এত রাত্রে অপরিচিত পুরুষমানুষকে ঘরে ঢুকতে দেখে জ্ঞানদা চিৎকার করে উঠলেও, মনোমোহনের আশ্চর্য হওয়ার কিছু ছিল না।
বারবার বলছি বটে, সত্যেন্দ্রনাথ দেবেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় সন্তান এবং সেই সুবাদে জ্ঞানদানন্দিনী মেজবউঠাকরুণ, আসলে কিন্তু সত্যেন্দ্র সারদা ও দেবেন্দ্রর তৃতীয় সন্তান।
অসুস্থ হলে মা-র আদর-যত্ন, ওষুধ খাওয়ানো, পথ্য তৈরি করা, গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুমপাড়ানি গান, কোথায় সেসব?
জ্ঞানদাকে ‘শকুন্তলা’ পড়ে শোনাচ্ছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
জ্ঞানদার পায়ের নীচে মাটি শক্ত করতে বিলেত থেকে ফিরে আসছে তার আই.সি.এস স্বামী।
রবীন্দ্রনাথের মা সারদা, এবং শ্রীরামকৃষ্ণর স্ত্রী জগতের মা সারদার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য।
জ্ঞানদানন্দিনী চিঠিতে লিখতে চায়, তোমাদের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে বউয়ের ‘ছেলে’ না হলে আদর হয় না। আর বাঁজা বউকে তো ঘেন্নাই করা হয়।
সেই প্রতিরোধ ও সমালোচনার ঝড়ের মধ্যেই বেলজিয়ান গ্লাসের মহার্ঘ আয়নার সামনে বাবামশায়ের ডিজাইন করা মসলিনের পেশোয়াজ পরে দাঁড়াল কিশোরী জ্ঞানদানন্দিনী।
সূর্যের শুধু দীপ্তিটাই দেখা যায়, তার প্রতি মুহূর্তের দহনটা দেখা যায় না। লিখছেন রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved