দশমীতে বেজে উঠুক হিংসা-বিসর্জনের ঢাক। শত-সহস্র লক্ষ-কোটি। দেশ-দেশান্তর, নদী-পর্বত সাতসমুদ্র, সব মহাদেশ জুড়ে।
বিসর্জন এক অবধারিত মুহূর্ত। প্রতিমা নদীতে নামানো হয়, ভেঙে যায়, জলে মিশে যায়। কিন্তু এই ক্ষয়ের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে নতুন সৃষ্টির ইঙ্গিত। প্রতিমার মাটি নদীর কাদায় মিশে যায়, সেই মাটি দিয়েই গড়া হয় পরের বছরের প্রতিমা। বিকাশ ভট্টাচার্যের ক্যানভাসে এই দ্বৈততা প্রবল।
শ্রীদেবীর দীর্ঘ কাজের পরিধিতে হয়তো একটি ছবিও নেই, যেখানে তিনি শুধুই ‘সুন্দর’টি সেজে, কিছু নাচগান, খানিক কান্নাকাটি, আর ফুলে ফুলে ধাক্কা খাওয়া প্রেম করে অডিয়েন্সকে গুডবাই করে দিয়েছেন। উল্টে শ্রীদেবী এমন সব চরিত্র বেছে নিয়েছেন, যে চরিত্রগুলি এই বলিউডি ভাবমূর্তি নির্ভর বাজারে কোনও হিরোইন নেবেন না।
মৈত্রেয়ী দেবীর বিপদটা হয়ে গেল ওই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই। যেখানে রবীন্দ্রনাথের কোনও যোগাযোগ বা অনুষঙ্গ থাকবে, স্বাভাবিকভাবেই অরণ্যের দীর্ঘতম শালবৃক্ষের মতো তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে উঠবেন।
তিনি কি সুকৌশলে ‘দেবী’ হয়েই প্রদর্শিত হতে চেয়েছিলেন? এই ভাবনা মাথায় এলেই মালা সেনের বইয়ের ধারালো ফুলনের কথা কানে ভাসে, ‘আঠারো বছর বয়সেও আমাকে দেখতে বাচ্চাদের মতোই লাগত। ফলে আমি জানতাম পুলিশ আমার দিকে তাকিয়েও দেখবে না। অবশ্যই এর সুবিধা আমি নিয়েছি।’
তাঁর গ্ল্যামারাস ব্যক্তিত্ব, ভারী গলার স্বর, অত্যাশ্চর্য মেকআপ, বুফোঁ চুল, স্লিভলেস ব্লাউজ ছিল অতুলনীয়। এমনকী, ‘সূচিত্রা’র সঙ্গেও তুলনা চলে না– বলা যায়, সুচিত্রা সেন ছিলেন বাঙালি ভদ্রলোকের ফ্যান্টাসি, আদর্শিক নারী; কিন্তু সুপ্রিয়া দেবী ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, আগুনের শিখার মতো।
ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে টাইগার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী প্রথম ভারতীয় ফিল্মমেকার, সনল কুমার শশীধরন; তাঁর‘সেক্সি দুর্গা’ সিনেমাটির জন্য। রইল তাঁর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার।
নিজেকে জাহির করতে হয়েছে তাঁকে দেশ-বিদেশের প্রদর্শনীতে, প্রমাণ দিতে হয়েছে দ্রুত গণন ক্ষমতার। কিন্তু উচ্চতর গণিতের ওপর ভর করে কোনও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পেয়ে তিনি এগোতে পারেননি। ভারতের তৎকালীন গণিতজ্ঞদের ধারাবাহিক গবেষণার পথের থেকে শকুন্তলার অভিজ্ঞতা অনেকটাই আলাদা।
প্রেসিডেন্সি জেলে সুভাষচন্দ্রই প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন অনেকেই জানেন। কিন্তু তারও ১৫ বছর আগে বার্মার জেলে থাকার সময়ও তিনি যে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, তা নিয়ে খুব বেশি কিছু চর্চা হয়নি।
বাংলার বহু ‘দেবী’-র মতো অরুন্ধতীও তাঁর শিল্প এবং সৃষ্টির মাধ্যমে সংস্কৃতির ইতিহাসে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। ফলে, সেইসব নারীদের গুণ এবং দক্ষতার মাপকাঠি এই ধরাধামেই উপস্থিত; তাঁরা দেবদত্তা নন। বরং, অনেক ক্ষেত্রেই সমাজের নিয়ম ভাঙার মানবিক সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাঁদের মাথা উঁচু করে বাঁচার পথ খুঁজতে হয়। তাই, পদবির ইতিহাসে খানিক আলগা সম্মান প্রদান করে এই দেবী সম্ভাষণ, অর্জিত স্বাতন্ত্র্য থেকে সরিয়ে নারীকে এক আরোপিত সামাজিক লিঙ্গ ভূমিকার দিকেই ঠেলে দেয়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved