১৬.১০.২০২৩ তারিখে রোববার.ইন-এর ‘পাতাবাহার’-এ প্রকাশিত হয়েছিল ‘মাসান আংরি’ নামক বইয়ের আলোচনা। আলোচক শেষাংশে লিখেছিলেন, ‘তবে বইয়ের প্রুফ সংশোধন নিয়ে গায়ত্রী রায় আর-একটু সাবধানী হলে মন্দ হত না। প্রচ্ছদের ‘আংরি’ এবং বই-মধ্যস্থ শিরোনাম পৃষ্ঠার ‘আঙরি’-র মতোই খুচখাচ বহু অযত্নের ছাপ গল্পের প্রবহমানতার খানিক পথ আটকেছে বইকি।’ তারই প্রত্যুত্তরে এই চিঠি পাঠিয়েছেন বইটির প্রুফ সংশোধক গায়ত্রী রায়।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কোনও এক প্রখ্যাত প্রকাশনায় কোনও কোনও বই প্রকাশিত হবার আগে ছ’-বার/ সাতবার প্রুফ দেখা হয়েছে, সম্পাদনাও করা হয়েছে। তারপর সে বই ঝকঝকে হয়েছে। এই সুযোগ কি এখন কেউ দেবেন?
যাঁরা প্রুফ সংশোধন করেন, তাঁরা জানেন কাজটি যথেষ্ট মনঃসংযোগ সাপেক্ষ এবং সময়সাপেক্ষ। বইমেলায় বেরনোর লক্ষ্যে যেসব বই তালিকায় থাকে সেগুলো দেখার জন্য থাকে তাড়া, নেহাতই স্বল্প সময়ে একের পর এক বই প্রস্তুত করার কর্মকাণ্ডে প্রকাশক প্রুফ সংশোধককে যথেষ্ট সময় দিতে অপারগ। তার দায়টাও প্রুফ সংশোধকেরই ওপর বর্তায়।
তবে কি বাংলা প্রকাশনা এমন অযত্নেই লালিত হবে? না, সেটা তো কখনওই কাম্য হতে পারে না। কেবল দায়িত্বটা সমবেত হলেই ভালোও হয় বোধহয়।
বাংলা প্রকাশনা সমৃদ্ধ হোক।
নমস্কারান্তে,
গায়ত্রী রায়