একসময় প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলো নিয়ে তৈরি হলেও, বর্তমানে কমনওয়েলথে যোগ দিয়েছে মোজাম্বিক, রোয়ান্ডার মতো বহু নতুন সদস্য। ’২২-এর গেমসে সবকটা মহাদেশ থেকে আসা মোট ৭৪টি দেশ অংশ নেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে, এই ব্যাপক ক্রীড়া-অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না কোনও দেশই। গত সাতটি গেমসের মধ্যে ছ’টিরই আয়োজক দেশ ছিল হয় গ্রেট ব্রিটেন, নয় অস্ট্রেলিয়া। একমাত্র ব্যতিক্রম ২০১০-এর ভারতের নয়াদিল্লি গেমস। এবার অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াও এক কথায় মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিয়ে সরে দাঁড়ানোয় কমনওয়েলথ গেমসের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ক্রমশ ডালপালা মেলতে শুরু করেছিল।
সদ্যসমাপ্ত প্যারিস অলিম্পিকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সোনার পদকের দোরগোড়া থেকে ফিরতে হয়েছিল ভিনেশ ফোগতকে। ফাইনাল বাউটের আগে ওজন সামান্য বেড়ে যাওয়ায় বহিষ্কৃত হতে হয় ভারতীয় তারকাকে। সে ঘটনার পর কুস্তি জগতের বহু বিশেষজ্ঞ মনে করে ছিলেন, ভিনেশের এই ঘটনার পর কুস্তির মহিলা বিভাগে এই ওজন সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন করার সময় এসেছে। কারণ, রুপোটা অন্তত ভিনেশের প্রাপ্য ছিল। ভিনেশকে অলিম্পিকের মঞ্চ থেকে ট্র্যাজিক চরিত্র হয়ে ফিরতে হলেও, শুটিং, হকিতে পদক আসে ভারতের ঝুলিতে। কিন্তু ২০২৬-এর কমনওয়েলথ গেমসে সেই পদক-জয়ের সম্ভাবনাটুকুও আর থাকল না ভারতের! কারণ, গ্লাসগো কমনওয়েলথে নামতেই পারবেন না কুস্তি, শুটিং, হকি, ব্যাডমিন্টনে ভারতের ভবিষ্যতের ভিনেশ-লক্ষ্য সেনরা।
২০২৬-এ স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলা গেমসের আগামী পর্ব থেকে উদ্যোক্তারা বাদ দিয়ে দিয়েছেন কুস্তি, ব্যাডমিন্টন, হকি, টেবল টেনিস, স্কোয়াশ, ক্রিকেট, ডাইভিং ট্রায়াথেলন-সহ ন’টি খেলা! মাত্র দশটি খেলা নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ’২৬-এর কমনওয়েলথ গেমস পর্ব।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কমনওয়েলথ গেমসের গুরুত্ব আর কতটুটকু অবশিষ্ট রইল?
শুটিং আর তিরন্দাজি গত বার্মিংহ্যাম গেমস থেকেই বাদ পড়েছিল লজিস্টিক্স সাহায্য না থাকায়। এবার কুস্তি, ব্যাডমিন্টন, টেবল টেনিস, হকি সহ আরও ন’টি গুরুত্বপূর্ণ খেলাও বাদ পড়ল, যেখানে সাম্প্রতিক কালে ভারতের উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিই, ২০২২ পর্বে ২২টি সোনা-সহ মোট ৬১টি পদক জিতে পদক তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল ভারত! তার মধ্যে ৩৭টি পদকই ছিল বর্তমানে বাদ পড়ে যাওয়া খেলাগুলোর ইভেন্ট থেকে!
কমনওয়েলথ গেমসের মঞ্চকে খেলোয়াড়রা দেখেন অলিম্পিক পোডিয়ামে পৌঁছনোর আগের ধাপ হিসেবে। অর্থাৎ, এক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রস্তুতি প্রতিযোগিতা। অনেক তারকা অ্যাথলিটই অলিম্পিকের পর এই গেমসকে গুরুত্ব দিতেন, এশিয়াডের ওপরে, কারণ সবক’টি মহাদেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে এই মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ ছিল। তাই এক ধাক্কায় এতগুলো খেলা ও ইভেন্ট বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ক্রীড়াবিশ্বে বিস্ময় ও বিতর্ক, দুটোই সৃষ্টি করেছে।
…………………………………………………………..
’৯৮-এর সময় থেকেই পরম্পরাগত ১০-১২টি খেলা নিয়ে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে ক্রীড়াসংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেভাবে দেখলে ২০২৬-এ এই বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আবার পুরনো মডেলে ফিরতে চলেছে। তবে ১৯৬৬ থেকে অন্তর্ভুক্ত ব্যাডমিন্টনের বাদ যাওয়াটা সত্যিই বিস্ময়কর। অর্থাৎ, আগামী ২৬-এর গ্লাসগো গেমসে কোনও র্যাকেট-স্পোর্টসই আর থাকছে না। ক্রমহ্রাসমান মডেলে রয়ে গেল অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, বক্সিং, জুডো, ট্র্যাক সাইক্লিং-সহ হাতেগোনা কয়েকটি স্পোর্টস ইভেন্ট।
…………………………………………………………..
কমনওয়েলথ গেমসের গত ১৮টি পর্বে ভারতের সবথেকে বেশি পদক এসেছে শুটিং-এ। তারপর যথাক্রমে রয়েছে কুস্তি, বক্সিং, ব্যাডমিন্টন ও টেবল টেনিস। বক্সিং ছাড়া বাকি খেলাগুলি বাদ পড়ায়, ভারতের পদক জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই সীমিত হয়ে গেল। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে দেশের ক্রীড়ামহল থেকে। প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন তারকা ও বর্তমান কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ বলেছেন, ‘এটা খুবই ভয়ঙ্কর ও হতাশার খবর আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের জন্য। ছেলেমেয়েরা নিজেদের ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল। বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের জন্যও মোটেই ভালো লক্ষণ নয়।’ টেবল টেনিস কোচ ও প্রাক্তন তারকা শরথ কমলের ব্যাখ্যা অবশ্য একটু অন্যরকম। ‘কমনওয়েলথে আমরা টেবল টেনিসে ধারাবাহিকভাবে ভাল ফল করেছি। তবে গ্লাসগো শেষ সময় দায়িত্ব নেওয়াতে তাদের হয়তো এতগুলো ইভেন্ট সংগঠন করতে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই উদ্যোক্তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০০২-এ কমনওয়েলথ গেমসে টেবল টেনিস অন্তর্ভুক্ত হয়, সেই থেকে প্রতিবারই ভারত একাধিক পদক জেতে এই ইভেন্টে। কমনওয়েলথ গেমসে হকি আর স্কোয়াশের অন্তর্ভুক্তিও হয় তার ঠিক আগের পর্ব, অর্থাৎ ১৯৯৮-এ, ক্রিকেটের আরও পরে। ওই ’৯৮-এর সময় থেকেই পরম্পরাগত ১০-১২টি খেলা নিয়ে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে ক্রীড়াসংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেভাবে দেখলে ২০২৬-এ এই বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আবার পুরনো মডেলে ফিরতে চলেছে। তবে ১৯৬৬ থেকে অন্তর্ভুক্ত ব্যাডমিন্টনের বাদ যাওয়াটা সত্যিই বিস্ময়কর। অর্থাৎ, আগামী ’২৬-এর গ্লাসগো গেমসে কোনও র্যাকেট-স্পোর্টসই আর থাকছে না। ক্রমহ্রাসমান মডেলে রয়ে গেল অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, বক্সিং, জুডো, ট্র্যাক সাইক্লিং-সহ হাতেগোনা কয়েকটি স্পোর্টস ইভেন্ট।
…………………………………………………….
আরও পড়ুন সৌরাংশু-র লেখা: এক যে ছিল রাফা
…………………………………………………….
কিন্তু কেন প্রতিযোগিতা ফরম্যাটে এতটা পরিবর্তন করতে হল উদ্যোক্তাদের?
এর নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিশ্ব ও ক্রীড়া অর্থনীতির সাম্প্রতিক পরিবর্তন। ’২২-এর বার্মিংহাম গেমসের পর ’২৬-এর কমনওয়েলথ গেমসে আয়োজক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশকে। কিন্তু এ হেন বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনের খরচ তাদের প্রাথমিক অনুমান ২.৬ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সাত বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার স্পর্শ করায়, তারা স্বেচ্ছায় ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়ে হাত গুটিয়ে নেয়। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ২০৩০-এর পূর্ব-নির্ধারিত আয়োজক ছিল কানাডার আলবার্তা। অর্থনৈতিক কারণ দেখিয়ে তারাও ইতিমধ্যে গেমস আয়োজনে অনীহা প্রকাশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে ২০১৪-র কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক গ্লাসগো দায় নিতে এগিয়ে আসে; অনেকটাই ১২ বছর আগের গেমস উপলক্ষে নির্মিত তাদের পরিকাঠামোর ওপর নির্ভর করে। তবে মাত্র চারটি স্থানে ২৩ জুলাই থেকে ২ আগস্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ’২৬-এর কমনওয়েলথ গেমস; বাজেট বরাদ্দ সীমিত, তাই কাটছাঁট করে ওপরে উল্লেখিত ১০টি খেলাকে নিয়েই বসতে চলেছে আগামী কমনওয়েলথ গেমসের আসর। অর্থনৈতিক দিক থেকে গ্লাসগো-উদ্যোক্তাদের মূল ভরসা তিনটি– কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন থেকে পাওয়া অর্থ, অস্ট্রেলিয়া থেকে পাওয়া ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৮০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার আর বাকিটা বেসরকারি বিনিয়োগ।
যদিও উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের এই ন’টি খেলাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে গেমসের ক্রীড়াসূচির ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না; বার্মিংহাম পর্বেই গেমস ফেডারেশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে আগামী দিনে ১৫টি খেলা নিয়ে এই বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। কিন্তু ক্রীড়া-অর্থনীতি মহল প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কী অদূরভবিষ্যতে এই গ্লাসগো মডেলেই চলবে কমনওয়েলথ গেমস? ব্যাডমিন্টন, কুস্তি, হকি, টেবল টেনিসের মতো জনপ্রিয় খেলাকে বাদ দিয়েই! নাকি এই সীমিত মডেল সামগ্রিক কমনওয়েলথ গেমসের ভবিষ্যতের ওপরই প্রশ্নচিহ্ন ফেলে দিল, তা ভাবার বিষয়।
একসময় প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলো নিয়ে তৈরি হলেও, বর্তমানে কমনওয়েলথে যোগ দিয়েছে মোজাম্বিক, রোয়ান্ডার মতো বহু নতুন সদস্য। ’২২-এর গেমসে সবকটা মহাদেশ থেকে আসা মোট ৭৪টি দেশ অংশ নেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে, এই ব্যাপক ক্রীড়া-অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না কোনও দেশই। গত সাতটি গেমসের মধ্যে ছ’টিরই আয়োজক দেশ ছিল হয় গ্রেট ব্রিটেন, নয় অস্ট্রেলিয়া। একমাত্র ব্যতিক্রম ২০১০-এর ভারতের নয়াদিল্লি গেমস। এবার অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াও এক কথায় মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিয়ে সরে দাঁড়ানোয় কমনওয়েলথ গেমসে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ক্রমশ ডালপালা মেলতে শুরু করেছিল।
এখানেই বিশ্বের তাবড় ক্রীড়া অর্থনীতিবিদদের প্রশ্ন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিসরে কমনওয়েলথ গেমসের মতো বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পরিকাঠামো নির্মাণ ও সংগঠন করতে তো প্রায় অলিম্পিক আয়োজন করার সমতুল্য অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু ‘গ্রেটেস্ট স্পেক্টেটরস শো অন আর্থ’ হিসেবে দীর্ঘকাল প্রতিষ্ঠিত অলিম্পিকের পেছনে যে বড় স্পনসরশিপ রয়েছে ও তার হাই-ভোল্টেজ টেলিভিশন ও ইন্টারনেট প্যাকেজের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে আয়োজক যে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে থাকে, কমনওয়েলথ গেমসের প্যাকেজের বিক্রয়মূল্য তার ধারেকাছেও নয়। বড় স্পনসরশিপ ধরার ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতায় বহু পিছিয়ে কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ। একুশ শতকে আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রীড়া-প্রতিযোগিতার সংখ্যা বেড়েছে, যেমন সদ্য চালু হওয়া ইউরোপিয়ান গেমস বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে মহাদেশীয় বাজারে। বহুজাতীয় স্পনসর এশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপের মহাদেশীয় বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলোর প্রতি যে আগ্রহ দেখায়, কমনওয়েলথের প্রতি তার সিকিভাগও আর দেখাচ্ছে না। তাই গেমসের বাজেট হ্রাস পাওয়া অনিবার্য, ইভেন্ট সংকোচন তার জেরেই!
মহাদেশীয় ইভেন্টের পাশাপাশি বিভিন্ন স্পোর্টসের দলগত টুর্নামেন্ট আয়োজনও আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রচার সংস্থাগুলো বছরভর ব্যস্ত থাকে সেই ক্রীড়াসূচির প্যাকেজিং-এ। যেমন আগামী গ্লাসগো গেমসের দু’-সপ্তাহের মধ্যেই বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে শুরু হবে হকি বিশ্বকাপ। তাই গেমস থেকে হকি বাদ যাওয়ায় কোনও ক্ষতিই হবে না হকি খেলোয়াড়দের।
……………………………………………..
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………………………..
ক্রীড়াবিশ্বে এত পরিবর্তনের পরও কমনওয়েলথ গেমসের গুরুত্ব খানিকটা রয়েই যায়। অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, সাইক্লিং পাশাপাশি এবারও থাকছে প্যারা-অ্যাথলেটিক্স, প্যারা-সুইমিং, হুইলচেয়ার বাস্কেটবল, প্যারা-সাইক্লিং, প্যারা-বোলিং ও প্যারা-পাওয়ারলিফ্টিং। অর্থাৎ, প্রতিবন্ধী অ্যাথলিটদের ক্রীড়াদক্ষতা প্রকাশ করার মঞ্চ এখনও রয়েছে গেমসে। তবে বিশ্ব ক্রীড়াক্ষেত্র যে বাঁকে দাঁড়িয়ে, তাতে ভবিষ্যতের সাক্ষী মালিক, মনিকা বাত্রা, লক্ষ্য সেনদের বিকল্প পথের কথা ভাবতে শুরু করতে হবে। অলিম্পিক, এশিয়াডের প্রস্তুতি হিসেবে পাখির চোখ করতে হবে নিজ খেলার আঞ্চলিক, মহাদেশীয় ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপগুলোকে। গ্লাসগো উদ্যোক্তাদের সিদ্ধান্ত সেই অনিশ্চয়তারই আগামবার্তা বলা চলে।