প্রিয়ম্বদা তখন চল্লিশোর্ধ্ব আর ওকাকুরা পঞ্চাশের দ্বারপ্রান্তে। শান্ত, শুভ্র, করুণ শঙ্খের মতো অথচ দীপ্তিময় প্রিয়ম্বদাকে দেখে মন হারিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, প্রিয়ম্বদা যেন সূক্ষ্ম রেখা ও হালকা রঙে আঁকা এক জাপানি ছবির মতো। শোনা যায়, ‘শ্বেত কমল’ নামে তাঁর একটি ছবিও এঁকেছিলেন তিনি।
১৩ আর ১৪ নভেম্বর কুর্চির উঠোনে ওদের শেখানো হল, মহাশ্বেতা দেবীর ‘অরণ্যের অধিকার’ আবৃত্তির সঙ্গে কখন, কারা, কীভাবে দাঁড়াবে স্থির মূর্তির মতো এক-একটা ছবির মতো। এই হল দু’-দিনের নাট্য-ওয়ার্কশপ। মন দিয়ে শিখছে ওরা। দ্বিতীয় দিনে রীতিমতো পোশাক পরে, বন্দুক, তির-ধনুক নিয়ে, গরাদের কাট-আউট আর সাল-তারিখের বাংলা আর মুন্ডারি ভাষার পোস্টার হাতে করে মহড়া হয়েছে। আজ ১৫ নভেম্বর ২০২৫, বিকেলে বিরসা মোড়ে ভগবান বিরসার মূর্তির পায়ের কাছে বিরসা স্মরণের অনুষ্ঠান হবে।
শিশুমহল আর গল্পদাদুর আসর– দুই নিয়ে আকাশবাণীর শিশুবিভাগ। শিশুমহলের আয়োজনে এখনও হইহই করে পালিত হয় শিশুদিবসের অনুষ্ঠান। দু’ ঘণ্টার সরাসরি সম্প্রচার। এতগুলো কচিকাঁচাকে সামলানো, রিহার্সাল থেকে শুরু করে অনুষ্ঠান পরিচালনা। সে এক বিচিত্র সবুজের অভিযান।
সিনেমার নেপথ্য-কর্মী দুলাল দত্ত-র মতো মানুষকে মৃত্যুর মাত্র দেড় দশক পরে বেমালুম মানুষকে বেমালুম ভুলে যাওয়া বাঙালির মজ্জাগত স্বভাব। তাঁকে কি সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছি আমরা? জীবিতকালেও জীবনের শেষভাগে এসে একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলেন মানুষটি।
সালিম আলির আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষে পাখিচর্চার ক্ষেত্রে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ নামই ইউরোপীয়দের। গুরুত্বপূর্ণ নামের তালিকায় সালিম আলির পূর্বসূরিদের মধ্যে ভারতীয় বলতে দুই বাঙালি– রামব্রহ্ম সান্যাল ও সত্যচরণ লাহা। এই এত এত তাবড় সব নাম ডিঙিয়ে সালিম আলি কেমন করে হয়ে উঠলেন ‘ভারতের বার্ডম্যান’?
চিত্রনিভা চৌধুরী ভারতের প্রথম প্রশিক্ষিত মহিলা শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম। এমনকী তিনি শান্তিনিকেতনের প্রথম মহিলা অধ্যাপিকা হিসেবেও কাজ করেছেন। প্রতিকৃতি শিল্পে দক্ষ চিত্রনিভা প্রথম ক্যামেরা হাতে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথের ছবি। সূর্যালোক পড়ে সেই ছবিগুলি নষ্ট না হলে আজ হয়তো বেশ কয়েকটি দুর্লভ ছবি আমরা পেতাম।
অকারণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথ তাঁর নয়। তবে শাস্ত্রীয় সংগীত, বিশেষত বিষ্ণুপুর ঘরানার ধ্রুপদ চর্চা তাঁর নিজস্ব গায়নভঙ্গি গড়ে দিয়েছিল। গুরুর মতোই বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও সংগীতের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ কোথাও তাঁর গানকে প্রভাবিত করেছিল বলে মনে হয়।
১৯৭৫ সালে বিড়লা আর্ট গ্যালারিতে আয়োজিত হয়েছিল তাঁর জীবনের প্রথম ও শেষ একক প্রদর্শনী। আজ কাফী খাঁর ১২৫-তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ।
নীতিগত কারণে যাঁরা ‘বন্দে মাতরম্’ গাইবেন না বা আপত্তি জানাবেন, তাদের ওপর কি জোর করা হবে? তাহলে ওই পুরনো কথাটা– ‘ফ্যাসিজম’, সেটা যদি আমরা এই কেন্দ্রীয় শাসকদের এই ধরনের কার্যকলাপের ওপর প্রয়োগ করতে চাই, সেটা কি খুব অনুচিত হবে?
বন জঙ্গলের মধ্যেই রাসযাত্রা সূচনা। সেখানে পশু, পাখি, জলজ প্রাণী, ফল-সহ জীববৈচিত্রের এক অপরূপ নিদর্শন লক্ষ করা যায়। জীববৈচিত্রের সেই মহৎ ঐক্যই শোলার পুতুলের প্রতীকী হয়ে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকার পাশে বিরাজ করছে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved