E-Robbar
রাজকাপুর-পাগল দেশে রাজ কাপুরের ভাগ্যেও জোটেনি এমন রাজসম্মান। অনেকে ভেরোনিকাকে ‘কূটনীতিবিদ’ আখ্যা দিলেন।
অরুণ সোম ও
এই কিছুদিন আগেও আশা ছিল আগামী কাল বাঁচা সহজ হবে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে বিনামূল্যে আহার পাচ্ছিল, গরমের ছুটির সময় নামমাত্র মূল্যে হলিডে হোমে যেতে পারত, অবসর সময়ে শখের ক্লাবে বা আসরে যাওয়ার সুযোগ পেত, নতুন ফ্ল্যাট পাওয়ার প্রতিশ্রুতিও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এল অন্য সময়। এখন আর তার সন্তানদের প্রয়োজন নেই কারও।
বুদ্ধিজীবীরাই বোধহয় বেশি তাড়াতাড়ি এদের ফাঁদে পড়ে যান এবং তাঁরাই সাধারণ মানুষের মগজ ধোলাই করে তাদের বিপথে পরিচালনা করেন– এটাই বোধহয় সাধারণ নিয়ম। রুশিদের মধ্যেও তাই একটা কথা প্রচলিত আছে বাংলা প্রবচনে যা দাঁড়ায়– ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি।’
এদেশের অর্থনীতিতে এতদিন যে ধরনের ব্যবস্থা চলে আসছিল তাতে দোকানবাজারে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যেত না, তাই ‘নেই নেই’ হাহাকার লেগেই থাকত। তবে– একসময়ে জিনিস পাওয়া যাবে, এই ভরসাও থাকত। আর এখন?
পথে এসে দাঁড়িয়েছে সোভিয়েত ধ্রুপদী সংগীত, যার স্থায়ী আসন ছিল বিশ্বের দরবারে।
প্রতি বছর সরকার থেকে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হত স্মৃতিসৌধের সামনে। এবারে সেই সুযোগ পেয়েছিল সাধারণ লোকে।
এবার রুশিদের দাবি সোভিয়েত ইউনিয়নকে অক্ষুণ্ণ, অটুট রাখার উদ্দেশ্যে ১৯৯১ সালের ১৯ থেকে ২১ আগস্ট কমিউনিস্টদের যে-অভ্যুত্থান ঘটেছিল, সেই উপলক্ষে ২১ আগস্ট ‘অভ্যুত্থান’ ব্যর্থ হওয়ার দিনটিকেই পালন করা হোক ‘জাতীয় উৎসব’ হিসেবে।