Robbar

জীবনানন্দ কি তবে ‘দেশ’ বলতে স্পেস বুঝিয়েছেন?

সময় জীবনানন্দের বাহুবন্ধনে অন্যরকম ভাবে ধরা দিল। এ রতিশয্যা বক্র-বাস্তবতার। কী আশ্চর্য প্রতিভায় যে জীবনানন্দ বুঝতে পারলেন, প্রচলিত সাহিত্যের ছাত্র হয়েও, গত শতাব্দীর ঠিক প্রথম দশকটিতেই গ্যালিলিও, নিউটন, যেমন কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস বা হোমার– পরিত্যক্ত হয়েছেন মহাকাব্যের সম্মানে।

→

পোকামাকড়ের থেকে আমরা কী কী শিখি?

প্রজাপতির ডানা থেকে শিখে নাও সোলার প্যানেলের নকশা; ব্যবহার করো বারুদগর্ভ ট্যাঙ্কারের ছাদে। পাহাড়ি বিটলের থেকে শিখে নাও কীভাবে সাজাতে হবে করাতের শ্বদন্ত; যাতে আরও সুনিপুণ দক্ষতায় কাটা যায় গাছ। টাইগার মথের থেকে শিখে নাও কীভাবে এড়ানো যাবে সাউন্ড নেভিগেশন; গোপনে চালনা করো যুদ্ধবিমান। এ শিক্ষার পাপ বয়ে চলে যেতে হবে।

→

উৎপল দত্ত মঞ্চে যা করতে পারে আমার পক্ষে সিনেমাতেও করা সম্ভব নয়, বলেছিলেন সত্যজিৎ

উৎপল দত্তকে নিয়ে তথ্যচিত্র, কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার অর্থসাহায্য করল না! বিস্মিত হয়েছিলাম। কিন্তু বিস্মিত হননি উৎপল দত্ত। উৎপলদা বললেন, ‘ওরা করবে না। ট্রটস্কি আর চারু মজুমদারকে এখনও ভুলতে পারেনি।’ তখন বুঝিনি। ছবিটা করতে গিয়ে পরিষ্কার হল।

→

ফিরোজ গান্ধীর কল্যাণেই সংসদের ‘মন কি বাত’ জানছে আজকের আমজনতা

আইনসভার বিবরণী ছাপার ব্যাপারে মানহানির অভিযোগ থেকে সংবাদমাধ্যমকে সুরক্ষিত রাখাটা কতটা জরুরি, তা ফিরোজ গান্ধী অনুভব করেছিলেন।

→

হাতে আঁকার কদর নেই, চালচিত্রের সুলভ ডিজিটাল প্রিন্টই রেবা পালের বিষণ্ণতার কারণ

কলকাতার জাঁকজমক থেকে দূরে থাকা, প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই চালচিত্র শিল্পী রেবা পাল। ৬০ বছর ধরে জড়িয়ে এই পেশায়। কিন্তু এই বছরের শরৎকালে কাশফুলের পাশে ফুটে উঠেছে তাঁর অপরিমেয় বিষণ্ণতা। কারণ হাতে আঁকা চালচিত্রর আজ কদর নেই। ডিজিটাল যুগ এসে, হাতে আঁকা শিল্পের কদর কমায়নি শুধু, অর্থপ্রাপ্তিরও পথগুলোও শীতের কুয়াশায় মিলিয়ে গিয়েছে।

→

সাতের দশকের কলকাতার ‘মিশ্র’ দৃশ্য অনুভূতি

যে যুগে বাংলা ভাষা নিজেকে প্রকাশ করতে ভয় পায়নি, এ বই সে যুগের। যে যুগে রীতির বিপরীতে বাংলা সাহিত্য দুর্দান্ত স্পর্ধায় নিজেকে কেটেছে-ছিড়েছে, শার্টের বোতাম খুলে উন্মুক্ত বুকে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে মাঝরাতে টহল দিয়েছে রাস্তায়, বিনা তোয়াক্কায়, এ বই সে যুগের।

→

চাকরিরতা মায়েদের সুবিধার্থে তৈরি সন্তান পরিচর্যার ক্রেশ কলকাতায় বন্ধ হয়েছে বারবারই

দোলনা শুরু হওয়ার প্রায় বছর ১৫ আগে লীলা মজুমদার আশা করেছিলেন সমাজে এরকম ব্যবস্থা হবে যেখানে মায়েরা বাচ্চাদের রেখে চাকরি করতে যেতে পারবেন নিশ্চিন্তে। দোলনার ক্রেশের ৫০-এর বেশি বছর কেটে গিয়েছে। তবে কলকাতা শহরে এরকম ব্যবস্থা এখনও বিশেষ নেই।

→

সোমা ঠাকুর বা রুবিনা বিবিদের উদ্বেগের অবসান ঘটাবে কে?

যাঁরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁদের গরিষ্ঠাংশ কিন্তু সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়েরই মানুষ। যাঁরা এই নির্বাচন কমিশনের নতুন ফরমানে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় আছেন মহিলারা এবং তা দু’ সম্প্রদায়েরই। এবং তাঁদের বেশিরভাগই অত্যন্ত গরিব এবং পিছিয়ে পড়া মহিলারা।

→

ভারতীয় অধ‍্যয়নের মূল উদ্দেশ্য পূর্ণতাকে উপলব্ধি করা

ভারতীয় বিদ্যাচর্চা পুরোপুরি গুরু-শিষ্য কেন্দ্রিক। যার নিয়ম হল গুরুকে একাগ্রতার সঙ্গে শোনা, পূর্ণভাবে সমর্পণ, গুরু উপদেশে পূর্ণ বিশ্বাস, আর গুরুদত্ত নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করা। এই ভাবেই ধীরে ধীরে বিদ‍্যার্থী মনের চেতন ও অবচেতন স্তরগুলোকে অতিক্রম করে বিদ‍্যার যথার্থ রূপ লাভ করতে সক্ষম হয়।

→

বেশিক্ষণ চেপে রাখতে পারি না!

বাংলায় যে শব্দটির বানান নিয়ে সবচেয়ে বেশি পারমুটেশন ও কম্বিনেশন করা হয়েছে, তার নাম প্রস্রাব। তিন অক্ষরের এই শব্দের কত ধরনের বানান আজ অবধি চোখে পড়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। আর ‘এখানে প্রস্রাব করিবেন না’ সাবধানবাণীর শেষ শব্দ ‘না’-টি সম্ভবত কর্পূর দিয়ে তৈরি।

→