আমাদের দেশে পরিবারের ভিতর বাবা-মায়ের হাতে সন্তানের নিগ্রহ খুব বিরল ঘটনা নয়। পরিবার যখন আশ্রয়ের আড়ালে অত্যাচারের কারাগার হয়ে ওঠে, পালানো ছাড়া সন্তানের উপায় থাকে না, কিন্তু সহায় সম্বল অর্থ ছাড়া ক’জন সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে? একটি সাক্ষাৎকারে অরুন্ধতী বলেছেন, আমি কেবল মাকে ‘আনমাদার’ বা ‘অমাতৃয়িত’ করিনি, নিজেকেও ‘আনডটার’ বা ‘অকন্যায়িত’ করেছি।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় চেয়েছিলেন কথাগুলো নিজের পায়ে দাঁড়াক, মানে হাঁটতে শিখুক। আর এ-তো সবারই জানা, সারা দিন সারা দুনিয়া জুড়ে প্রতি মুহূর্তে যা জন্মাচ্ছে তার নাম ‘কথা’। এমনকী নৈঃশব্দ্যও একরকম কথা। ‘সেইরকম ভাবেও কি আমরা কথা বলতে পারি না, সুমন্ত?’ পারি না-পারি শিখতে দোষটা কোথায়!
ঈশপের গ্রিক সরল উপকথা হোক বা ভারতের জটিল কাহিনির পঞ্চতন্ত্র– শিয়াল বারবার ফিরে আসে। কখনও চাতুর্যের মুখোশ পরে, কখনও রাজনীতির মঞ্চে উপদেষ্টার আসনে বসে। দুটোতেই শিয়াল আমাদের শেখায় এক চিরন্তন সত্য: শক্তি সবসময় জিততে পারে না, বুদ্ধিই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে।
আরবি ভাষায় ‘সুমুদ’ কথাটার অর্থ প্রতিরোধ। সেই সুমুদের ঢেউয়ে আছড়ে পড়ছে সুদান, কঙ্গো, কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন মুক্তি সংগ্রামের প্রতিরোধের স্রোত। সেই দিনবদলের জোয়ারেই জর্ডান নদী থেকে ভুমধ্যসাগর যেন গেয়ে উঠছে– ‘ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে, আলো ফুটছে প্রাণ জাগছে’।
হেলিকপ্টার এবার উপরে উঠল। এবং পাহাড়ের চারপাশে ঘুরতে লাগল। এটা এমনি পাক খাওয়া নয়, প্রদক্ষিণ। সাতবার হেলিকপ্টারটা তুমুল শব্দে জঙ্গলেশ্বরীর থান প্রদক্ষিণ করল। মন্ত্রীর পুজো দেওয়া শেষ।
‘পথের পাঁচালী’-রও আগে ১৯৪৯ সালের সেই প্রদর্শনী। পরে ‘গ্রাফিস’ পত্রিকায় ছাপা হয় সেই প্রদর্শনীতে জায়গা পাওয়া সত্যজিৎ রায়ের প্রচ্ছদগুলি। সত্যজিৎ তাঁর মাকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘গ্রাফিসে বেরোনোর চেয়ে আর বড় সম্মান commercial artist এর কিছু থাকতে পারেনা।’ এ লেখায় রইল সেই চিঠিও!
সিকিমের পথের ধারে পাথরের ওপর খোদাই করা একটা বুদ্ধমূর্তি দেখেছিলাম একবার। শ্যাওলায় জীর্ণ, ফাটল ধরেছে গায়ে, কিন্তু সেই একরত্তি ফাটলের মধ্যে থেকেও মাথা তুলে ফুটে রয়েছে লাল টুকটুকে উদ্ধত একটি গোলাপ। ভাঙা বিগ্রহের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ওই ছিল প্রকৃতির জীবন্ত প্রতিবাদ।
সময় জীবনানন্দের বাহুবন্ধনে অন্যরকম ভাবে ধরা দিল। এ রতিশয্যা বক্র-বাস্তবতার। কী আশ্চর্য প্রতিভায় যে জীবনানন্দ বুঝতে পারলেন, প্রচলিত সাহিত্যের ছাত্র হয়েও, গত শতাব্দীর ঠিক প্রথম দশকটিতেই গ্যালিলিও, নিউটন, যেমন কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস বা হোমার– পরিত্যক্ত হয়েছেন মহাকাব্যের সম্মানে।
প্রজাপতির ডানা থেকে শিখে নাও সোলার প্যানেলের নকশা; ব্যবহার করো বারুদগর্ভ ট্যাঙ্কারের ছাদে। পাহাড়ি বিটলের থেকে শিখে নাও কীভাবে সাজাতে হবে করাতের শ্বদন্ত; যাতে আরও সুনিপুণ দক্ষতায় কাটা যায় গাছ। টাইগার মথের থেকে শিখে নাও কীভাবে এড়ানো যাবে সাউন্ড নেভিগেশন; গোপনে চালনা করো যুদ্ধবিমান। এ শিক্ষার পাপ বয়ে চলে যেতে হবে।
উৎপল দত্তকে নিয়ে তথ্যচিত্র, কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার অর্থসাহায্য করল না! বিস্মিত হয়েছিলাম। কিন্তু বিস্মিত হননি উৎপল দত্ত। উৎপলদা বললেন, ‘ওরা করবে না। ট্রটস্কি আর চারু মজুমদারকে এখনও ভুলতে পারেনি।’ তখন বুঝিনি। ছবিটা করতে গিয়ে পরিষ্কার হল।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved