E-Robbar
আমার স্ত্রী, কন্যাদ্বয় নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল। সোভিয়েত সংবিধানের সে এক গোলকধাঁধা, আরেক ইতিহাস।
অরুণ সোম ও
সোভিয়েত নাগরিকত্ব আমাদের সময়কার কোনও ভারতীয়েরই ছিল না– এমনকী, গোপেন চক্রবর্তীরও ছিল না। সেই সময়কার জীবিতদের মধ্যে একমাত্র একজনই– ওই জ্যাক লিট্টনই ছিলেন এর ব্যতিক্রম।
সোভিয়েত ব্যবস্থা যখন পতনের মুখে, ততদিনে গোপেনদার ধৈর্যের বাঁধও ভেঙে পড়ার উপক্রম।
জয়ার জন্মের আগেই তাঁর বাবা ভারতে ফিরে আসেন এবং সকল যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েক বছর পর তাঁরা খবর পান যে তাঁকে ইংরেজরা গুলি করে হত্যা করেছে।
পড়তে পড়তে আমার কেমন যেন মনে হচ্ছিল এই ‘বাঙালি কমিউনিস্ট’-টি আমারও খুব চেনা।
‘ধুলোমাটি’, ‘ধানকানা’র লেখককে সেদিন চোখের সামনে দেখেছিলাম ট্র্যাজিক উপন্যাসের নায়ক হয়ে প্রবাসে অন্তিম দিন গুনতে।
‘ধুলোমাটি’ উপন্যাসটা অন্তত রুশ ভাষায় অনুবাদ হতেই পারত। কিন্তু নিজের প্রসঙ্গ উঠলে সব সময় ননীদা বলতেন– ওসব বাদ দাও।