বন জঙ্গলের মধ্যেই রাসযাত্রা সূচনা। সেখানে পশু, পাখি, জলজ প্রাণী, ফল-সহ জীববৈচিত্রের এক অপরূপ নিদর্শন লক্ষ করা যায়। জীববৈচিত্রের সেই মহৎ ঐক্যই শোলার পুতুলের প্রতীকী হয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকার পাশে বিরাজ করছে।
আজ ১ নভেম্বর। পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘতম ভাষা-আন্দোলনের ফল হিসেবে এই দিনেই পশ্চিমবঙ্গে যুক্ত হয় নতুন পুরুলিয়া জেলা। বঙ্গভুক্ত পুরুলিয়ার লাল মাটি বহু সত্যাগ্রহীর রক্ত, ঘামে ভেজা। টুসুর মতো লোকগানকে হাতিয়ার করে এই মানভূম ভাষা আন্দোলন বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ‘প্রবাসী’ আর ‘মর্ডান রিভিউ’-এর পাতা ভরে উঠেছিল তাঁর লেখা চিত্র-পরিচিতিতে। অবনীন্দ্রনাথ ভারতমাতার ছবি আঁকলে, সেটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন ভগিনী নিবেদিতা। তাঁর মনে হয়েছিল, এটি নতুন ভারত নির্মাণের লক্ষ্যে ভারতীয় শিল্পভাষায়, দেশের মানুষের জন্যে আঁকা ছবি।
‘রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র’ আঁকেন এমন মহিলা শিল্পী গোটা পৃথিবীতে বিরল। এমন দুর্লভ এক কার্টুনিস্ট ভারতের মায়া কামাথ, প্রয়াত হয়েছিলেন মাত্র ৫০ বছর বয়সেই। মায়া কামাথের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য।
তৃপ্তি মিত্রের কর্মজীবনের শুরু সহৃদয়তায়। মন দিয়ে দেখলে বোঝা যায়, শেষ-ও সেই সহৃদয়তাতেই। ক্ষণিকের জন্য অনুভূত হলেও সেই সম্মিলিত সহৃদয়তার রেশ দীর্ঘমেয়াদি– তার রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রভাব তীব্র। এই শাস্ত্রীয় কট্টরপন্থার যুগে, তাঁর কর্মজীবনের দিকে ফিরে তাকিয়ে, যদি আমরা শিখি সহৃদয়তার সংজ্ঞায়ন অন্যভাবে করতে, তাতে থিয়েটারের রাজনীতির লাভ বই, ক্ষতি নেই।
অসম্ভব প্রতিভার সঙ্গে হৃদয় ঠিকঠাক মিশে গেলে, কী হয়, তা তৃপ্তিদির সঙ্গে অল্প মিশলেই বোঝা যেত। যতটা হৃদয়বতী হওয়া সম্ভব, তিনি তাই-ই ছিলেন।
পীযূষের বিজ্ঞাপনের ভিত ছিল সমস্যাহীন ভারত। খোলা মাঠে বসে থাকা পরিবার, চটি ছিঁড়ে যাওয়া মানুষ, এমনকী, ভারত পাকিস্তানের ওয়াঘা সীমান্ত– সবই ছিল তাঁর এই ‘ফেভিকল পেয়েছির দেশ’।
মণিকর্ণিকা নিয়ে দু’চার কথা। মানুষ পুড়ে যাওয়ার তাপ, হাওয়ার কোপ। একজন-দু’জন নয়। একসঙ্গে অনেকে। এলোমেলো এদিক-সেদিক পড়ে আছে জীবনে ব্যবহার করা ‘জরুরি’, হয়তো বা অতিপ্রিয় বস্তুটি। তাকে এই বেলায়-অবেলা-কালবেলায় ছেড়ে যেতে হল। মন পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার পর, এখন শরীরের পালা।
বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচয় হচ্ছিল আমাদের গণমানুষের ইতিহাস আর বর্তমানের সঙ্গে, তাদের গণকবর থেকে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ আমাকে শেখাতে থাকে, দেখাতে থাকে এই দুনিয়ার দোজখ কেমন।
কেউ কেউ বলে শ্মশানের থেকে পবিত্র জায়গা আর হয় না। কিন্তু পোড়া কাঠ, ভাঙা মাটির হাঁড়ি, ছেঁড়া কাপড় মিলিয়ে যে আবহ তৈরি হয় তাকে কখনও আমার ‘পবিত্র’ বলে মনে হয়নি। গা-শিরশির কমেনি।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved