
শিশুদিবসের জন্য সাজানো হয় দুটো জায়গা, শিশুমহলের ঘর আর স্টুডিও। কাগজের শিকলি, বল ইত্যাদি দিয়ে তাক লাগানো সাজ তৈরি হয় দুটো জায়গাতেই। এর সঙ্গে থেকেছে হাতে লিখে তৈরি করা পোস্টার, দায়িত্ব থাকত কৌশিক সেনের। আকাশবাণী কলকাতার ৮ আর ৯ নম্বর স্টুডিও যথাক্রমে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য সংগীতের জন্য নির্ধারিত। শিশুদিবসের দিন দুটোই শিশুদের জন্য। ৯ নম্বর স্টুডিওর সাজসজ্জা তো তাক লাগানোর মতো। সেখানে অন্যান্য সবকিছুর সঙ্গে দেওয়াল থেকে ঝোলে ডলফিন, বাচ্চাদের কার্টুন আর বাঁটুল।
আলোকচিত্র-সৌজন্য: লেখক
ছোট-ছোট অনেক জোড়া জুতো স্টুডিওর বাইরে। রেকর্ডিং করতে আসা অতিথি শিল্পী ও তাঁদের সহযোগীরা দেখে থমকে যাচ্ছেন। চলছেটা কী ভেতরে? যাঁরা জানেন, তাঁরা অবশ্য ভেতরে উঁকি না-দিয়েই বলে দেবেন– ১৪ নভেম্বর আসছে। পণ্ডিত নেহরুর জন্মদিন, শিশুদিবস উদ্যাপন করতে তৈরি হচ্ছে আকাশবাণী। রিহার্সাল চলছে খুদে শিল্পীদের। তাদের কেউ গান করবে, কেউ নাটক, কেউ আবৃত্তি। করবে একসঙ্গে, সমবেত পরিবেশন।

মা-বাবার হাত ধরে ছোটরা এসেছে দক্ষিণবঙ্গের নানা জেলা থেকে। শহর কলকাতা থেকেও আছে কয়েকজন। একসঙ্গে ৫০-৫৫টি শিশুশিল্পী এবং তাদের অভিভাবক মিলিয়ে সংখ্যাটা খুব কম হয় না। এ যেন আক্ষরিক অর্থেই সবুজের অভিযান। আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হয় ক্যান্টিনকে, সজাগ রাখতে হয় সিকিউরিটিকে। কিন্তু এগুলো তো সামান্য ব্যাপার, আসল লড়াই স্টুডিওর ভেতরে। রিহার্সালের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা দঙ্গলের মধ্যে থেকে হয়তো একটা হাত উপরে উঠল। টয়লেট যাবে। নিমেষের মধ্যে উঠে পড়ল আরও পাঁচ-সাতটা হাত। দুরন্ত ঐক্য। সারি বেঁধে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, দেখা গেল দু’-চার জন দলছুট হয়ে ঢুকতে যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং কন্ট্রোল রুমে। ‘এই ওদিকে যাস না, ওরে ধর ধর ধর!’ শিশুদিবসের প্রস্তুতিপর্বে এসব হল ‘পিসিমণি’দের অলিখিত অবশ্য-কর্তব্য। তবে তা নিয়ে কোনওদিন অভিযোগ শোনা যাবে না অরণি, সোমা, মৌমিতা, মৌসুমীদের মুখে। হুটোপাটি সামলাতে বেদম হয়ে পড়েও ছোটদের কাণ্ড দেখে এক সময় ফিক করে হেসে ফেলেন তাঁরা। কখনও দুষ্টুমি থামাতে অভিনব কিছু ভেবে নিয়ে প্রয়োগ করতে হয় তৎক্ষণাৎ। একবার যখন দামাল বাচ্চাদের থামানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে, তখন সবাইকে শুনিয়ে বলা হল, স্টুডিওর প্রত্যেক ঘরে একটা করে রেডিও আছে। বড়দের কথা না-শুনে ছুটোছুটি করার সময় যেসব আবোলতাবোল কথা বলেছে ছোটরা, তার সবটা বাইরে প্রচার হয়ে গিয়েছে রেডিওর মাধ্যমে। সবটা চলে গিয়েছে পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব আর স্কুলের মাস্টারমশাইদের কানে। শোনামাত্র একটা নীরবতার চাদর যেন নেমে এল দলটার উপরে। তারপরে ফিসফিস করে একে-অন্যকে জিজ্ঞেস করা যে, কে কতটা ‘খারাপ’ কথা বলে ফেলেছে। শিশুমহলের কাজ ততক্ষণে হাসিল!
