'আখরি রাস্তা'-তে যে অমিতাভের রাস্তা ফুরোয়নি, তা প্রমাণ করল এই দশকের একেবারে শেষ বছরে মুক্তি পাওয়া ব্লকবাস্টার ছবি– 'অগ্নিপথ'।
১৯৮৭ সালে যখন কেতন মেহতার 'মির্চ মসালা' মুক্তি পেল, এবং তার ক্লাইম্যাক্সে ধর্ষকামী সুবেদারকে (নাসিরুদ্দিন শাহ) সোনবাই (স্মিতা পাতিল) ও অন্য শ্রমিক মেয়েরা লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে প্রতিরোধ করল, তখন 'আক্রোশ' দেখে ভারাক্রান্ত হওয়া সেইসব দর্শক একাংশ স্বস্তিই পেল।
বিবিধ সিনেমাহলের বৈচিত্রেই ফুরিয়েছিল আটের দশক। নয়ের দশক থেকে সিনেমাহল, দর্শক বদলাতে শুরু করল।
বিষণ্ণতার একলা ছাদে তখন হয়তো বসেছে পরিত্যক্ত মাছের কাঁটার মতো, অথচ শিরদাঁড়া-সোজা টিভি অ্যান্টেনা। কিন্তু যে তরঙ্গ মনের মধ্যে বয়ে যায়, তার খোঁজ রাখে কোন অ্যান্টেনা?
সীতাহরণ বা বস্ত্রহরণের এই শহরজোড়া দর্শকাম কি সুধীর কাকারের সেই 'লাভার্স ইন দ্য ডার্ক'-এ উল্লিখিত হলের অন্ধকারে লুকনো দর্শকামের সঙ্গে মিলবে? না কি সিনেমাহল থেকে, বড়পর্দা থেকে দৃশ্যের বিচ্যুতির সেই শুরু?
'হুইলচেয়ার', 'অন্তর্ধান'-এর মতো ছবির সঙ্গে জুড়ে ছিল সত্য ঘটনা অবলম্বনে-র মতো বিবৃতি, সোচ্চার অথবা অন্তরালে, কিন্তু আজও এই ছবিগুলোর আড়ালে এই বিবৃতি কোথাও থেকে যাবে না তো?
বঙ্গীয় চলচ্চিত্র-মানসে যে ছবি রীতিমতো ‘কালচারাল শক’-এর কারণ হয়ে উঠল, সেই ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ (অন্তর্ঘাত শুরু হয়েছিল বানান থেকেই)– তাও কিন্তু দিনের শেষে বাংলাদেশের মাল।
বলিউড সম্পর্কে রীতিমতো অশ্রদ্ধাশীল এক হলিউডের একান্ত ভক্ত দর্শক, বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে, অত্যন্ত অভক্তি ভরে 'এলিট' সিনেমায় এই ছবি দেখতে যায় এবং বন্ধুদের সদর্পে জানায়, 'কুলভূষণ খারবান্দার এই শাকাল ক্যারেক্টারটা জেমস বন্ড থেকে ঝাঁপা!'
আদ্যন্ত থ্রিলারে, হুইলচেয়ারে বসা সিরিয়াল কিলারের ভূমিকায় তাঁকে দেখে একটু হকচকিয়েই গিয়েছিল বাঙালি।
সেই বছর সেই বিখ্যাত ও বিতর্কিত 'হরেকৃষ্ণ হরেরাম' অথবা 'কাটি পতঙ্গ', 'আনন্দ', 'হাতি মেরে সাথী' দেখতে স্কুল পালিয়ে এসেছে এমনই কত ক্লাস নাইনের ছেলেমেয়ে, যাদের কানে হয়তো তখনই আসতে শুরু করেছে পার্টি ক্লাসের মন্ত্রণা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved