E-Robbar
ডাকাতি সফল হয়নি, তবে তারা ধরাও পড়েনি।
অরুণ সোম ও
১৫ সেপ্টেম্বর মস্কোর উপকণ্ঠে এক বাগানবাড়িতে প্রেসিডেন্ট ইয়েলৎসিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ছত্রিশজন কথাশিল্পীদের একটি দল। তাঁরা তাঁকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যতদূর সম্ভব কঠোর ও চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। পরিবর্তে লেখক ও শিল্পীসমাজের পক্ষ থেকে সরকারকে ব্যাপক সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এঁরা কি উস্কানিদাতা?
ইতিহাসের প্রতি সুবিচার চাই– এই রব তুলে মস্কো শহরের রাস্তাঘাট-অলিগলি-পার্ক স্কোয়ার– এমনকী পাতালরেলের স্টেশনেরও নাম বদল করা চলছে– তাদের পুরানো নাম ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সোভিয়েত মহাজাতি গঠনের যে-মহাযজ্ঞের সূচনা হয়েছিল, তা পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর এইসব মানুষের স্থান এখন কোথায়?
রাজকাপুর-পাগল দেশে রাজ কাপুরের ভাগ্যেও জোটেনি এমন রাজসম্মান। অনেকে ভেরোনিকাকে ‘কূটনীতিবিদ’ আখ্যা দিলেন।
এই কিছুদিন আগেও আশা ছিল আগামী কাল বাঁচা সহজ হবে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে বিনামূল্যে আহার পাচ্ছিল, গরমের ছুটির সময় নামমাত্র মূল্যে হলিডে হোমে যেতে পারত, অবসর সময়ে শখের ক্লাবে বা আসরে যাওয়ার সুযোগ পেত, নতুন ফ্ল্যাট পাওয়ার প্রতিশ্রুতিও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এল অন্য সময়। এখন আর তার সন্তানদের প্রয়োজন নেই কারও।
বুদ্ধিজীবীরাই বোধহয় বেশি তাড়াতাড়ি এদের ফাঁদে পড়ে যান এবং তাঁরাই সাধারণ মানুষের মগজ ধোলাই করে তাদের বিপথে পরিচালনা করেন– এটাই বোধহয় সাধারণ নিয়ম। রুশিদের মধ্যেও তাই একটা কথা প্রচলিত আছে বাংলা প্রবচনে যা দাঁড়ায়– ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি।’