Robbar

মানবাধিকার

চুনি কোটাল, রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার বয়ানও দলিতের তত্ত্ব নির্মাণের জন্য অবশ্যম্ভাবী

কে বলে দলিতের নির্মাণ সাহিত্য পদবাচ্য নয়? তথাকথিত ক্ষমতার জাঁতাকলে নিষ্পেষিত আত্মের বেদনার ভাষ্যও কিছু সুন্দর কথার জন্ম দিতে পারে।

→

এদেশে এখনও বিয়ের পর বেশিরভাগ মেয়েদের আধপেটা খেয়ে থাকাই রেওয়াজ

গোবলয়ে যেমন কন্যা-সন্তানদের আজকাল খবর অনুযায়ী স্রেফ গলা টিপে খুন করা হয় না ডিসেন্সির খাতিরে, তেমনটা এখানকার রীতি নয়। বাপ, দাদা, ভাই ডিম তো বটেই, এমনকী মাংসও খাবে আর বোনের কপালে শুকনো রুটি-সবজি, অতটা পৌরুষ প্রদর্শন প্রায় কোনও জেলাতেই দেখিনি অদ্যাবধি।

→

মুশতাকের গল্পের মহিলারা ম্লান হয়ে যায়, কারণ তারা সমাজের সৃষ্ট পরিচয়ের বাইরে পা বাড়াতে পারেনি

মুশতাকের গল্পের মহিলারা খুব কম জায়গায় ধর্মের নামে শোষিত হয়েছে। তালাক, সম্পত্তির অধিকার বা বহুবিবাহের কথা আলগা করে ছুলেও ‘হার্ট ল্যাম্প’-এর মহিলাদের সমস্যা ও প্রতিবাদ ধর্মের গণ্ডির মধ্যেই সীমিত।

→

মালবিকা-আকাঙ্ক্ষার ভালোবাসার বারান্দা আজ অনেক মানুষের নিশ্চিন্ত আশ্রয়

প্রায় ৩২-৩৩ বছর পরস্পরের দোসর ও জীবনসঙ্গী মালবিকা-আকাঙ্ক্ষা। সহযোদ্ধা হিসেবে বহু সমকামী মেয়ে ও যৌন সংখ্যালঘু অন্যান্য মানুষজনের হাত ধরে আছে ওরা দু’জন, ওদের ভালোবাসার বারান্দায় চেয়ার/মোড়া/মাদুর পেতে বসে একটি বড় পরিবারের অনেক সদস্য।

→

শোষক যাতে আমাদের স্বপ্নগুলো কেড়ে নিতে না পারে, জেলে এটাই হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্তব্য

জীবনের ১০টা বছর কারাগারে থাকার পর কেউ যখন বাইরে আসে তখন এই ১০ বছরে পালটে যাওয়া পৃথিবীর সঙ্গে সমঝোতা কীভাবে করে? এর দায় রাষ্ট্র নেয় না। যেমন কোনও দায় নেয় না জেলে থাকা রাজবন্দিদের জীবন-জীবিকার। চলতে থাকে ফেলে আসা সময়, হারিয়ে যাওয়া সময় ও বর্তমান সময়ের সঙ্গে জোর লড়াই।

→

বিচ্ছিন্ন কারাজীবনে খানিক শ্বাসবায়ু ‘মুলাকাত’

রাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই জেল এবং বাইরের প্রিয়জনদের সেতু গড়তে থাকে। জামিনপ্রাপ্ত বন্দিরা জান কবুল করেন ভিতরে থাকা বন্ধুদের বার্তা তাঁর প্রিয়জনদের পৌঁছে দিতে। নজরদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলতে থাকে চিঠি চালাচালি। প্রিয়জনদের কাছে যাওয়ার জন্য, ক্ষণিকের মুলাকাতের জন্য।

→

আলো ক্রমে আসিতেছে

পহেলগাঁও গণহত্যা সম্বন্ধে গুগল বলছে– ‘উগ্রপন্থীদের হাতে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা। মৃতের সংখ্যা ছাব্বিশ।’ কিন্তু রক্তপাত, যা দৃশ্যমান বা দেখা যায় না– তার স্রোত কাশ্মীরের পাহাড়-উপত্যকা ছাপিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছে গোটা দেশ। সীমান্তে চমকে উঠেছে কাঁটাতার। চিনারের হিমস্নাত পাতাগুলি রাতের আঁধারে এক আতঙ্ক-ঘেরা স্তব্ধতায় অপেক্ষা করছে ভোরের, অথচ ভোর হচ্ছে না।

→

মৃত্যু চাই? সহায় পেশাদারি সংস্থা, মৃত্যুবিলাস কি তবে অবলুপ্তির পথে?

জীবন তো যাপনের জন্যে। তার থেকে পালিয়ে যাওয়া, সে তো হেরে যাওয়া। মৃত্যু নিয়ে রোম্যান্টিসিজম চলতেই থাকবে; সাহিত্যে, বাস্তবে। তবু এমন সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে যেতে কি মন চায়! যা অনিশ্চিত তাকে নিশ্চিত করার দায় না-ই বা নিলাম কাঁধে!

→

যুদ্ধ-পরিস্থিতির মনস্তাত্ত্বিক বিপন্নতা মোকাবিলা করার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে?

মধ্যরাতে পাশের দেশ আক্রমণের পর যুদ্ধ-পরিস্থিতি তুঙ্গে। আজ যারা তিরিশ-বত্রিশের যুবা, শেষ কার্গিল যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে তারা বঞ্চিত। তাই যুদ্ধ ছাড়া গতি নেই এমন এক রব উঠেছে চারদিকে। ঠিক যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে বলা হয়েছিল ‘A war to end all wars’, কুড়ি বছরেই তার পরিণাম কী হয়েছিল আমরা জানি।

→

ব্রাহ্মণ মেয়ের হাতে অনশন ভাঙবেন– দুকড়িবালাকে জেলের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে শর্ত দিয়েছিলেন ননীবালা

কখনও ইশারায়, চিরকুটে অন্য বন্দিদের সঙ্গে কথা বলে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে, কখনও পুলিশি নির্যাতনের আহত কমরেডকে নজরদারি এড়িয়ে গার্ডদের ফাঁকি দিয়ে কোনও কমরেডের মন ভালো করতে রুটিতে কিছুটা চিনি মাখিয়ে চমকে দেওয়ার মাধ্যমে, তো কখনও একসঙ্গে বসে সুখ দুঃখ বৃষ্টি বজ্রপাত ভাগ করে এই নিরন্তর অপেক্ষা কাটানোর মাধ্যমে, প্রতিদিন নানাভাবে সংগঠিত হতে থাকে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ।

→