হাসি যে একটা বেনিয়মের শক্তি হয়ে উঠতে পারে, সেইটে রেনেসাঁস-উত্তর ইউরোপে এক ধরনের পাগলামি বলে দেগে দেওয়া হয়। সতেরো শতাব্দী থেকে হাসিকে অ্যাসাইলামে বন্দি করা হয়। ক্ষমতা গম্ভীরভাবে থাকতে চায়। কে না জানে গাম্ভীর্য নির্বোধের মুখোশ।
লেখার টেবিলের কি কোনও মন নেই? শুধুই শরীর? অসম্ভব। লেখার টেবিলের মন ছাড়া এমন থ্রিলার লেখা যায় না!
কমল মিত্র যেসব ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, সে সবক’টিতেই তিনি ছিলেন অবিশ্বাস্যরকম বিশ্বাসযোগ্য! কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘টাইপকাস্ট’– রাশভারী বাবার রোলে। জন্মদিনে, তাঁকে সমগ্রতায় দেখার এক চেষ্টা।
প্রাচ্যবাদী ছবির ধারায় কৃষ্ণাঙ্গ নারী পুরুষের কমতি নেই। কিন্তু ফরাসি বিপ্লব ঘনিয়ে আসার আগে থেকেই ইউরোপের উঁচু তলার মহিলাদের সঙ্গী হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গদের একটা অংশ অভিজাত সমাজে ঘোরাফেরা করছিলেন। ‘হাউ ডু দ্য সাবঅলটার্ন স্পিক’ বা আদৌ তারা কথা কয় কি না জানতে গেলে এইবার আমাদের সালোঁর দিকে ফিরে তাকাতে হবে।
জেমিমা রডরিগেজ গান করেন। গিটার বাজিয়ে। আবার সুনীল গাভাসকরকে প্রস্তাব দেন ডুয়েটের। কৈশোরে দেখেছি বীরেন্দ্র শেহবাগকে। ছোট কাগজে তরুণ কবির প্রথম কবিতা, হেলমেটের ভিতর ভরে আনেন কিছু বিস্ফোরক আর কিছুটা কিশোরকুমার। এসব গানের ভিতর ক্রিকেট। আবার ক্রিকেটের ভিতর গানও আছে পুরো দস্তুর।
সবকিছু তো আর মেপে হয় না, আবার মাপজোখ ছাড়াও কিছু হয় না। গড়, আন্দাজ, বিশ্বাস– এসবের একটা বড়সড় ভূমিকা থাকত, সেকালের হিসেব-নিকেশে।
‘উপন্যাসসমগ্র’ প্রকাশের বছর দুয়েক পর একদিন বিকেলে নবারুণদা অপুকে ফোনে মজার সুরে বলেন, দে’জের ক্যাটালগে এত কবির ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ আছে অথচ তাঁর নেই কেন? অপু পালটা জানায় তিনি পাণ্ডুলিপি দিলেই তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ছাপা হবে।
এতদিন লড়াই করে যে মানুষগুলো সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার চেষ্টা করেছেন, সেই কাজটাই তো বৃথা হয়ে যায়, যদি একজন মানুষ যদি একদিন সকালে উঠে দেখেন, তিনি সরকারের খাতায় বেনাগরিক হয়ে গেছেন। তখন তাঁর মনের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে?
৮ পৌষের প্রতিষ্ঠাদিবস পালনের জন্য এই আলপনা চলত মেলা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত। ছাতিমতলা থেকে শুরু করে ‘শান্তিনিকেতন বাড়ি’, ‘আম্রকুঞ্জ’, ‘ঘণ্টাতলা’, ‘মাধবীবিতান’ যেন আমার সমস্ত নান্দনিক ভাবনা-চিন্তার উৎসক্ষেত্র হয়ে উঠত। আম্রকুঞ্জ হয়ে উঠত ছবির পট– আমার সকল আনন্দের উৎস।
বরমা গ্রামে কালীসাধকের আখড়ার দেওয়ালে দু’জন গ্রাম্য শিল্পী ‘শ্মশানে হরিশচন্দ্র’র কাহিনিচিত্র আঁকেন। এই আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে সোমনাথ ছবি আঁকার দিকে আগ্রহী হন। সোমনাথের ছবি আঁকার আগ্রহ দেখে শৈলেন কাকা জলরঙের ছোট একটি বাক্স কিনে দেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved