
অন্তবর্তী সরকারের আমলে গত দেড় বছরে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, পাশাপাশি শিল্প ও সাহিত্যের চর্চাও। কোথাও আগের চিরাচরিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নেই। অথচ সংস্কৃতি বা কালচার হল একটি জাতির মানস গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাছাড়া বাউলদের ওপর আক্রমণ, লালন উৎসব বন্ধ করে দেওয়া, সুফি-সাধকদের মাজার ভাঙচুর, অমর একুশে বইমেলা বারবার বন্ধ করে দেওয়া, মৃত মানুষকে কবর থেকে তুলে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে তার লাশ নিয়ে উল্লাস করা, যে কোনও জায়গায় তৌহিদী জনতা নাম দিয়ে মব সৃষ্টি করা– এসব যেন রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ভয়াবহ এক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট শুধু একমুখী নয়– রাজনৈতিক সংকট, সামাজিক সংকট, সাংস্কৃতিক সংকট ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংকট। ২০২৪-এর ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের আওয়ামী শাসনের পতন ঘটে। এরপর বাংলাদেশে তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়।

এরপর বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। অন্তবর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গত দেড় বছরেও কোনও ক্ষেত্রে কোনও ধরনের কার্যকর সংস্কার লক্ষ করা যায়নি। এ অভ্যুত্থান ঘিরে সাধারণ মানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, অন্তবর্তী সরকার বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে; দেশ থেকে দুর্নীতি-অনিয়ম দূর হবে এবং বাংলাদেশ একটি ‘ইনক্লুসিভ’ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। জনগণের এমন আকাঙ্ক্ষা অমূলক নয়। কারণ, রাষ্ট্রক্ষমতার চেয়ারে বসেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাই তাঁর প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা সর্বোচ্চ পর্যায়ের।

কিন্তু তিনি মানুষের সে আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্তবর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে দেশে নাগরিকদের অত্যাবশ্যকীয় যে অধিকার– নিরাপত্তা লাভের অধিকার তথা ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ নিশ্চিত হয়নি। দেশজুড়ে উগ্রপন্থীদের দ্বারা সংঘটিত মব সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষ দিশাহারা। বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের হেনস্তা ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। নারীদের হেনস্তা, শারীরিকভাবে আঘাত ও মরাল পুলিশিং যেন স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে ওঠেছে। তাছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত হামলা ও লুটপাটের ঘটনা রীতিমতো স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও অন্তবর্তী সরকার এসব প্রতিরোধে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
তাছাড়া, এ সরকার গঠনের পর বিভিন্ন সময়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী চুক্তির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ট্যারিফ ইস্যুতে গোপন চুক্তি, স্টারলিংক চুক্তি, চট্টগ্রাম বন্দর চুক্তি। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ এসব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করা ও জণগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং দেশকে সংকটের হাত থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বারবার জোর দিয়ে আসছে। কিন্তু তাতে তেমন কোনও সায় মিলছিল না। অবশেষে বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের একটা আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সংকট তত গভীর হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্রের গন্ধও গাঢ় হচ্ছে! বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী কিছু এনজিও বিশেষ করে NED, IRI, NDI, ANFREL তাদের ‘সুনিদিষ্ট অ্যাজেন্ডা’ বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে কৌশলে কাজ করে যাচ্ছে।

অতি সম্প্রতি তরুণ নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশের শীর্ষস্থানীয় দু’টি গণমাধ্যম ‘ডেইলি স্টার’ ও ‘প্রথম আলো’ জ্বালিয়ে দিয়ে লুটপাট করে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা। দেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে এটি একটি কালো ঘটনায় পরিণত হল। তাছাড়া ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য নিউ এইজ’ সম্পাদক নুরুল কবিরের ওপর তার অফিসের নিচে মব সন্ত্রাস করে তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়। অথচ ‘দ্য ডেইলি স্টার’, ‘প্রথম আলো’ ও নুরুল কবির আওয়ামী লীগের আমলে নির্ভীকভাবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে লিখে গিয়েছেন, তীব্র সমালোচনা করে গিয়েছেন। তখনও তো এ গণমাধ্যমগুলো ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা এমন হামলার শিকার হননি। এর আগে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করে সেখানে নাশকতা সৃষ্টি করে। অতি সম্প্রতি চট্টগ্রামের ভারতীয় উপ-হাইকমিশনারের বাসভবনে মব তৈরি করে হামলা চালায় সে গোষ্ঠী। কিন্তু এ ঘটনায় সরকারের কোনও পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি।
অন্তবর্তী সরকার যে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, সেটা দেশের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’-র গত ৭ আগস্ট ২০২৫ ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছর: মানবাধিকারের অব্যাহত সংকটময় পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওঠে এসেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশ একটি যুগান্তকারী গণজাগরণের সাক্ষী হয়। স্বৈরাচারী দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এক ঐতিহাসিক আন্দোলন। এই আন্দোলন শুধু একটি রাজনৈতিক পালাবদল নয় বরং এটি ছিল একটি নতুন যুগের সূচনা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আন্দোলনের পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে হতাশ করেছে।
সে বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সারা দেশে উচ্ছৃঙ্খল জনতার মাধ্যমে সংঘটিত ‘মব সন্ত্রাস’-এর ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক প্ররোচনায় পরিচালিত কিংবা সামাজিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সংঘটিত এসব সহিংস কর্মকাণ্ডে বহু সংখ্যক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানসমূহ এসব ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, যা মানবাধিকারের জন্য এক গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র উল্লেখ করেছে, বর্তমান পরিস্থিতির আরেকটি উদ্বেগজনক দিক হল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ক্রমাগত দুর্বল ও সুরক্ষাহীন অবস্থা। জনগণের প্রত্যাশা ছিল একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। কিন্তু বাস্তবতা হল ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নিপীড়ন এবং হুমকির ঘটনা আরও বেড়েছে।
গণ আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকা নারীর জন্য পরিস্থিতি আরও ‘নাজুক’ হয়ে ওঠেছে বলে উল্লেখ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, নারীরা বর্তমানে এক বিস্তৃত নিরাপত্তাহীনতার আবহে জীবনযাপন করছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে নারীদের মারধর, অপমান এবং শারীরিক নিপীড়নের ঘটনা বেড়েছে। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতা এখন প্রায় নিয়মিত সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। নারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানো, তাদের পোশাক-আশাক ও আচরণ নিয়ে নৈতিকতা নির্ধারণের চেষ্টা তথা ‘মরাল পুলিশিং’-এর নামে যা দিনদিন তীব্রতর হচ্ছে। নারীদের এই নিপীড়ন কেবল ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি কাঠামোগত সহিংসতার রূপ নিয়েছে, যেখানে নারীদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। তারা আরও উল্লেখ করেছে, সংবাদমাধ্যম নানারকম হয়রানির শিকার হচ্ছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অনেক শিক্ষার্থীকে অন্যায্যভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে, সনদ বাতিল করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
মোটা দাগে অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মানবাধিকার সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, এখনও নির্বিচারে গ্রেফতার চলছে, হেফাজতে মৃত্যু ও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে, যা আগের সরকারের দমনমূলক আচরণের পুনরাবৃত্তির মতোই মনে হচ্ছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কারণে নাগরিকের নিরাপত্তা-বিষয়ক উৎকণ্ঠা রয়েছে।

সম্প্রতি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ‘উদীচী’ শিল্পীগোষ্ঠীর ৫৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী আর্কাইভ ও কয়েক হাজার বইয়ের সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর ‘ছায়ানট’-এ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে লুটপাট করা হয়েছে সমস্ত আসবাবপত্র। ধর্মীয় উগ্রবাদীরা ছায়ানটে যখন হারমোনিয়াম আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলছে, তখন মনে হল পুরো বাংলাদেশটাকেই তারা আছাড় দিয়ে ভেঙে খান খান করে দিচ্ছে। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এসব জায়গা ধ্বংস করে দেওয়ার মূল অর্থ বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া। স্বাধীনতার ৫৫ বছরে বাংলাদেশ আগে কখনও এমন করুণ অবস্থার সম্মুখীন হয়নি।

ধর্মীয় উগ্রতার নামে লুটপাট আর বিপ্লবের নামে সংস্কৃতি ধ্বংস– এটাই ‘নতুন’ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা। এখানে ধর্মীয় অবমাননার কারণ দিয়ে মানুষকে উলঙ্গ করে পুড়িয়ে উল্লাস করে মারা হয়। একুশ শতকে ২০২৫-এ এসেও বর্বর অন্ধকারময় যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। অথচ রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নেই।
স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরও পরিকল্পিতভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও বাংলাদেশ-বিরোধীরা মিলে নতুন করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারতের ষড়যন্ত্র’ বলে তারা অভিহিত করছে। বাংলাদেশকে তারা এখনও ‘ইস্ট পাকিস্তান’ বলে বেড়াচ্ছে। আর যে কোনও ক্ষেত্রে ভারতবিদ্বেষী ন্যারেটিভ ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
অন্তবর্তী সরকারের আমলে গত দেড় বছরে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, পাশাপাশি শিল্প ও সাহিত্যের চর্চাও। কোথাও আগের চিরাচরিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নেই। অথচ সংস্কৃতি বা কালচার হল একটি জাতির মানস গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাছাড়া বাউলদের ওপর আক্রমণ, লালন উৎসব বন্ধ করে দেওয়া, সুফি-সাধকদের মাজার ভাঙচুর, অমর একুশে বইমেলা বারবার বন্ধ করে দেওয়া, মৃত মানুষকে কবর থেকে তুলে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে তার লাশ নিয়ে উল্লাস করা, যে কোনও জায়গায় তৌহিদী জনতা নাম দিয়ে মব সৃষ্টি করা– এসব যেন রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষের আহাজারি দেখার যেন কেউ নেই। কেউ ভিন্ন মত পোষণ করলেই তাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ ট্যাগ দিয়ে তার ওপর খড়গ আরোপ করা হয়। একাত্তরে পরাজিত শক্তি ও বাংলাদেশবিরোধী কুশীলবরা রক্ত দিয়ে কেনা দেশটাকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে যেন মরিয়া হয়ে ওঠেছে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved