E-Robbar
খেলা অনেকটা ঘুরে গিয়েছে, আর উপায় নেই, হাতভর্তি আলোই আছে শুধু। বিস্ফোরণের, বনদহনের মেয়াদ শেষে অকৃত্রিম লাঠির মতো, জিলিপির মতো আলো।
সুপ্রিয় মিত্র ও
তর্কের খাতিরেই ছবি আঁকা শিখতে শুরু করেছেন। পরে শিক্ষার আপাতসরল অভিগমন বদলে গেছে অনুসন্ধানে। ইন্টারন্যাশনাল কোরেস্পন্ডেন্স স্কুল থেকে প্যাসাডেনা আর্ট মিউজিয়ামের প্রশিক্ষণ বিভাগ। অজস্র স্কেচ, ড্যুডলিং, ন্যুড, সেমিন্যুড, ওয়াটার কালার। সংশয় থেকে বিস্ময়ে উত্তরণে ক্রমশ উপলব্ধি করেছেন– সত্যের ঈশ্বর বলে কিছু নেই, কণিকার অবস্থার মতো তা কেবল একটি তাৎক্ষণিক সম্ভাবনা মাত্র।
গৌরবকেতন লাহিড়ী ও
বৈশাখী বুদ্ধপূর্ণিমার রাতে অযোধিয়া বুরু আন্দোলিত হয় শিকার উৎসবে। শুধু শিকার নয়, এ হল উৎসব, ‘সেঁদ্রা পরব’। সাঁওতালি ভাষায় যাকে বলে ‘সেন্দ্রা’, তার বাংলা অর্থ ‘অনুসন্ধান’। বিগত বছরে জঙ্গলের মধ্যে যেসব প্রজাতির গাছপালা, লতাপাতা, কীটপতঙ্গ, পশুপাখি ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে তা এই বছর পাওয়া যায় কি না সেই বিষয়ে খোঁজতল্লাশ।
সৃজা মণ্ডল ও
ছবির বিষয় প্রসঙ্গে নীরদ মজুমদার বলেছিলেন– ‘দ্যাখো, কেবল ছবি আঁকলেই হল না, ছবির বিষয়টাও খুব জরুরি। বিষয় নির্বাচনেরও একটা মহিমা আছে। তোমরা আবার ভিকিরির ছবি আঁকতে যেও না, খেয়াল রেখো, সেন্টিমেন্টের বদলে ছবি যেন বিশুদ্ধ আনন্দের পরিসর হয়ে ওঠে।’
সুশোভন অধিকারী ও
বরফি কাটা জানলা দিয়ে বরফি-রোদ্দুর এসে পড়ত দাদুর বিছানায়। ওই বিছানাতেই তোলা হল হারমোনিয়াম। মস্ত একটা কাঠের বাক্স থেকে বড়জোর দু’দিন সে বেরয়। ভেতরে আরশোলা একবার ডিমও পেড়েছিল! সেসব তাড়ানো হয়েছে। বেলো করলে হাওয়া হয়। হাওয়াই নাকি সুর তোলে।
সম্বিত বসু ও
ক্লাসের শুরুতে কবীর প্রথমে গানটি বেশ কয়েকবার গান। সচরাচর কিবোর্ড বাজিয়ে। আমরা শুনতে থাকি। তৃতীয় বা চতুর্থবার গাওয়ার সময় আমাদের গুনগুন করে গলা মেলাতে বলেন।
স্বাগতা দাশগুপ্ত ও
তাঁর চোখে ছিল বিদ্রোহ, মুখে ছিল শাসনহীন ভালবাসা। বললেন, ‘তুমি বাজাও নিজের মতো করে।’ আমি বললাম, ‘কিন্তু আমি তো শিখিনি আপনার মতো।’ উনি বললেন, ‘তাই তো চাই। আমি চাই তুমি বাজাও তোমার মতো। নিজের মাটি খুঁড়ে নিজেই জল বার করো।’
দেবজ্যোতি মিশ্র ও