
এই ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’তে আমরা দেখতে পাই ছেলেটি শহরে আসছে। তার মা-বাবার কাছ থেকে অনেক অনেক দূরে। সেখানে এই শহরের বিচিত্র সব ঘটনার মধ্য দিয়ে সে দেখতে পায় শহরকে। সবিতা চৌধুরীর গান হয়ে গিয়েছে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান হয়ে গিয়েছে। এরপর ছবির আবহ সংগীত। বেশ কিছুদিন পর শুটিং হল। শুটিং হয়ে যাওয়ার পর সম্পাদনা হল। দীনেন গুপ্ত ছিলেন পরিচালনায়। দীনেনদার কাছে আমার শোনা। আগেও বলেছি, দীনেন গুপ্তের ‘নটী বিনোদিনী’ ছবির আবহসংগীত করেছি আমি। তাছাড়াও দীনেন গুপ্তর টেলিভশন-এর সিরিয়ালের কাজ করেছিলাম। সেখান থেকে দীনেনদার কাছে শোনা যে, দিনরাত বসে সলিল আর ঋত্বিক– দু’জনে মিলে বিভিন্ন রকম মিউজিক শুনছে।
৫.
গানের গল্প বলব। তবে তার শুরুটা একটু অন্যরকম। এখন যখন লিখছি, তখন ভারতের দুই মহাগুরু– ঋত্বিক ঘটক আর সলিল চৌধুরী– শতবর্ষ পেরিয়ে হনহন করে হাঁটছেন আরেক শতবর্ষের দিকে। কে জানে, হয়তো এখনও কোথাও এক অদৃশ্য আড্ডায় বসে দু’জনে তর্ক করছেন, ‘‘তুই সিনেমা করলি, আমি গান করলাম– দু’জনের কাজেই কান্না আছে, কিন্তু কে কাঁদালো বেশি?”

ঋত্বিক তখন একেবারে নাগরিক। মানে, ‘নাগরিক’ ছবিটাই করেছেন– কিন্তু মুক্তি পায়নি। মানুষটা ফুঁসছেন, ভেতরে আগুন, বাইরে ঠান্ডা ধোঁয়া। আর তাঁর পরম বন্ধু সলিল তখন বোম্বেতে– নিজের গল্প ‘রিক্সাওয়ালা’ নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘দো বিঘা জমিন’। বিমল রায়ের পরিচালনায়। সারা ভারত কাঁপছে, বিদেশে করতালি পড়ছে।

ঋত্বিকের মনে একটা বড় জিতে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি হয়। একদিন সলিল চৌধুরী সোজা টেলিগ্রাম মারলেন ঋত্বিককে, ‘ঋত্বিক, তোকে দরকার বিমলদার।’ মানে বিমল রায় প্রোডাকশনের ছবির জন্য।
ঋত্বিককে আর পায় কে! যাই হোক, ঋত্বিক পৌঁছলেন। সব রকম ব্যবস্থা বিমল রায় প্রোডাকশন থেকে হয়ে গেল। বিমল রায়কে গল্প শোনালেন। বিমল রায়ের ভারি পছন্দ! হাসতে হাসতে সুলভ ভঙ্গিতেই ঋত্বিক বলে বেড়ালেন তাঁর বন্ধুবান্ধবদের, বিশেষত হৃষীকেশ মুখার্জিকে, ‘বুঝলি হৃষী, বিমলদাকে একটা ভূতের গল্প বেচে দিয়েছি।’
সলিল অবাক, ‘ভূতের গল্প?’
ঋত্বিক চোখ টিপে বললেন, ‘‘নাম ‘মধুমতি।’’
এমন সময়ে ঋত্বিকের হাতে কোনও কাজ নেই, কিন্তু মাথায় আছে শত শত গল্প, হাজার চিন্তা। আর সেই ‘মধুমতি’ যখন মুক্তি পেল, তখন ইতিহাস বদলে গেল। তারপর ঋত্বিক বললেন, ‘চল, নতুন ছবি শুরু করব। শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প–তোকে তার গান-বাজনার ছড়িটা ধরতে হবে।’
সলিল হেসে বললেন, ‘আচ্ছা, ধরব– কিন্তু বায়না কোথায়?’
ঋত্বিক পকেট থেকে এক টাকা বের করে বললেন, ‘এই নে।’
এক টাকা! সেই এক টাকা দিয়েই সুরের ইতিহাস তৈরি হতে চলল।
ঋত্বিক বললেন, ‘একবার তো তোকে কলকাতায় আসতে হবে।’
সলিল তখন বোম্বেতে। হাতে কিছু টাকা আছে, কিন্তু মনটা কলকাতার গলিতে। প্রযোজকের অবস্থা খারাপ, তাই তিনি নিজের খরচে কলকাতায় উড়ে এলেন।

কলকাতা এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেখেন– ঋত্বিক দাঁড়িয়ে, পাশে শ্যামল মিত্র, সিনেমাটোগ্রাফার দীনেন গুপ্ত, কালী ব্যানার্জি– সবাই হাত নাড়ছে। যেন কোনও বীর সৈনিক ফিরে এসেছে যুদ্ধের মাঠ থেকে! বেঙ্গল ল্যাবে গানের মহড়া রুম তৈরি করে দিয়েছেন প্রমোদ লাহিড়ী। ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ ছবির প্রযোজক। ঋত্বিককে সত্যিই খুব ভালোবাসেন। শ্রদ্ধা করেন। তিনি এই ছবিতে এগিয়ে এসেছেন। ঘটনাটা এরকম যে ‘মধুমতী’ ছবিতে ‘সুহানা সফর’ গানটির জন্য সলিল চৌধুরী শ্যামল মিত্রকে নিয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ কুমারের বাড়িতে। দিলীপ কুমারের খুব পছন্দ শ্যামল মিত্রের গলা। সুহানা সফর গান তোলাও হল। খুব ভালো গান তোলা হল। গাইছেনও ভালো। কিন্তু ওই যে। বোম্বে বলে কথা! এক সময় দিলীপ কুমারই বাদ সাধলেন। দিলীপ কুমারের গলায় গাইতে এলেন মুকেশ। আমরা জানি, মুকেশ অসম্ভব ভালো গান গেয়েছিলেন। কিন্তু শ্যামল মিত্রের অভিমান তো থেকেই গেল। এ ছবির শুরুর সময়েই ঋত্বিক বলেছিলেন, ‘শ্যামলকে কিন্তু একটা গান দিতে হবে।’ কেন এ কথা বললেন?

কারণ ঋত্বিক ঘটক ছিলেন ‘মধুমতী’-র সঙ্গে জড়িয়ে। সে ছবির গান তৈরি হচ্ছে, গান দেওয়া হচ্ছে, গান গাওয়া হচ্ছে রেকর্ডিং হচ্ছে স্টুডিওতে– এসবই দেখেছেন তো শ্যামল মিত্র। বাংলার ছেলে হিসেবে ঋত্বিক ঘটকের আলাদা স্নেহ তার ওপর। তিনি বলেছেন শ্যামলকে একটা গান দিতেই হবে। তাই শ্যামল মিত্রকে এয়ারপোর্টে নিয়ে গিয়েছেন ঋত্বিক ঘটক। আর সলিল চৌধুরী তো শ্যামল মিত্রকে অসম্ভব ভালোবাসেন! সলিলের অসম্ভব স্নেহের পাত্র তিনি। শ্যামল মিত্রর গাওয়া সলিল চৌধুরীর গান ইতিহাস হয়ে আছে।
কিন্তু আমি বলছি সেই ইতিহাস তৈরির আগের কথা। ১৯৫৮ সাল। ঋত্বিক ঘটকের নিজের ছবি ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’-তে মিউজিকের দায়িত্বে রয়েছেন সলিল। সলিল তখন একেবারে ভারতের সংগীতের তুঙ্গে। তিনি তৈরি করলেন শ্যামল মিত্রের জন্য গান। এক লোকসংগীতের সুরে কী অসাধারণ গাইলেন শ্যামল মিত্র। ‘আমি অনেক ঘুরিয়া শ্যাষে আইলাম রে কলকাতা’ এবং যে ঋত্বিক ঘটক ফোকসংয়ের অনেক রকম ডিকশন জানেন এবং বিভিন্ন লোকসংগীত শিল্পীদের দিয়ে গান গাইয়েছেন। শ্যামল মিত্রের গান শুনে তিনি বড্ড খুশি। বেজায় খুশি। শ্যামল মিত্র গাইলেন ও সেইরকম। এই গানের কথা পরে আবার বলছি। ঋত্বিক ঘটকের এই ছবিতে বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতায় চলে এসেছে ছেলেটি। মায়ের জন্য তার বড় মনকেমন করে। এই মা, যেমন গর্ভধারিণী, তেমনই মা তো আবার দেশ। ছিন্নমূল হওয়ার যন্ত্রণা তাকে প্রতি মুহূর্তে কাঁদায় । দেশভাগের যন্ত্রণা সবসময় ছিল ঋত্বিক ঘটকের। মায়ের কাছ থেকে দূরে চলে আসতে হয়েছে। ভাগ হয়ে গেছে মাটি। দেশ। মাকে আর দেখেন না।
সলিল চৌধুরীকে বললেন, ‘একটা মায়ের গান করো। ঘুমপাড়ানি গান।’ কে গাইবে সে গান? কথা হল প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় গাইবেন। কিন্তু ঋত্বিক বললেন, ‘আমার সবিতার কণ্ঠটি বড় ভালো লাগে।’ সবিতা কিন্তু তখনও চৌধুরী নয়। তখন সবিতা ব্যানার্জি। সবিতাকে ডেকে নিয়ে আসা হল বোম্বে থেকে। এবং তাঁকে দিয়ে গানটি গাওয়ানো হল। সেই গানটি ‘মা গো আমার ডেকো না তো আর’ এ গান প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে গাওয়ানোর ভাবনা ছিল প্রযোজক প্রমোদ লাহিড়ীর। গাইলেন সবিতা চৌধুরী। তবে এ গান সবিতা কিন্তু গাইলেন তার নিজের হকে। অসম্ভব ভালো গেয়েছিলেন তিনি এই গান । যেদিন গানটি হচ্ছে হঠাৎ ঋত্বিক সলিলকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন। সবিতা চৌধুরী তখন জানেন বোঝেন কারা সলিল চৌধুরীর বন্ধুবান্ধব। হৃষীকেশ মুখার্জি থেকে বিমল রায়। সেই মেয়েটি হাঁ হয়ে বসে দেখছে যে, তার গান শুনে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। এই গান শুনলেই বোঝা যায় ছেলের সঙ্গে মায়ের অনেক দিন দেখা হয় না। এ মা যেন দেশও। তার সঙ্গেও তো আর দেখা হয় না। দেশে আর ফেরা হয় না। সবিতা চৌধুরী গেয়েছিলেন অসাধারণ সেই গান। কিন্তু ঋত্বিকের ছবিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের একটা গান থাকবে না? সে কি হয় না কি? কিছুতেই না। তৈরি হল সেই গান। আস্ত একটা গানই শুধু না একটা গোটা সিকোয়েন্স তৈরি হল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কথা ভেবে। হরিদাসের বুলবুলভাজা। এই হরিদাসের বুলবুলভাজা গানে একটা অসামান্য কিছু কথা আছে! এই ‘বুলবুল ভাজা’ তো কেবল অজুহাত, আসলে তো দেখতে চাই শিশুদের মুখের হাসি।
বুলবুলভাজা নিয়ে যাও, তার বদলে শুধু তোমাদের মুখের হাসিটুকু আমায় দাও। কত সহজ কথায় বলা হয়ে যায় সাম্যবাদের বার্তা। তাকে সেরকমই সহজ গলায় গেয়ে যান হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। এবার আবার বলি, শ্যামল মিত্র যে গানটি গাইলেন, সে এক অনবদ্য গান। সেখানে গান বলছে এই বিশাল হাওড়া ব্রিজে একটি বরগার সঙ্গে কত শত কড়ি এসে মিশেছে। লোহার যন্ত্ররা মিলেমিশে কী অসাধারণ এক সেতু তৈরি করেছে। মানুষও যদি এরকম মিলেমিশে থাকতে পারত। এইরকম যদি ধরে রাখতে পারত মানুষ মানুষকে। কলজে দিয়ে। পাঁজরের সঙ্গে পাঁজর মিলিয়ে! এ গানে ঋত্বিক শিবরামের চরিত্রদের নিয়ে আনলেন যেন একটা সেলিব্রেশন! আনলেন দেশভাগ। কলকাতা শহর। অনেক রকমের কলকাতা শহর। এই কলকাতা শহর আবার ফিরে আসবে অনেক রকমের মজা নিয়ে। কলকাতায় নাকি বীভৎস মজা! সেই ‘বীভৎস’ শব্দটা আসবে।
এই ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’তে আমরা দেখতে পাই ছেলেটি শহরে আসছে। তার মা-বাবার কাছ থেকে অনেক অনেক দূরে। সেখানে এই শহরের বিচিত্র সব ঘটনার মধ্য দিয়ে সে দেখতে পায় শহরকে। সবিতা চৌধুরীর গান হয়ে গিয়েছে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান হয়ে গিয়েছে। এরপর ছবির আবহ সংগীত। বেশ কিছুদিন পর শুটিং হল। শুটিং হয়ে যাওয়ার পর সম্পাদনা হল। দীনেন গুপ্ত ছিলেন পরিচালনায়। দীনেনদার কাছে আমার শোনা। আগেও বলেছি, দীনেন গুপ্তের ‘নটী বিনোদিনী’ ছবির আবহসংগীত করেছি আমি। তাছাড়াও দীনেন গুপ্তর টেলিভশন-এর সিরিয়ালের কাজ করেছিলাম। সেখান থেকে দীনেনদার কাছে শোনা যে, দিনরাত বসে সলিল আর ঋত্বিক– দু’জনে মিলে বিভিন্ন রকম মিউজিক শুনছে। ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল মিউজিক শুনছে একটা টাইটেল করবে। টাইটেলটা তৈরি হয়ে গিয়েছে। টাইটেলে একটা মিউজিক দিয়ে এডিট করে করা হয়ে গিয়েছে। রমেশ যোশী এডিট সম্পাদনও করেছেন। সম্পাদনা করেছেন মুসোর্স্কির পিকচার অ্যাট অ্যান এগজিবিশনের টাইটেল নিয়ে এসে বসিয়ে দিয়েছে এডিট করার জন্য। এই মিউজিকটি এই গ্রেট কম্পোজারের গ্রেট কম্পোজিশন ছিল। সলিল চৌধুরীর ভীষণ প্রিয়। সলিল চৌধুরী বলেছিলেন যে, মুসোর্স্কির এটা দিয়ে তুই কেটে নে। আমি তার উপর মিউজিক করব। কিন্তু মুসোর্স্কির কম্পোজিশন কোনও কিছু আর থাকলই না। থাকল শুধু সলিল চৌধুরীর এক বিস্ময়কর কম্পোজিশন। আমার ধারণা, সলিল চৌধুরীর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবহ সংগীত হয়েছে এই ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ টাইটেল মিউজিকে। এবং ছবি জুড়ে তার চিহ্ন রেখে গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। ঋত্বিক ও সলিলের যাকে বলে বিস্ময়কর সংগীত ভাবনা। চিন্তা। আর অসাধারণ সমস্ত মণিমাণিক্য!
‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ আজকে যখন আমরা দেখি তখন আসলে দেখি দুই বন্ধুর গল্প। এই দুই বন্ধুর গল্পের মধ্য দিয়ে কীভাবে একটা সংগীত, ছবি– সব মিলিয়ে এক বিস্ময়কর জায়গা তৈরি হয়। সেই সময় কিন্তু এই ছবিটি চলেনি। আর আরেকটা ঘটনা বলি। বহু বহু মিউজিশিয়ান নিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর হয়েছে অনেক রকমের। ঢাক-ঢোল বেজেছে মজার মজার সিকোয়েন্সে ঢাক-ঢোল বেজেছে। মানে একেবারে ‘দেশি’ বাংলা ঢোল বেজেছে। বাংলা ঢোল না বাজলে ঋত্বিকের ছবি কী করে হয়! খঞ্জিরা বাজে। কত রকমের মজার যন্ত্র এবং এই ছবিতেই কিন্তু প্রথম আমরা ওই রকমভাবে মোর্চাং-এর স্বর শুনি। মজা করতে মোর্চাং ব্যবহার হয়। পরবর্তী সময়ে, আমরা জানি, সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে সাউথ ইন্ডিয়ান মিউজিকের একটি মূল ক্লাসিকাল ইনস্ট্রুমেন্ট মোর্চাং কীরকমভাবে বাজে। এই ছবিতে সেটি এখানে খুব মজার করে বাজে। বিভিন্ন কমিক সিকোয়েন্সে সলিল চৌধুরী মোর্চাং ব্যবহার করেছেন কমপ্লিটলি একেবারে নতুন রকমভাবে।
এ বড় মজার, এ বড় বিস্ময়ের! দুই বন্ধুর গল্প তৈরি হয়ে যায়। তাঁরা দু’জনেই তো বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। ‘বাড়ি’ আসলে কাউকেই ধরে রাখতে পারেনি। না-ঋত্বিককে, না-সলিলকে। শতবর্ষ পেরিয়ে যাচ্ছেন সলিল চৌধুরী। ঋত্বিক ঘটক। গট গট করে বেরিয়ে যাচ্ছেন এক বিস্ময়কর দীপ্তি নিয়ে দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে চলেছেন ঋত্বিক-সলিল। এগিয়ে চলেছে বন্ধুত্ব। কমরেডশিপ। এগিয়ে চলেছে ভালোবাসা। চোখের জল, হাসি, কান্না। অনেক অভুক্ত দিন। উপোসী রাত। তবু আরও বহু বহু দূর যেতে হবে। এখনও অনেক পথ বাকি। বাড়ি থেকে পালিয়ে। শেষ পর্যন্ত বাড়িতে ফেরা হয় না কারওরই। ছবি তে হয়তো একটা বাড়ি ফেরা রয়েছে। কিন্তু আসলে এইসব মানুষ নতুন ঘরের সন্ধানে যায়। নতুন আলোর সন্ধানে যায়। নতুন আলোর পথযাত্রী হয়ে এঁরা বেঁচে থাকে। মানুষের মনে ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’র মিউজিক স্কোরিংয়ের গল্পটা ঠিক এরকমই।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved