সমাজ, সম্পর্ক কোনও কিছুই একরৈখিক নয়। আশাপূর্ণা সেই জটিলতার বিষকে সানন্দে ধারণ করেছেন স্বকণ্ঠে, স্ব-কলমে। তাঁর হাতে গড়া প্রতিমারাও তেমনই, দোষে-গুণে, ক্রোধে-প্রেমে সার্থক রক্তমাংসের মূর্তি। যে দেবীদের আবাহন কিংবা বিসর্জন নেই, তাঁরা চিরায়ত।
এখন যা পড়ে রইল তা অজস্র বইয়ের কঙ্কাল। তার হোমও নেই, যজ্ঞও নেই। এমনকী, কেজি দরে বিক্রির ভবিষ্যৎ নেই। সুরাহার পথ আপাতত কী? কে দাঁড়াবেন এই দুঃসময়ে? সরকার? গিল্ড? স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন? হঠাৎ তৈরি করা কোনও ক্রাউড ফান্ড?
পৃথিবীর তাবড় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিশ্বকর্মার ধার ধারে না। শুধু আমাদের দেশ ধারে অস্ত্র আর বিমান কেনে।
উডি অ্যালেন ভাবতে চেষ্টা করেন, তিনি তাঁর রসবোধ, সেন্স অফ হিউমার, উইট, শব্দের তৎপরতা, ভাষার দ্যুতি, বুদ্ধির ঝলক, এই সব ঠিক ঠিক নেভিগেট করতে পেরেছেন তো?
ঢেলাই চণ্ডী, শাকম্ভরী, শতাক্ষী, সুবীক্ষা, অন্নপূর্ণা– সব মিলিয়েই ‘শস্যদুর্গা’। ভূমি-বৃষ্টি-শস্য– ত্রিমাত্রিক সত্তার অবয়বে গঠিত শস্যদুর্গার স্বরূপ। বঙ্গের দুর্গোৎসবে শস্যদুর্গা বা শাকম্ভরীর পুজো আজও টিকে আছে ‘শস্যবধূ’ বা ‘কলাবউ’ রূপে। এই দেবী চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন নির্বাচিত গাছপালা-ফলমূল-শাকপাতা তথা পত্রিকা আরাধনায়।
অনেকে অনেক দাম দিয়ে আমার থেকে কিনতে চেয়েছেন অনেকবার, আমিই রাজি হইনি। এখন ভাবছি, কেন হইনি– রাজি হলে কারও কাছে অন্তত তা অক্ষত থাকত! বিধবা বিবাহ চালু হওয়ার সময়কার লিফলেট। তা বিলি করেই প্রচার করা হত সমাজে। কে, কত অনুদান দিচ্ছেন– লেখা ছিল সেসব তথ্যও।
সেদিন শুধু একটি গানে রেকর্ডিং ছিল না। সেটা হয়ে উঠেছিল সময়ের ভেতর দিয়ে জন্ম নেওয়া এক অমর সুর। সেদিন আসলে রেকর্ড হয়েছিল ইতিহাস।
দেবীর ইমেজ আসলে দুর্গাবতীর রাজনৈতিক জীবনকে শুধুমাত্র একটি ঘটনায় সীমাবদ্ধ করতে চায়নি, সেই ঘটনাকে শুধু একটি মুহূর্তের আবেগ, সেই একটি মুহূর্তের রোমাঞ্চে আবদ্ধ করে খুব সচেতনভাবেই তাকে দুর্গাবতীর রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে। ভুলিয়ে দিতে চেয়েছে দুর্গাবতীর রাজনৈতিক জীবন ওই ঘটনা দিয়ে শুরু হয়নি, ওই ঘটনায় শেষও হয়নি।
শান্তিনিকেতন, যেখানে কবির ইচ্ছেমতো সত্যিই গোটা বিশ্বের এবং দেশের অনেকে মিলে এক অপূর্ব নীড় রচনা করেছিলেন, তার সূত্রপাত হয়েছিল একটি বাড়িকে ঘিরে। শান্তিনিকেতন আসলে একটি বাড়ির নাম, যেটি কালক্রমে একটি স্থাননাম হয়ে দাঁড়ায়। আরও পরে ‘শান্তিনিকেতন’ শব্দটি হয়ে দাঁড়ায় একটি বিশেষ সংস্কৃতি বা রুচির প্রতিশব্দ।
যে-সমাজে মেয়েদের নাচ গর্হিত অপরাধ, সেখানে প্রতিমা তার হাল ধরেছেন। যেখানে 'বাল্মিকী প্রতিভা' প্রভৃতি গীতিনাট্যে শুধুই অল্প হাত নাড়ানো হত, সেখানে প্রতিমা সাহসিনী হয়ে নৃত্য যুক্ত করলেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved