বন্ধু, অর্থাৎ, ফেরেঙ্ক পুসকাস চলে গিয়েছিলেন বছর ৭৯-এ। সাতের ঘরের ন্যুব্জ বৃদ্ধ ডি’স্টেফানো আর কি মনে করতে পারতেন সোনালি রিয়াল, ’৫৮ থেকে ’৬৪-র রিয়াল মাদ্রিদকে? সেই সব ফাইনাল? আলফ্রেডোর সঙ্গে জুটি, ডুয়ো, কোচ মিগুয়েল মুনোজের টিমের ভয়ংকর সাদা জার্সি, গোল, দর্শক, চিৎকার– চলে যায়, একসময় সব চলে যায়।
ঢাকার বিপ্লবী মদনমোহন ভৌমিক জ্যোতি বসুদের বারদীর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। ডাক্তার বাড়ি বলে তেমন কেউ সন্দেহ করত না। তাই বিপ্লবীদের ভরসার আশ্রয়স্থল ছিল বসুদের বারদীর বাড়ি।
১৯৫২ সালে প্রথম প্রকাশিত হল সিমোনের জার্নাল, ইংরেজি ভাষায়: ‘আমেরিকা ডে বাই ডে’। তখনও এই বই তেমন কদর পেল না। ‘But with the passage of time, America Day by Day emerges as a supremely erudite American road book’, জানাচ্ছেন ডগলাস ব্রিংকলে। আগেই বলেছি এই বইটার মজা হল, যেখান থেকে খুশি পড়া যায়। সময় কাটানোর জন্যে একেবারে পারফেক্ট বন্ধু বই।
আধুনিক শিল্প আলোচকদের ভাষায়, হাইব্রিড আর্ট আমাদের শেখায়, শিল্প থামতে জানে না। এটা একটা অবিরাম বিবর্তনের ধারা। প্রযুক্তিকে মানবিক আবেগের সঙ্গে যুক্ত করে এমন এক ভাষা সৃষ্টি করছে এখন, যা একাধারে বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক এবং নান্দনিক।
প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়েছে শ্যামলীর গৃহস্থাপত্য। এই গোটা প্রকল্পের মতো প্রকৃতিবান্ধব নির্মাণের কথা তখন কে আর ভেবেছিলেন? সামনে কাঠগোলাপের আঁকাবাঁকা গাছটি, শ্যামলী বাড়ি আর রবীন্দ্রনাথ বসে লিখছেন– এই বিবরণ অনেকের স্মৃতিকথাতেই পাওয়া যায়।
‘অলীক মানুষ’কে অনেকেই সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে মনে করেন। বাংলা ভাষায় ‘অলীক মানুষ’ ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে। কোনও একটি উপন্যাসকে আমি এতগুলো পুরস্কার পেতেও দেখিনি। এই উপন্যাস যখন তিনি লিখছেন তখনই আমার সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছিল– লেখা শেষ হলে দে’জ পাবলিশিং থেকেই বইটি প্রকাশিত হবে।
ক্ষমতাকেন্দ্র না হয়ে ওঠার আদর্শকে মানবতার সঠিক চেহারা বলে নন্দিতা আজও বিশ্বাস করে। এইজন্য নিজের মতবাদ নিয়ে কোনও গোঁড়ামি নেই নন্দিতার মধ্যে, চারিপাশকে দেখতে দেখতে এক বিশ্বাসে স্থির থাকার জন্য বারে বারে নিজের বোঝাকে সে নমনীয় রেখেছে আজীবন। সত্যের চেয়ে নিজের ইমেজকে প্রধান করে তোলার পথ কখনও তার ছিল না।
শান্তিনেকেতনে দেহলি ও উদয়ন ছাড়া রবীন্দ্রনাথ সম্ভবত সবচেয়ে বেশিদিন থেকেছেন কোণার্ক বাড়িতে। তাঁর সৃজনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে এই বাড়ি। বহু স্মৃতিকথায় তার প্রকাশ।
রবীন্দ্রনাথ রামকিংকর-কে বলেছিলেন আশ্রমের ভেতরটা তুই এইরকম কাজ দিয়ে ভরে দে। আর কলকাতার পথঘাটের মূর্তি দেখে রামকিংকরের মনে হয়েছিল মেরে-কেটে খান তিনেক। বাকি আবর্জনা।
সমরেশ বসু ’৭২ সালে ঢাকা শহর ঘুরে গিয়ে পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে ‘মোক্তারদাদুর কেতুবধ’ নামে আত্মজীবনীমূলক একটি কিশোর উপন্যাস লেখেন। এই উপন্যাসে সমরেশের ঢাকার শৈশবজীবনের অনেকটাই ছবির মতো পাওয়া যায়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved