আসলে মহিলা-কর্মীদের ছুটি না দেওয়া, ছুটি না দিতে চাওয়া, ছুটি চাইতে এলে উষ্মা প্রকাশ করা একটি মানসিকতা। এই মানসিকতা বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে, চলছে চিরকাল।
কাজ ছাড়তে চাইলে তাঁদের কোনও নোটিস পিরিয়ড দিতে হবে না। পরিচয় গোপন রাখার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। যাতে ভবিষ্যতে পেশা বদল করলেও কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়।
দশ দিনের দুঃখযাপনের সবেতন ছুটি ভারতে সম্ভব কি না, এই প্রশ্নটার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, দুঃখের দায়টা কি শুধু দুঃখী মানুষেরই?
তালিবানি ফতোয়ার মনুবাদী-সংস্করণ যখন ‘আধুনিক’ ভারতেও শুনতে হয়, তখন হৃৎকম্প উপস্থিত হতে বাধ্য।
বৃহত্তর নাগরিক সমাজ প্রতিবন্ধকতাকে নিয়ে কেন আজও নেতিবাচক মানসিকতা বয়ে চলে?
হাড়, শিরা, মাংস-মজ্জার ব্যথাটা বুঝিয়ে দিচ্ছে পা দু’টো আছে।
নারীবাদী আন্দোলনের মধ্যে মাসিককালীন সবেতন ছুটি কিন্তু খুব অভিনব কোনও দাবি নয়। মহিলাদের জন্য মাসিককালীন সবেতন ছুটির রাষ্ট্রীয় নীতি প্রথম গৃহীত হয়েছিল সমাজতন্ত্রী রাশিয়ায়, প্রায় একশো বছর আগে।
স্বচ্ছন্দ্যে বেঁচে থাকার জন্য এবং জীবিকা নির্বাহ করার জন্য যে বিশেষ সুবিধা দরকার হবে, কর্মক্ষেত্রকে সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত করতেই হবে। পিরিয়ড লিভ হল সেই ইতিবাচক পরিবর্তনেরই একটি জোরালো পদক্ষেপ।
সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয়, ব্যক্তিগত– কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ার মতো গড়ে ওঠেনি। ১৮ ডিসেম্বর চলে গেল জাতীয় সংখ্যালঘু অধিকারল দিবস।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved