E-Robbar
বিশ্বায়ন যে-প্রজন্মকে হাতে ধরে মানুষ করেছে, তাদের কাছে মেস এসেছিল শূন্য দশকের যাবতীয় বিষ ও বিস্ময় নিয়েই।
সরোজ দরবার ও
মেস কেড়ে নিয়ে শহর আমাদের জন্য এখন যে আস্তানা বরাদ্দ করেছে সেখানে নিশ্চিন্তি কই! অহোরাত্র গ্রিলে তালা, এদিকে নজর, সেদিকে নজরদারি। সতর্কতার শেষ নেই। তা সত্ত্বেও যদি বিপদ আসে, আজ কি আর কেউ প্লাইউড হাতে এসেও দাঁড়াবে?
মোটকথা দেখলাম, একটা আস্ত পৃথিবী রোজ রোজ ঘুরে যাচ্ছে অবলীলায়, অর্থ অনেক দৌড়েই কিছুতে যার সঙ্গে পেরে ওঠে না। এই ময়লাটে জীবন সময়মতো নিজেকে কেচে সাফসুতরো করে নিতে জানে দিব্যি। অবসাদ কিংবা ক্লান্তিতে ইউজ-অ্যান্ড-থ্রো হয়ে ওঠে না কিছুতেই।
নীড় ছোট, ক্ষতি নেই। গোঁজাগুজি ঠাসাঠাসি করে আমাদের দিব্যি কেটে যাচ্ছে।
সেমিস্টারের সামনে এসে মেস তার ঢিলেঢালা আলখাল্লা খুলে রাখত। যাকে বলে মালকোঁচা বেঁধে দৌড়ের মতো আমরা ম্যাট্রিক্সের পাতায় পাতায় চলতাম। ডালে ডালে এগিয়ে আসত সেমিস্টার।
মেস কখনই স্বকল্পিত ধারণার বুদ্বুদে বাস করায় না। অনেকগুলো মানুষ, পাশাপাশি থাকে, নানা বাস্তবতা, নানা ধারণায় ঠোকাঠুকি লেগেই মেসের জীবন তৈরি।
মাঝেমধ্যে নিজেরা খাতা খুলে চমকেও উঠতাম। জমার যা বহর তাতে কপালে খাবার না জোটারই কথা। মেসে তবু উপোসের রীতি নেই। কেউ-না-কেউ খাইখরচ দিয়েই দেয়।