হাসির সময়টুকু অবশ্য পেতেন না সুমিতা সাহা চক্রবর্তী, শ্রীপর্ণা আচার্য, সুপর্ণা সমাদ্দার, কিংশুক সরকার, জয়িতা ভার্মা। বিভিন্ন সময়ে একক বা যৌথভাবে অনুষ্ঠান প্রযোজনার দায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা। পরিচালনা নয়, আকাশবাণীর পরিভাষা হল ‘প্রযোজনা’। অনুমোদিত প্যানেল থেকে বেশি-ভালো শিশুশিল্পীদের বেছে নিয়ে অভিভাবকদের ফোন করা, শিশুদিবসে এবং তার আগে অন্তত: আর একদিন আসতে বলা– এসব প্রযোজকদের বড় কাজ। তবে তাতেই শেষ হয়ে যায় না দায়িত্ব। একইসঙ্গে আলোচনা সারতে হয় তাঁদের সঙ্গে, যাঁরা স্ক্রিপ্ট লিখবেন, পরিচালনা করবেন কবিতা আলেখ্য অথবা নাটক। আকাশবাণীর সুপরিচিত ঘোষক কৌশিক সেন, শশাঙ্ক ঘোষ এই দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন বহুবার। তৈরি হয়েছে মাতিয়ে দেওয়া অনেক আলেখ্য, এরই মধ্যে মনে রাখার মতো একটা কোলাজের নাম ছিল ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’। নাটকের ব্যাপারে অবশ্যই বড় ভরসা হয়ে থেকেছেন সমরেশ ঘোষ। তালে-তালে গেঁথে নিয়ে তবলা-লহরা গড়ে তুলবেন যিনি– তাঁকেও নিতে হয় পরিকল্পনার বৃত্তে। বিশিষ্ট তবলিয়া গোবিন্দ বসু, দেবাশিস সরকার প্রমুখ নেতৃত্ব দিয়েছেন এ ব্যাপারে। আর মিউজিক কম্পোজিশনের নানা প্রয়োজনে নিজের দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন সৌম্যকান্তি আচার্য, কল্যাণ দে। এঁরা সবাই আকাশবাণীর স্টাফ। পাশাপাশি কখনও হয়তো আমন্ত্রণ করে আনা হয়েছে বিজয়লক্ষ্ণী বর্মণের মতো নামী আবৃত্তিশিল্পীকে, তিনি করালেন ‘ক্ষীরের পুতুল’। কাটোয়া থেকে নন্দন সিন্হা বহুবার এসেছেন তাঁর আবৃত্তিগোষ্ঠী ‘বহুবচন’কে সঙ্গে করে। ছোটদের নাটক পরিবেশনের জন্য এসেছে ‘বিডন স্ট্রিট শুভম’, নিজের শিল্পীগোষ্ঠী নিয়ে এসেছেন অনুশীলা বসু। কিছুটা ধূসর, কিছুটা সবুজ স্মৃতি থেকে বের করে এনে এসব শুনিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত প্রযোজকরা। সুমিতা সাহা চক্রবর্তীর এখনও মনে পড়ে শিশুদিবস উপলক্ষে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শুভেচ্ছাবার্তা সংগ্রহের কথা। শ্রীপর্ণা আচার্যের মন ছুটে যায় গড়িয়াহাটে গিয়ে স্টুডিও সাজানোর পসরা কেনার দিনগুলোতে।

শিশুদিবসের জন্য সাজানো হয় দুটো জায়গা, শিশুমহলের ঘর আর স্টুডিও। কাগজের শিকলি, বল ইত্যাদি দিয়ে তাক লাগানো সাজ তৈরি হয় দুটো জায়গাতেই। এর সঙ্গে থেকেছে হাতে লিখে তৈরি করা পোস্টার, দায়িত্ব থাকত কৌশিক সেনের। আকাশবাণী কলকাতার ৮ আর ৯ নম্বর স্টুডিও যথাক্রমে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য সংগীতের জন্য নির্ধারিত। শিশুদিবসের দিন দুটোই শিশুদের জন্য। ৯ নম্বর স্টুডিওর সাজসজ্জা তো তাক লাগানোর মতো। সেখানে অন্যান্য সবকিছুর সঙ্গে দেওয়াল থেকে ঝোলে ডলফিন, বাচ্চাদের কার্টুন আর বাঁটুল। দুটো স্টুডিওকে যুক্ত করা হয় ট্র্যান্সমিশন স্টুডিওর সঙ্গে। দুই বা তিন ঘণ্টা লাইভ সম্প্রচার পরিচালনার ভার পড়ে কোমল শিশুকন্ঠে। পাশে অবশ্যই থাকেন অভিজ্ঞ ঘোষকরা।
শিশু-ঘোষকদের শেখানো এবং নির্দিষ্ট সময়ে তাদের দিয়ে পরিবেশন করানোর গুরুদায়িত্ব বহু বছর ধরে সামলে এসেছেন শুচিস্মিতা গুপ্ত, শিশুমহলের সবার প্রিয় ‘শুচিস্মিতা পিসিমণি’। নানা সময়ে কম ঝামেলার সামনে পড়তে হয়নি তাঁকে। একবার দেখা গেল যে, নির্ভরযোগ্য আবৃত্তিকার বাংলা ভাষায় লেখা স্ক্রিপ্ট পড়তেই পারছে না, হোঁচট খাচ্ছে বারবার। জয়িতা-শুচিস্মিতা মিলে বোঝার চেষ্টা করছেন যে গোলমালটা কোথায়! শিল্পীর মায়ের কাছে জানা গেল, শিশুমহলের নিয়মিত অনুষ্ঠানের জন্য ইংরেজি মাধ্যমের সেই ছাত্র নিখুঁতভাবে বাংলা কবিতা মুখস্থ করে আসে ঠিকই; কিন্তু বাংলায় লেখা বাক্য পড়ে উচ্চারণ করার অভ্যাসই নেই তাঁর। সেবার এটা-সেটা করে কোনওমতে সামাল দেওয়া গেল পরিস্থিতি।

কখনও হয়তো দেখা যায়, ছোটরা একটু বেশি তাড়াতাড়ি শুনিয়ে দিয়েছে সব কিছু, অথচ নির্ধারিত সময় ফুরোয়নি তখনও। পরিস্থিতি সামলাতে সিদ্ধান্ত নিতে হয় চটপট। একবার জয়িতার মনে পড়ে গেল যে, উপস্থিত শিশু-ঘোষকের পরিবারে ট্রেকিংয়ের ধারাবাহিকতা আছে। বাবা-মা প্রায়ই যান পাহাড়ে চড়তে। তখন সেই খুদে ঘোষকের কানে নির্দেশ গেল– তোমার পাহাড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বলো মাইকের সামনে! তাৎক্ষণিক নেওয়া সিদ্ধান্তে অনুষ্ঠান পেল এক অভূতপূর্ব মাত্রা। বাচ্চাটি অবলীলায় বলে চলল পাহাড়ের সৌন্দর্য, ওঠার কষ্ট, সেখানে থাকার আনন্দ– সব কিছু। আরও বেশি-বেশি করে শোনার পথে তখন যেন বাধা হয়ে দাঁড়াল ঘড়ির কাঁটা।
শিশুদিবসের দিনটাতে আকাশবাণীর স্টুডিও যেন ‘আয়রে ভোলা খেয়াল খোলা’। পাশ দিয়ে কে যেন ছুটে বেরিয়ে গেল, তাকে পাকড়াও করার জন্য তারই মাপের আরেকজন দৌড়চ্ছে– এসব নেহাৎই স্বাভাবিক ঘটনা। বকাবকি করলে খানিক বন্ধ সেসব, তারপর যে কে সেই! মনে পড়ে কৃত্রিমভাবে গম্ভীর-করে-তোলা-কন্ঠে মিহির বন্দোপাধ্যায়ের বকুনি, আইভি রাহার আদর করে বোঝানো। এঁরা দু’জনে একটা সময় গোটা অনুষ্ঠানের সুতো বাঁধতেন। অতি যত্নে লেখা মিহিরদার স্ক্রিপ্ট সংশোধন হতে থাকত অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক মিনিট আগে অবধি। তারপর একসময় জ্বলে উঠত স্টুডিওর লাল আলো– সব দুষ্টুমি বন্ধ করে কেমনভাবে খুদে শিল্পীরা যেন পেশাদার ব্রডকাস্টারের মতো পরিবেশন করে চলত ঘড়ির সময় অনুযায়ী। এখনও তাই করে তারা। মাঝে একবার সুযোগ হয় বিশিষ্ট অতিথির সঙ্গে কথা বলার।

শিশুদিবসের আমন্ত্রণে বিভিন্ন সময়ে আকাশবাণীতে এসেছেন তপেন চট্টোপাধ্যায়, ঊষা উত্থুপ, জাদুকর মানেকা সরকার, হৈমন্তী শুক্লা প্রমুখ। একবার এখানে এসে পড়লে তারাও যেন শিশু। অন্যদিকে স্টুডিওতে এমনই পরিবেশ তৈরি হয় যে, মনের মাঝে ওঠা প্রশ্ন মানী অতিথির সামনে বলে ফেলতে সঙ্কোচ হয় না কারও। ফোনেও সুযোগ দেওয়া ছোটদের, মনের কথা বলতে পারে তারাও। তবে অধিকাংশ সময় মা-বাবার শেখানো বুলি আউড়ে তারা বলে যে, একটা কবিতা শোনাবে বা একটা গান করবে। কিন্তু অত সময় তো থাকে না অনুষ্ঠানে। তাই মিষ্টি করে তাদের নিরস্ত করতে হয়। ফোনের ওপারে মনোভাব জানা না-গেলেও, সেটা যে খুব অনুকূল হয় না তা বলাই বাহুল্য!
শিশুদিবসের অনুষ্ঠান কখনও দুই, কখনও তিন ঘণ্টার। শেষের আধ ঘণ্টার দিকে তাকিয়ে থাকে সবাই। ক্যুইজ হয় শেষের ওই সময়টুকুতে। এ আমার পরম আনন্দ যে গত প্রায় ২৫ বছর ধরে এই ক্যুইজ পরিচালনার দায়িত্ব পড়েছে আমার উপর। প্রথম দিকে বেশ টেনশন হত ব্যাপারটা নিয়ে। ঠিক কী-কী প্রশ্ন করা যায় এই শিশুদের? কতটুকুই বা জেনেছে তারা! তখন ঠিক করলাম ক্যুইজের ছলে ঠাট্টা-মজা করাটাই শ্রেয়। মাঝে দু’-একবার ফেলুদা, বিরাট কোহলি, মেসি-রোনাল্ডো এবং অবশ্যই চাচা নেহরু আসেন প্রশ্নে ভর করে। পশুপাখির ডাক, চেনা অভিনেতা-অভিনেত্রীর কন্ঠ শুনিয়েও প্রশ্ন করি খানকয়েক। কিন্তু সেগুলো তুচ্ছ। আসল লক্ষ্যটা হল মজা করা। নতুন জামা পরে এসেছে কেউ, কারও চুলে বাহারি ফিতের সাজ, কেউ মায়ের কোল থেকে নামবে না। সেইসব নিয়ে গল্প শুরু করে দিই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে।

গত বছরের কথা বলি। ‘ফুগলা’ এসেছিল অতিথি হয়ে। টেলিভিশনে তার কচি কন্ঠে পাকা-পাকা কথা শুনে সবাই তার ফ্যান। কিন্তু আকাশবাণীতে এসে অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশে তার পাকা ভাব উধাও। কখনও হেসে গড়িয়ে পড়ছে, কখনও কিছু না-বুঝে লাফাচ্ছে আর হাসছে হো হো করে। সেই ফুগলা ক্যুইজেও এসে বসে পড়ল গ্যাঁট হয়ে। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায় খুব আগ্রহ নেই তার, লক্ষ্য অন্যদের সঙ্গে মিশে হইহই করা। বেশ তাই হোক, প্রত্যেকবার প্রশ্ন করার পর ফুগলাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলাম যে, ‘কেমন হল বল তো প্রশ্নটা?’ আবোলতাবোল কিছু একটা বলে সে হেসে দেয় ফিক করে। তাতেই অন্যদের আনন্দ! এদিকে শৈশব বড় ছোঁয়াচে। প্রশ্ন শুনে পিসিমণিদের কেউ-কেউ হাত তুলে ফেলেন, কিংবা আমার অনুমতির অপেক্ষা না-করে উত্তর দিয়ে ফেলেন ফস্ করে। সে-ও এক আনন্দের ব্যাপার।
ক্যুইজের শেষে পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান এসে পুরস্কার হাতে তুলে দেন। কেবল একজন-দু’জনের জন্য নয়, সবার জন্য। আসলে কেউ তো চ্যাম্পিয়ন-রানার্স হয় না এখানে। সবাই অংশ নেয় দারুণ এক ফূর্তিতে। ক্যুইজমাস্টার হিসাবে আমিও লজেন্স-বেলুন-পেন-বই পেয়েছি অনেকবার। সে-ও বিরাট প্রাপ্তি। পরের পর্বে ফটোসেশন, দল বেঁধে ছবি তোলা। আজকাল সেলফির যুগ– অনেক সময় অংশগ্রহণকারীকে কোলে তুলে সেলফি নিতে হয়েছে আমাকে; কখনও পোজ দিতে হয়েছে হাঁটু মুড়ে বসে।

এখানেই শেষ নয়! শিশুমহলের কর্তা-কর্ত্রীরা জানেন যে, এত কসরতের পর মুখরোচক খাবারের আশা করে মন এবং পেট। এটা ধারাবাহিকভাবে সত্যি যে, শিশুদিবসের ফুড প্যাকেট নিয়ে কখনওই অভিযোগ থাকে না কারও। শিশুদিবসের এই অনুষ্ঠান গত শতকের শেষের দিকে বাইরের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে বারতিনেক। বেছে নেওয়া হয়েছিল ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হল এবং অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস। প্রত্যেকবার তিন ঘণ্টার অনুষ্ঠান রেকর্ড করে পরে শোনানো হয়েছিল বেতারে। এখন নিয়মিতভাবে আকাশবাণী কলকাতার স্টুডিও থেকেই শোনানো হয় দু’ ঘণ্টার এই লাইভ অনুষ্ঠান। তিনটে থেকে পাঁচটা। কচিকাঁচাদের নির্মল আনন্দই আজও তার মূল সম্পদ। শিশুমন তো অবশ্যই, তার সঙ্গে তার অভিভাবক তথা শিশুমনস্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মজিয়ে রাখার গ্যারান্টি দিয়ে এই অনুষ্ঠান চলেছে রমরম করে। চলছে, চলবে!
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved