Robbar

কলকাতার মূর্তি-আবর্জনা কি বাড়ছে?

রবীন্দ্রনাথ রামকিংকর-কে বলেছিলেন আশ্রমের ভেতরটা তুই এইরকম কাজ দিয়ে ভরে দে। আর কলকাতার পথঘাটের মূর্তি দেখে রামকিংকরের মনে হয়েছিল মেরে-কেটে খান তিনেক। বাকি আবর্জনা।

→

ভাঙবে, তবু মচকাবে না

ভাবছেন, চা খাওয়ার নাম করে জ্ঞান দিচ্ছি। বিস্কুট নিয়ে লেকচার ঝাড়চ্ছি! না, মশাই! আষাঢ়ে গপ্পো ফেঁদে বসিনি। বিস্কুটের দিব্যি!

→

সমরেশ বসুর ‘দ্যাশের বাড়ি’ বেঁচে রয়েছে তাঁর সৃষ্টিতে, তাঁর গল্পে, উপন্যাসে

সমরেশ বসু ’৭২ সালে ঢাকা শহর ঘুরে গিয়ে পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে ‘মোক্তারদাদুর কেতুবধ’ নামে আত্মজীবনীমূলক একটি কিশোর উপন্যাস লেখেন। এই উপন্যাসে সমরেশের ঢাকার শৈশবজীবনের অনেকটাই ছবির মতো পাওয়া যায়।

→

শ্রয়ডিঙ্গারের মার্জার আর জীবনানন্দের লুপ্ত বিড়াল প্রায় একই অর্থ বিচ্ছুরণ করে

আজ বুঝতে পারি, আমৃত্যু, জীবনানন্দের, এক আধুনিক শিল্পীর, তথাকথিত স্ব-বিরোধিতা আসলে যে কোনও আধুনিকের পক্ষেই মৌলিক অধিকার।

→

খেলা শেষ করার জন্য শেষ শব্দ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন জেফ্রি আর্চার

উইলিয়ামের জীবনযুদ্ধ কত বছর ধরে, আটটা উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে।

→

শরীর শরীর, তোমার মন নেই, মণিকর্ণিকা আছে

মণিকর্ণিকা নিয়ে দু’চার কথা। মানুষ পুড়ে যাওয়ার তাপ, হাওয়ার কোপ। একজন-দু’জন নয়। একসঙ্গে অনেকে। এলোমেলো এদিক-সেদিক পড়ে আছে জীবনে ব্যবহার করা ‘জরুরি’, হয়তো বা অতিপ্রিয় বস্তুটি। তাকে এই বেলায়-অবেলা-কালবেলায় ছেড়ে যেতে হল। মন পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার পর, এখন শরীরের পালা।

→

গণমানুষের ইতিহাস জানতে গিয়ে জানলাম গণকবরের কথা

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় হচ্ছিল আমাদের গণমানুষের ইতিহাস আর বর্তমানের সঙ্গে, তাদের গণকবর থেকে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ আমাকে শেখাতে থাকে, দেখাতে থাকে এই দুনিয়ার দোজখ কেমন।

→

উঁচু-নিচু জাতির শ্মশান আলাদা, মরেও শান্তি নেই!

কেউ কেউ বলে শ্মশানের থেকে পবিত্র জায়গা আর হয় না। কিন্তু পোড়া কাঠ, ভাঙা মাটির হাঁড়ি, ছেঁড়া কাপড় মিলিয়ে যে আবহ তৈরি হয় তাকে কখনও আমার ‘পবিত্র’ বলে মনে হয়নি। গা-শিরশির কমেনি।

→

শেষকৃত্য করার জন্য রবীন্দ্রনাথের পুত্র রথীন্দ্রনাথকেও শ্মশানে রাস্তা দেওয়া হয়নি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্মশানযাত্রা যখন শ্মশানে এসে পৌঁছয়, তখন আরও একটি মৃত্যু যন্ত্রণার কথা সেদিনের শ্মশানের বাতাসে মিশে গিয়েছিল।

→

একদিকে কান্না হাহাকার, অন্যদিকে নীরব কর্মপ্রবাহ

প্রতিটি গ্রামে নিজস্ব শ্মশান আছে। সেই শ্মশানের মোটামুটি দু’টি ভাগ; একটি ব্যক্তিগত। অপরটি 'সাজারে' বা সর্বজনীন। ব্যক্তিগত শ্মশানে নির্দিষ্ট বংশ পরম্পরায় দাহ করা নিয়ম। সাজারে শ্মশানে গ্রামের সব শ্রেণির অধিকার।

→