কানাইনাটশাল শক্তিদার প্রিয় বাংলো। নিচের বাগানে ময়ূর, হরিণ, অজস্র গাছগাছালি। সকালে জলখাবার খেয়ে শক্তিদা দরজা বন্ধ করলেন, এক ঘণ্টা পর বারন্দায় তাঁর গমগম কণ্ঠে শুনলাম, ‘গ্রহণ করিনি আগে ভুল হয়ে গেছে/ চুম্বন করিনি আগে ভুল হয়ে গেছে’।
এক অসম্ভব সারল্যময় মেজাজের অধিকারী ছিলেন। যাঁকে বকতেন, তাঁকেই আবার বুকে জড়িয়ে ধরতেন। বাবা, শক্তিকাকা এবং জেঠু (লেখক সুরজিৎ বসু) যখন প্রবল বর্ষায় জলপাইগুড়িতে সারারাত গান গাইতেন তখন চারপাশ আলোড়িত হয়ে উঠত তাঁদের কণ্ঠস্বর রাতগুলো মিশে যেত আবেগের স্রোতে।
ফিবোনাচ্চির ‘লিবের অ্যাবেসি’ গোটা ইউরোপে দারুণ প্রভাব ফেলেছিল– সহজ আর দ্রুত করে দিয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের গণনা। তাঁর সংখ্যা-শৃঙ্খলা অনুপ্রাণিত করেছে বহু শিল্পী, সংগীতজ্ঞকে। তবে ফিবোনাচ্চি সিরিজের সবচেয়ে সুন্দর রূপটি ছড়িয়ে রয়েছে সারা প্রকৃতিময়। বিশ্ব ফিবোনাচ্চি দিবস উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।
প্রেমের ভাষ্যেও ফৈয়জের উজ্জ্বল উপস্থিতি যেমন– ‘দশ্ত-এ-তনহাই’, ‘ভুলি বিস্রি চন্দ উমিদেঁ’, ‘ইয়ে জফা-এ-গম কা চারা’, ‘ইঁউ সজা চাঁদ’ ইত্যাদি। মেহেদি জাহিরের সুর দেওয়া, ‘ইয়াদ’ নজম-এ বিরহের এমন তীব্র আকুতি যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে শ্রোতাদের মনে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে শব্দের উঠোনে আর ভাষার দেওয়ালে আমরা পুঁতে রেখেছি ধর্মের আমূল পেরেক– সেই রেওয়াজের ঠিক উলটো পথে হেঁটে, আসগারি আর অযোধ্যানাথ ছোট্ট কিরণবালার নাম রেখেছিলেন খাঁটি আরবি শব্দে, ‘তবসসুম’।
মৃত্যুর পরে আজ প্রথম জন্মদিন জুবিন গর্গের। মৃত্যুর মতো ছেঁদো স্বাভাবিক ব্যাপারটাকে সরিয়ে রেখে, জুবিন গর্গ থেকে গিয়েছেন আমাদের মধ্যে। তাঁর গান শুধু নয়, জীবনশৈলীও। ও জুবিন রে...
জোড়া কার্তিক-সহ লক্ষ্মী সরাচিত্রে পূজিত হন সম্পদের প্রতিভূ হিসেবে। ‘সম্পদ’ কথাটি এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ লক্ষ্মী যদি শ্রী ও ধনসম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হন; তাহলে পুত্র সম্পদের দেবতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন জোড়া কার্তিক। কিন্তু কার্তিক জোড়ায় কেন?
প্রিয়ম্বদা তখন চল্লিশোর্ধ্ব আর ওকাকুরা পঞ্চাশের দ্বারপ্রান্তে। শান্ত, শুভ্র, করুণ শঙ্খের মতো অথচ দীপ্তিময় প্রিয়ম্বদাকে দেখে মন হারিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, প্রিয়ম্বদা যেন সূক্ষ্ম রেখা ও হালকা রঙে আঁকা এক জাপানি ছবির মতো। শোনা যায়, ‘শ্বেত কমল’ নামে তাঁর একটি ছবিও এঁকেছিলেন তিনি।
১৩ আর ১৪ নভেম্বর কুর্চির উঠোনে ওদের শেখানো হল, মহাশ্বেতা দেবীর ‘অরণ্যের অধিকার’ আবৃত্তির সঙ্গে কখন, কারা, কীভাবে দাঁড়াবে স্থির মূর্তির মতো এক-একটা ছবির মতো। এই হল দু’-দিনের নাট্য-ওয়ার্কশপ। মন দিয়ে শিখছে ওরা। দ্বিতীয় দিনে রীতিমতো পোশাক পরে, বন্দুক, তির-ধনুক নিয়ে, গরাদের কাট-আউট আর সাল-তারিখের বাংলা আর মুন্ডারি ভাষার পোস্টার হাতে করে মহড়া হয়েছে। আজ ১৫ নভেম্বর ২০২৫, বিকেলে বিরসা মোড়ে ভগবান বিরসার মূর্তির পায়ের কাছে বিরসা স্মরণের অনুষ্ঠান হবে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved