না থাকলে কীসের সুভাষ মুখোপাধ্যায়!
পর্ব ১৫। রুশ ভাষা থেকেই সকলে অনুবাদ করতেন, এটা মিথ
পর্ব ১৪। মস্কোয় ননীদাকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও বিদেশি, ভারতীয় নয়
পর্ব ১৩। যিনি কিংবদন্তি লেখক হতে পারতেন, তিনি হয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনুবাদক
পর্ব ১২। ‘প্রগতি’ ও ‘রাদুগা’র অধঃপতনের বীজ কি গঠনপ্রকৃতির মধ্যেই নিহিত ছিল?
পর্ব ১১। সমর সেনকে দিয়ে কি রুশ কাব্যসংকলন অনুবাদ করানো যেত না?
পর্ব ১০। সমর সেনের মহুয়ার দেশ থেকে সোভিয়েত দেশে যাত্রা
পর্ব ৯। মস্কোয় অনুবাদচর্চার যখন রমরমা, ঠিক তখনই ঘটে গেল আকস্মিক অঘটন
পর্ব ৮: একজন কথা রেখেছিলেন, কিন্তু অনেকেই রাখেননি
পর্ব ৭: লেনিনকে তাঁর নিজের দেশের অনেকে ‘জার্মান চর’ বলেও অভিহিত করত
পর্ব ৬: যে-পতাকা বিজয়গর্বে রাইখস্টাগের মাথায় উড়েছিল, তা আজ ক্রেমলিনের মাথা থেকে নামানো হবে
পর্ব ৫: কোনটা বিপ্লব, কোনটা অভ্যুত্থান– দেশের মানুষ আজও তা স্থির করতে পারছে না
পর্ব ৪: আমার সাদা-কালোর স্বপ্নের মধ্যে ছিল সোভিয়েত দেশ
পর্ব ৩: ক্রেমলিনে যে বছর লেনিনের মূর্তি স্থাপিত হয়, সে বছরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার সূচনাকাল
পর্ব ২: যে দেশে সূর্য অস্ত যায় না– আজও যায় না
পর্ব ১: এক প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে রাশিয়ার খণ্ডচিত্র ও অতীতে উঁকিঝুঁকি