নন্দলাল বসুর ছবিতে অধিকাংশ দুর্গা বেগবতী। তাদের ডানদিকে ফেরানো সিংহের মাথা আর তারা সেই গতিমুখেই যুদ্ধে রত। বাংলার সরাচিত্রের মতো কম্পোজিশন নয়। সেখানে দুর্গা অনেক স্থির।
ভারতে বৃহত্তর মধ্যবিত্ত সমাজে, এক কৃষক পরিবারের সন্তানের কাছ থেকে এই হার না মানা মনোভাবটাই প্রত্যাশিত ছিল। যে অধ্যবসায় কাকভোরে ওঠে নিজের ক্রিকেট-সাধনায় নিয়োজিত হতেন, সেই চোয়ালচাপা লড়াইয়ের সহজ পন্থায় এজবাস্টনে ভারতকে জেতালেন শুভমান।
এখন সারা ভারত জুড়ে চলছে মুখ খারাপের রাজনীতি। আর অরওয়েল লিখছেন, ইংরেজের রাজনীতি যত নিচে নামছে, ততই ইংরেজ বেসামাল হচ্ছে তার মাতৃভাষায়।
নারায়ণ সান্যাল শুধু বড়ো লেখক ছিলেন না, তিনি কত বড়ো মনের মানুষ ছিলেন তা এই চিঠিতে ধরা পড়ে। একটা বই যে অনেক মানুষের সমবায়ী শ্রম ও শিল্পবোধে গড়ে ওঠে তা তিনি বুঝতেন।
মেলিয়ের ছবির সময় থেকেই সিনেমার পর্দার সামনে এই বিস্ময়ে হাঁ করে তাকিয়ে থেকেছি যে, অ-বাস্তব নিজেকে মেলে ধরেছে– ঠিক যেন তা বাস্তব। সায়েন্স ফিকশন, ফ্যান্টাসি, হরর– এই তিনটে জঁরই অবাস্তবকে, অসম্ভবকে, কল্পিতকে বাস্তব করে তোলে। স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্ন, দুই-ই তাই সিনেমার খুব আপন।
ভারতে, আধুনিক যুগে, দাঁড়কাক পিতৃপক্ষ সময়ে তার আচার-অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বজায় রাখে, কিন্তু স্থানীয় গল্পে এর অশুভ ধারণা এখনও টিকে আছে। ১৯ ও ২০ শতকের গবেষণায় এমন বিশ্বাসও নথিবদ্ধ হয়েছে যে, দাঁড়কাকের ডাক বা অস্বাভাবিক আচরণ অসুস্থতা বা আর্থিক ক্ষতির পূর্বাভাসও দেয়।
উৎসব ও আনন্দের আরও নতুন নতুন খোরাকও শহরে এসে জুটছে। শহরে একের পর এক খোলা হচ্ছে বিদেশি চটজলদি খাবারের দোকান– ম্যাকডোনাল্ডের দোকান। সেদিন এই নিয়ে খোলা হল তৃতীয়টি। প্রথমটি খোলা হয়েছিল কবি পুশকিনের নামাঙ্কিত স্কোয়ারে– পেরেস্ত্রৈকার প্রথম আমলে। এ-বছর জুলাইয়ের প্রথমে খোলা হল পুশকিন ভবনের কাছে।
আমার মনে হয় মেয়েদের মাসল-এ কম জোর থাকতে পারে, ভারী বোঝা হয় ত’ তুলতে পারে না, কিন্তু সহ্য করার বা কাজ করার ক্ষমতা বিন্দুমাত্র কম নয়, বরং বেশিই। কাজেই কেন তাঁরা দাঁড়াবে না? লিখেছিলেন লীলা মজুমদার।
আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেছেন ভিক্টোরিয়া। নাম দিয়েছেন ‘অটোবায়োগ্রাফিয়া’। নিজের জীবনকে ছয় খণ্ডে ভেবেছেন। এবং ভেবেছেন, সব সত্যি কথা বলবেন।
বর্ণে-গন্ধে-ছন্দে স্মৃতিতে শচীন দেববর্মনের জীবনকে তিন পর্বে ভাগ করা যায়– কুমিল্লা, কলকাতা ও বোম্বে। তাঁর মাটির কাছাকাছি থাকা, মাটির মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া, এই মাটির ভাটিয়ালি গান গলায় তুলে নেওয়ার পুরো পর্বটাই কুমিল্লায়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved