পরের দিকে দু’-বছর অন্তর দেশে আসতাম। একবার এলে মাস তিনেক থাকতাম। ১৯৮৫ সালে পেরেস্ত্রৈকার শুরু হয়েছিল। পেরেস্ত্রৈকা শুরু হলে বুঝেছিলাম ‘প্রগতি’ ‘রাদুগা’– এসব কিছুই থাকবে না, কেননা বাজার অর্থনীতিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কোনও স্থান নেই। তখনই আমি দেশে ফিরে আসার কথা ভেবে রেখেছিলাম। আমার মেয়েরা তখন ছোট। রুশি স্কুলে পড়ত। তখনই আমি মেয়েদের ওখানকার ভারতীয় দূতাবাসের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়েছিলাম। কারণ শেষ পর্যন্ত তো আমাকে দেশে ফিরতেই হবে। এই শিক্ষা নিয়ে মেয়েরা দেশে গিয়ে স্কুল-কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। ওরা বাংলা বলতে পারে কিন্তু ভালোভাবে লিখতে পড়তে জানে না, হিন্দি তো একেবারেই জানে না, ইংরেজিও ঠিকমতো জানে না। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও মাটি কামড়ে আরও বছর কয়েক পড়ে ছিলাম।
৪২.
১৯৬৫-তে আমি যখন শিক্ষার্থী হয়ে মস্কোয় আসি, সেই সময় মস্কোর মৈত্রী ভবনের জনৈক কর্তাব্যক্তির সঙ্গে আমার খুব খাতির হয়ে গিয়েছিল। মস্কোর বাইরে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রজাতন্ত্রে বা অন্যান্য শহরে যখনই আমরা, রুশ ভাষার শিক্ষার্থীরা প্রমোদ ভ্রমণে যেতাম, তখনই মৈত্রী ভবনের তরফ থেকে আমাদের তত্ত্বাবধায়ক হয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে যেতেন। শিক্ষা সমাপনান্তে দেশে ফেরার পরও পাকাপাকিভাবে অনুবাদকের কাজে যোগদানের আগে পর্যন্ত যে কয়েকবার মস্কোয় গেছি, প্রতিবারই মৈত্রী ভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেছি। আমাকে তিনি আন্তরিক ভাবে গ্রহণ করেছেন, এমনকী আমাকে তিনি আপ্যায়নও করেছেন তাঁর অফিসঘরে। কর্মসূত্রে মস্কোয় আসার পর তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ আরও নিবিড় হয়। সপরিবারে আমার ফ্ল্যাটে এসে আমার আতিথ্যও গ্রহণ করে গেছেন। সেই সময় মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে লোককথা নিয়ে গবেষণা করার একটা সাধ আমার মনে জেগেছিল। সেই বিষয়ের উপকরণও আমার তৈরি ছিল। পিএইচডি-র জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম রেজিস্ট্রি করার ব্যাপারে তিনি আমাকে সাহায্য করতে পারেন কি না জানতে চাইলে, তিনি খুবই উৎসাহ প্রকাশ করলেন।
এরপর ওই অছিলাতেই সময় সময় আমাকে তাঁর অফিসে ডেকে পাঠাতেন। এক সময় তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন– ‘এখানে যে সমস্ত ভারতীয় ছাত্রছাত্রী পড়তে আসে তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কেমন।’ আমি সোৎসাহে বললাম– ‘যোগাযোগ ভালোই। আমার বাড়িতেও তাদের অনেকের যাতায়াত আছে, আমিও কখন-সখন ওদের হস্টেলে যাই।’ উনি বললেন– ‘ওদের মধ্যে যে সকলেই সোভিয়েত ভক্ত এমন নাও হতে পারে।’ আমি বললাম– ‘সে তো খুবই স্বাভাবিক।’ তিনি বললেন আমি যেন ওদের ওপর একটু নজর রাখি। আমি ‘হ্যাঁ’ ‘না’ কিছুই বললাম না। কিন্তু তারপর তাঁকে আর একবারও ফোন করিনি, তিনিও আমাকে ফোন করেননি। মস্কোয় এত বছর থাকার মধ্যে এরপর একবারও তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়তাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই ছাত্রাবাসে থাকতাম। বেশ কয়েকজন ভারতীয় বন্ধুবান্ধব সেখানে জুটে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই বাঙালি। এঁদের মধ্যে একজন দেখলাম খুব মিশুকে। গানবাজনা ভালো জানেন, বেশ আড্ডাবাজ। তাঁর সঙ্গে আমার ভালোই আলাপ হয়ে গিয়েছিল।
পরে যখন সেমিনারে যাই, তখন মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁর খোঁজ নিতে গেলে অন্য ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা বলল তিনি নাকি RAW-এর লোক, ওদের কাছে ধরা পড়ে গেছেন, তাই ওরা আর ওঁর সঙ্গে মেলামেশা করে না। আমি অবশ্য এর পরেও যেন কিছুই জানি না এমন ভাব দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে আগের মতোই মেলামেশা করেছি।
ভদ্রলোকের ব্যাপারটা প্রথম থেকেই সন্দেহজনক ছিল। দেশে মাস্টার ডিগ্রি করেন কমার্সে, এখানে গবেষণা করছেন রুশ সাহিত্য নিয়ে। দেশে থাকতেই নাকি রুশ ভাষা শিখেছিলেন। কোথায়? তিনি কলকাতার লর্ড সিনহা রোডের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম করলেন। বোধহয় মুখ ফসকেই বেরিয়ে গিয়েছিল। লর্ড সিনহা রোড জায়গাটাই তো সন্দেহজনক। ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের একটি দপ্তর তো সেখানেই!
আরও অনেক পরে এক সময়, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের পরপর পার্ক সার্কাসে আমার পাড়াতে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়। বেরিয়ে আসছিলেন সার্কাস এভিনিউতে অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি কমিশনারের অফিস থেকে, একেবারে মুখোমুখি দেখা। আমি তাঁকে আমার বাড়িতে নিয়ে গেলাম। ঠিক তখনই তিনি তাঁর আসল পরিচয় প্রকাশ করলেন। আপাতত ভারত সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশ সংক্রান্ত একটা বিশেষ কাজের দায়িত্বে আছেন। আক্ষেপ করে বললেন, শিক্ষকতার কাজ নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সংস্থা তাঁকে ছাড়ছে না। সে আক্ষেপ তাঁর আর কখনও ঘোচেনি।
মস্কোয় আমার এক ঘনিষ্ঠ ভারতীয় বন্ধুর সঙ্গে ঘোরাফেরা করে যেমন সাংবাদিক মহলের উঁচুতলার লোকজন বা সে দেশের সরকারি আমলাদের সঙ্গে, তেমনই সেখানকার ভূগর্ভ জগতের সঙ্গে কিঞ্চিৎ পরিচয়ের সুযোগ ঘটেছিল। পেরেস্ত্রৈকার কয়েক বছর আগের একটা ঘটনা বলি, একবার সে আমাকে যোগের গুরু সাজিয়ে মস্কোর এক শহরতলির কোন এক গোপন ডেরায় নিয়ে যায়। সেখানে যোগ এবং বিবেকানন্দের দর্শনে আগ্রহী বেশ কিছু তরুণ-তরুণীর সাক্ষাৎ মিলল। এরা নিজেদের উদ্যোগে বিবেকানন্দের অনেক লেখা ইংরেজি থেকে রুশ ভাষায় অনুবাদ করেছে; শুধু তাই নয়, টাইপ রাইটারে কপি করে গোপনে প্রচারও করেছে। পরবর্তীকালে, পেরেস্ত্রৈকার আমলে অবশ্য সেরকম প্রচারে কোনও বাধা ছিল না।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার মুখে তো মস্কোর বিভিন্ন এলাকা শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য ভক্তবৃন্দের দলে ছেয়ে গিয়েছিল। এরা সকলেই স্থানীয় রুশি– গৈরিক বসনধারী, মাথায় চৈতন। এদের মধ্যে মহিলাও ছিল। অধিকাংশই যুব সম্প্রদায়ের। মস্কোর কেন্দ্রস্থল আর্বাত অঞ্চলে সন্ধ্যাবেলায় খোল-করতাল বাজিয়ে এদের নগর সংকীর্তন হত, প্রসাদও বিতরণ করা হত। এই কৃষ্ণভক্তরা নিজেদের মধ্যে দেখা সাক্ষাতের সময় ‘কৃষ্ণ কৃষ্ণ’ বলে সম্ভাষণ জানাত। শুনেছি কাজাখস্তান, এমনকী, লিথুয়ানিয়াতে নাকি এদের দারুণ রমরমা হয়েছিল। সাধারণভাবে ধর্মীয় উন্মাদনার একটা জোয়ার খেলে গিয়েছিল। আমার পরিচিত এক রুশ মহিলা কলকাতা থেকে ফিরে এলেন কালীঘাটের কালীমূর্তির লকেট গলায় ঝুলিয়ে। কলকাতার সোভিয়েত দূতস্থানের তৎকালীন কনসাল জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে কলকাতার রাস্তায় ঝাড়ুও দিলেন।
একসময়, কলকাতায় থাকতে পার্ক স্ট্রিটের বাইবেল সোসাইটির কার্যালয় থেকে আমি জেনেভা থেকে রুশ ভাষায় প্রকাশিত এক কপি বাইবেল কিনেছিলাম। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কিছুদিনের জন্য রুশ ভাষায় শিক্ষকতার জন্য এদেশে আগত এক রুশ মহিলা আমার কাছে সেই বাইবেল দেখতে পেয়ে দারুণ উত্তেজিত। তাঁর আবেগ দেখে আমি তাঁকে সেটা উপহার দিয়ে দিই। পরে জানতে পাই, অনেক ঝুঁকি নিয়ে দেশেও নিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের দেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃস্থানীয় এক মহিলাকে জানি, যিনি ও দেশের কোন একজনের বিশেষ অনুরোধ তাঁর রুশি বান্ধবীর জন্য ক্রুশ চিহ্নের লকেট গলায় ঝুলিয়ে শাড়ির আড়ালে ঢেকে মস্কোয় নিয়ে গিয়েছিলেন।
আমি যে সময় বিবেকানন্দ চর্চার সেই গোপন ডেরায় গিয়েছিলাম, তখনও সেটা নিষিদ্ধ কার্যকলাপ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ বলেই গণ্য হত। আমি অবশ্য সেখানে বিশেষ কিছু বলিনি। কারণ দেখলাম এরা বিবেকানন্দ এবং যোগ সম্পর্কে অনেক বেশি জানে।
আমরা আবার আসব বলে সেদিনকারের মতো বিদায় নিলাম। কিন্তু আর যেতে হয়নি, পরে জানতে পারি বেআইনি কার্যকলাপের জন্য তারা গ্রেপ্তার হয়েছে।
এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর আমারও যেন গোত্রান্তর হয়ে গিয়েছিল। কেজিবি-কে ছাড়াতে পেরেছিলাম। কিন্তু মস্কোর কোনও এক বিদেশি দূতাবাসের জনৈক প্রতিনিধির অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারিনি। সেই দূতাবাসের জনৈক আধিকারিক আমাদের ধরে বসলেন: ওঁদের সংস্থার জন্য উল্লেখযোগ্য স্থানীয় পত্রপত্রিকা থেকে বা অন্য কোনও উপায়ে সংগ্রহ করা খবর নিয়মিত পরে ইংরেজিতে লেখা দিতে হবে। এর জন্য আমাকে উপযুক্ত দক্ষিণা দেওয়া হবে। আমি তখন কলকাতার একটি জাতীয় দৈনিকের মস্কোস্থ সংবাদাতা। কিন্তু সেখান থেকে টাকাকড়ি তেমন কিছু না পাওয়ায় বেশ আর্থিক সংকটের মধ্যে ছিলাম। মনকে এই বলে সান্ত্বনা দিলাম যে, গ্লাসনস্ত-এর দৌলতে দেশের সব কিছুই যখন প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে, তখন আর আপত্তির কী কারণ থাকতে পারে? এখানকার পত্রপত্রিকা থেকেই তো সংবাদ অনুবাদ করে ওদের হাতে তুলে দিচ্ছি। পরন্তু সেই সোভিয়েত দেশও নেই, পার্টিও নেই– এই বলে নিজের মনকে বুঝ দিয়ে আমি বিশেষ এক মহলের জন্য সাংবাদিকতার কাজে নেমে পড়লাম।
১৯৭৪ সালের এক গ্রীষ্মকালে কলকাতা ছেড়ে মস্কোয় গিয়েছিলাম। পাকাপাকিভাবে ফিরে এলাম ১৯৯৫ সালের এক গ্রীষ্মকালে। ওখানে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে ছুটিতে দেশে আসতাম।
পরের দিকে দু’-বছর অন্তর আসতাম। একবার এলে মাস তিনেক দেশে থাকতাম। ১৯৮৫ সালে পেরেস্ত্রৈকার শুরু হয়েছিল। পেরেস্ত্রৈকা শুরু হলে বুঝেছিলাম ‘প্রগতি’ ‘রাদুগা’– এসব কিছুই থাকবে না, কেননা বাজার অর্থনীতিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কোনও স্থান নেই। তখনই আমি দেশে ফিরে আসার কথা ভেবে রেখেছিলাম। আমার মেয়েরা তখন ছোট। রুশি স্কুলে পড়ত। তখনই আমি মেয়েদের ওখানকার ভারতীয় দূতাবাসের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়েছিলাম। কারণ শেষ পর্যন্ত তো আমাকে দেশে ফিরতেই হবে। এই শিক্ষা নিয়ে মেয়েরা দেশে গিয়ে স্কুল-কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। ওরা বাংলা বলতে পারে কিন্তু ভালোভাবে লিখতে পড়তে জানে না, হিন্দি তো একেবারেই জানে না, ইংরেজিও ঠিকমতো জানে না। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও মাটি কামড়ে আরও বছর কয়েক পড়ে ছিলাম।
’৭৪-এ যখন কলকাতা ছেড়েছিলাম, তখন আমার সঙ্গী ছিলেন সপরিবার কবি মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলদা সেই কবে ’৮০ সালে মস্কো ছেড়ে কলকাতায় চলে এসেছেন। এরপর ছুটিতে কলকাতায় এলে গড়িয়াহাটে ওঁদের কাছে গিয়ে দেখাও করেছি। তখন পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন অটুট ছিল। ওদেশে বেশ কয়েক বছর বসবাস করার ফলে সংসারে যে সমস্ত জিনিস জমেছিল, তার অনেকটাই সরকারি খরচে Container-এ করে উনি আনতে পেরেছিলেন। এমনকী, Container-এর Crate-এর যে কাঠ, তা দিয়ে টিভির ক্যাবিনেট এবং টুকটাক আরও কী সে সব আসবাবপত্র বানিয়ে নিয়েছিলেন তাও দেখালেন। কিন্তু আমি ছেড়ে এলাম একটা ভাঙা দেশ। সেখানে এসব খরচ আমাকে কে দেবে? তাই ওখানে গিয়েছিলাম যেমন খালি হাতে, তেমনই ফিরেও এলাম খালি হাতে। কিছুই সঙ্গে আনতে পারিনি। তাই কী?
…পড়ুন রুশকথা-র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৪১। কল্পনা যোশীর তুলনায় ইলা মিত্রকে অনেক বেশি মাটির কাছাকাছি বলে মনে হয়েছে
পর্ব ৪০। বেসরকারিকরণের শুরু দিকে রাস্তাঘাটে ছিনতাই বেড়ে গেছিল, কারণ সব লেনদেন নগদে হত
পর্ব ৩৯। হাওয়া বদলের আঁচ অনেকেই আগে টের পেয়েছিল, বদলে ফেলেছিল জীবনযাত্রা
পর্ব ৩৮। শুধু বিদেশে থাকার জন্য উচ্চশিক্ষা লাভ করেও ছোটখাটো কাজ করে কাটিয়ে দিয়েছেন বহু ভারতীয়
পর্ব ৩৭। একটা বিদেশি সাবানের বিনিময়েও নাকি মস্কোয় নারীসঙ্গ উপভোগ করা যায়– এমনটা প্রচার করেছে ভারতীয়রা
পর্ব ৩৬। মস্কোর ঠান্ডায় লঙ্কা গাছ দেখে পি.সি. সরকার বলেছিলেন, ‘এর চেয়ে বড় ম্যাজিক হয় নাকি?’
পর্ব ৩৫। রুশদের কাছে ভারত ছিল রবীন্দ্রনাথের দেশ, হিমালয়ের দেশ
পর্ব ৩৪। সোভিয়েত শিক্ষায় নতুন মানুষ গড়ে তোলার ব্যাপারে একটা খামতি থেকে গিয়েছিল
পর্ব ৩৩। দিব্যি ছিলাম হাসপাতালে
পর্ব ৩২। মস্কোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাধারণ ডাক্তাররা অধিকাংশই মহিলা ছিলেন
পর্ব ৩১। আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল শুধু আমার জন্য
পর্ব ৩০। শান্তিদা কান্ত রায়ের প্রিয় কাজ ছিল মস্কোয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিজম পড়ানো
পর্ব ২৯। পেরেস্ত্রৈকার শুরু থেকেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন গোপেনদা
পর্ব ২৮। দেশে ফেরার সময় সুরার ছবি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি গোপেনদা
পর্ব ২৭। বিপ্লবের ভাঙা হাট ও একজন ভগ্নহৃদয় বিপ্লবী
পর্ব ২৬। ননী ভৌমিকের মস্কোর জীবনযাত্রা যেন দস্তইয়েভস্কির কোনও উপন্যাস
পর্ব ২৫। ননীদা বলেছিলেন, ডাল চচ্চড়ি না খেলে ‘ধুলোমাটি’র মতো উপন্যাস লেখা যায় না
পর্ব ২৪। মস্কোয় শেষের বছর দশেক ননীদা ছিলেন একেবারে নিঃসঙ্গ
পর্ব ২৩। শেষমেশ মস্কো রওনা দিলাম একটি মাত্র সুটকেস সম্বল করে
পর্ব ২২। ‘প্রগতি’-তে বইপুথি নির্বাচনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে প্রায়ই খিটিমিটি বেধে যেত
পর্ব ২১। সোভিয়েতে অনুবাদকরা যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করত, সে দেশের কম মানুষই তা পারত
পর্ব ২০। প্রগতি-র বাংলা বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে ননীদাই শেষ কথা ছিলেন
পর্ব ১৯। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি খুব ভালো রুশভাষা জানতেন, প্রমথনাথ বিশী সাক্ষী
পর্ব ১৮। লেডি রাণু মুখার্জিকে বাড়ি গিয়ে রুশ ভাষা শেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার ওপর
পর্ব ১৭। একদিন হঠাৎ সুভাষদা আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে নিয়ে
পর্ব ১৬। মুখের সেই পরিচিত হাসিটা না থাকলে কীসের সুভাষ মুখোপাধ্যায়!
পর্ব ১৫। রুশ ভাষা থেকেই সকলে অনুবাদ করতেন, এটা মিথ
পর্ব ১৪। মস্কোয় ননীদাকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও বিদেশি, ভারতীয় নয়
পর্ব ১৩। যিনি কিংবদন্তি লেখক হতে পারতেন, তিনি হয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনুবাদক
পর্ব ১২। ‘প্রগতি’ ও ‘রাদুগা’র অধঃপতনের বীজ কি গঠনপ্রকৃতির মধ্যেই নিহিত ছিল?
পর্ব ১১। সমর সেনকে দিয়ে কি রুশ কাব্যসংকলন অনুবাদ করানো যেত না?
পর্ব ১০। সমর সেনের মহুয়ার দেশ থেকে সোভিয়েত দেশে যাত্রা
পর্ব ৯। মস্কোয় অনুবাদচর্চার যখন রমরমা, ঠিক তখনই ঘটে গেল আকস্মিক অঘটন
পর্ব ৮: একজন কথা রেখেছিলেন, কিন্তু অনেকেই রাখেননি
পর্ব ৭: লেনিনকে তাঁর নিজের দেশের অনেকে ‘জার্মান চর’ বলেও অভিহিত করত
পর্ব ৬: যে-পতাকা বিজয়গর্বে রাইখস্টাগের মাথায় উড়েছিল, তা আজ ক্রেমলিনের মাথা থেকে নামানো হবে
পর্ব ৫: কোনটা বিপ্লব, কোনটা অভ্যুত্থান– দেশের মানুষ আজও তা স্থির করতে পারছে না
পর্ব ৪: আমার সাদা-কালোর স্বপ্নের মধ্যে ছিল সোভিয়েত দেশ
পর্ব ৩: ক্রেমলিনে যে বছর লেনিনের মূর্তি স্থাপিত হয়, সে বছরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার সূচনাকাল
পর্ব ২: যে দেশে সূর্য অস্ত যায় না– আজও যায় না
পর্ব ১: এক প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে রাশিয়ার খণ্ডচিত্র ও অতীতে উঁকিঝুঁকি