
নন্দিতা তখন মানবাধিকারের একাধিক কেসের কারণে কোহিমার কোর্ট-জেলখানা সংশ্লিষ্ট ছোট-বড় অনেকের কাছেই পরিচিত মুখ। ভারত সরকারের সঙ্গে অন্তত কয়েকটি আন্ডারগ্রাউন্ড নাগা গ্রুপের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বাস্তবায়িত করার জন্য আন্তরিক চেষ্টা ও পরিশ্রম করে চলেছে সে। এমনকী, নাগা বিদ্রোহীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নন্দিতাকেই নির্বাচন করেছেন। কাজেই কোহিমার নানাজন তাকে দেখে নানা ভিন্ন ভিন্ন নজরে। ক্যাম্পের সেই সামান্য সেন্ট্রির বন্ধুরা নিজেদের সাথীর এই জীবনমরণ সমস্যা নিয়ে একদিন নন্দিতার কাছে হাজির। ওই বর্মী নায়িকাকে কোনওমতে এই বার্তাটুকু বুঝিয়ে দিতে হবে যে, যদিও তার দয়িতকে যেতেই হবে স্থানান্তরে, প্রথম সুযোগেই ফিরে এসে সেই মেয়েটিকে বিয়ে করার ব্যবস্থা করে ফেলবে সে। কিন্তু দু’জনের কেউই যেহেতু পরস্পরের ভাষা একেবারে বোঝে না, নন্দিতাকে সেই ফাঁকটুকু পূরণ করতে হবে হিন্দি, ইংরিজি, বর্মী– এইসব বিভিন্ন ভাষার কোলাজ দিয়ে।
৪.
নন্দিতার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় তার সঙ্গে যোগাযোগের প্রায় দু’বছর পরে। দিল্লিতে। তার আগে পড়ে ফেলেছি মণিপুর নিয়ে ওর লেখা একটা রিপোর্ট। কথা হয়েছে টেলিফোনে। নয়ের দশকের শুরুর দিকে ‘পিপল ইউনিয়ন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস’ (PUDR) নামে মানবাধিকার সংগঠনের বন্ধুদের সূত্রে সেই চটি বইখানা হাতে এসেছিল। আমার মণিপুর প্রেমের শুরুও মোটামুটি সেই সময় থেকেই। তবে নন্দিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যাওয়ার আরেকটা বড় কারণ ছিল ওর মা ঊর্মিলা হাকসারের লেখা অদ্ভুত এক আত্মজীবনী, যেটা শেষ হয় তাঁর ২৩ বছর বয়সে, বিয়ের পরই। মেয়েদের স্বরূপসন্ধানের বৃত্তান্ত তখনও আমাদের কাছে ওরকম উচ্চতায় পরিচিত হয়নি। ঊর্মিলা হাকসার নাকি হতাশ হয়েছিলেন, কারণ যে-ঝকঝকে তরুণ ছাত্রটি সাইকেল চালিয়ে নিজের বান্ধবীর কাছে আসত, পরবর্তীকালে তার খাকি উর্দি পাহারা দেওয়া গাড়িতে চলাফেরাটা ঊর্মিলার মনের মতো হয়নি। আগের সহজ জীবনই তাঁর পছন্দের ছিল। কিন্তু তা আর কী করে হবে, ততদিনে শ্রী পি. এন. হাকসার তো ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সচিব।
সেই মায়ের মেয়ে নন্দিতা হাকসার।

আন্তরিক বন্ধুত্ব হতে সময় লাগেনি আমাদের। দু’জনেরই দু’জনকে বলার এত কথা থাকত! সেই সময়ে আমি কিছুটা যুক্ত আণবিক শক্তিবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে। নন্দিতাও জানে তার কথা। ওর থেকে মণিপুর পর্যায়ের আগেকার গল্প শুনছি। নাগাল্যান্ডের স্বাধিকার আন্দোলনের এক অন্য অর্থ দেশের শিক্ষিত নাগরিকদের কাছে, সেই সময়ে যাঁরা তুলে ধরেছিলেন, তাঁদের মধ্যে নন্দিতা হাকসারের নাম তখন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বার্মা, এখনকার মিয়ানমারে, আটের দশকে ছাত্র অভ্যুত্থানের সময় পার হয়েছে সদ্য। সেখানকার সামরিক শাসনের রাজনৈতিক অস্থিরতায় কোনওরকমে বর্ডার পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে আসা কিছু বর্মী শরণার্থী সে সময়ে নাগাল্যান্ডে বন্দি। ভারত সরকার তাঁদের বৈরি নয়, সহানুভূতি সম্পন্নই। