২ সেপ্টেম্বর। আজ বিশ্ব নারকোল দিবস। ডাব দিবসও বলতে পারেন। সেই ডাব নারকোল নিয়েই রোববার.ইন-এ শাঁসালো নিবন্ধ।
আগস্ট কবির কাছে একটি ‘মানসিক ঋতু’– বাস্তবের চেয়েও যার ঠাঁই বেশি কবিরই মনে, জীবনে, যাত্রায়। গ্রীষ্মের প্রাণবন্ত আলো হঠাৎই আগুন হয়ে, সংকেত বহন করে নারীজীবনের বিবিধ ক্ষয়ের, ছিন্নমূলতার, শূন্যতার। সে ‘উন্মাদনার’ ব্যাকরণ আত্মহত্যার রোমহর্ষক রি-টেলিং-কে অতিক্রম করে যাওয়া আগস্টেরও ব্যাকরণ।
‘যখন যেমন তখন তেমন’ গল্পটা শিবরামের হিন্দুসমাজের পণ্ডিতির গালে কষে থাপ্পড়। আজকের দিনে লিখলে শিবরাম জেলের ভাত খেতেন গল্প লেখার জন্য। কথাটা যে একেবারে ফালতু নয়, তার জন্য গল্পটা একবার পাঠক পড়ে এলেই বুঝবেন।
তাঁর কবিতা স্বরগ্রাম সুকান্ত কিংবা নজরুলের হয়ে ওঠেনি এমনকী সমকাল-ঘনিষ্ঠ অগ্রজ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের দিকেও গড়ায়নি। কাদরীর কবিতা, অবস্থান, কাদরীর মতোই সর্বজনীন হয়েও ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক হয়েও প্রেমের, নাগরিক হয়েও চরচরব্যাপী, একান্ত বাঙালির আবার আন্তর্জাতিক।
১৯৮৬-র ডিসেম্বরে স্রোতস্বিনী গঙ্গার তীরে হৃষীকেশ, পথচলতি মহিলার পায়ে ঠেকে একটি পচনশীল মৃতদেহ। ঠাহর করা যায় না, যায়নি, যতক্ষণ কলকাতা থেকে দীর্ঘদিন তাঁর কোনও খোঁজ না-পাওয়া পরিজন তাঁর টুকটাক ‘সামান’ চিহ্নিত করেন। ইনিই বীণা দাস, বিপ্লবী, গোটা জীবন দেশের নামে পাত করে যাঁর কপালে জুটেছিল ওই করুণ পরিণতি।
তিনি অভিনেতা হিসেবে সবসময় পার্শ্ব কিন্তু তীক্ষ্ণ। প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাধারণের, কিন্তু প্রতিনিধিত্ব করেছেন অসাধারণ। তিনি টলেছেন কম, টলিয়েছেন বেশি। ভারতীয় সিনেমায় তিনি একটা যুগ, যেখানে ক্ষুদ্র ভূমিকা তুচ্ছতার সঙ্গে পরিকল্পিত হত না।
অঘোরকামিনী সময়ের রীতি মেনে দেবী হননি, হয়েছিলেন, ‘রায়’, ‘মিসেস রায়’। এই কারণে যদি বলি, অঘোরকামিনী রায়, ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়ের মা, তাহলে বোধহয় নিজেকে আবদ্ধ করলাম প্রথাগত চিন্তার আবদ্ধতায়। অপমান করে বসলাম, প্রবল আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, ব্যতিক্রমী সেই নারীকে। বরং মনের মুক্তি সঙ্গে কলমের শান্তি লেগে থাকে, যদি বলি, অঘোরকামিনী রায়ের কনিষ্ঠ সন্তান পশ্চিমবঙ্গের রূপকার তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর যে বিশেষ সাক্ষাৎকার আমরা গ্রহণ করি, সেখানে সুনীলের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি ‘হো হো’ করে হেসে প্রসঙ্গান্তরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সুনীল বলেছিলেন, ‘এরকম শোনা যায়, আপনি নাকি একসময় রাস্তায় বাসে-ট্রামে কোনও সুন্দরী রমণীর দেখা পেলে কাউকে বুঝতে না দিয়ে তাঁকে নীরবে অনুসরণ করতেন?’
মাথা পাকা না হলে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর মনস্তাত্ত্বিক লেখা বোঝা বেশ কঠিন। মনে হয়, এই কঠিনের জন্যই প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে। যে-প্রচার আশাপূর্ণা দেবী বা বিমল মিত্ররা পেয়েছেন।
মৃত্যু সম্পর্কে শ্রীরামকৃষ্ণ কী ভাবতেন, সে কথা নানা সময় বলে গিয়েছে নানা জনের সঙ্গে আলাপে-সংলাপে। আজ শ্রীরামকৃষ্ণর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ শ্রীরামকৃষ্ণর মৃত্যুভাবনা নিয়েই।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved