তবু বারবার মনে হয় ব্যক্তি ছাপিয়ে দল। একা নয়, সমগ্র। কারণ ওই ৫৫ মিনিটের নির্মাণ ছিল এই সিরিজের আগের ২৪ দিনের খেলায়। আর কে না জানে, থিয়েটারে ভালো ‘শো’-এর থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ‘রিহার্সাল’। প্রতিটা রিহার্সাল আসলে একটা শো।
নিষেধের বেড়াজাল মেনেও কীভাবে একটা সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়– পদার্থবিজ্ঞান, জীববিদ্যা বা অর্থনীতির পাঠ– সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এই ধরনের গাণিতিক সমস্যা। বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো গাণিতিকভাবে আরও জটিল, কন্সট্রেইন্ট বা নিষেধাজ্ঞাও নানাবিধ। কিন্তু তার একটা ছোট মডেল হিসেবে সুদোকুর তুলনা নেই।
বৃষ্টি-বাদলার জল-কাদায় ছপর-ছপর করা এমনিই বিশেষ প্রিয়। তার ওপর পুরাতন শুঁড়িখানা নামক মায়াকুম্ভ তল্লাশির অর্থ, মুকুলের সোনার কেল্লা সন্ধান!
ফুলন দেবীর গল্প আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসি অ্যান্টি-কাস্ট প্রতিবাদের এক রূপ হিসেবে। নারীবাদী মহলেও চম্বলের দস্যুরানি প্রায় এক পৌরাণিক স্থান অর্জন করেছেন। ২০০১ সালে গুপ্তহত্যার পরেও তাঁর প্রভাব কমেনি। কিন্তু এই প্রতিবাদ, হিংস্রতা ও ক্ষমতার উপস্থাপনার পেছনে রয়েছে খুবই জটিল এক সমীকরণ– জমি।
ভাতখণ্ডেজির প্রবর্তিত স্বরলিপিতে উত্তর ভারতীয় স্বর-সপ্তক বাইশ শ্রুতির আধারে সাজিয়ে তোলা, যার মধ্যে বারোটি ‘শ্রুতি স্বর’ রাগ সৃষ্টির সময় ব্যবহৃত হয়। এক স্বরের সঙ্গে পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বরের দূরত্ব প্রায় অর্ধস্বর বা সেমিটোন। রাগের ক্ষেত্রে আবার কানাড়া, মল্লার, সারঙ্গ, বিলাবল, কল্যাণ, শ্রী ইত্যাদি নানা রাগাঙ্গ প্রচলিত। তাঁর ব্যাখ্যায় সংগীতের অন্তর্লীন মাধুর্য এবং নান্দনিকতার সঙ্গে সঙ্গে তার কাঠামোগত বিশেষ বৈশিষ্ট্যও অনুধাবন করা সহজসাধ্য হয়েছিল।
এস এম সুলতান বলতেন, ‘আমার চিত্রকর্মের বিষয়বস্তু শক্তির প্রতীক নিয়ে। পেশি সংগ্রামের জন্য ব্যবহার হচ্ছে, মাটির সাথে সংগ্রামে। সেই বাহুর শক্তি হালকে মাটিতে প্রবাহিত করে এবং ফসল ফলায়। শ্রমই ভিত্তি, এবং আমাদের কৃষকদের সেই শ্রমের কারণে এই ভূমি হাজার হাজার বছর ধরে টিকে আছে।’
জবাকুসুম চুলের তেলের বিজ্ঞাপনে তেলের গুণাগুণ বিষয়ে প্রায় কোনও কথাই খরচ না করে ব্যবহার করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘নিদ্রিতা’ কবিতার সেই অংশটি, যার মধ্যে একটি পঙ্ক্তিতে রয়েছে, ‘মেঘের মতো গুচ্ছ কেশরাশি শিখান ঢাকি পড়েছে ভারে ভারে’। কখনও আবার ব্যবহার করা হয়েছে ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’, ‘বধূ’ ইত্যাদি কবিতার চিরকালীন পঙ্ক্তিগুলি।
উকিল মশাই বলছেন ‘ধর্মাবতার, ফুল যদি তার রঙিন পাপড়ি মেলে ডাকে, বলে আয় আয়– ভ্রমর, প্রজাপতি সে দিকেই যায়। অগ্নি যখন জ্বলে, তার শিখাটি ছড়ায়, বাতাস ধাবিত হয়ে সেদিকেই যায়। সমুদ্র নিচে থাকে স্যর, নদীকে ডাকে আয়, নদী ওদিকেই ধায়। আমার মক্কেল নির্দোষ স্যর।
১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দ ইংরেজ কোম্পানির রাজত্বে ক্ষৌরকারদের উপরে মাথা পিছু ১২ টাকা বাৎসরিক ট্যাক্স ধার্য করা হয়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং চুল-দাড়ি কাটার মজুরি বৃদ্ধির করার দাবিতে ধর্মঘট করেন। এদের ধর্মঘটকে সমর্থন জানালেন শ্রদ্ধেয় কেশব সেনের ‘সুলভ সমাচার’ পত্রিকা।
সালঁ শুধু মহিলাদের নিয়ে নতুন করে ভাবায় না। আরও ভাবায় কী করে কাব্য শোনা ও ছবি দেখার ইন্দ্রিয়বত্তা, গায়কি ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার, কফির স্বাদ, সোফায় বসার ভঙ্গি, পোশাকের ফ্যাব্রিক ও ফ্রিল– সালঁতে উপস্থিত ও অনুষ্ঠিত এই ঘনিষ্ঠ উপাদানগুলি থেকে ইতিহাস লেখা যায়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved