
রাম নারায়ণ যখন ছোট তাঁদের পারিবারিক গঙ্গা গুরু আসতেন ওঁদের উদয়পুরের বাড়িতে। তাঁর সঙ্গে একটা ছোট সারেঙ্গি থাকত যা বাজিয়ে তিনি রামায়ণ-মহাভারতের কাহিনি গেয়ে শোনাতেন। যখন উদয়পুরের এই বাচ্চাটির তিন বছর বয়স (১৯৩০ সাল) সে সময় সেই গঙ্গা গুরু এসেছিলেন তাঁদের বাড়িতে। ফেরার সময় এত জিনিস তাঁকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়, যে আরও অনেক কিছুর সঙ্গে সারেঙ্গিটা তিনি রেখে যান। আর কোনওদিন সে ব্যক্তি ফিরে যাননি উদয়পুরে– ফলে সেই সারেঙ্গি এই শিশুর সঙ্গী হয়ে যায়।
২০২৪-এর ৯ নভেম্বর ৯৭ বছর পূর্ণ করার আগে তিনি চলে গেলেন। কেউ বলবেন– এ যাওয়া তো আমাদের বেদনা-বিধুর, নিঃস্ব করে যাওয়া নয়। একটা ‘পরিপূর্ণ’ সফল জীবন কাটিয়ে এই চলে যাওয়া একরকম জয়যাত্রায় যাওয়াই। তিনি গেলেন বটে, কিন্তু রইলেন আরও বেশি করে– আমাদের মনে, স্মৃতিতে, শব্দে, ছন্দে, লয়ে, তালে, সুরে তিনি এমনভাবে আছেন যে তাঁকে ‘নেই’ বলে ভাবা না-মুম্কিন। মনে করুন, ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া শক্তি সামন্তের ছবি ‘সাওয়ন কি ঘটা’র ‘আজ কোই প্যার সে’ গানের কথা– গানের প্রিলিউড শেষ হয়ে গান শুরু হওয়ার মধ্যে মাত্র দু’-সেকেন্ডের সুরবিহার। অমন পেলব, রিনরিনে, চুঁইয়ে পড়া সুর যেন লাস্যময়ী মুমতাজের কাছে আমাদের নিয়ে গেল কেমন অনায়াস বিভঙ্গে।

বা, ধরুন ১৯৫৮ সালের ‘আদালত’ ছবির ‘উনকো ইয়ে শিকায়ত হ্যায়’ গানে যে এক নিবিড় বিষাদের সুরকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে তীব্রতর ব্যঞ্জনায় সারেঙ্গির অনুরণন, সেসব কি আমাদের ছেড়ে গিয়েছে আজও, বা আদৌ ছেড়ে যাবে কোনওদিন? ‘সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন’ রাম নারায়ণের সারেঙ্গি আমাদের যাপনে-উদ্যাপনে সঙ্গী হয়ে থাকবে, যতদিন ভারতীয় সংগীত নামের এক বিস্ময়কর প্রপঞ্চ আমাদের ঘিরে থাকবে।
রাজস্থানের উদয়পুরে ১৯২৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর এক কাব্য আর সংগীতমগ্ন পরিবারে তাঁর জন্ম। পরিবারে সাকুল্যে কেউ সারেঙ্গি বাজায়নি। কিন্তু সারেঙ্গির আওয়াজ তো রাজস্থানের হাওয়ায় মিশে থাকে। বাবা নাথুজি বিয়ায়ত, ঠাকুরদা হরলালজি বিয়ায়ত, বড় বাবা সগত দানজি বিয়ায়ত, ঠাকুরদার ঠাকুরদা বগাজি বিয়ায়ত সকলেই গায়ক। বগাজি তো উদয়পুরের রাজসভায় গান গেয়ে মহারাণার থেকে হাতি উপহার পেয়েছিলেন। বগাজি অম্বর থেকে উদয়পুরে এসে তাঁর ঘাঁটি গাড়েন। রাম নারায়ণ বগাজিকেই তাঁদের পরিবারের শুরুয়াত বলে মানতেন, যেহেতু বগাজির সময় থেকেই গানবাজনায় তাঁদের পরিবারের ‘কণ্ঠখড়ি’ বা ‘হাতেখড়ি’ হয়। আরও একটা কারণ অবশ্য ছিল এই পরিবারের বিশিষ্ট হওয়ার নেপথ্যে, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যদিও সেই কারণকে বাহবা দেওয়া যায় না– বগাজির স্ত্রী সতী হয়েছিলেন। সগত দানজি উদয়পুর রাজসভায় গান গেয়ে মৃত্যুর পরে যাতে তাঁর দাহকার্য সম্পন্ন হতে পারে, সেজন্য জমিও পেয়েছিলেন– সে সময়ে সেটা এক বিরাট সম্মানের ব্যাপার ছিল। এই জমি পাওয়ার পরেই তাঁদের পরিবারে গানের প্রতি আগ্রহে ভাঁটা পড়ে– চাষাবাদে মনোযোগ দেন তাঁরা। পিতা নাথুজিই চাষাবাদের পাশাপাশি পরিবারে প্রথম বাদ্যযন্ত্র হাতে তুলে নেন– দিলরুবা। এই পিতার কাছেই তাঁর সংগীত শিক্ষায় ‘গজেখড়ি’ (সারেঙ্গি বাজাতে যে ছড় ব্যবহৃত হয় তাকে ‘গজ’ বলে)। মায়েরও সংগীতের প্রতি ভালোবাসা কম ছিল না। একরকম পরিবারের অমতেই সারেঙ্গি হাতে তুলে নেন তিনি। সে সময় সারেঙ্গি বাইজিদের গানের সঙ্গে সঙ্গতেই ব্যবহৃত হত। কিন্তু তাঁর জেদের কাছে একরকম হার মানতে হয় ওঁর পিতাকে। কিন্তু পুত্রকে কথা দিতে হয় যে, বাইজিদের সঙ্গে কখনওই তিনি সঙ্গত করতে পারবেন না।

কিন্তু কেনই বা সারেঙ্গির মতো একটা যন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হলেন তিনি? এর নেপথ্যে একটা গল্প আছে– ওঁদের পরিবারে নিয়ম ছিল পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে গঙ্গায় তাঁর ছাই বিসর্জন দিতে হয় (শুধু ওঁদের পরিবারে কেন, এই নিয়ম তো প্রায় সমস্ত হিন্দু পরিবারেই ছিল সে সময়, এখনও আছে কোনও কোনও পরিবারে)। হরিদ্বারে গিয়ে সে কাজ করতে হত। যে ব্যক্তি এ কাজে পৌরোহিত্য করতেন তাঁকে বলা হত ‘গঙ্গা গুরু’। রাম নারায়ণ যখন ছোট তাঁদের পারিবারিক গঙ্গা গুরু আসতেন ওঁদের উদয়পুরের বাড়িতে। তাঁর সঙ্গে একটা ছোট সারেঙ্গি থাকত যা বাজিয়ে তিনি রামায়ণ-মহাভারতের কাহিনি গেয়ে শোনাতেন। যখন উদয়পুরের এই বাচ্চাটির তিন বছর বয়স (১৯৩০ সাল) সে সময় সেই গঙ্গা গুরু এসেছিলেন তাঁদের বাড়িতে। ফেরার সময় এত জিনিস তাঁকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়, যে আরও অনেক কিছুর সঙ্গে সারেঙ্গিটা তিনি রেখে যান। আর কোনওদিন সে ব্যক্তি ফিরে যাননি উদয়পুরে– ফলে সেই সারেঙ্গি এই শিশুর সঙ্গী হয়ে যায়। বাবা সারেঙ্গি বাদক না-হলেও বাবার কাছেই তাঁর সারেঙ্গিতে আঙুল চালানোর শিক্ষা হয়। পরবর্তীকালে রাম নারায়ণ জানিয়েছিলেন যে, বাবার শেখানো সেই বিশেষ ‘টেকনিক’ তাঁকে সারেঙ্গির এক অবিসংবাদী শিল্পীতে পরিণত করেছিল। বাবা প্রথমে নিমরাজি হলেও পরে পুত্রকে ইশকুলের শিক্ষা ছেড়ে সারেঙ্গির সুরসাগরে আবগাহনের উৎসাহ দিয়েছেন। উদয়পুরের তরুণ গায়ক এবং সারেঙ্গি বাদক উদয়লালের কাছে পিতাই তাঁকে পাঠান একেবারে প্রথামাফিক শিক্ষার জন্য। এই উদয়লাল আবার ধ্রুপদীয়া আল্লাবন্দে এবং জাকিরুদ্দিন ডাগরের শিষ্য। কাজেই ধ্রুপদের প্রভাব উদয়ের ছাত্রের বাজনার ওপরেও যে পড়বে, সে তো বাহুল্যবোধে না বলাই ভালো– বিশেষভাবে উল্লেখ করে রাখা ভালো যে, রাম নারায়ণের রাগরূপায়ণে আলাপ অংশে ধ্রুপদশিক্ষার ছাপ ছিল ভালোরকম। অন্যদিকে উদয়পুরে লখনউয়ের খেয়ালিয়া মাধবপ্রসাদের কাছেও শিখেছেন এই বিস্ময়বালক। এই মাধবপ্রসাদের কাছেই তাঁর সংগীত-জীবন ঋণী বহুলাংশে। মাধবের পরামর্শেই রাম নারায়ণ সারেঙ্গির প্রধান তারটির কার্কশ্যকে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় করে তুলেছিলেন পেলব, মিঠে। তাঁর সারেঙ্গির এই মিঠে আওয়াজ পুরোদস্তুর উচ্চাঙ্গ সংগীতের গুরুগম্ভীর মহল থেকে বাণিজ্যসফল হিন্দি সিনেমার অজস্র গানে ওঁর উপস্থিতি অনিবার্য করে তুলেছিল। এই লেখা লিখতে লিখতে বারে বারে মনে গুনগুন করে উঠছে হিন্দি ছবির কতশত গানে তাঁর আঙুলের সুরেলা আনাগোনা। ১৯৪৯ থেকে একটানা প্রায় দু’-দশক তিনি বোম্বের সিনেমা জগতে সারেঙ্গির একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন– পকিজা (১৯৭২), মুঘল-এ-আজম (১৯৬০), আদালত (১৯৫৮), গঙ্গা যমুনা (১৯৬১), মিলন (১৯৬৭), কল্পনা (১৯৬০), সি. আই. ডি. (১৯৫৬), কাশ্মীর কি কলি (১৯৬৪), অনুরাধা (১৯৬০), ছোটে নবাব (১৯৬১)– কত নাম আর করা যায়! ওঙ্কার প্রসাদ নায়ার, মদনমোহন, নওশাদ আলি (আজ নওশাদেরও জন্মদিন), রাহুল দেববর্মন, রবিশঙ্কর, লক্ষ্মীকান্ত প্যারেলাল, শঙ্কর জয়কিষণ– প্রত্যেকেই রাম নারায়ণকে চেয়েছেন তাঁদের কাজে। প্রসঙ্গত দু’-একটা গানের কথা উল্লেখ না করলে এই লেখা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না– ‘ঘর আজা ঘির আয়ি’ (‘ছোটে নবাব’, সুর: রাহুল দেব বর্মন), ‘হায় রে, য়হ দিন কিউঁ না আয়ে’ (‘অনুরাধ’, সুর: রবিশঙ্কর), ‘বেকসী হদ সে জব গুজর যায়ে’ (‘কল্পনা’, সুর: ও পি নায়ার)।

মাধবপ্রসাদের কাছে শিখতে শিখতেই ‘বিদ্যা ভবন’ আর ‘রাজস্থান মহিলা বিদ্যালয়’-এ গানের মাস্টারি করেছেন রোজগারের তাগিদে। কিন্তু মাধবপ্রসাদ উদয়পুরের ঠাঁই ছেড়ে যোধপুর, বিকানির, গোয়ালিয়র, লখনউ গেলে রাম নারায়ণও মাস্টারি ছেড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন তাঁর সঙ্গে শেখার তাগিদে। লখনউতে মাধবপ্রসাদ অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৯৪৩-এ লাহোর বেতারে চাকরি করতে যান ১৩০ টাকা মাইনের সারেঙ্গিয়া হিসাবে। সেখানেই সুযোগ পান কিরানার বিখ্যাত শিল্পী আবদুল ওয়াহিদ খানের কাছে শেখার এবং তাঁর সঙ্গে সঙ্গত করার। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের ঠিক আগে রেডিয়োতে পটদীপ, মূলতানি এবং দরবারির পরিবেশনায় আবদুল ওয়াহিদের সঙ্গে সারেঙ্গিতে রামনারায়ণ এবং তবলায় রামনারায়ণের ভাই চতুরলাল সঙ্গত করেন। লাহোর রেডিয়োর সংগীত প্রযোজক জীবনলাল মট্টু গোপনে এই অনুষ্ঠানটি রেকর্ড করে রেখেছিলেন। ভারত ভাগের পরে ওয়াহিদ খান, রাম নারায়ণ এবং চতুরলাল দিল্লিতে চলে আসেন– দিল্লিতেই ওয়াহিদ খান মারা যান। ওয়াহিদ খানের কাছে প্রায় চার বছর শেখেন রাম নারায়ণ।
ওয়াহিদ খানের মৃত্যুর পরে রাম নারায়ণ দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো’তে চাকরি করেন ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত। ওঙ্কারনাথ ঠাকুর, কৃষ্ণরাও শঙ্কর পণ্ডিত, গায়ক মুশতাক হুসেন খান, আহমদজান থেরাকুয়া, কণ্ঠে মহারাজ-এর মতো যুগন্ধর শিল্পীদের সঙ্গে সঙ্গত করেছেন। কিন্তু আগাগোড়াই তিনি চেয়েছিলেন সারেঙ্গিকে একটা উচ্চাঙ্গ সংগীতের স্বয়ংসম্পূর্ণ একক যন্ত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার। একবার দিল্লি রেডিয়োতে একজন গায়ক তো তাঁর নামে অভিযোগ করেন যে তিনি (রাম নারায়ণ) এমন সব স্বর লাগিয়েছিলেন তাঁর বাজনায় যে সেই গায়ক ভুল রাগ পরিবেশন করেন– যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে সঙ্গতকার হিসেবে তাঁকে ধারণ করার মতো ক্ষমতা তো সকলের থাকে না– রেডিয়োতে এরকম অনেক দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণির গায়কের সঙ্গেও তাঁকে বাজাতে হয়েছে চাকরির শর্ত মেনে। এই সব তিক্ত অভিজ্ঞতায় তিনি ছেড়ে দিলেন রেডিয়োর চাকরি ১৯৪৯ সালে, চলে এলেন বোম্বে।

এরপর থেকে রাম নারায়ণের জীবনের কাহিনি অগ্রগতি আর খ্যাতির চূড়ায় ওঠার কাহিনি। হিন্দি ছবির জগতের কথা তো আগেই বলেছি, কিন্তু পুরোদস্তুর উচ্চাঙ্গ সংগীতের জগৎকে তিনি তাঁর দৃপ্ত উপস্থিতিতে সমৃদ্ধতর করে গিয়েছেন জীবনের শেষদিন পর্যন্ত। দেশের প্রতিটি কোনায় তিনি যেমন বাজিয়েছেন, তেমনই সারা পৃথিবীর বহু দেশে তিনি নিয়মিত হাজির হয়েছেন তাঁর বাজনার সম্ভার নিয়ে– আফগানিস্তান, আমেরিকা, ইউরোপের বহু জায়গায় তিনি বাজিয়েছেন, শিখিয়েছেন। আজ সারা পৃথিবীতে সারেঙ্গির যে পরিচিতি তার ভগীরথ রাম নারায়ণ। তাঁর মতো করে সারেঙ্গির প্রচার এবং প্রসার তাঁর আগে কেউ করেননি বা করতে পারেননি, যদিও সারেঙ্গির গুণী এবং দিক্পাল শিল্পীর অভাব কোনও কালেই এদেশে ছিল না। সম্মানের ঝুড়িও উপচে পড়েছে তাঁর– পদ্মশ্রী (১৯৭৬), পদ্মভূষণ (১৯৯১), পদ্ম বিভূষণ (২০০৫), রাজস্থান সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (১৯৭৪-৭৫), ভারত সরকারের সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (১৯৭৫), কালিদাস সম্মান (মধ্যপ্রদেশ সরকার, ১৯৯১-৯২), পণ্ডিত ভীমসেন যোশী জীবনকৃতি পুরস্কার (২০১৫-১৬) সহ আরও আরও অনেক পুরস্কার।

৭৮-আরপিএম ১০ ইঞ্চি গালার গ্রামোফোন রেকর্ডে তাঁর বাজনা মুদ্রিত হয়ে বের হয় ১৯৫০ সালে প্রথম, তারপরে ৭৮-আরপিএম রেকর্ড, ৪৫-আরপিএম, দীর্ঘবাদন (লং প্লে) রেকর্ডের দিন পেরিয়ে ক্যাসেট, সিডি, ডিভিডিতে অজস্র, অসংখ্য রেকর্ড তাঁর বাজনা আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তার হিসেব এখানে দিতে যাওয়া অর্থহীন। এখানে কেবল একটা নমুনা পাঠকদের জন্য উল্লেখ করে এই লেখা শেষ করি– ১৯৮১ সালে মিউজিক ইন্ডিয়া থেকে প্রকাশিত তাঁর দীর্ঘবাদন ধ্বনিমুদ্রিকা। এই অ্যালবামে রামনারায়ণের সঙ্গে তবলায় ছিলেন আর-এক যুগন্ধর শিল্পী সামতা প্রসাদ। আর এই রেকর্ডিং হয়েছিল বম্বেতে আর এক দিকপাল শব্দ প্রকৌশলীর হাতে– দামন সুদ। সঙ্গে রইল দু’টি রাগ সেই অ্যালবাম থেকে– পুরিয়া ধ্যানেশ্রী এবং মিশ্র তিলং। আজকের দিনে রাম নারায়ণের কথা বলব, কিন্তু তাঁর বাজনা শুনব না– এমনটা কাঙ্ক্ষিত নয়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved