Robbar

ডালহৌসি পাহাড়ের বাড়িতেই দেবেন্দ্রনাথের কাছে রবীন্দ্রনাথের মহাকাশ পাঠের দীক্ষা

যে জোড়াসাঁকোয় তাঁর জীবনের এতখানি কাটল সেখানেও আর প্রৌঢ় অবস্থায় থাকতে ভালোবাসতেন না তিনি। সারা জীবন বহু ঘুরেছেন রবীন্দ্রনাথ। থেকেছেন বহু বাড়িতে। দুই বাংলায়, তার বাইরে এবং বিদেশে। কিন্তু কোনটি ঠিক তাঁর বাড়ি?

→

দেবেশ রায়ের যেমন ‘বৃত্তান্ত’, আফসার আমেদের তেমন ‘কিস্‌সা’

বাংলা উপন্যাসে দেবেশদার ‘বৃত্তান্ত’র মতোই আমার মনে হয় আফসারদার ‘কিস্‌সা’ একটি অভিনব সংযোজন। আরবিতে ‘কিস্বহ’ মানে গল্প-কাহিনি। উর্দু উচ্চারণে সেটি হয়েছে ‘কিস্‌সা’। বাংলা প্রয়োগে সেটাই দাঁড়িয়েছে ‘কেচ্ছা’য়। আফসারদা মূল অর্থেই শব্দটা প্রয়োগ করেছিলেন।

→

পোকামাকড়ের থেকে আমরা কী কী শিখি?

‘জীবন’, ‘আয়ু’র চেয়ে অনেক বড়। জীবন আসলে কালেকটিভ, যৌথ। কোটি কোটি বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে চলা সপ্রাণ পৃথিবীর আণবিক চোরাকুঠুরিতে সঞ্চিত জেনেটিক স্মৃতি ও শিক্ষার ভিক্ষালব্ধ ধান্য। জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী আপাত সরলরেখায় তাকে মাপা যায় না। এ শিক্ষা পোকামাকড়ের দুনিয়ায় প্রবেশ না করলে জানা যায় না।

→

স্বামীর গঞ্জনা, প্রেমিক ডিচ করেছে, এসব নালিশও জানানো যায় টুসুর কাছে

বিসর্জনের সময় একটা গান শুনে চমকে উঠেছিলাম। গানটা হল– ‘জল জল যে করহ টুসু–/ জলে তুমার কে আছে!’ এই গানটি যেন শঙ্খ ঘোষের এই বিখ্যাত কবিতাটির লৌকিক রূপ। ‘জল কি তোমার কোনো ব্যথা বোঝে?/ তবে কেন, তবে কেন জলে কেন যাবে তুমি!’

→

রাষ্ট্র শকুনের মতো, শিকার করে না, মৃত্যুর অপেক্ষা করে

শকুন ভাগাড় থেকে খাবার খুঁজে নেয়। লাশকে নিজের খাদ্যে পরিণত করে সে পরিবেশে ভারসাম্য আনে। আমাদের রাষ্ট্রীয় এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও অনেকটা সেইরকমভাবেই কাজ করে। তারা যাদের মনে করে সমাজের জীবাণু, প্রাথমিক ভাবে নিম্নশ্রেণির এবং প্রান্তিক মানুষদের, তাঁদের ঠেলে দেয় মৃত্যুর দোরগোড়ায়।

→

দেশভাগের পরও কলকাতা থেকে পুজোর ছুটিতে বানারীপাড়া এসেছিলেন শঙ্খ ঘোষ

শঙ্খ ঘোষ ও তাঁদের বিশাল পরিবার– প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যেতেন মামাবাড়ি চাঁদপুর। শঙ্খ ঘোষের বড় মামা পেশায় ছিলেন ডাক্তার। শরৎকালীন ছুটিতে যেতেন দেশের বাড়ি। দেশভাগের পর কলকাতা থেকেও পুজোর ছুটিতে এসেছিলেন দেশের বাড়ি বানারীপাড়ায়।

→

‘বনলতা সেন’ কবিতার দিকে তাকালে মনে হল এই সৌন্দর্য চর্চা আমাদের আয়ত্তের বাইরে ছিল প্রথম থেকেই

একজনের রক্তের গহন থেকে আকুলতা: ‘হে বন্ধু,আছো তো ভালো?’ অন্যজনের পথচলতি কথকতা: ‘'এতদিন কোথায় ছিলেন?’

→

আধুনিক অ্যাকশনের দৃষ্টান্ত এবং ব্যতিক্রম– ‘কিল বিল’ ও ‘জন উইক’

‘কিল বিল’ আর ‘জন উইক’-এর মধ্যে আত্মাগত মিল একাধিক, আবার বেমিলও আছে। ছবি দু’টি সমকালীন ক্লাসিক হিসেবে একরকম স্বীকৃতই বলা চলে। দু’টি ছবি খুবই ইনফ্লুয়েনশিয়াল, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে স্বধর্মে এই দু’টি ফ্র্যাঞ্চাইজি সমকালীন অ্যাকশন ছবির থেকে একেবারেই আলাদা।

→

ছাত্র রেবতীভূষণকে ‘কুইক আর্টিস্ট’ তকমা দিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

খাটের পাশে, টেবিলের ওপর রাখা একটা পোস্টকার্ড– সেখানে কিছুই লেখা নেই। আর একটাতে বড় একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন। সেটা দেখাতে হো হো করে হেসে বললেন– ‘শিব্রাম বাবুর চিঠি, বহুদিন খোঁজ না পেলে এইরকম চিঠি দিতেন।’

→

পেঁচা মনে করিয়ে দেয় প্রকৃতি আর অলৌকিকের মাঝের সীমানা খুব সূক্ষ্ম

পেঁচা একদিকে জ্ঞানের প্রতীক, অন্যদিকে মৃত্যুর দূত। তার ডানা হয়তো নিঃশব্দ কিন্তু তার কিংবদন্তি গর্জন করছে আজও।

→