Robbar

মেসবালক

মেস কি কোনও নারীচরিত্রবর্জিত একাঙ্ক নাটক!

বহু কষ্টে পাওয়া স্বাধীনতাকে বালাই ষাট বলতেই যেন মাধবীলতা আমাদের মেসে এল।

→

যে ভাতের হোটেলে মাছকে ‘তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া’ বলতে হবে না, সেখানেই রোজের বেঞ্চি বুক করতাম

আমরা তো এদিকে হোম-ডেলিভারিকে বিদায় দিয়ে ততদিনে ভাতের হোটেলে বেঞ্চি বুক করে ফেলেছি। যে কোনও মেসতীর্থেই ধীরে জেগে ওঠে এই সব হোটেল। তাদের হোটেল বললে বড় পাঁচ-সাত তারা-রা কুপিত হতে পারে। না বললে, আমাদের সম্মানে লাগে।

→

মেসের বাড়ি না থাকলে দেশের বাড়িকে ঠিক চেনা যায় না

আমরা বুঝে গেছি, শুধু আমরা নয়, এই শহরও আমাদের চিনতে চায়। এইট-বি আমাদের শহরের সেই টোল-ট্যাক্স যেখানে আমরা বহু সন্ধে অকাতরে দিয়ে দিতে দ্বিধা করিনি।

→

মেসে থাকতে গিয়ে বুঝেছিলাম বিছানা আর বেডের মধ্যে বিস্তর তফাত

বেডরুম আর ড্রয়িংরুমের মধ্যে এলিট ডিফারেন্স যাঁরা কোনওকালেই মানতে পারেন না, দেখবেন, তাঁদের বুকের বাঁদিকে একটুকরো মেস আছে।

→

ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ কখনও মেসে থাকেননি

তাহলে আর ‘নাবার’ ঘরটিকে গান ‘গাবার’ ঘর বলে অমন আদর-লেখা লিখতে পারতেন না। জল-সংকট রোধে এবং অপচয়ের জীবনকে লাইনে আনতে এই ছিল মেসমালিকদের সবিপ্লব ইশতেহার।

→

মেস আসলে জীবনের ক্রিকেট-সংস্করণ

মেসে সিনিয়র থাকলে, কাজখানা অনায়াসে জুনিয়রের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া যায়। ব্যাপারটা কর্তৃত্ববাদী এ নিয়ে সন্দেহ নেই। কী আর করা যাবে, গণতন্ত্রের ভিতরই তো রাজতন্ত্র ট্রোসান হর্স!

→

আদরের ঘরের দুলালদের সদর চেনাল মেস

সামনে তারের পৃথিবীর ভিতর অজস্র চাবি। যেন ধ্যানমগ্ন সাধুসন্ত। চৈতন্যের বিশেষ অবস্থায় ঝুলন্ত হয়েই সমাধিস্থ। আর তাঁদের সামনে উপবিষ্ট পরমব্রহ্ম চাবিওলা।

→