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে এদেশে প্রবেশ করা কিংবা বসবাসের উপযুক্ত কোনও বৈধ কাগজপত্র তো নেই, সুতরাং ঠিক জেলখানা না হলেও কাঁটাতারে ঘেরা শরণার্থী শিবিরেই আছেন সেই অনিশ্চিত-ভবিষ্যৎ নারীপুরুষ আবালবৃদ্ধ বনিতা। এবং এই আতঙ্ক অনিশ্চিতি গৃহ হারানোর ত্রাস– সব কিছুর মাঝেও একটি বর্মী কন্যার প্রেমে পড়েছে ক্যাম্পে পাহারারত এক তরুণ নাগা প্রহরী। পরস্পরের ভাষা প্রায় কিছুই বোঝে না তারা, কিন্তু তাতে মীনকেতন দেবতাকে কে কবে আটকাতে পেরেছে? তাতে সমস্যা ছিল না, সমস্যা হল যখন সেই প্রহরী নায়কের বদলির অর্ডার এল অন্য ক্যাম্পে। দু’জনেই আসন্ন বিরহে তার চেয়েও বেশি, চূড়ান্ত অনিশ্চিতিতে, একেবারে ভেঙে পড়েছে।
নন্দিতা তখন মানবাধিকারের একাধিক কেসের কারণে কোহিমার কোর্ট-জেলখানা সংশ্লিষ্ট ছোট-বড় অনেকের কাছেই পরিচিত মুখ। ভারত সরকারের সঙ্গে অন্তত কয়েকটি আন্ডারগ্রাউন্ড নাগা গ্রুপের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বাস্তবায়িত করার জন্য আন্তরিক চেষ্টা ও পরিশ্রম করে চলেছে সে। এমনকী, নাগা বিদ্রোহীরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নন্দিতাকেই নির্বাচন করেছেন। কাজেই কোহিমার নানাজন তাকে দেখে নানা ভিন্ন ভিন্ন নজরে। ক্যাম্পের সেই সামান্য সেন্ট্রির বন্ধুরা নিজেদের সাথীর এই জীবনমরণ সমস্যা নিয়ে একদিন নন্দিতার কাছে হাজির। ওই বর্মী নায়িকাকে কোনওমতে এই বার্তাটুকু বুঝিয়ে দিতে হবে যে, যদিও তার দয়িতকে যেতেই হবে স্থানান্তরে, প্রথম সুযোগেই ফিরে এসে সেই মেয়েটিকে বিয়ে করার ব্যবস্থা করে ফেলবে সে। কিন্তু দু’জনের কেউই যেহেতু পরস্পরের ভাষা একেবারে বোঝে না, নন্দিতাকে সেই ফাঁকটুকু পূরণ করতে হবে হিন্দি, ইংরিজি, বর্মী– এইসব বিভিন্ন ভাষার কোলাজ দিয়ে। নাগা ভাষা সে জানে। ক্যাম্পে কমবয়সি একটি বর্মী ছেলেকে পাওয়া গিয়েছে, যে একটু একটু ইংরেজি বলতে-বুঝতে পারে এবং সে তার স্বভাষাভাষী মেয়েটিকে সাহায্য করতে তৈরি। কাজেই নাগা যুবকের বার্তা ইংরেজি হয়ে আবার বর্মী রূপান্তরে অশ্রুমুখী বর্মী মেয়ের হৃদয়ে আশ্বাসবাণী পৌঁছবে। হাজার হাজার তেতো কাজের মধ্যে এই মধুর দায়িত্ব পেয়ে নন্দিতাও চমৎকৃত।
নির্দিষ্ট দিনে শুরু হল সেই ভাষাযাত্রা। কাঁটাতারের ভেতরে সেই তরুণী আর তার দোভাষী, বাইরে সেন্ট্রি আর নন্দিতা। খুব ভেঙে ভেঙে কথা চলছে। নন্দিতার কথায়, ‘‘হঠাৎ আমি খেয়াল করলাম দোভাষী ছেলেটি যেন মেয়েটির কথা আমাকে বলা ছাড়া আরও একটা কিছু করছে। একটা বাক্যের মধ্যে দু’-তিনটে খাপছাড়া শব্দ বলছে। এক ঝলক তার দৃষ্টিও কোনও সংকেত দিল। আমি সতর্ক আর মনোযোগী হলাম। ও একটা দুটো করে শব্দ অন্য কথার মধ্যে গুঁজে দিয়ে বলছিল যে ওরা, মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী পলাতক যুবছাত্রদের কয়েকজন, এখানে আছে। এই ক্যাম্পে। মোট এগারোজন। শরণার্থীদের সঙ্গে মিশে আছে তারা। শরণার্থীদের পরিচয় উদ্ধার আর তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়া শুরু হলেই এরা ধরা পড়বে এবং ফেরত যেতে হলে তাদের ভাগ্যে নিশ্চিত মৃত্যু অথবা নির্যাতন ও কারাবাস। আমি তো ওখানে এই প্রণয়ীযুগলের দোভাষীগিরি করতে বারবার যেতে পারব না, ওকে বললাম এরপর যেদিন আসব সেদিন ওদের নামগুলো কোনওমতে লিখে আমাকে দিতে।’’
তারপর কীভাবে যে নন্দিতা সেই ছেলেদের শরণার্থী পরিচয়ে আন্ডারটেকিং দিয়ে বের করে এনে দিল্লির ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করে দেয়, কীভাবে তার বন্ধুরা, এমনকী, ছাত্ররাও কয়েকজন সেই অন্যদেশি ছাত্রদের, যাদের ও উল্লেখ করছিল ‘মাই মাঙ্কিজ’ বলে, তাদের লোকাল গার্জেন হয় আর দিল্লির একপ্রান্তে নন্দিতার মায়ের বাড়ি হয়ে ওঠে তাদের লোকাল অ্যাড্রেস, সে বৃত্তান্ত ও আমাকে বলেছিল ব্যাঙ্গালোরে এম.জি. মার্কেটের ফুটপাতে বসে। তার আগে যথাসাধ্য বেশিক্ষণ ধরে একটা রোডসাইড কফির দোকানে বসে অসহ্য মিষ্টি দেওয়া অনেক কাপ কফি খাওয়ার পরও যখন আমরা উঠছিলাম না, বরং নিজেদের মধ্যে কথা বলেই যাচ্ছিলাম, তখন দোকানের ছেলেটি বারবার আমাদের সামনের টেবিলটা মুছতে শুরু করল। তখন আমরা বেরিয়ে এসে ওই ফুটপাতে পা ঝুলিয়ে শান্তিতে বসে কথা বলতে বলতে অপেক্ষা করছিলাম নন্দিতার স্বামী কোর্ট থেকে ফেরার পথে আমাদের ওখান থেকে তুলে নিয়ে যাবেন বলে। সে তো মোবাইলের কাল নয়, তাই ওইখানেই বসে অপেক্ষা করা।

ঠিক একইরকম হালকা চালে নন্দিতা বিভিন্ন ঘটনা বলত কীভাবে ওর বাড়িতে নিত্য নজরদারি চলেছে, আড়ি পাতা হয়েছে ওর টেলিফোনে, কীভাবে ওর প্রাণ সংহারের চেষ্টা হয়েছে বারবার। সাতের দশকে যখন পৃথিবী জোড়া যুবছাত্র আন্দোলনের পাশাপাশি মাথা তুলছে মেয়েদের অধিকার আন্দোলন আর ‘মূলস্রোতে’র নিচে চাপাপড়া জনজাতিদের স্বাধিকার আন্দোলন, সেই সময়ে এ দেশের প্রায় হাতেগোনা মেয়ে আইনজীবীদের মধ্যে একজন ছিল নন্দিতা। উপরন্তু সে নিজে ছিল ‘অপ্রধান’দের অধিকারে দৃঢ় বিশ্বাসী। সেই অধিকার আন্দোলনের আদর্শে বিশ্বাস রেখে, সেই আদর্শকে ক্রমশ গভীরভাবে বুঝে পথ চলেছে সে। সেই আন্দোলনগুলির মূল চেহারা যে আসলে ক্ষমতা অধিকার নয়, ক্ষমতা কেন্দ্রিকতার বিপক্ষে বেশি বেশি করে মানুষের মর্যাদা ও নিজস্ব বেঁচে থাকার ধরনের স্বপক্ষে থাকা, একথা নন্দিতার কাছে স্পষ্ট ছিল। আজও আছে। কাশ্মিরী পণ্ডিত পরিবারের মেয়ে হয়েও কাশ্মীরের মানুষদের ‘কাশ্মীরিয়াত’ অর্থাৎ তাঁদের স্বকীয়তার গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে প্রায় সারা জীবন লড়ে যাচ্ছে এই দুরন্ত সাহসী মেয়েটি। এখনও।
শুধু কাশ্মীর নয়, দেশের বাকি অংশের কাছে ‘উত্তরপূর্ব’ নামে চিহ্নিত রাজ্যগুলির জীবনযাপনের স্বকীয়তা আর সেই কারণে তাদের মানবাধিকার বা সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার বিবরণ সবচেয়ে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা ছিল নন্দিতার ধারাবাহিক কাজ। দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সংগ্রহের ঝুঁকি নিয়ে ওই সকল এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত এবং সেখানকার উগ্রপন্থী ও সাধারণ মানুষদের বোঝার সংকল্প পালন করেছিল সে অথচ তার হাবভাবে, জীবনযাপনে কোথাও তা নিয়ে কোনও দেখানেপনার চিহ্নমাত্র ছিল না। সাতের দশকে নাগা বা মণিপুরী বিদ্রোহের মূল কারণগুলোকে স্পষ্ট তুলে ধরেছিল নন্দিতা, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে সে একথা বলে যে নকশালপন্থী আন্দোলনকে সম্পূর্ণভাবে ভুল বোঝা হয়েছে। বিভিন্ন স্বাধিকার কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারে রাষ্ট্রের অনুমোদনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে দিনের পর দিন নন্দিতা আদালতে একথা তুলে ধরে যে এইসব আন্দোলন নিছক ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’-এর, আইনশৃঙ্খলার, প্রশ্ন নয়, রাষ্ট্রের তরফে একথা বোঝার আগ্রহের অভাব। দেশের মধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের স্বকীয়তা রক্ষা করা যে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার, সেই অধিকারের স্বপক্ষে দাঁড়িয়ে নাগা স্বাধিকার আন্দোলনের প্রকৃত অর্থ দেশের সামনে তুলে ধরার কাজে সে এতখানি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে যে ‘ইন্দো-নাগা শান্তি প্রস্তাব’-এ নাগা বিদ্রোহীরা নন্দিতাকেই নিজেদের মুখপাত্র হিসাবে নির্বাচন করেন। অন্য দেশের রাজনৈতিক শরণার্থীদের অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও স্বীকৃতি এবং গুরুত্ব পায় তার কাজ। ১৯৮৫ সালে ‘‘People’s Union for Democratic Rights’’ সংস্থার সচিব নির্বাচিত হয় সে। ক্ষমতাকেন্দ্র না হয়ে ওঠার আদর্শকে মানবতার সঠিক চেহারা বলে সে এখনও বিশ্বাস করে একইভাবে। এইজন্য নিজের মতবাদ নিয়ে কোনও গোঁড়ামি নেই নন্দিতার মধ্যে, চারিপাশকে দেখতে দেখতে এক বিশ্বাসে স্থির থাকার জন্য বারে বারে নিজের বোঝাকে সে নমনীয় রেখেছে আজীবন। সত্যের চেয়ে নিজের ইমেজকে প্রধান করে তোলার পথ কখনও তার ছিল না। তার মূল্যও সে দিয়েছে সারা জীবন।
নন্দিতাও পার করে গেল সত্তর। একমাথা সাদা চুল আর তীব্র উৎকণ্ঠা ও আশিরনখর ভালোবাসায় ভরা এক জীর্ণ শারীরিক অস্তিত্ব নিয়ে সে এখনও অটল মানুষের স্বাধিকার ও মর্যাদারক্ষার লড়াইয়ে। তার কলম এখনও শাণিত, নির্মল। আমার ভাষা সে বোঝে খুব অল্প, আমিও জানি না তার মাতৃভাষা, কিন্তু আমরা দু’জনেই একটা ভাষা বুঝতে পারি, ভালোবাসার সাহসের ভাষা। হয়তো বলতেও শিখছি কিছুটা।
___ পড়ুন ধুলোমাটির মুখ কলামের অন্যান্য পর্ব ___
৩. যিনি লাইব্রেরিতে ঢুকতে দেন, বই নিতে দেন– তিনি সর্বশক্তিমান
২. পথের কুকুর, আকাশের কাক-চিল, মাটির পিঁপড়েরও অন্নের ভাবনা গৃহস্থের
১. বেনারসে স্কুলে পড়ার সময় বহেনজির তকলি কাটার ক্লাসে বন্ধুদের ভাগেরও সুতো কেটে দিতাম
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved