আমার লেখার টেবিলের কথা শুনে আমার নোবেল এক্সেপ্টেন্স লেকচারে আমি এক অপ্রত্যাশিত অঘটন ঘটিয়েছি। বলেই চলেছি, বলেই চলেছি শুধু গাছের কথা! যে গাছেদের সঙ্গে কথা বলত আমার সহজ সরল মূর্খ গরিব দাদু-দিদা। যে গাছেদের তলায়, ছায়ায়, দয়ায় বড় হয়েছি আমি। যে গাছেদের ভাষা আমি বুঝি। যে গাছেদের সঙ্গে বলতে পারি কথা। সেই গাছেদের কথাই তো বলেছি সারাক্ষণ। কেন-না গাছই তো আমাদের পূর্বপুরুষ।
২১.
নোবেল প্রাইজ। সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ। কখনও আশা করেননি। ঘরের কোণে ছোট্ট টেবিলে বসে তাঁর মনের জটিল ভাবনার ভুবনটি খুলে দিয়েছেন তাঁর লেখায়। যা ঘটছে। ঘটেছিল। ঘটতে পারত। ঘটেনি। এবং না ঘটেও যা ঘটেছিল, ঘটছে, ঘটবে কোনও এক ভবিষ্যতে, যা আসলে বর্তমান এবং একইসঙ্গে ভবিষ্যৎ!
মানুষটির ধারণা, যে মানুষটি লেখার মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকে, তাকে গিলে ফেলে তার লেখার টেবিল! এমনই ধারণা তাঁর, সেই মানুষ লিখতে লিখতে কখন হারিয়ে ফেলেছে বর্তমান-অতীত-ভবিষ্যতের আলাদা আলাদা পরিসর, যে মানুষের লেখায় ভাবনা, ঘটনা, প্লট, চরিত্র, গল্পপ্রবাহ সব ভাসছে তারল্যে, গলনে, লিকুইডিটিতে, সেই লেখক হোসে, হোসে সারামাগো শেষ পর্যন্ত নোবেল প্রাইজ পেলেন। আর অমনি আকাশ ভেঙে পড়ল তাঁর মাথায়!
নোবেল প্রাইজ পাওয়ার সঙ্গে একটি দেওয়া জড়িয়ে আছে। ‘দেয়ার ইজ নো ফ্রি ডিনার ইন দ্য ইউনিভার্স’। কিছু পেলে, কিছু দিতে হয়। হোসে সারামাগোকে দিতে হবে সারা বিশ্বের উদ্দেশে তাঁর নোবেল লেকচার। কিন্তু কী বলবেন? কোন নতুন কথা শোনাবেন? লেখার টেবিলের সামনে চুপ করে বসে মদ খাচ্ছেন সারামাগো। আর ক্রমাগত মনে পড়ছে তাঁর বহু পুরনো ঠাকুরদাকে।
অনেক অনেক দিন আগের কথা। হোসে সারামাগো, ছোট্টো সারামাগো, গরিব সারামাগো বসে আছেন ঘরের দাওয়ায় গরিব দাদুর সঙ্গে। দাদু তাকিয়ে আকাশের দিকে। সারামাগো দাদুর পাশে বসে আকাশ দেখছে। সব মনে পড়ছে তাঁর।
দাদুর কথা মনে হতেই সারামাগোর মনে পড়ে গরিব বুড়ি সরল সহজ ঠাকুমাকে। এই মানুষ এখন যাদের চারপাশে দেখছি, সব রংবেরঙের মুখোশ পরে লোক ঠকাচ্ছে আর সিঁড়ি বেয়ে ক্রমাগত উঠছে নামছে গড়িয়ে পড়ছে মুখ থুবড়ে কিংবা জাঁকিয়ে বসছে দ্যাখানেপনার জীবনে, আমার বুড়ি গরিব ঠাকুমা কিন্তু তাদের একজন নয়। আর তখনই আমার লেখার টেবিলটা আমাকে বলল, ‘সারামাগো তুমি তোমার নোবেল লেকচারে ঠাকুমার কথা বলতে ভুলে যেও না, কেমন?’ আর আমি বললাম, ‘আচ্ছা, ভুলব না। আমি নিশ্চয় বলব আমার নোবেল অভিভাষণে দাদুর মৃত্যুর পরে আমাদের গরিব ঘরের দাওয়ায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে ঠাকুমা একদিন আমাকে বলেছিল, আকাশের ওই অসংখ্য ছোট-বড় তারা আর নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে, অসীম সারল্যে বলেছিল, যে সরলতা কোনও এক সময়ে পৃথিবীতে ছিল, যদিও ঠিকঠাক বলতে পারব না কবে ছিল আর কবে থেকে নেই, সেই আদিম সারল্যে উচ্চারণ করে ছিল এই ক’টি কথা: এই পৃথিবীটা কী সুন্দর অথচ আমাকে এখন থেকে বিদায় নিতে হবে!’
………………………………………………..
দারিদ্রর সঙ্গে লড়াই করতে করতে বেশি লেখাপড়া করতে পারিনি। তবে লিখতে শিখলাম অনুবাদ করতে করতে। অনুবাদ করতে লাগলাম হেগেল, বোদলেয়র, মোপাসাঁ, তলস্তয়। অনুবাদ করে পয়সা পাচ্ছিলাম। খেতে পাচ্ছিলাম। আর অনুবাদ করতে করতে একটা বড় জরুরি জিনিস শিখলাম। কী করে লিখতে হয় শিখিনি। আমি কী করে লিখব না– তাই শিখলাম। এই লেখকরা সবাই বাস্তবের দাসত্ব করেছে। আর দাসত্ব করেছে ঘড়ি ধরে চলা চেনা সময়ের। আমি রিয়েল টাইমের মুখে তুড়ি মেরেছি আমার লেখায়। আমি বাস্তবকে নিয়ে গিয়ে ফেলেছি তরল সময়-সমুদ্রে।
………………………………………………..
আমি লেখার টেবিল থেকে ঘরের জানলা দিয়ে বাইরে আকাশের পানে তাকাই। এখন তো আমার নামডাক, টাকা-খ্যাতি সব কিছু হয়েছে। কিন্তু আকাশের ওই সূর্য-তারার ভিড়ে আমি কোথাও নেই। আমার টাকা-পয়সা, খ্যাতি-নামডাক কিছুই পৌঁছয়নি ওইখানে, পৌঁছেছে আমার ঠাকুরদা-ঠাকুমা ওইখানে, নক্ষত্র আর তারাদের যাত্রায়, যেখানে আমাদের ঘড়ির সময়ের কোনও হিসেব খাটে না, যেখানে নির্ধারিত সময় বলেই কিছু নেই, যেখানে কোটি কোটি আলোকবর্ষ অনির্ণেয় সময় নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সহবাস করছে, যেখানে বর্তমান গলে যাচ্ছে অতীতে, অতীত ঢেউ তুলছে ভবিষ্যতে, যেখানে ভবিষ্যৎ নিশ্চিন্তে নিদ্রায় অতীতের কোলে, যে আকাশের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত আমার ঠাকুরদা জেরোনিমো, মাঠে-ঘাটে শুয়োর চরানো বন্ধ করে।
আমার এই মূর্খ শুয়োর-চরানো ঠাকুরদা, ওই অদ্ভুত মানুষটা, যার নাম আগেই বলেছি, জেরোনিমো, সেই মানুষটা যেদিন বুঝতে পারল, মৃত্যু তাকে নিয়ে যেতে আসছে অনেক দূরের কোনও আলো বা অন্ধকারে, যেখানে চরানোর মতো কোনও শুয়োর আছে কি না, তার জানবার উপায় নেই, এবং সেখানে সময় বলেও কিছু আছে কি না, তাই বা জানবার উপায় কী, কখন শুয়োরদের চরাতে যাবে আর চরিয়ে ফিরবে, এসব ঠিক করবে সে কীভাবে, তখন সেই মানুষ, জেরোনিমো, আমাদের বাড়ির, সেই প্রাচীন গরিব বাড়ির উঠোনের গাছগুলোর কাছে গিয়ে, তাদের গায়ে হাত দিয়ে বিদায় জানিয়েছিল। ওদের আদর করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ছিল। কারণ, ইচ্ছে করলেও অনেক অনেক দূর থেকে, অন্য কোনও সময়ের রাজত্ব থেকে ওদের কাছে ফিরে আসতে কী সহজে পারা যাবে?
এই সময়, ঠিক এইখানে, আমার লেখার টেবিলটা আমার মনের মধ্যে ঢুকে আমাকে বলল, “সারামাগো, তোমার নোবেল অভিভাষণে লিখতে ভুলো না, গরমকালের রাতে, খাওয়া শেষ হলে, তোমার ঠাকুরদা বলত, ‘হোসে, আজ রাতে আমরা সবচেয়ে বড় গাছটার তলায় শুতে যাব।’ সেজন্যেই তো তুমি গাছের সঙ্গে কথা বলতে, তাদের কথা বুঝতে শিখলে।”
তখন আমি কত ছোট। আমার ঠাকুরদা-ঠাকুমা কোনওদিন জানতেও পারেনি, আমি সত্যি একদিন আলোকবর্ষ-দূরত্ব পেরিয়ে এইসব লেখায় পৌঁছতে পারব! মাঝে মাঝে, নানা সময়ে প্রশ্ন করি নিজেকে, আমিই কি লিখেছি এই সব লেখা: ‘The Cave, Seeing, The Stone Raft, Blindness, The Gospel According to Jesus Christ, The Year of Death of Ricardo Reis, Raised from the Ground?’ আমার লেখার টেবিলটাকে প্রশ্ন করে কোনও উত্তর পাইনি।
সেই কবে জন্মেছিলাম, ১৯২২ সালের ১৬ নভেম্বর। জন্মেছিলাম পর্তুগালের লিসবনে। তবে এখানে থামলে মিথ্যে বলা হবে। আমি জন্মেছিলাম এমন এক অজ পাড়াগাঁয়ে, যার হদিশ পৃথিবী জানে না। সে এক খুব গরিব গ্রাম। নাম তার রিবাতেজো। দারিদ্রর সঙ্গে লড়াই করতে করতে বেশি লেখাপড়া করতে পারিনি। তবে লিখতে শিখলাম অনুবাদ করতে করতে। অনুবাদ করতে লাগলাম হেগেল, বোদলেয়র, মোপাসাঁ, তলস্তয়। অনুবাদ করে পয়সা পাচ্ছিলাম। খেতে পাচ্ছিলাম। আর অনুবাদ করতে করতে একটা বড় জরুরি জিনিস শিখলাম। কী করে লিখতে হয় শিখিনি। আমি কী করে লিখব না– তাই শিখলাম। এই লেখকরা সবাই বাস্তবের দাসত্ব করেছে। আর দাসত্ব করেছে ঘড়ি ধরে চলা চেনা সময়ের। আমি রিয়েল টাইমের মুখে তুড়ি মেরেছি আমার লেখায়। আমি বাস্তবকে নিয়ে গিয়ে ফেলেছি তরল সময়-সমুদ্রে। আমি ভগবানের সমসমান হয়ে অন্য এক ভুবন নির্মাণ করেছি। যেখানে অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ, সব মিশে আছে পরস্পরের ম্যাজিক-আশ্রয়ে।
এবার একটি স্বীকারোক্তি আছে। আমার লেখার টেবিলের কথা শুনে আমার নোবেল এক্সেপ্টেন্স লেকচারে আমি এক অপ্রত্যাশিত অঘটন ঘটিয়েছি। বলেই চলেছি, বলেই চলেছি শুধু গাছের কথা! যে গাছেদের সঙ্গে কথা বলত আমার সহজ সরল মূর্খ গরিব দাদু-দিদা। যে গাছেদের তলায়, ছায়ায়, দয়ায় বড় হয়েছি আমি। যে গাছেদের ভাষা আমি বুঝি। যে গাছেদের সঙ্গে বলতে পারি কথা। সেই গাছেদের কথাই তো বলেছি সারাক্ষণ। কেন-না গাছই তো আমাদের পূর্বপুরুষ। আমি বলেছি, আমার নোবেল লেকচারে, লেখার টেবিল আমার মধ্যে যে চেতনা ফুটিয়ে তুলল তারই সাহায্যে, হে বৃক্ষগণ, আমার প্রাক্পুরুষেরা, হে আদিম মহীরুহের সারি, যারা মাটির যাবতীয় রসদ শুষে নিচ্ছে নিয়ত, যারা বাতাসে রোদ্দুরে পুষ্ট হচ্ছে, যারা বিপুল ডালপালা আলোয় মেলে পৃথিবীর গভীর অন্ধকারে প্রবল প্রসারে প্রোথিত করেছে শিকড়, তারাই আমার অন্তহীন বান্ধব। বৃক্ষরাই আমাদের শেখায় সময়ের বিচারে অনেক কিছু গ্রহণ ও বর্জন করতে, শেখায় বৃক্ষ থেকে বোধিবৃক্ষে উত্তীর্ণ হতে নির্মাণ এবং বিনির্মাণের চিরায়ত পথে। বৃক্ষের কাছেই চিনতে শিখি আমরা কখন জীবনে ডালপালা ঝরানোর সময় এল। আর কখন কার নবপত্রে সেজে ওঠার সময়। হে বৃক্ষরা, তোমরাই কালক্রমে আমাদের কালবৃক্ষ। সময় নির্ধারণের আমাদের আর কোনও উপায় নেই।
এরপর দুম করে সরে যাচ্ছেন হোসে সারামাগো একেবারে অন্য একটি বিষয়ে। কিন্তু সত্যিই কি সরে যাচ্ছেন? দেখা যাক:
একটা পুরোনো ছবি। আমার বাবা-মায়ের। দু’জনেই দাঁড়িয়ে। যুবক-যুবতী। ক্যামেরার দিকে মুখ। লাজুক কিন্তু ঋজু। ডানদিকে ঝুঁকে একটা উঁচু স্তম্ভকে ধরে আমার মা। হাতে ফুল। বাবার হাত মায়ের কাঁধে। এমনভাবে, বাবার হাত যেন মায়ের একটা শক্ত ডানা। ওরা দাঁড়িয়ে ফুল, ফল আঁকা কার্পেটের ওপর। পিছনে নিও-ক্লাসিক্যাল স্থাপত্যের অস্পষ্ট ইঙ্গিত।
একদিন আসবে যেদিন আমার সব কিছু বলা হবে। আমার কাছে ছাড়া সেই সব কথার মূল্য হত নেই। আমার এক পূর্বপুরুষ উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছিল। আর এক পূর্বপুরুষ, সে শুয়োর চরাত। আমার ঠাকুমা সুন্দরী। আমার বাবা রাশভারী। আর আমার মা, হাতে ফুল ধরা। জীবনের কাছে এর চেয়ে আর বেশি কী চাইতে পারি?
এই আমার পারিবারিক পরিচয়ের মহীরুহ। নিশ্চিত আশ্রয়। এই বৃক্ষটির কাছ থেকেও পালানোর পথ নেই।
যে মানুষগুলি আমার প্রিয় আপনজন ছিলেন, তাদের প্রতি এই তর্পণের মধ্যে দিয়েই বলার চেষ্টা করলাম কীভাবে হয়ে উঠেছি এক দীর্ঘ নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্যে আজকের হোসে সারামাগো।
………………………………………..
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………..
শেষ পর্যন্ত আমি কিন্তু ভ্রান্ত! কেন-না প্রজননতত্ত্ব কিংবা জেনেটিক্সের ব্যাখ্যা সমস্ত নির্মাণের শেষ কথা নয়। কোনও ব্যাখ্যার অতীত মায়াজাল অগোচরে ঘটিয়ে চলে আশ্চর্য ম্যাজিক রিয়েলিটি। বাস্তব হয়েও যেন জাদু। আমরা গাছের মতোই শেষজন্ম রহস্যের অন্ধকার থেকে গ্রহণ করি নিজের নিজের স্বতন্ত্র রসায়ন। সম্ভব কি সেই রসায়ন– নিবিড় আলোকিত করা?
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল