শিশুমহল আর গল্পদাদুর আসর– দুই নিয়ে আকাশবাণীর শিশুবিভাগ। শিশুমহলের আয়োজনে এখনও হইহই করে পালিত হয় শিশুদিবসের অনুষ্ঠান। দু’ ঘণ্টার সরাসরি সম্প্রচার। এতগুলো কচিকাঁচাকে সামলানো, রিহার্সাল থেকে শুরু করে অনুষ্ঠান পরিচালনা। সে এক বিচিত্র সবুজের অভিযান।
সিনেমার নেপথ্য-কর্মী দুলাল দত্ত-র মতো মানুষকে মৃত্যুর মাত্র দেড় দশক পরে বেমালুম মানুষকে বেমালুম ভুলে যাওয়া বাঙালির মজ্জাগত স্বভাব। তাঁকে কি সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছি আমরা? জীবিতকালেও জীবনের শেষভাগে এসে একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলেন মানুষটি।
সালিম আলির আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষে পাখিচর্চার ক্ষেত্রে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ নামই ইউরোপীয়দের। গুরুত্বপূর্ণ নামের তালিকায় সালিম আলির পূর্বসূরিদের মধ্যে ভারতীয় বলতে দুই বাঙালি– রামব্রহ্ম সান্যাল ও সত্যচরণ লাহা। এই এত এত তাবড় সব নাম ডিঙিয়ে সালিম আলি কেমন করে হয়ে উঠলেন ‘ভারতের বার্ডম্যান’?
চিত্রনিভা চৌধুরী ভারতের প্রথম প্রশিক্ষিত মহিলা শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম। এমনকী তিনি শান্তিনিকেতনের প্রথম মহিলা অধ্যাপিকা হিসেবেও কাজ করেছেন। প্রতিকৃতি শিল্পে দক্ষ চিত্রনিভা প্রথম ক্যামেরা হাতে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথের ছবি। সূর্যালোক পড়ে সেই ছবিগুলি নষ্ট না হলে আজ হয়তো বেশ কয়েকটি দুর্লভ ছবি আমরা পেতাম।
অকারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথ তাঁর নয়। তবে শাস্ত্রীয় সংগীত, বিশেষত বিষ্ণুপুর ঘরানার ধ্রুপদ চর্চা তাঁর নিজস্ব গায়নভঙ্গি গড়ে দিয়েছিল। গুরুর মতোই বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও সংগীতের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ কোথাও তাঁর গানকে প্রভাবিত করেছিল বলে মনে হয়।
১৯৭৫ সালে বিড়লা আর্ট গ্যালারিতে আয়োজিত হয়েছিল তাঁর জীবনের প্রথম ও শেষ একক প্রদর্শনী। আজ কাফী খাঁর ১২৫-তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।
নীতিগত কারণে যাঁরা ‘বন্দে মাতরম্’ গাইবেন না বা আপত্তি জানাবেন, তাদের ওপর কি জোর করা হবে? তাহলে ওই পুরনো কথাটা– ‘ফ্যাসিজম’, সেটা যদি আমরা এই কেন্দ্রীয় শাসকদের এই ধরনের কার্যকলাপের ওপর প্রয়োগ করতে চাই, সেটা কি খুব অনুচিত হবে?
বন জঙ্গলের মধ্যেই রাসযাত্রা সূচনা। সেখানে পশু, পাখি, জলজ প্রাণী, ফল-সহ জীববৈচিত্রের এক অপরূপ নিদর্শন লক্ষ করা যায়। জীববৈচিত্রের সেই মহৎ ঐক্যই শোলার পুতুলের প্রতীকী হয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকার পাশে বিরাজ করছে।
আজ ১ নভেম্বর। পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘতম ভাষা-আন্দোলনের ফল হিসেবে এই দিনেই পশ্চিমবঙ্গে যুক্ত হয় নতুন পুরুলিয়া জেলা। বঙ্গভুক্ত পুরুলিয়ার লাল মাটি বহু সত্যাগ্রহীর রক্ত, ঘামে ভেজা। টুসুর মতো লোকগানকে হাতিয়ার করে এই মানভূম ভাষা আন্দোলন বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ‘প্রবাসী’ আর ‘মর্ডান রিভিউ’-এর পাতা ভরে উঠেছিল তাঁর লেখা চিত্র-পরিচিতিতে। অবনীন্দ্রনাথ ভারতমাতার ছবি আঁকলে, সেটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন ভগিনী নিবেদিতা। তাঁর মনে হয়েছিল, এটি নতুন ভারত নির্মাণের লক্ষ্যে ভারতীয় শিল্পভাষায়, দেশের মানুষের জন্যে আঁকা ছবি।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved