এখনও লক্ষ্য করে দেখবেন, তিন প্রজন্ম পরেও বাঙালরা আগে মাছ, পরে ডাল খায়। কলকাতায় এসে এই উলটো কারবার দেখে বাঙালরা বেশ হকচকিয়ে ছিল। মাছের চেয়ে ডালের দাম কম বলে টানাটানির সংসারে ডালের ব্যবহার বেড়ে গেল বটে, কিন্তু ডালকে বাঙালরা অসম্মান করল না। জলসায় আগে মানবেন্দ্র, ধনঞ্জয়, পিন্টু কিন্তু শেষে হেমন্ত। তেমন শেষে ডাল।
স্বপ্নময় চক্রবর্তী ও
শরীর ও মনকে আধ্যাত্মিকতার সূত্রে বাঁধতে পারে, এমন অনেক যোগ-ব্যায়াম মাথায় হাত না-দিয়ে হয় না। এবং সেই বিজ্ঞানের বয়সও হাজার বছরের ভয় ও কুসংস্কারের থেকে কিঞ্চিৎ বেশি। কিন্তু কলোনিয়াল হ্যাংওভারে ভুগতে ভুগতে আমরা সে সব যুক্তি মাথায় রাখিনি। রেখেছি মাথায় হাত না রাখার কুসংস্কার।
সৌকর্য ঘোষাল ও
টাইপিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের একচেটিয়া ছিল টেলিফোন অপারেটরের কাজ। শুধু কলকাতা শহরে নয়, বিশ্ব জুড়েই এই কাজের জন্য মেয়েদের বিশেষ ভাবে উপযোগী মনে করা হত। এর নেপথ্যেও ওই একই যুক্তি– মেয়েদের গলার স্বর, কথা বলার ভঙ্গি ইত্যাদি।
অন্বেষা সেনগুপ্ত ও সীমন্তিনী মুখোপাধ্যায় ও সুপূর্ণা ব্যানার্জি ও
তান্ত্রিক থ্রিলারের ‘ফর্মুলা’ খুব সোজাসাপ্টা– অকাল্ট এমন এক প্র্যাক্টিসের ইতিহাসের অতল হতে উত্থান হবে যা পেগান, আধিভৌতিক, তামসিক, ভীতিপ্রদ আসলে ‘অনাধুনিক’। তার সাথে সংঘাত হবে এমন কিছু বাঙালির যারা উচ্চবর্ণ হিন্দু, যাদের কাছে আধুনিকতা ‘আছে’। অর্থাৎ একধরনের সাবর্ণ ‘ভদ্রলোক’ আধুনিকতা ও অবদমিত মধ্যযুগীয় প্রাগাধুনিকের বিভীষিকার কনফ্রন্টেশনের গল্প।
অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও
এক বছর ধরে ওয়ার্কশপ, মাস পাঁচেকের রিহার্সালের পর একদিন দেবেশদা যান চেতনা নাট্যদলের মহলাকক্ষে। নাটকের অভিনয় দেখে তিনি না কি হাততালি দিয়ে উঠেছিলেন এবং সেদিনই মন্তব্য করেছিলেন যে এটা বাংলা নাটকের ইতিহাসে একটা অভিনব ঘটনা হতে চলেছে।
সুধাংশুশেখর দে ও
আজকের পুঁজিতান্ত্রিক রাশিয়ার সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের কোনও কোনও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস চলছে তাকে সমাজতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়াস বলে চালানো ঠিক হবে না। সমাজতন্ত্র থেকে পাঠ নিতে তার কোনও কোনও সুকৃতিকে কাজে লাগিয়ে গরিবগুর্বোদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তথাকথিত ‘জনকল্যাণ মূলক’ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের ভিত শক্ত করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
অরুণ সোম ও
একটা কথা কোনও দিন মানিকদা জিজ্ঞেস করা হয়নি। লেখা, আঁকা, টাইপ করার সময় কখনও কখনও হাঁটু দুটোর দিকে ওই ভাবে তাকিয়ে থাকেন কেন? মানিকদা, আপনার এত বড় লেখার ঘর, ভাবনার ঘর, বসার ঘর, আঁকার ঘর, আড্ডার ঘর, সমস্ত ঘর জুড়ে লেখাপড়া আর সৃষ্টির চিহ্ন, সরঞ্জাম। কিন্তু লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved