জ্যোতি বুঝতে পারে, মেজবউঠান তাকে যতই ভালোবাসুক, মেজদাদা সম্পর্কে কোনওরমক বাঁকা কথা সে সহ্য করবে না। ফোঁস করবেই। জ্যোতি বলে, আমি স্বীকার করছি, কাদম্বরীর মনের যে নিভৃত কোণটিতে রবি তার জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে কারও প্রবেশাধিকার নেই। সুতরাং, আমি সেই চেষ্টা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।
৩১.
তাঁর চোখের সামনে কাদম্বরী প্রেমে পড়ছে। রবির রূপ, রং, প্রতিভা তাকে পতঙ্গের মতো টেনে নিচ্ছে। নিজের স্ত্রীর এই রঙ্গ, এই রস, এই রতিরূপ সে তো নিজের ঘরে দেখতে পায় না। দেখতে পায় কাদম্বরীকে যখন ছোঁয় রবির আলো, আনন্দ, আবেগ। তখন সে এক অন্য কাদম্বরী! কাদম্বরীর সেই হাসি, দ্যুতি, সেই ইঙ্গিত, সেই বাক্যহীন কথা, সব রবির জন্য।
–কী করে সহ্য করো তুমি ঠাকুরপো? ছাদের কোণে অন্ধকারের আড়ালে জ্যোতির পাশে আরও একটু ঘন হয়ে প্রশ্ন করে জ্ঞানদা।
–বুঝতে পারো না তুমি?
–না, পারি না।
–তাহলে একটা আনপ্লেজেন্ট কথা বলতেই হয়।
–বলো। জ্ঞানদা একটু অবাক হয়েই বলে।
–তোমার কি মনে হয় মেজবউঠান, মেজদাদা তোমার আমার সম্পর্কের কোনও আঁচই পায়নি?
–হয়তো পেয়েছে। কিন্তু তোমার মেজদাদাকে তো আমি কোনওভাবে বঞ্চিত করছি না। তার সব প্রয়োজন মিটিয়েই আমি তোমার কাছে আসি।
–তুমি যে-কথাটা বললে মেজবউঠান, তার মধ্যে কি বাসা বাঁধেনি তঞ্চকতা?
–কীসের তঞ্চকতা নতুন? তোমার মেজদাদার তো অভাব রাখিনি আমি। তার দুই ছেলেমেয়ের মা আমি। আমার সঙ্গে থেকেও সে বঞ্চিত হয় না। তোমার মতো একা, নিঃসঙ্গ দুর্ভাগা তোমার মেজদাদা নয়। কিন্তু আমার স্বামীটি নিত্য কাজের সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছে। সে ভারতের প্রথম আইসিএস, শুধু আমাকে নিয়ে তার পড়ে থাকলে চলবে নতুন? তার কেরিয়ার তার বউয়ের চেয়ে তার কাছে অনেক ইম্পর্ট্যান্ট নতুন।
কথাগুলো জ্যোতির কেমন-কেমন লাগল। মনে হয়, তার প্রতি মেজবউঠানের ঈষৎ খোঁচা আছেই আছে কথা মধ্যে। তবু সে মান-অভিমান এতটুকু প্রকাশ না করে বলল, রবি এ-বাড়িতে ছোট থেকেই বড্ড একা মেজবউঠান। আর কাদম্বরী রবির একেবারে ছেলেবেলার বন্ধু। বন্ধুত্ব কখন যে গড়িয়ে যায় ভালোবাসায়, তার ওপর কারও কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
–ঠাকুরপো, সত্যকে এড়িয়ে যেও না। ভালোবাসা আর প্রেম এক নয়। আমাদের চোখের সামনে তোমার বউ রবির সঙ্গে যেভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে, যা ঘটতে দেখছি, তা কিন্তু সমাজ-সংসার সহ্য করবে না। ওরা কোনও আড়াল-আব্রু রাখছে না। এর পরিণতি কী হবে বুঝতে পারছ?
–আমার কী করার আছে বলো? আমি তো চেষ্টা কম করিনি। বউকে নিয়ে ভোরবেলায় ময়দানে ঘোড়া ছুটিয়েছি। ক’জন বাঙালি স্বামী এ কাজ করতে পারে? তোমার আইসিএসএর-ও কি পারবে?
–তুমি তো জানো, তোমার মেজদাদা কোনও ব্যাপারেই আবেগের আদিখ্যেতা পছন্দ করে না।
জ্যোতি বুঝতে পারে, মেজবউঠান তাকে যতই ভালোবাসুক, মেজদাদা সম্পর্কে কোনওরমক বাঁকা কথা সে সহ্য করবে না। ফোঁস করবেই। জ্যোতি বলে, আমি স্বীকার করছি, কাদম্বরীর মনের যে নিভৃত কোণটিতে রবি তার জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে কারও প্রবেশাধিকার নেই। সুতরাং, আমি সেই চেষ্টা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।
কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে জ্ঞানদা। তারপর অন্ধকারে নিবিড়ভাবে জ্যোতির কোমর জড়িয়ে বলে, আমারও মনের নিভৃত কোণে তুমি যে জায়গাটি পেয়েছ, সেখানেও কারও প্রবেশাধিকার নেই জ্যোতি।
তারপর জ্ঞানদা জ্যোতিকে নিজের দিকে ফেরায়। দুই ছায়ামূর্তি দু’জনের মুখোমুখি। জ্ঞানদা হঠাৎ জ্যোতির বুকে মাথা রাখে। বলে, কতদিন আদর করোনি।
জ্যোতি জ্ঞানদাকে ধীরে টেনে নেয় বুকের মধ্যে। তারপর বলে, কাদম্বরীর উদ্দেশে এক আশ্চর্য গান লিখেছে রবি। এমন গান বাংলা ভাষায় এই প্রথম লেখা হল। আমার ঈর্ষা হয় রবিকে। আমার ভালোবাসার মেয়েকে আমিও যদি বুকে জড়িয়ে এই গান গাইতে পারতুম!
–কী কথা, কেমন গান? যা আজও বাংলা ভাষায় নেই?
–সত্যি নেই। গানের পঙক্তিগুলো আমি সুরে গাইছি না। কাদম্বরীর ড্রেসিং টেবিলে রবির হাতের লেখায় চারটি লাইন পেয়েছি। এই লাইন আমাকে হন্ট করছে।
–গান না কবিতা?
–কাদম্বরী বলল, রবি তাকে গেয়ে শুনিয়েছে। তারপর সুরটা গুনগুন করেই থেমে গেল। তারপর আমাকে জিজ্ঞেস করল, এমন গান, এমন প্রেমের গান, জগতে আর কি কেউ লিখেছে?
–আর তুমি কী বললে জ্যোতি? প্রশ্ন করে জ্ঞানদা জ্যোতির বুকে মাথা রেখে।
–বললাম, জগতের কথা বলতে পারব না নতুন বউ। কিন্তু বাংলা ভাষায় এমন প্রেমের গান যে এই প্রথম দেখা দিল, তা বলা যায়।
–তোমার কথা শুনে তোমার বউ কী বলল?
–কিচ্ছু না। ছুটে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
কেমন যেন বিহ্বল অবস্থার মধ্যে ও সারাক্ষণ রয়েছে।
–জ্যোতি, তোমার বউকে সামলাও। সময় থাকতে না সামলালে ভয়ংকর পরিণতি।
–মেজোবউঠান, গানের চারটি পঙক্তি শুধু শোনো। বুঝবে, সামলানোর সময় এবং ক্ষমতা আমাদের কারও নেই। রবির প্রতিভার মূল্য আমাদের সবাইকে দিতে হবে।
–কী পাগলের মতো বলছ? গানের লাইন সমাজ-সংসার মিথ্যে করে দেবে?
–মেজবউঠান, বাংলা গানে আদি রসের অভাব নেই। কিন্তু শৃঙ্গাররসের এই রূপ বাংলা গানে ধরা দেয়নি মেজবউঠান। যদি কোনও মেয়ে মনে মনে জানতে পারে, এই গান তারই চোখের চাওয়া, তারই হাসি নিয়ে লেখা, সে না সাড়া দিয়ে পারে?
–তা বলে তোমার বউ যেভাবে লাজলজ্জা ভুলে সাড়া দিচ্ছে, সেভাবে?
–এ-গানটাই তো পিওর পাগলামির। যে বিশুদ্ধ পাগলামি আমরা কিন্তু আমাদের প্রেমে আনতে পারিনি মেজবউঠান!
–শোনাও তো আমাকে কী লিখেছে রবি? বলে জ্ঞানদা।
জ্যোতি আবৃত্তি করে:
আপনা থাকি ভাসিবে আঁখি আকুল নীরে,
ঝরনা সম জগৎ মম ঝরিবে শিরে–
তাহার বাণী দিবে গো আনি সকল বাণী বহিয়া।
পাগল করে দিবে সে মোরে চাহিয়া॥
–ননসেন্স, আটার ননসেন্স, বলে জ্ঞানদা।
–এ-গান তোমার জন্যে যদি আমি লিখতে পারতুম, তাহলে কি তুমি বলতে পারতে, ননসেন্স, আটার ননসেন্স?
জ্ঞানদা অন্ধকারের মধ্যে তাকায় জ্যোতির দিকে অনেকক্ষণ চুপ করে থাকে। জ্যোতির আলিঙ্গন থেকে ছাড়িয়ে নেয় নিজেকে। তারপর জ্যোতির বুকে দুম-দুম কিল মেরে বলে, কেন পারো না, কেন পারো না আমার জন্য এমন গান লিখতে? ওই কালো মেয়েটার জন্যে রবি যা পারে, তুমি আমার জন্যে পারবে না? পারবে না তুমি আমাকে জিতিয়ে দিতে?
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
জ্যোতি জ্ঞানদার হাতে হাত রেখে বলে, মেজবউঠান, জেনে রাখো, রবি একদিন শৃঙ্গার রসে ভাসাবে সমস্ত বাংলাদেশকে। ওর জীবনে আসবে অন্তহীন নারী। কিন্তু কাদম্বরীই ওর ধ্রুবতারা। ওদের প্রেমের পরিণতি হবে গভীর শোকের মধ্যেই, আমি নিশ্চিত।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
এরপর অনেকক্ষণ কোনও কথা নেই। জ্যোতি আর জ্ঞানদা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে।
জ্যোতি জ্ঞানদার হাতে হাত রেখে বলে, মেজবউঠান, জেনে রাখো, রবি একদিন শৃঙ্গার রসে ভাসাবে সমস্ত বাংলাদেশকে। ওর জীবনে আসবে অন্তহীন নারী। কিন্তু কাদম্বরীই ওর ধ্রুবতারা। ওদের প্রেমের পরিণতি হবে গভীর শোকের মধ্যেই, আমি নিশ্চিত। কিন্তু সেই বিচ্ছেদ ও শোকই কাদম্বরীকে চিরদিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখবে রবির লেখা প্রেমের গানে-কবিতায়-গল্পে। কাদম্বরী বেঁচে থাকবে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবির প্রেমিকা পরিচয়েই। আমার স্ত্রী, এই পরিচয় কাদম্বরীর জীবন থেকে শুকনো পাতার মতো ঝরে যাবে।
–কী বলছ পাগলের মতো? বলে জ্ঞানদা। কাদম্বরীর সামাজিক পরিচয় সে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী। এটা কি কম ভাগ্যের কথা? ঠাকুরবাড়ির কাজের লোকের মেয়ে জ্যোতিরিন্দ্রের স্ত্রী? সৌভাগ্যের কী অপ্রত্যাশিত দান!
–কাদম্বরীর পরিচয় হবে, সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজনের সে প্রেরণা ও প্রেমিকা! সেই মেয়ে একদিন ঢুকল আমার ঘরে। আমি তখন লিখছি। সে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে কাঁদতে লাগল। আর বারবার বলতে লাগল, আমাকে কী না বলল, তুমি এখন যাও তো নিজের ঘরে। গান লেখার সময় আমাকে ডিস্টার্ব করো না। ঠিক আছে। ঠিক আছে। আমি চলে যাব। চলে যাবই যাব। বিয়ে করে, সংসার করে, বউয়ের দিকে তাকিয়ে-তাকিয়ে কত কবিতা তখন লিখতে পারে, আমি দেখব!
