Robbar

রোজনামচা

বাঙালির চকলেট নিয়ে এত আদিখ্যেতা কীসের!

যেখানে আমাদের স্টকে এত ভালো ভালো মিষ্টি আছে, সঙ্গে হিস্ট্রি আছে– সেখানে চকলেট নিয়ে লাফালাফি মেনে নেওয়া যায় না। আচ্ছা ভেবে দেখুন তো, ফরাসি বা জাপানিদের যদি এত মিষ্টির সম্ভার থাকত, তাঁরা কি সেসব ছেড়ে চকলেট চকলেট করে লাফাত, মিষ্টিতে চকলেট গুঁজে সেটাকে প্রোমোট করত?

→

শ্রোতা নয়, বাঁশি বাজানোর আনন্দই আজও হরিপ্রসাদের শেষ আশ্রয়

পালোয়ানের পুত্র হিসেবে তাঁর হয়ে ওঠার কথা ছিল কুস্তিগির। কিন্তু মাত্র চার বছর বয়সে হঠাৎ মাতৃহারা হয় যে শিশু, তার ভেতরে গুঁড়ি মেরে বেড়ে ওঠে শূন্যতা। বাবার প্রখর নিয়মানুবর্তিতায় হাঁপিয়ে ওঠে সে, কিন্তু মুক্তি পায় সুরে। বাঁশিই হয়ে ওঠে তার আশ্রয়। পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়ার ৮৮-তম জন্মদিনে বিশেষ এই নিবন্ধ।

→

ইংরেজদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও সাঁওতাল বিদ্রোহের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ

সাঁওতাল বিদ্রোহের ঠিক ৩৮ বছর পর, পাকাপাকি শান্তিনিকেতনে আসার অনেক আগে, রবীন্দ্রনাথ এই বিদ্রোহের প্রতি যে সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছিলেন, তা জেনে কেবল বিস্মিতই হতে হয় না, পাশাপাশি গণবৃত্তের নিরপেক্ষ ইতিহাস কথনেও রবীন্দ্রনাথকে পথপ্রদর্শক বলে মনে হয়। হুল দিবস উপলক্ষে রোববার.ইন-এর বিশেষ প্রতিবেদন।

→

সুকুমার রায়ের প্যাঁচা বড় শিশুসুলভ নয়, তার প্যাঁচালও বড় প্যাঁচময় নয় কি?

প্র্যাগম্যাটিক্স নামে ভাষার মারপ্যাঁচ, ভাবমূর্তির প্যাঁচঘোঁচ নিয়ে একটা জটিল আলোচনাক্ষেত্র ভাষাবিজ্ঞানীরা ভেবেছেন। ভেবেছেন ফেস থ্রেটনিং অ্যাক্ট বা এফ.টি.এ কাকে বলে! কীভাবে আমরা অজান্তেই সেই জটিল প্যাঁচালো ভাষিক সংবর্তনক্রিয়ায় অহরহ অংশ নিচ্ছি। সুকুমারের প্যাঁচাকে বুঝতে গেলে আগে এই ব্যাপারটা বুঝতে হবে।

→

গোবর গুহর প্যাঁচ-পয়জার

কলকাতা বা ভারতে কুস্তির মূল জায়গা ছিল ধনী পৃষ্ঠপোষকদের আখড়ায় বাঁধা-মাইনের কুস্তিগিরদের লড়াই। গোবর নিজে সেরকম এক ধনী পরিবারের ছেলে, ফলে তাঁকে অন্যান্য নামজাদা কুস্তিগিরের মতো লোকে আদৌ সম্মান করবে কি না, এই নিয়ে সন্দেহ ছিল।

→

ওঠানামার আড়াই প্যাঁচে মেয়েলি মন

মেয়েরাই জানে, এই দেওয়াগুলো হাত থেকে হাতে কীভাবে যায়। জানে, কীভাবে অন্ধকার অলিন্দের বাঁকে, সিঁড়ির খাঁজে লুকিয়ে রাখা থাকে অন্তরের প্রাচুর্য। আত্ম-উপলব্ধির জন্য মেয়েদের কাছে একটা দুটো নয়, অজস্র আড়াই প্যাঁচের জিলিপি-পথরেখা থাকে, ওঠানামা করার অজস্র পাকদণ্ডী।

→

বাঙালি জিলিপির মতোই রসিক এবং প্যাঁচালো

বড় বাহারি পাকমারা বস্তুটি যদি অমৃতি হয়, তবে জিলিপির ভালো নাম নির্ঘাত অমৃতলাল বসু। বাঙালির ভোর মোরগডাকে হয় না, জিলিপির পাকে হয়। ধোঁয়াওঠা চায়ের পাশে গরম রসের শালপাতা আমাদের প্রাতকালীন ব্যায়াম।

→

প্রকাশের ২২ দিনের মধ্যে ছ’হাজার কপি পুনর্মুদ্রণ করতে হয়েছিল যোগীন্দ্রনাথের ‘বন্দে মাতরম্‌’

যোগীন্দ্রনাথের একটি উল্লেখযোগ্য অথচ স্বল্পালোচিত কাজ হল রবীন্দ্র-সংগীতের সংকলন। ১৯০৮ সালে যোগীন্দ্রনাথ তাঁর ‘সিটি বুক সোসাইটি’ থেকে প্রকাশ করেছিলেন এই বইখানা। সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর এ বইটিকেই রবীন্দ্রনাথের গানের প্রথম সংকলন বলে উল্লেখ করেছেন। যোগীন্দ্রনাথ সরকারের জন্মদিনে তাঁর প্রকাশক ও সংকলক সত্তাটি নিয়ে বিশেষ এই নিবন্ধ।

→

বাংলা ভাষায় লিখলেও প্রফুল্লদা সর্বার্থেই একজন সর্বভারতীয় লেখক

প্রফুল্লদার ছোটগল্প ‘বর্ষায় একদিন’ নিয়ে আমি ছবি করেছি। বিহারের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গল্প। শুটিং করেছি ঝাড়খণ্ডে। অত্যন্ত মানবিক গল্প। দু’জন সাধারণ মানুষ, যাদের অনেক কিছুই নেই– কিন্তু আনন্দ রয়েছে।

→

ভালোবাসা আসলে চেরির স্বাদ– যে জানে, কেবল সে-ই খুঁজে পায় বন্ধুর ঘর

কোথায় বন্ধুর ঘর? ঈশ্বর যতখানি ভাবতে পারেন, তার চেয়েও সবুজ ওই পথ, যে-পথে ছড়িয়ে আছে ভালোবাসা– ‘বন্ধুত্বের নীল ডানার মতোই ব্যাপ্ত’, সেই পথে আছে তার সন্ধান। নিঃসঙ্গতার ফুল যেখানে, তার ঠিক দু’ পা আগে সে হাত বাড়াচ্ছে আমাদের দিকে। যুদ্ধধ্বস্ত সেই পৃথিবীর হাত কি আমরা ধরতে পারব, ততখানি ভালোবাসার সাহস কি হবে আমাদের?

→