Robbar

কলাম

চাকরিরতা মায়েদের সুবিধার্থে তৈরি সন্তান পরিচর্যার ক্রেশ কলকাতায় বন্ধ হয়েছে বারবারই

দোলনা শুরু হওয়ার প্রায় বছর ১৫ আগে লীলা মজুমদার আশা করেছিলেন সমাজে এরকম ব্যবস্থা হবে যেখানে মায়েরা বাচ্চাদের রেখে চাকরি করতে যেতে পারবেন নিশ্চিন্তে। দোলনার ক্রেশের ৫০-এর বেশি বছর কেটে গিয়েছে। তবে কলকাতা শহরে এরকম ব্যবস্থা এখনও বিশেষ নেই।

→

ভারতীয় অধ‍্যয়নের মূল উদ্দেশ্য পূর্ণতাকে উপলব্ধি করা

ভারতীয় বিদ্যাচর্চা পুরোপুরি গুরু-শিষ্য কেন্দ্রিক। যার নিয়ম হল গুরুকে একাগ্রতার সঙ্গে শোনা, পূর্ণভাবে সমর্পণ, গুরু উপদেশে পূর্ণ বিশ্বাস, আর গুরুদত্ত নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করা। এই ভাবেই ধীরে ধীরে বিদ‍্যার্থী মনের চেতন ও অবচেতন স্তরগুলোকে অতিক্রম করে বিদ‍্যার যথার্থ রূপ লাভ করতে সক্ষম হয়।

→

পুকুরের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে লোককথা আর লোকবিশ্বাস

নানা নামের পুকুর নানা যুগের স্মৃতি বহন করে চলেছে। এমন অনেক জনজাতি ছিল, যারা গ্রাম থেকে লুপ্ত, যেমন– তুরুক পুকুর। মধ্যযুগের তুর্কিদের স্মৃতি উথলে ওঠে। কিংবা গর্দানমারীর পুকুর। গর্দানমারী নামক ঠগী বা ঠ্যাঙ্গারে দস্যুরা অতীতে এই পুকুরের পাড়ে তাদের আড্ডা গড়ে তুলেছিল।

→

চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি

স্ত্রী অ্যালেজান্দ্রা বিকেলের আলোয় তার ছায়ার টেবিলের কাছে চাইল ভাষা ও ভাব– একটি ভালবাসার চিঠির জন্যে। তার স্বামীর ৭৬তম জন্মদিনে এই চিঠিই হল তার একমাত্র উপহার, তার পাহাড়ের মতো স্থির, রক-সলিড স্বামীর জন্য!

→

দেখা হলে বলে দিও, আজও বেঁচে আছি

আমাদের কবি, আমাদের নাট্যকর্মী, আমাদের লেখক, আমাদের অভিনেতা– সবাই যে যেখানে আছে, রাস্তায় যার সঙ্গেই দেখা হবে, বলে দেবে, আজও বেঁচে আছে।

→

অন্ধকারে অল্প আলোর মায়া, ফুরয় না কোনওদিন!

ঘুটঘুট্টি অন্ধকারে নিজের হাতে ধরা টর্চের মতো আলো যখন মঞ্চে কুশীলবরা নিজেরই মুখে ফেলে নাটক করে, তখন তাদের আমি আলেয়ার দল ভাবি। রাতের মাঠে হঠাৎ দেখা দেওয়া নীলচে আলো মানুষকে এখনও থমকে দেয়, শিহরিত করে।

→

ডালহৌসি পাহাড়ের বাড়িতেই দেবেন্দ্রনাথের কাছে রবীন্দ্রনাথের মহাকাশ পাঠের দীক্ষা

যে জোড়াসাঁকোয় তাঁর জীবনের এতখানি কাটল সেখানেও আর প্রৌঢ় অবস্থায় থাকতে ভালোবাসতেন না তিনি। সারা জীবন বহু ঘুরেছেন রবীন্দ্রনাথ। থেকেছেন বহু বাড়িতে। দুই বাংলায়, তার বাইরে এবং বিদেশে। কিন্তু কোনটি ঠিক তাঁর বাড়ি?

→

দেবেশ রায়ের যেমন ‘বৃত্তান্ত’, আফসার আমেদের তেমন ‘কিস্‌সা’

বাংলা উপন্যাসে দেবেশদার ‘বৃত্তান্ত’র মতোই আমার মনে হয় আফসারদার ‘কিস্‌সা’ একটি অভিনব সংযোজন। আরবিতে ‘কিস্বহ’ মানে গল্প-কাহিনি। উর্দু উচ্চারণে সেটি হয়েছে ‘কিস্‌সা’। বাংলা প্রয়োগে সেটাই দাঁড়িয়েছে ‘কেচ্ছা’য়। আফসারদা মূল অর্থেই শব্দটা প্রয়োগ করেছিলেন।

→

স্বামীর গঞ্জনা, প্রেমিক ডিচ করেছে, এসব নালিশও জানানো যায় টুসুর কাছে

বিসর্জনের সময় একটা গান শুনে চমকে উঠেছিলাম। গানটা হল– ‘জল জল যে করহ টুসু–/ জলে তুমার কে আছে!’ এই গানটি যেন শঙ্খ ঘোষের এই বিখ্যাত কবিতাটির লৌকিক রূপ। ‘জল কি তোমার কোনো ব্যথা বোঝে?/ তবে কেন, তবে কেন জলে কেন যাবে তুমি!’

→

দেশভাগের পরও কলকাতা থেকে পুজোর ছুটিতে বানারীপাড়া এসেছিলেন শঙ্খ ঘোষ

শঙ্খ ঘোষ ও তাঁদের বিশাল পরিবার– প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যেতেন মামাবাড়ি চাঁদপুর। শঙ্খ ঘোষের বড় মামা পেশায় ছিলেন ডাক্তার। শরৎকালীন ছুটিতে যেতেন দেশের বাড়ি। দেশভাগের পর কলকাতা থেকেও পুজোর ছুটিতে এসেছিলেন দেশের বাড়ি বানারীপাড়ায়।

→