Robbar

আলো ক্রমে আসিতেছে

পহেলগাঁও গণহত্যা সম্বন্ধে গুগল বলছে– ‘উগ্রপন্থীদের হাতে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা। মৃতের সংখ্যা ছাব্বিশ।’ কিন্তু রক্তপাত, যা দৃশ্যমান বা দেখা যায় না– তার স্রোত কাশ্মীরের পাহাড়-উপত্যকা ছাপিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছে গোটা দেশ। সীমান্তে চমকে উঠেছে কাঁটাতার। চিনারের হিমস্নাত পাতাগুলি রাতের আঁধারে এক আতঙ্ক-ঘেরা স্তব্ধতায় অপেক্ষা করছে ভোরের, অথচ ভোর হচ্ছে না।

→

মৃত্যু চাই? সহায় পেশাদারি সংস্থা, মৃত্যুবিলাস কি তবে অবলুপ্তির পথে?

জীবন তো যাপনের জন্যে। তার থেকে পালিয়ে যাওয়া, সে তো হেরে যাওয়া। মৃত্যু নিয়ে রোম্যান্টিসিজম চলতেই থাকবে; সাহিত্যে, বাস্তবে। তবু এমন সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে যেতে কি মন চায়! যা অনিশ্চিত তাকে নিশ্চিত করার দায় না-ই বা নিলাম কাঁধে!

→

স্বাধীনতার পর মহিলা পুলিশকে কেরানি হিসাবেই দেখা হত, সেই পরিস্থিতি কি আজ বদলেছে?

ভাবতে অবাক লাগে, ২০২৩ সালেও দেশের পুলিশের মাত্র ১১.৭৫% মহিলা; আর তাঁদের সিংহভাগই কনস্টেবল পদে রয়েছেন। আর আজও অধিকাংশ সময় তাঁদের ঘাড়ে পড়ে থানার ভিতরের নানা ফাইফরমাশ খাটা, কাগজপত্র সামলানোর কাজ। অন্যদিকে, পুরুষ পুলিশ কাজে ব্যর্থ হলে অবলীলায় মানুষ বলে তাঁদের চুড়ি পরা উচিত।

→

ডানা ভাঙা একটি শালিখ হৃদয়ের দাবি রাখো

এক শালিখ। দেখলেই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া। দেখলেই ‘গেল গেল’ রব। দিন খারাপ যাবে! একরত্তি পাখি, তার নাকি ব্যাপক দুর্ভাগ্যবল। আসলে এসবই তো প্রবাদের ফিকির, সংস্কারের শঙ্কা ও দুলুনি!

→

যুদ্ধ-পরিস্থিতির মনস্তাত্ত্বিক বিপন্নতা মোকাবিলা করার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে?

মধ্যরাতে পাশের দেশ আক্রমণের পর যুদ্ধ-পরিস্থিতি তুঙ্গে। আজ যারা তিরিশ-বত্রিশের যুবা, শেষ কার্গিল যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে তারা বঞ্চিত। তাই যুদ্ধ ছাড়া গতি নেই এমন এক রব উঠেছে চারদিকে। ঠিক যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে বলা হয়েছিল ‘A war to end all wars’, কুড়ি বছরেই তার পরিণাম কী হয়েছিল আমরা জানি।

→

যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রোজ সাইরেন বাজে না

জিডিপিতে শক্তিশালী দেশ, তবু ধাক্কা কি জীবনে এসে লাগবে না! বেতন বাড়ুক না-বাড়ুক, আধিপত্য নিপাত যাক না-যাক, উদারনীতিবাদের সংকট মোচনে কেউ সত্যনারায়ণ দিক না-দিক, বাঁচার যুদ্ধে তো নামতেই হবে। একদিন, প্রতিদিন।

→

‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’ আর ভারতীয় রাগ সংগীতের ফিউশন সুখশ্রাব্য হলেও ইতিহাস-বিচ্যুত

আজকের সংগীতচর্চার ভেতরেও একপ্রকার সাংস্কৃতিক পণ্যায়ন চলছে, যা আরেক ধরনের ঔপনিবেশিকতা– নব্য উপনিবেশ বা কসমোপলিটানাইজড ঔপনিবেশিকতা। এখানেও গুরু-শিষ্য পরম্পরার গাম্ভীর্য, সুর ও রসের অনুশীলন এবং সাংগীতিক আত্মানুসন্ধানকে পেছনে ফেলে ‘পারফর্মেন্স’ ও ‘কমোডিফিকেশন’ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

→

শান্তিনিকেতন নয়, বিশ্বভারতীর প্রথম ঠিকানা হিসেবে আউশগ্রামই পছন্দ ছিল দেবেন্দ্রনাথের

আউশগ্রামের এই লাল মাটির টানে, এখানকার গভীর জঙ্গলভূমির প্রান্তরকে নতুন করে জীবন দিতে এসে ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

→

প্রকাশের স্বাধীনতার আমলে সোভিয়েত থেকে হারিয়ে গেল চুটকি বা হাস্যরস

য়তো এখন আর সেসময় বা অবকাশ মানুষের নেই। গর্বাচ্যোভ্‌কে নিয়ে যাও বা দু’-একটি চুটকি এককালে শোনা গেছে, ইয়েল্‌ৎসিনকে নিয়ে একেবারেই শোনা যায়নি।

→

বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?

কোথায় আমাদের সমাজে ‘সেকেন্ড সেক্স’ বইয়ের সেই পরমা, যার ভাবনার বিচ্ছুরণ তার একমাত্র সজ্জা, তার একমাত্র অলংকার, তার একমাত্র আলো, তার একমাত্র পরিচয় ও অভিজ্ঞান?

→