–তারপর? জ্ঞানদার অবাক প্রশ্ন।
–তারপর আর কী! সদ্যরচিত নিজের একটি গান কণ্ঠে নিয়ে, চাদরের খুঁটে বাঁধা চাঁপা ফুলের গন্ধ সারা ঘরে ছড়িয়ে রবির প্রবেশ।
–তুমি তখন তোমার ঘরে?
–হ্যাঁ, তা তো বটেই। ফরাসি প্রেমের কবিতা পড়ে মুগ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছি। এমন সময় রবি ঢুকল। আর তখুনি আমি বুঝলাম, রবি পারে, আপনি পারে, পারে সে ফুল ফোটাতে।
–মানে?
–মানে, কাদম্বরীর মান ভাঙাতে সে একটি গান লিখে, সুর বসিয়ে, গাইতে-গাইতে চলে এল সটান আমার ঘরে!
–আর কাদম্বরী?
–সেকথা থাক। গানের যে-দু’চার লাইন মনে আছে, সেইটুকু শোনাই। বুঝবে, আর কোনও কবির কোনও চান্সই নেই।
–কী এমন গান গো?
–যে-গান বাংলার যে-কোনও কবির সাধ্যের বাইরে। কারও কবিতা এই গানের নাগাল পাবে না। কারও সাধ্য নেই কাদম্বরীকে হারিয়ে তোমাকে জিতিয়ে দেয় মেজবউঠান। আমি তো কোন ছার।
–কেন? তোমার কবি-বন্ধু বিহারীলাল চক্রবর্তী, কাদম্বরীর প্রেমে সে-ও তো হাবুডুবু খাচ্ছে, সে পারবে না আমার জন্য় একটা গান লিখে আমাকে জিতিয়ে দিতে? আমি কীসে কম ঠাকুরপো তোমাদের কাদম্বরীর থেকে?
–তুমি কিছুতেই কম নও। অন্তত কাদম্বরীর থেকে। কিন্তু তুমি ভুল লোককে ভালোবেসেছ। শোনো, রবির লেখা এই মান-ভাঙানো গানের মাত্র ক’টা লাইন। তাহলেই হাড়ে-হাড়ে বুঝবে কঠিন সত্য।
জ্যোতি গাইতে শুরু করে:
বঁধু, মিছে রাগ কোরো না, কোরো না।
মম মন বুঝে দেখো মনে মনে– মনে রেখো, কোরো করুণা॥
পাছে আপনারে রাখিতে না পারি
তাই কাছে কাছে থাকি আপনারি–
মুখ হেসে যাই, মনে কেঁদে চাই-– সে আমার নহে ছলনা॥
ব্যস এইটুকু। আর মনে নেই। হ্যাঁ, আমার খাট থেকে কাদম্বরীকে হাত ধরে মান ভাঙিয়ে যে লাইনটা রবি গাইল, সেই আনম্যাচেবল পঙক্তিটিও আমি ভুলতে পারিনি।
জ্যোতি সেই পঙক্তিটি আবার গাইল:
দূর হতে এসে ফিরে যাই শেষে বহিয়া বিফল বাসনা।
জ্যোতি গান থামিয়ে বলে, তুলনাহীন।
জ্ঞানদা বলে, অপদার্থ!
–কে অপদার্থ? প্রশ্ন করে জ্যোতি।
–তুমি, তুমি, তুমি, বলে জ্ঞানদা।
–আজ জানলে? সামান্য হেসে প্রশ্ন করে জ্যোতির ছায়া।
(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)
…পড়ুন মেজবউঠাকরুণ-এর অন্যান্য পর্ব…
মেজবউঠাকরুণ ৩০: যতটা গড়িয়েছে রবির সঙ্গে কাদম্বরীর সম্পর্ক, তার কতটুকু জ্যোতিরিন্দ্র আন্দাজ করতে পারে?
মেজবউঠাকরুণ ২৯: দুর্গার মুখ আর এস্থারের মুখ প্রায় হুবহু এক
মেজবউঠাকরুণ ২৮: দেবদূতের সঙ্গে পাপের আদানপ্রদান
মেজবউঠাকরুণ ২৭: কাদম্বরী শুধুই রবির, আর কারও নয়
মেজবউঠাকরুণ ২৬: আমারও খুব ইচ্ছে বউঠান, পাঁচালির দলে ভর্তি হয়ে গ্রামে গ্রামে মনের আনন্দে গেয়ে বেড়াই
মেজবউঠাকরুণ ২৫: জ্ঞানদা প্রথম মা হল একটি মৃত সন্তান প্রসব করে!
মেজবউঠাকরুণ ২৪: কাদম্বরীকে ‘নতুন বউঠান’ বলে উঠল সাত বছরের রবি
মেজবউঠাকরুণ ২৩: ঠাকুরপো, তোমাকে সারা বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি, আর তুমি ছাদে একা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে!
মেজবউঠাকরুণ ২২: কাল থেকে আমিও রবির মতো একা হয়ে যাব না তো ঠাকুরপো?
মেজবউঠাকরুণ ২১: জ্ঞানদার মধ্যে ফুটে উঠেছে তীব্র ঈর্ষা!
মেজবউঠাকরুণ ২০: স্বামী সম্বন্ধে জ্ঞানদার মনের ভিতর থেকে উঠে এল একটি শব্দ: অপদার্থ
মেজবউঠাকরুণ ১৯: কাদম্বরী ঠাকুরবাড়িতে তোলপাড় নিয়ে আসছে
মেজবউঠাকরুণ ১৮: নতুনকে কি বিলেত পাঠানো হচ্ছে?
মেজবউঠাকরুণ ১৭: চাঁদের আলো ছাড়া পরনে পোশাক নেই কোনও
মেজবউঠাকরুণ ১৬: সত্যেন্দ্র ভাবছে জ্ঞানদার মনটি এ-বাড়ির কোন কারিগর তৈরি করছে
মেজবউঠাকরুণ ১৫: জ্ঞানদার কাছে ‘নতুন’ শব্দটা নতুন ঠাকুরপোর জন্যই পুরনো হবে না
মেজবউঠাকরুণ ১৪: জ্যোতিরিন্দ্রর মোম-শরীরের আলোয় মিশেছে বুদ্ধির দীপ্তি, নতুন ঠাকুরপোর আবছা প্রেমে আচ্ছন্ন জ্ঞানদা
মেজবউঠাকরুণ ১৩: বিলেতে মেয়েদের গায়ে কী মাখিয়ে দিতে, জ্ঞানদার প্রশ্ন সত্যেন্দ্রকে
মেজবউঠাকরুণ ১২: ঠাকুরবাড়ির দেওয়ালেরও কান আছে
মেজবউঠাকরুণ ১১: ঠাকুর পরিবারে গাঢ় হবে একমাত্র যাঁর দ্রোহের কণ্ঠ, তিনি জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ১০: অসুস্থ হলেই এই ঠাকুরবাড়িতে নিজেকে একা লাগে জ্ঞানদানন্দিনীর
মেজবউঠাকরুণ ৯: রোজ সকালে বেহালা বাজিয়ে জ্ঞানদার ঘুম ভাঙান জ্যোতিঠাকুর
মেজবউঠাকরুণ ৮: অপ্রত্যাশিত অথচ অমোঘ পরিবর্তনের সে নিশ্চিত নায়িকা
মেজবউঠাকরুণ ৭: রবীন্দ্রনাথের মায়ের নিষ্ঠুরতা টের পেয়েছিলেন জ্ঞানদানন্দিনী
মেজবউঠাকরুণ ৬: পেশোয়াজ অন্দরমহল আর বারমহলের মাঝখানের পাঁচিলটা ভেঙে দিল
মেজবউঠাকরুণ ৫: বাঙালি নারীশরীর যেন এই প্রথম পেল তার যোগ্য সম্মান
মেজবউঠাকরুণ ৪: বৈঠকখানায় দেখে এলেম নবজাগরণ
মেজবউঠাকরুণ ৩: চোদ্দোতম সন্তানকে কি ভুল আশীর্বাদ করলেন দেবেন্দ্রনাথ?
মেজবউঠাকরুণ ২: তোমার পিঠটা কি বিচ্ছিরি যে তুমি দেখাবে না বউঠান?
মেজবউঠাকরুণ ১: ঠাকুরবাড়ির বউ জ্ঞানদাকে ঘোমটা দিতে বারণ দেওর হেমেন্দ্রর