Robbar

মানবাধিকার

জনগণের মনের ভিতর লক্ষ বছরের ঘাপটি মেরে থাকা হিংসার জিন জেগে উঠেছে?

মানুষের মনের ভিতর যে ঈর্ষা-হিংসা-দ্বেষ, তাকে মানুষ প্রশমিত করে রাখে কখনও ‘ঈশ্বর’ নামে কল্পনার নীতি দেবতাটিকে আশ্রয় করে, কখনও পরিবার-পরিজনের প্রতি স্নেহ-দুর্বলতা-ভালবাসায়, কখনও সমাজরক্ষায়। আর এই নীতিবোধের শিক্ষা বা চর্চা, চলে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে অথবা প্রজন্মবাহিত পারিবারিক শিক্ষায়। দুঃখের বিষয়– এই দুই ব্যবস্থাটিই প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে।

→

রসুইঘরে ঝাঁজ কিছু কম পড়িয়াছে!

রান্নাঘরের মতো অস্তিত্ব গিলে-খাওয়া একাকিত্বের হাতকড়া যে এমনিতেই জীবন জুড়ে দগদগে ঘায়ের মতো বয়ে বেড়াতে হয়, তা বোঝানোর দায়টা কে নেবে?

→

এ-পরবাসে কেউ কি অন্তত আছে, যার জন্য লড়াইটা টিকিয়ে রাখা যায়?

মৃত্যু প্রতিরোধের পথটি কি অতি সহজ ছিল না? সহমর্মিতার প্রয়োজন নেই, ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অফিস যদি শুধু তাদের ন্যূনতম দায়িত্বটুকু পালন করত; যদি অন্তত একবার অভিযুক্ত ছেলেটিকে ডেকে পাঠিয়ে তার সঙ্গে কথা বলত, তাকে শাসন করত কিংবা কাউন্সেলিং, তাহলেই কি অনেকখানি উপকার হত না?

→

ধর্ষণ সংগঠিত অপরাধ, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আমরা কি সংগঠিত?

‘অপরাধী’ কখনওই একজন কি? প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ-সহ লিঙ্গ-হিংসাজনিত যে কোনও ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইন্ধন জোগানো, হিংসার শিকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোয় অনীহা, প্রতিষ্ঠানের মান বাঁচানোর জন্য অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া, চুপ করিয়ে রাখার নরম-গরম হুমকি– এসব কি আমাদের অচেনা? অপরাধীকে আড়াল করাই কি দস্তুর নয়?

→

আমরা ‘অপরিচিত’, তাই বুকে-পিঠে-পাছায় আক্রমণ করে মিটিয়ে নেওয়া হল কৌতূহল ও আক্রোশ

সম্প্রতি যোধপুর পার্কে প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষের ওপর পাড়া-প্রতিবেশীর আক্রমণ। হেলমেট দিয়ে মেরে, মাটিতে ফেলে ধর্ষণের হুমকি। কোনও বচসার সময় যৌন সম্পর্কিত গালাগাল হচ্ছে তীব্রতম আক্রমণ, এবং ট্রান্স কুইয়ার সম্প্রদায়ের প্রতি এই আক্রমণের উদ্দেশ্য তাঁদের অন্যরকম যৌনতাকে অস্বাভাবিক, অসুস্থ প্রমাণ করা।

→

তিনজন সাফাইকর্মীর মৃত্যু নিয়ে নিশ্চুপ থাকা আমাদের মানায়?

জাতপাতভিত্তিক কাজের পরিবর্তে মিউনিসিপ্যালিটি নিযুক্ত করবে সাফাইকর্মচারী, এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন উনিশ শতকের মেথররা। নিজেদের কাস্ট অকুপেশন বা জাতপাত নির্দিষ্ট কাজ যদি খোয়াতে হয়, হঠাৎ করে তাহলে খাবে কী তারা?

→

মাসিক বা পেটে ব্যথা হলেই স্কুল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার নিয়ম মেয়েদের স্কুলবিমুখ করে দিচ্ছে

পিরিয়ডসের দিনে মেয়েদের ঘরে না পাঠিয়ে বিদ্যালয়ে ধরে রাখার সমাধান কী! সহজ উপায়। একটি মেডিক্যাল রুম, ভালো মানের স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ, অ্যান্টি স্পাজমোডিক পেইন কিলারের সহজলভ্যতা, পরিচ্ছন্ন বাথরুম, পর্যাপ্ত জলের সরবরাহ।

→

মানুষই ফাঁদ পাতছে, তুমি পাখির মতো পাশে দাঁড়াও

৩ ডিসেম্বর চলে গেল বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। প্রতি বছর এই দিনটি আসে, চলে যায় কিন্তু বাস্তবের রুক্ষ পথটার কোনও পরিবর্তন হয় না।

→

‘উ’-তে উধাও মেয়ে

২০১৬ থেকে ২০২২– এই ছ’-বছরের মধ্যে এদেশে গার্হস্থ্য হিংসার জনসংখ্যা সমাযোজিত হার বেড়েছে ১৬ শতাংশ, অথচ তা থেকে মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার হারে কোনও উন্নতি হয়নি।

→