রবীন্দ্রনাথ রামকিংকর-কে বলেছিলেন আশ্রমের ভেতরটা তুই এইরকম কাজ দিয়ে ভরে দে। আর কলকাতার পথঘাটের মূর্তি দেখে রামকিংকরের মনে হয়েছিল মেরে-কেটে খান তিনেক। বাকি আবর্জনা।
কেন ভালো করে কথা ভাবা যায় না? আটকায় কীসে? সেই ১৯৪৬-৪৭-এর আপতকাল আর ২০২৫-এর শুভক্ষণ কি এক হল?
লেখা কখনও যদি বাঁচার একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়ায়? সেই লেখা লিখতে পড়তে ইচ্ছে হয়। ভালো-খারাপ নয়, সেখানে বেঁচে থাকার একটা ইমারজেন্সি টের পাওয়া যায়।
পৃথিবীর তাবড় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিশ্বকর্মার ধার ধারে না। শুধু আমাদের দেশ ধারে অস্ত্র আর বিমান কেনে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় চেয়েছিলেন কথাগুলো নিজের পায়ে দাঁড়াক, মানে হাঁটতে শিখুক। আর এ-তো সবারই জানা, সারা দিন সারা দুনিয়া জুড়ে প্রতি মুহূর্তে যা জন্মাচ্ছে তার নাম ‘কথা’। এমনকী নৈঃশব্দ্যও একরকম কথা। ‘সেইরকম ভাবেও কি আমরা কথা বলতে পারি না, সুমন্ত?’ পারি না-পারি শিখতে দোষটা কোথায়!
আমাদের কবি, আমাদের নাট্যকর্মী, আমাদের লেখক, আমাদের অভিনেতা– সবাই যে যেখানে আছে, রাস্তায় যার সঙ্গেই দেখা হবে, বলে দেবে, আজও বেঁচে আছে।
পাঞ্জাব, বিহার, বাংলা ১৯৪৬-’৪৭ সালে খুনে লাল হয়ে ছিল। দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন জয়নুল আবেদিন, চিত্তপ্রসাদ, সোমনাথ হোড়। দাঙ্গায় অবিরাম রক্তস্রোত আঁকলেন না কেন? যাঁরা এঁকেছেন, আগুন জ্বেলেছেন, রক্তের দিকটা ধুয়ে দিয়েছেন।
কবিদের নিয়ে কথা উঠলেই মনে হয়, রবীন্দ্রনাথের পরে গত ৭৫ বছরের বাংলা কবিতায় ভুলে যাওয়া নিয়ে স্মৃতি-বিস্মৃতির কাজ কারবারে ভাস্করের মতো এতটা আলো কেউ ফেলেননি। রবীন্দ্রনাথের গানে কবিতায় ভুলে যাওয়ার যে অপূর্ব আসা-যাওয়া আছে তা নিয়ে আমরা যদি বসি, কত যে বাঁচার পথ পাওয়া যাবে!
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved