‘আগন্তুক’ ছবিতে সত্যজিৎ রায় মনমোহন মিত্রের জবানিতে যে-কথাটা বলেছেন, তারপর গ্রহণ পয়া-অপয়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে অনেক দূর চলে গিয়েছে। যে রহস্যে চাকতিতে চাকতি মিলে যায় এমন এক ম্যাজিক।
দশভুজার ধারণায় তাক লেগে গেল শিক্ষিত আর হদ্দ বোকা মেয়েদের; ওই যে বিজ্ঞাপনের আলোয় মুখ ঢেকে গেল তাদের; বাণিজ্য পত্রিকায় থরে থরে গ্যাজেট সম্ভার হাতছানি দিল আর ধরে নিল, এক চুটকিতে গৃহকন্না সুচারু ও মনোলোভা হয়ে উঠবে– সেদিন থেকে সর্বনাশের শুরু।
যে যুদ্ধ দেশের নাগরিক, আখলাখ, পেহেলু খান, জুনেইদ-সহ বহু মুসলমান যুবককে পিটিয়ে মেরেছে, সেই যুদ্ধ থামানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আজ অবধি কোনও কথা বলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী? বলেননি বলেই আজ সেই তাঁরাই নিজের দেশের বিদেশ সচিবকেও ছাড়ছেন না।
চোখ বুজে একবার ভেবো, সারা পৃথিবীর সব গাছে ঘাসে গুল্ম লতায় শত সহস্র ফুল ধরে আছে, শুধু আমরা কেউ আর নেই। ভাবতে পারছ কী হবে? কেমন লাগবে সেই পৃথিবী? সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আজ বিশ্ব মৌমাছি দিবসে আমাদের একটা অনুরোধ, একবার তোমরা নিজেদের দিকে তাকাও, তাকাও প্রকৃতির দিকে, একবার অন্তত মনে করো পৃথিবীর সুপ্রাচীন ইতিহাস। ভেবে দেখো কেমন ছিল মৌমাছি ও মানুষের শত-সহস্র বছরের সম্পর্ক!
গোয়েটে লিখেছেন ‘ফাউস্ট’-এর মতো বিপজ্জনক পাপের লেখা, সমাজ-সংসার ভাঙার লেখা, লিখেছেন মারাত্মক সব প্রেমপত্র, নাড়িয়ে দিয়েছেন সংসারের ভিত, সমাজের স্থিতি, প্রশ্ন তুলেছেন ন্যায়-অন্যায়ের পরিচিত অবয়ব নিয়ে।
যখন ‘ট্যুরেট সিন্ড্রোম’ থাকা এক ছাত্র বলছে, সে পড়াশোনার সঙ্গে মোটিভেশনাল স্পিকার হতে চায়; যখন তার ভীষণ কষ্ট করে বলা একেকটা বাক্য আশার ফুলকি হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে এদিক-ওদিক; যখন আর্ট ক্লাস নেওয়া আরেকজন ছাত্র বলছে, ‘ডাউন সিনড্রোম’ তার পরিচয় নয়– তার জীবনের লক্ষ্য, সে শুধু মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে চায়। যতদিন মানুষ আছে, কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের, কোনও সরকারের ক্ষমতা নেই এই আলো নিভিয়ে দেওয়ার।
জীবনের ১০টা বছর কারাগারে থাকার পর কেউ যখন বাইরে আসে তখন এই ১০ বছরে পালটে যাওয়া পৃথিবীর সঙ্গে সমঝোতা কীভাবে করে? এর দায় রাষ্ট্র নেয় না। যেমন কোনও দায় নেয় না জেলে থাকা রাজবন্দিদের জীবন-জীবিকার। চলতে থাকে ফেলে আসা সময়, হারিয়ে যাওয়া সময় ও বর্তমান সময়ের সঙ্গে জোর লড়াই।
তিনি বিশ্বাস করেন, স্বাস্থ্যসেবা কোনও বিলাসিতা নয়– এটা মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই তিনি এমন বহু ক্লিনিক চালু রেখেছেন, যেখানে অসহায় মানুষ চিকিৎসা পান বিনামূল্যে।
তরুণ লেখকমাত্রেই, যে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার কথা মানিক বলেছিলেন, তাকে অনেক বাঙালি লেখক কবি আজও কেবল দারিদ্র-মোচনের বিকল্প হিসেবেই দেখলেন। প্রতিরোধের বিকল্প হিসেবে দেখলেন না। অর্থাৎ লেখক বাঁচবেন নিজের শর্তে। প্রতিষ্ঠানের শর্তে নয়।
কার্ত্তিক মোদকের কাঁধে ভর করে তখন সুভাষদা আসছেন। ট্রেনের গার্ড ওই লম্বা, সরু পাজামা এবং খদ্দরের পাঞ্জাবি পরা একমাথা উসকো চুলের মানুষটিকে দেখতে পেয়ে ভাবলেন, এই চেহারার লোক যে-সে এম.পি. নন, জর্জ ফার্নান্ডেজ টাইপের এম.পি।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved