বহু কষ্টে পাওয়া স্বাধীনতাকে বালাই ষাট বলতেই যেন মাধবীলতা আমাদের মেসে এল।
আমরা তো এদিকে হোম-ডেলিভারিকে বিদায় দিয়ে ততদিনে ভাতের হোটেলে বেঞ্চি বুক করে ফেলেছি। যে কোনও মেসতীর্থেই ধীরে জেগে ওঠে এই সব হোটেল। তাদের হোটেল বললে বড় পাঁচ-সাত তারা-রা কুপিত হতে পারে। না বললে, আমাদের সম্মানে লাগে।
আমরা বুঝে গেছি, শুধু আমরা নয়, এই শহরও আমাদের চিনতে চায়। এইট-বি আমাদের শহরের সেই টোল-ট্যাক্স যেখানে আমরা বহু সন্ধে অকাতরে দিয়ে দিতে দ্বিধা করিনি।
বেডরুম আর ড্রয়িংরুমের মধ্যে এলিট ডিফারেন্স যাঁরা কোনওকালেই মানতে পারেন না, দেখবেন, তাঁদের বুকের বাঁদিকে একটুকরো মেস আছে।
তাহলে আর ‘নাবার’ ঘরটিকে গান ‘গাবার’ ঘর বলে অমন আদর-লেখা লিখতে পারতেন না। জল-সংকট রোধে এবং অপচয়ের জীবনকে লাইনে আনতে এই ছিল মেসমালিকদের সবিপ্লব ইশতেহার।
মেসে সিনিয়র থাকলে, কাজখানা অনায়াসে জুনিয়রের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া যায়। ব্যাপারটা কর্তৃত্ববাদী এ নিয়ে সন্দেহ নেই। কী আর করা যাবে, গণতন্ত্রের ভিতরই তো রাজতন্ত্র ট্রোসান হর্স!
সামনে তারের পৃথিবীর ভিতর অজস্র চাবি। যেন ধ্যানমগ্ন সাধুসন্ত। চৈতন্যের বিশেষ অবস্থায় ঝুলন্ত হয়েই সমাধিস্থ। আর তাঁদের সামনে উপবিষ্ট পরমব্রহ্ম চাবিওলা।
মেস নিজেই একটা দেশ। অতএব আলাদা সংবিধান।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved