রুটি ক্রমশ চাপাটি হতে চলেছে। ছোলা হয়ে যাচ্ছে চানা। হলুদ হয়ে যাচ্ছে হলদি। এগুলো হিন্দি প্রভাব বটে, কিন্তু এই হীনম্মন্য বাঙালি সমাজে এই পরিবর্তন প্রমোশনের মতোই প্রায়।
হয়তো হরর সেই জঁর, যা আমাদের কিছুক্ষণের জন্য হলেও এই দার্শনিক প্রত্যয়টাকে সামান্য নাড়িয়ে দেয় যে, যে বাস্তবতায় আমরা বাঁচি তাকে আমরা সম্পূর্ণ চিনি, অথবা তা সুস্থিত কিছু। হয়তো আমাদের এটাতেই সবচেয়ে বড় ভয় যে, আমাদের চেনা বাস্তবতা পালটে যেতে পারে।
এই প্রশ্ন করে লাভ নেই যে অ্যানড্রেয়া কি তাহলে সম্পূর্ণ মিডিয়া স্ট্রাটেজি ব্যবহার করেছেন? এছাড়া আর কীভাবেই বা আমেরিকার বাজারে কবি ও আন্দোলনকর্মী টিকে থাকবেন এখন? এটা যদি আমরা আগেভাগে বুঝে নিই, তাহলেই ভালো।
থিয়েটারকে আমরা জেনে এসেছি সর্বশিল্পের সমন্বয় বলে। রতন থিয়াম ছিলেন তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। কী জানতেন না তিনি? আধুনিক কালে বিদেশের যেসব বিদেশি নাট্য প্রযোজকের নাম আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করি, তাঁদের দলে এই মণিপুরী মানুষটিও পড়েন– একথা ভেবে বুক আনন্দে, গর্বে, ভরে ওঠে।
২৫ জুলাই, দুপুরবেলায় রাহুল, রাহুল পুরকায়স্থ কোথায় একটা যেন চলে গেছে। ওর শাসন, তর্জনগর্জন, আক্রমণ ও আদরের মুঠি আলগা করে দিয়ে চলে গেছে।
দ্বিজেন্দ্রলাল বা অতুলপ্রসাদ রজনীকান্তের তুলনায় অনেক বেশি নাগরিক পরিমণ্ডলে থেকেছেন, নব্য আধুনিক সংস্কৃতির সংসর্গ করেছেন, আধুনিক মনস্তাত্ত্বিক জটিলতাও তাঁদের স্পর্শ করেছে বেশি। রজনীকান্তের কাব্যে বা গীতবাণীতে যে পুরাতনের আমেজ, যে সারল্যের আনন্দ, সত্যি কথা বলার যে স্বস্তি, তা তাঁর একান্ত নিজেরই।
রাহুলের মতো প্রেমিক আমি খুব কমই দেখেছি। শব্দে-অক্ষরে-ধ্বনিতে মজে থাকতে দেখতাম সারাক্ষণ। আমাদের সখ্য ছিল প্রশ্নাতীত। বহু কর্মশালায় একসঙ্গে কাটিয়েছি– কবিতা ও ছবি নিয়ে। অনেক নেশাতুর রাত কাটিয়েছি একসময় চৈতালি আমি ও রাহুল। ত্রয়ী ছিলাম। পরে আমি, রাহুল ও অরুণাভ নতুন ‘ত্রয়ী’ হই। পার্বতী মুখুজ্জের সান্ধ্য আড্ডায়, উৎপলকুমার বসুর আড্ডায়, ডা. ভূমেন গুহর আড্ডায়, রণজিৎ দাশের আড্ডায়– আমি ও রাহুল জুড়ে যেতাম। সে বড় মধুর সময় ছিল।
‘বাঘের মতো নিষ্ঠুর’ বা ‘বাঘের মতো রক্তপিপাসু’ এসব কথা কখনও মন থেকে মেনে নিতে পারতেন না জিম করবেট। বারবার বিভিন্ন লেখায় বাঘকে ‘সাহসী প্রাণী’ বলেছেন। আর বলেছেন, ভারতের জীববৈচিত্র রক্ষায় বাঘের মতো প্রাণীর অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার গুরুত্বের কথা।
‘আগলে রাখা’, ‘স্নেহ করা’, ‘ভাই-বোনের মতো’, এই শব্দবন্ধগুলো বারবার উঠে এসেছে সে যুগের চাকুরিরতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায়। সমানে-সমানে নিছক বন্ধুত্ব বোধহয় ভাবতে বা বলতে অস্বস্তি হত অনেক মেয়েরই। পারিবারিক কাঠামোর মধ্যে নারী-পুরুষ সম্পর্ককে ফেলতে পারলে স্বস্তি পেতেন তাঁরা।
‘বসন্ত বাহার’ (১৯৫৬) সিনেমা ভীমসেন যোশির প্রথম (সম্ভবত শেষও) সিনে-প্লেব্যাক হিসেবে বিখ্যাত হয়ে আছে বটে, কিন্তু অনেকেরই অজানা– এই সিনেমার একেকটা গানে যতটুকু বাঁশি শোনা যায়, সেই সবই পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষের পুনরুত্থান কাব্য।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved