Robbar

কলাম

চুল তার কবেকার অন্ধকার অপয়ার নিশান

শুধু ভীষণ প্রেমে যে কবিমন এককালে ভেবেছিল– ‘স্নানের পরে চুল ঝাঁকালে মুখ ধোবো’, সে বেচারা জানতই না, এলোচুলের ইতিহাসে সে আসলে নিষ্পাপ প্রেমিক নয়, খাঁটি শয়তান!

→

তাহলে কি রবীন্দ্রনাথ ‘বাংলাদেশি’ ভাষায় ‘সোনার বাংলা’, আর বাংলায় ‘জনগণমন’ লিখেছিলেন?

কে বলে বাংলাভাষার পিঠ ঠেকে গিয়েছে দেওয়ালে? দিল্লি পুলিশ পর্যন্ত যেখানে ভাষাতত্ত্ব নিয়ে তীব্র পড়াশোনা করে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ সম্পর্কে জানান দেয়, তখনও আমাদের চিন্তান্বিত বুদ্ধিজীবীদের শান্তি হয় না? পুলিশের কাজ আইনরক্ষা ও ফাইনরক্ষা, কিন্তু এদেশ এমন পড়ুয়া ও ভাষাবিজ্ঞানী পুলিশের পাল্লায় পড়েছে কখনও? এজন্যই প্যাশন ছাড়তে নেই। শুধু একটাই বিনীত প্রশ্ন সেই কেন্দ্রীয় পুলিশের প্রতি: রবীন্দ্রনাথ কি ‘সোনার বাংলা’ বাংলাদেশি ভাষায়, আর জনগণমন বাংলা ভাষায় লিখেছিলেন? তা-ই হবে।

→

শৌচাগার নেই, এই অজুহাতে মেয়েদের চাকরি দেয়নি বহু সংস্থা

আনন্দবাজারে শিক্ষানবিশ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আনন্দবাজারের তৎকালীন সম্পাদক সন্তোষ কুমার ঘোষ একরকম রুক্ষ ব্যবহারই করেন আলপনার সঙ্গে। বলেন কাগজের দপ্তরে মেয়েদের বাথরুম নেই, তাই মেয়েদের নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে পরিকাঠামো বানিয়ে নিতে হবে এই স্বাভাবিক কথাটা তাঁর মনে হয়নি, কারণ তাঁর তীব্র পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব।

→

পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে

‘মল ফ্ল্যান্ডারস্’ উপন্যাসের নায়িকা মলির মতো একটা মেয়ে, সাহিত্যে না পাই, জীবনে কি পাইনি? পেয়েছি তার ড্রেসিং টেবিলের সৌজন্যে। সেই ড্রেসিং টেবিলে ছিল তিনটে আরশি। তিন মুকুর মায়ার মধুপুর, বলেছিলুম সেই সাজুগুজুর টেবিলকে।

→

পিতৃপিণ্ডে টমেটো সস

বাবার মৃত্যুর পর পিতৃশ্রাদ্ধ চলছে। পিণ্ড প্রস্তুত। বন্ধুটি বলল, ‘তিলটা বাবার খুব প্রিয় খাবার। সিসম ব্রেড, তিলের বড়া। তিন ইজ ওকে।’ তারপর দু’ হাত জড়ো করে পুরোহিত মশাইকে বলেছিল: ‘একটা অনুরোধ করব ঠাকুরমশাই, পিন্ডির উপর একটু টমেটো সস ঢেলে দিতে অনুমতি করবেন?’

→

ভিন্নতার আতঙ্ক– দ্য এক্সরসিস্ট এবং লাভক্রাফট

আমার পাঠ শুধু এই নয় যে ‘এক্সরসিস্ট’ আসলে নারীত্বের লাগামছাড়া মুক্তির ব্যাপারে যে ধার্মিক-পিতৃতান্ত্রিক-বুর্জোয়া প্যারানোইয়া থাকে, তার ওপর একটি ছবি। ফিরে যাই সেই নেহাতই ডিটেলটির কথায়, প্রান্তিক একটি দৃশ্য যা আবার বহু যত্নে তৈরি করা– রেগানের মা অভিনয় করছেন এমন একটি ছবিতে যা ক্যাম্পাসে ছাত্র-যুববিদ্রোহ সংক্রান্ত। ১৯৭৩-এ এটি হয়তো নেহাতই একটি সমসাময়িক ডিটেল মনে হবে, ছয়ের দশকের যুবছাত্র-বিদ্রোহ, ক্যাম্পাস-বিপ্লবের নিরিখে।

→

পাবনার হলে জীবনের প্রথম সিনেমা দেখেছিলেন সুচিত্রা সেন

সুচিত্রা সেনের আদি বাড়ি যশোর। পাবনা– তাঁর শৈশবের শহর। প্রথম যৌবনের শহর। প্রথম সিনেমা দেখার শহর। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রাদের বাড়ি। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন পাবনা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে হেডক্লার্ক হয়েছিলেন।

→

রুশ সাহিত্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে পেতের্বুর্গ শহরের গৌরব ও দুর্ভাগ্যের ছবি

রুশ বিপ্লবের বর্বরতা নিয়ে এই যে এত প্রশ্ন উঠছে ফরাসি বিপ্লবের নৃশংসতা, বর্বরতা তার চেয়ে, কোনও অংশে কম ছিল কি? কিন্তু কোথায়, তা নিয়ে তো এত প্রশ্ন তাদের দেশে বা বিদেশে কোথাও কখনও ওঠেনি? নাকি সে বিপ্লব রুশ বিপ্লবের মতো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বলে?

→

অফিসে মেয়েদের সখ্যকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নিছক পরনিন্দা-পরচর্চার ক্ষেত্র মনে করেছিল

দেশভাগে বিধ্বস্ত এই মেয়েরা সংসারের নানা টানাপোড়েন সামলে যখন ‘স্ত্রীভূমিকাবর্জিত’ কর্মক্ষেত্রে প্রথম ঢুকলেন, তখন তাঁদের নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বই হয়ে উঠল বিরাট ভরসার জায়গা।

→

যে আত্মীয়তার ডাককে অপয়া বলে বিকৃত করেছে মানুষ

দার্জিলিং চায়ে চুমুক দিয়ে কেউ বলে ওঠে ‘উফ! কী অলক্ষীর মতো ডেকে যাচ্ছে দেখ কুকুরটা’। কুকুর বেচারা জানেই অনেক কিছুর মতোই কাঁদার অধিকারও তার থেকে বহু আগেই কেড়ে নিয়েছে মানুষ।

→