একথা আমি বলতে চাইছি না যে, এই সিরিজ স্বাধীনতার লড়াই। বলতে চাইছি না, জবাব দেব ক্রিকেট দিয়েই। কেবল একথা বলতে চাইছি– এই ইতিহাস বাদ দিয়ে আমি বর্তমানকে দেখতে চাই না। লর্ডসের ব্যালকনিতে স্টোকস বা ম্যাককালাম যখন সফেদ জুতো তুলে রাখে তার মধ্যে এক ঔদ্ধত্য আছে। নিজের খেলার ধরনের প্রতি বিশ্বাসের চেয়েও বড় অন্যের প্রতি অবজ্ঞা। তার প্রকাশ আছে ইংল্যান্ডের সমর্থক গোষ্ঠী বার্মি আর্মির ফেসবুক পোস্টে। আমরা অপরাজেয়। তোমারা খাটো। এই তোমরা কারা? শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেট দল নয়। এই ‘তোমরা’-র মধ্যে আমাদের ইএমআই জীবন আছে। আছে জীর্ণ মেরুদণ্ডের মিউমিউ শব্দ। এরই মাঝে যখন গিল সময় নষ্টের জন্য জ্যাক ক্রলি-কে স্লেজ করেন, সে জয় আমারও। হয়তো থ্যানথ্যানে আবেগ পরিচালিত মনের এই জয়। তবু যা ঘটে মনে, তা অস্বীকার করি কী করে!
পাহাড়ের শীর্ষে পৌঁছনোর ঠিক আগে পর্বতারোহীর মনে কী হয় আমার জানা নেই। আমি অরণ্য-ঘেরা খাটো পাহাড়ের পর্যটক মাত্র। দুধসাদা বরফ পাহাড় আমার ভালোও লাগে না। আমি আরোহীর সেই মনকে বুঝি আনন্দের তুঙ্গ মুহূর্ত দিয়ে। সে এমন এক সময়, মন মাথায় রিনরিনে হাওয়া বয়ে যায়। আনন্দ শৃঙ্গে পৌঁছনোর ঠিক আগে আমার এক ধরনের ঔদাসীন্য কাজ করে। ছুঁয়ে ফেললেই ফুরিয়ে যাবে। তার চেয়ে এই বেশ তো! এক দোদুল্যমান রাতের আড্ডায় বান্ধবী, প্রেমিকা হলেন। উল্লাস, আনন্দ। অথচ পরদিন সকালে তার মেসেজ ইনবক্সের সামনে বসে আছি চুপ করে। যেমন বসেছিলাম, পঞ্চম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলার হাইলাইটসের কাছে। জমানো থাক। দেখে ফেললেই জয়ের বোধ উবে যাবে না তো! এসব জমিয়ে রাখা জয় আমাদের। অ্যান্ডারসন তেণ্ডুলকর ট্রফি। ভারত ইংল্যান্ড সিরিজ ড্র করেছে। আসলেই কি ড্র? নাকি এর ভেতরে আছে বিজয় উল্লাসও? তারও গোপনে আছে ইংল্যান্ডের পরাজয়। এ কোনও ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা নয়। আবেগ দ্বারা চালিত বোধ। কোনও কোনও সিরিজ আবেগের লকগেট খুলে দেয়। মনে হয় চিৎকার করি। কারণ এ জয় ব্যক্তিগত। দেশ রাষ্ট্র পেরিয়ে যেন নিজের সঞ্চয়। অনায়াসে আসা কোনও অনুদান বা স্তুতি নয়। এর কেন্দ্রে আছে হার-না-মানা লড়াই।
৫৫ মিনিট! শেষদিনের অন্তিম ৫৫ মিনিটের খেলা সব খবরের শীর্ষে। সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ-র অতিমানবিক স্পেল। ওকসের এক হাতে ক্রিজে আসা। জুরেলের রান আউট মিস। এই বুঝি হেরে গেলাম। তরী ডুবে যায় বুঝি। টেস্ট ক্রিকেট ছাপিয়ে এই এক ঘণ্টা যেন সুনিপুণ চিত্রনাট্যকারের লেখা কোনও ওয়েব সিরিজের এপিসোড। সেদিন দুপুরে আমি নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলাম। ইংরেজিতে যাকে বলে কান্ট্রি সাইডে। সরাসরি খেলা দেখিনি। জানি না দেখতে পারতাম কি না। এর আগে দু’বার আমাদের হার দেখেছি, ৩৭০ রানের ওপর চেজ করেছে ইংল্যান্ড। আগের বারের এজবাস্টন। আর এই সিরিজের প্রথম টেস্ট। হেডিংলে। আমাদের অসহায় আত্মসমর্পণ। এই আমার মতো বহু ক্রিকেট দর্শক প্রথম টেস্টের পর আক্রমণ করেছি ভারতীয় দলকে। পাটা পিচ বলে ব্যাটে রান আছে। কিন্তু বোলিং তথৈবচ। সিরিজ হার সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু পঞ্চম টেস্টে নিজেদের অতিক্রম করেছে ভারতীয় দল। চতুর্থ দিনে রুটের আউট হয়তো বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছিল। তবু এ-বিশ্বাস ধরে রাখা, জিতব। মাত্র ৩৫ রানের পুঁজি নিয়ে পঞ্চম দিনে বল করতে আসা, একথা ভাবলে রোমাঞ্চ হয়। সিরাজকে নিয়ে বহু কথা হয়েছে এই ক’দিনে। বুমরাহীন দলে সিরাজকে, গ্লেন ম্যাকগ্রা-র মতো মনে হয়েছে সুনীল গাভাসকরের। ক্রিকেট ইতিহাসের অভাবনীয় স্পেল নিঃসন্দেহে। তবু বারবার মনে হয় ব্যক্তি ছাপিয়ে দল। একা নয়, সমগ্র। কারণ ওই ৫৫ মিনিটের নির্মাণ ছিল এই সিরিজের আগের ২৪ দিনের খেলায়। আর কে না জানে, থিয়েটারে ভালো ‘শো’-এর থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ‘রিহার্সাল’। প্রতিটা রিহার্সাল আসলে একটা শো।
১৬০৮ সালে ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আসে। ১৬১১-তে প্রথম কারখানা খোলে। ১৬১৪-তে পরবর্তী কারখানা। অন্ধ্রপ্রদেশে এবং সুরাটে। ইতিহাসের উত্তর লিখতাম, বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ডে রূপান্তরিত হয়ে গেল। না-বুঝেই লিখতাম। ‘মানদণ্ড’ শব্দের অর্থ পরে বুঝেছি, ওজন যন্ত্র। আমাদের মাপের জীবন। বেহিসেবি হওয়া আমাদের মানায় না। পাড়ার মুদির দোকানে গেলেও মা বলে ‘সাবধানে যা!’ কীসের ভয়? কী থেকেই বা সাবধান? জানা নেই। কারণ এই ভয় আমাদের শরীরে বয়ে চলেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। প্রথমে রাজার শাসন। খণ্ড খণ্ড প্রদেশ। পরবর্তীতে ভিনদেশি রাজার আক্রমণ। যেখানে মানুষ আসলে প্রজা। তবে স্থায়ী রাজত্ব করে যায় ব্রিটিশরা। নিশ্ছিদ্র গ্রাউন্ড প্ল্যান সমেত। কেরানির জন্ম হয়। ইংরেজি কেবল ভাষা মাত্র নয়। আমার শিক্ষার মানদণ্ড। এসব স্থির হয়েছিল ২০০ বছরের শাসনে। না, একথা আমি বলতে চাইছি না যে, এই সিরিজ স্বাধীনতার লড়াই। বলতে চাইছি না, জবাব দেব ক্রিকেট দিয়েই। কেবল একথা বলতে চাইছি– এই ইতিহাস বাদ দিয়ে আমি বর্তমানকে দেখতে চাই না। লর্ডসের ব্যালকনিতে স্টোকস বা ম্যাককালাম যখন সফেদ জুতো তুলে রাখে তার মধ্যে এক ঔদ্ধত্য আছে। নিজের খেলার ধরনের প্রতি বিশ্বাসের চেয়েও বড় অন্যের প্রতি অবজ্ঞা। তার প্রকাশ আছে ইংল্যান্ডের সমর্থক গোষ্ঠী বার্মি আর্মির ফেসবুক পোস্টে। আমরা অপরাজেয়। তোমারা খাটো। এই তোমরা কারা? শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেট দল নয়। এই ‘তোমরা’র মধ্যে আমাদের ইএমআই জীবন আছে। আছে জীর্ণ মেরুদণ্ডের মিউমিউ শব্দ। এরই মাঝে যখন গিল সময় নষ্টের জন্য জ্যাক ক্রলি-কে স্লেজ করেন, সে জয় আমারও। হয়তো থ্যানথ্যানে আবেগ পরিচালিত মনের এই জয়৷ তবু যা ঘটে মনে, তা অস্বীকার করি কী করে!
***************************************************
আমি জানি না এরপরও টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়বে কি না! কারণ এরপরও আমরা খেলার টুকরো দেখব এক মিনিট বা ৩০ সেকেন্ডের রিলে। সব টুকরো ছবি। সম্পূর্ণ নয়। উপন্যাসের স্ক্রিনশট মাত্র। উপন্যাস নয়। তাই এই দেশে জাতীয়তাবাদের হাতিয়ার হতে পারে ক্রিকেট। কিন্তু রসিক জানেন ক্রিকেট এসবের ওপরে। বির্বতন আর সভ্যতার গতি আলাদা। আমরা যেন দুটোকে মিলিয়ে না ফেলি। সভ্যতা বলবে ছুটে যাও। এক্ষুনি দেখে এসো। বির্বতন জানে সময় লাগে। রোসো বাপু। একটা ঘণ্টা একটু দেখেনি। বলের পালিশ আগে উঠুক। টি-২০ তাই টেস্টের বিকল্প নয়। ঝালমুড়ি কখনও সেদ্ধ ভাত মুছে দিতে পারে!
***************************************************
এমন নয় যে কেবল ব্রিটিশ শাসনই আমাদের জীবন নড়বড়ে করে দিয়েছিল। তারপর আমরা প্রজা থেকে ভোটার হয়েছি। আমরা কেবল ভোটের লাইনে দাঁড়াব, আর জীবন দেখে নেবেন নেতারা। তাই শিক্ষার সংস্কারের জন্য যে কমিটি হয় তাতে থাকেন দুজন বড় ব্যবসায়ী। পুঁজিপতি। বিড়লা এবং আম্বানি। সেই তো, তাঁদের থেকে ভালো শিক্ষার সংস্কার আর কারাই বা বুঝবেন! শিক্ষার বাজার উন্মুক্ত হয়। কর্পোরেটের হাতে শিক্ষা আসে। এই সিরিজের সঙ্গে এসব কথার কী যোগ? হয়তো যোগ আছে। আমাদের হেরোর জীবন। আমরা ভাবি আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রণে। অলক্ষ্যে কোন ম্যাজিশিয়ান তাসের খেলা দেখাচ্ছেন। তিনিই স্থির করে দিচ্ছেন আমরা কোন তাসটা তুলব। এসব কথা মনে পড়ে যায় কোন কোন জয়ে। ধরা যাক আকাশদীপের ৬৬। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নেমে পরের দিন প্রায় একটা গোটা সেশন কাটানো। গিল বলছেন শতরানের চেয়ে কিছু কম নয়। সে রান বাদ দিলে আমরা হেরে যাই। ওয়াশিংটন সুন্দরের টেল-এন্ডার ঘাড়ে করে অর্ধশতরান ভুলি কী করে? এসব অসম লড়াই। অবিশ্বাস্য। কদাচিৎ ঘটে। হাওড়া লাইনের মেন ট্রেনে যাতায়াত করে প্রৌঢ় হয়ে যাওয়া আমার নিশ্চুপ বাবার কথা মনে হয়৷ হয়তো তার হাতিয়ার চুপ করে থাকা। এমন কিছু ইনিংস তাদের হয়ে সশব্দে ফেটে পড়ার দিন। এই যে কোন এক মাতব্বর বলে দেবেন ডিএ পাওয়া কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার কি না তা নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা এর উত্তরে কিচ্ছু বলব না। কারণ আমাদের বলে ওঠার অভ্যাস চলে গেছে। ভাড়ার বাইকে চেপে কাজে চলে যেতে হয় তাই। আর মাথার মধ্যে ঘোরে সিরাজের শেষ ইয়র্কার। বোল্ড এটকিন্সন। তার মধ্যে আমিও ঢুকে পড়ি। ঢুকে পড়ে আমার ব্যক্তিগত জীবন। কারণ কোনও কোনও জয় ব্যক্তিগত। একেবারে নিজের।
আমাদের অবতারবাদের দেশ। সে কোনও-না-কোনও লোকনাথ বাবা, সাঁই বাবা অথবা শচীন তেন্ডুলকার। কেউ এসে আমাদের জীবন ঠিক করে দিয়ে যাবে। যেমন শ্রীকৃষ্ণ। এই উপমহাদেশে ক্রিকেট উগ্র জাতীয়তাবাদের হাতিয়ার। জাতীয়তাবাদের বড়ি প্রয়োজন কারণ এই পোড়া দেশে সমস্যার অন্ত নেই। তাই যুদ্ধ-পরবর্তী অবস্থান আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলব না। এই আমাদের মোক্ষম জবাব। আমাদের নিজস্ব পিঠ চাপড়ানি। বোধকরি এই উগ্রতার ডাকনাম ‘বাজবল’। জোর করো। মারো। ভেবলে দাও। ডাকাতি করতে এসে দুম করে খুন করে দাও। রক্ত দেখে বেসামাল পরিবার। তারপর লুঠ। এর বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট। যেখানে পূর্ব পরিকল্পনা থাকে বটে, কিন্তু যে বলের যেমন যোগ্যতা তাকে সেভাবে খেলো। এই যে বলছিলাম অবতারবাদ, ভারতীয় ক্রিকেটে– এই সিরিজ তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে। একজন নয়। একটা দল লড়ছে। মাঝে লর্ডসের হার আছে। ২০০ রানের কম চেজ করতে গিয়ে হার আছে। তারপরও আছে চতুর্থ টেস্টে হার না মানা জাদেজা, সুন্দরের লড়াই। মানে লেগেছিল বাবু বেন স্টোকসের। হয়েছে হয়েছে, এ খেলা ড্র। হাত মেলাও। দুই বোলার আবার সেঞ্চুরি করবে কী! সে হ্যান্ডশেক বিতর্কের কথা সবাই জানেন। তাই পিছলে যাওয়া পঞ্চম টেস্টে জয়, অনেক কিছুর উত্তর। বিদেশের মাটিতে আমাদের অসহায়তা থেকে উঠে দাঁড়ানো। এই সিরিজে ড্র, প্রকৃতপক্ষে সিরিজ জয়।
২০০৩ সালে আমি কিশোর। এক অদম্য বাঙালি ভারতের অধিনায়ক। সেবার পারিনি বিশ্বকাপ জিততে। অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১১ অবধি। সৌরভ ততদিনে ধারাভাষ্যকার। সেই ২০০৩-এ বুঝেছিলাম বেদনা কী! কৈশোরে আর কিছু ঘটেনি তার আগে যা দিয়ে বিষন্নতা বুঝব। সারা সকাল ধরে তেরঙা আবির মেখে ঘুরেছি। সেসব মুছে গেছিল অস্ট্রেলিয়ানদের দাপটে। তারপর থেকেই দেখেছি হার মেনে নেওয়ার অভ্যাস হয়েছে। ২০০৭– অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে টানা আটখানা টেস্টে পরাজয়। অধুনা ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার। তালিকা দীর্ঘ। দুটো ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ তো আছেই। মাঝে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে জয় আছে অবশ্য। তবু এই জয় আমার কাছে বিশেষ, কারণ দ্রুততার বিরুদ্ধে স্থৈর্যের জয়। ব্রিটিশদের বাজবলের পরও পাঁচ টেস্টে পাঁচদিন করে খেলা হয়েছে। চোট সমস্যা, শ্রেষ্ঠ বোলারকে পাঁচ টেস্টে না-পাওয়া– এরপরও একটা তরুণ ভারতীয় দল পেরেছে। বাজবল ছোঁয়াচে রোগ। না-হলে রুট নিজের খেলা বদলে ফেলেন! রুট বিরাট ব্যাটসম্যান বলে তা নিজে আয়ত্ত করেছেন। এবং এত এত রান করেছেন। সেই বাজবল কল্যাণেই ইংল্যান্ড হঠাৎ ভেঙে পড়ে। ব্রুক আউট হওয়ার পর আর ৭১ চাই। পারেনি ইংল্যান্ড। বারবার একটাই কথা মনে হয় সাদা জার্সি লাল বলের ক্রিকেটের একটাই কথা– ধৈর্য। এ কোনও ফাটকা টি-২০ নয়৷ শেষ পর্যন্ত হার-না-মানা সংগ্রাম। তাই দুটো ছবি এই সিরিজের হাইলাইটস। আহত পন্থ এবং পরবর্তীতে ওকস ব্যাট করতে নামছেন। দল নির্বিশেষে সেখানে জেতে ক্রিকেট। এমন সিরিজ প্রমাণ করে দেয় টেস্ট পাঁচদিনেরই খেলা। তা কমিয়ে দেওয়ার যে ভাবনা ইতিউতি ঘুরে বেড়ায় তা ভাসিয়ে দেওয়া দরকার। আমি জানি না এরপরও টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়বে কি না! কারণ এরপরও আমরা খেলার টুকরো দেখব এক মিনিট বা ৩০ সেকেন্ডের রিলে। সব টুকরো ছবি। সম্পূর্ণ নয়। উপন্যাসের স্ক্রিনশট মাত্র। উপন্যাস নয়। তাই এই দেশে জাতীয়তাবাদের হাতিয়ার হতে পারে ক্রিকেট। কিন্তু রসিক জানেন ক্রিকেট এসবের ওপরে। বির্বতন আর সভ্যতার গতি আলাদা। আমরা যেন দুটোকে মিলিয়ে না ফেলি। সভ্যতা বলবে ছুটে যাও। এক্ষুনি দেখে এসো। বির্বতন জানে সময় লাগে। রোসো বাপু। একটা ঘণ্টা একটু দেখেনি। বলের পালিশ আগে উঠুক। টি-২০ তাই টেস্টের বিকল্প নয়।
ঝালমুড়ি কখনও সেদ্ধ ভাত মুছে দিতে পারে!
………………………..
ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার.ইন
………………………..