Robbar

দ্যাশের বাড়ি

বাঙাল ভাষা রপ্ত না হলেও ‘দ্যাশের বাড়ি’র প্রতি জ্যোতি বসুর টান ছিল অতুলনীয়

ঢাকার বিপ্লবী মদনমোহন ভৌমিক জ্যোতি বসুদের বারদীর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। ডাক্তার বাড়ি বলে তেমন কেউ সন্দেহ করত না। তাই বিপ্লবীদের ভরসার আশ্রয়স্থল ছিল বসুদের বারদীর বাড়ি।

→

সমরেশ বসুর ‘দ্যাশের বাড়ি’ বেঁচে রয়েছে তাঁর সৃষ্টিতে, তাঁর গল্পে, উপন্যাসে

সমরেশ বসু ’৭২ সালে ঢাকা শহর ঘুরে গিয়ে পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে ‘মোক্তারদাদুর কেতুবধ’ নামে আত্মজীবনীমূলক একটি কিশোর উপন্যাস লেখেন। এই উপন্যাসে সমরেশের ঢাকার শৈশবজীবনের অনেকটাই ছবির মতো পাওয়া যায়।

→

পাসপোর্ট-ভিসা করে জন্মভূমিতে ফিরতে হবে, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা ছিল অপমানের

১০০ বছর পর ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের দিকে তাকালে দেখতে পাই তাঁর জীবনে বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত ও বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর ছায়া ছিল কায়ার মতো। কৈশোরে ভানুর উপাস্য– দীনেশদা (দীনেশ গুপ্ত), যাঁর সাইকেলে চড়ে ঢাকা শহর ঘুরে বেড়াতেন।

→

ফরিদপুর শহরে জগদীশের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন এক জেলখাটা দুর্ধর্ষ ডাকাত

যার কাঁধে চেপে স্কুলে যেতেন জগদীশচন্দ্র বসু। পাঁচ বছর বয়সে জগদীশের জন্য একটি ঘোড়া কেনা হয়। ডাকাতের কাঁধ থেকে সেই টাট্টু ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন ফরিদপুর শহর।

→

দেশভাগের পরও কলকাতা থেকে পুজোর ছুটিতে বানারীপাড়া এসেছিলেন শঙ্খ ঘোষ

শঙ্খ ঘোষ ও তাঁদের বিশাল পরিবার– প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যেতেন মামাবাড়ি চাঁদপুর। শঙ্খ ঘোষের বড় মামা পেশায় ছিলেন ডাক্তার। শরৎকালীন ছুটিতে যেতেন দেশের বাড়ি। দেশভাগের পর কলকাতা থেকেও পুজোর ছুটিতে এসেছিলেন দেশের বাড়ি বানারীপাড়ায়।

→

আমৃত্যু ময়মনসিংহের গ্রাম্য ভাষায় কথা বলেছেন উপেন্দ্রকিশোর

‘বাংলা শিশু সাহিত্য’ যাঁদের হাতে সৃষ্টি, তাঁদের সবাইকে এক ফ্রেমে এই বনাকীর্ণ জলাভূমির যাত্রাপথে দেখতে পাওয়া যায়। রায় পরিবারের সবার মধ্যে ভাষার যে আশ্চর্য সরলতা বা প্রসাদগুণ, তার শিকড় ময়মনসিংহের মসূয়ার মাটিতে পোঁতা রয়েছে।

→

পাবনার হলে জীবনের প্রথম সিনেমা দেখেছিলেন সুচিত্রা সেন

সুচিত্রা সেনের আদি বাড়ি যশোর। পাবনা– তাঁর শৈশবের শহর। প্রথম যৌবনের শহর। প্রথম সিনেমা দেখার শহর। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রাদের বাড়ি। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন পাবনা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে হেডক্লার্ক হয়েছিলেন।

→

নদীমাতৃক দেশকে শরীরে বহন করেছিলেন বলেই নীরদচন্দ্র চৌধুরী আমৃত্যু সজীব ছিলেন

নীরদচন্দ্র চৌধুরী কিশোরগঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার প্রায় ৯৮ বছর হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে দেশভাগ, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বয়সও ৫৪ বছর হয়ে গেছে। কত কত প্রবীণ বৃক্ষ, মানুষ মজে গিয়ে প্রকৃতিতে নতুন ফুল, পাখি, নতুন মানুষ এসেছে। কিন্তু কিশোরগঞ্জের বনগ্রামের কোন বাড়ির সন্তান নীরদচন্দ্র চৌধুরী এবং শহরের কোন বাড়িতে জন্মেছেন, তা কেউ কেউ এখনও মনে রেখেছেন!

→

শচীন দেববর্মনের সংগীত শিক্ষার শুরু হয়েছিল কুমিল্লার বাড়ি থেকেই

বর্ণে-গন্ধে-ছন্দে স্মৃতিতে শচীন দেববর্মনের জীবনকে তিন পর্বে ভাগ করা যায়– কুমিল্লা, কলকাতা ও বোম্বে। তাঁর মাটির কাছাকাছি থাকা, মাটির মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া, এই মাটির ভাটিয়ালি গান গলায় তুলে নেওয়ার পুরো পর্বটাই কুমিল্লায়।

→

বাহান্ন বছর পর ফিরে তপন রায়চৌধুরী খুঁজেছিলেন শৈশবের কীর্তনখোলাকে

শৈশবের বন্ধু অক্সফোর্ড মিশনের ব্রাদার কেটলিকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল শহর থেকে সাইকেল চালিয়ে চলে যেতেন কীর্তিপাশার বাড়িতে। তপন রায়চৌধুরী কৈশোরে প্রথম যাঁর প্রেমে পড়েছিলেন তাঁর নাম লায়লা। লায়লার পিতা ছিলেন ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ বিপ্লবী শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ।

→