Robbar

সাম্প্রতিকী

গ্রেটা থুনবার্গের মতোই মুনাফাহীন একটা পৃথিবী গড়তে চায় মোহক

জঙ্গলের ওপর নির্ভর করে, জঙ্গলকে ভালোবেসে পাতা ও মহুয়া ফল কুড়িয়ে বেশ কাটছিল আদিবাসীদের। রাষ্ট্র, পুঁজি আর কর্পোরেটরা আসার আগে জীববৈচিত্র সংরক্ষিতও ছিল। তারপর গল্পটা বদলাতে লাগল। আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করল তাঁদের প্রকৃতি, প্রাণ এবং সংস্কৃতি। গল্পটা বদলাতে চায় মোহকরানি।

→

রূঢ় সত্য যদি অপ্রিয়ই হয় তাহলে এত শিল্পসুষমামণ্ডিত চেহারায় দেখানোর কী দরকার ছিল সালগাদোর?

তৃতীয় বিশ্বের কোনও এক পূর্ণিমায় যদি এক ঝলসানো রুটির ইমেজারি আমাদের মনের মধ্যে ভেসে ওঠে, তাহলে চতুর্থ, পঞ্চম বিশ্বের মানুষের কাছে ওই চন্দ্রিল অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন ছিল?

→

নারী শরীরের পণ্যায়নের সমালোচনা করতে গিয়ে মিলা ম্যাগি যৌনশ্রমিকদের অপমানই করলেন

ভুলে গেলে চলবে না যে, ‘বেশ্যা’ পরিচিতি– বা তাকে ঘিরে ঘৃণা, লজ্জা, অপমান– এই পুরো কাঠামোটাই পুঁজিবাদী এবং পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতার জোট।

→

ভারতের প্রতিটি বন্যপ্রাণ বাল্মীক থাপারের মৃত্যুর খবরে হয়তো দু’-ফোঁটা চোখের জল ফেলেছে

লাইন দিয়ে দাঁড়ানো জিপসি-ভর্তি মানুষের হাজার ক্যামেরার সাটারের শব্দকে উপেক্ষা করে যেমন রাজকীয় ভঙ্গীতে হেঁটে যায় ভারতীয় বাঘ, তেমনই ভ্রুক্ষেপহীন ছিল বল্মীক থাপারের কণ্ঠস্বর, লেখা।

→

ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না

বিদ্বেষ বিষ বর্তমানে যতই সংখ্যাগরিষ্ঠ হোক না কেন, কেবলমাত্র গণতান্ত্রিকতার যুক্তিতেই বলা যায়, ভারত দেশ আর রাষ্ট্র এক নয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তা অন্যথা হয় না। মৌলবাদীর গলা দিয়ে গোটা দেশের সুর ধরা যায় না কখনও।

→

মুক্তচিন্তা আর জিজ্ঞাসু মন গঠন করেছে অধ্যাপক নারলিকারের চেতনার জগৎ

বাস্তবকে তো শুধুমাত্র আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। পরমাণু এবং তার সংশ্লিষ্ট কণাদের গতিবিধি অনুমান করা বড় সহজ কাজ নয়। লীলা মজুমদার আর প্রফেসর নারলিকারের কল্পনার সমান্তরাল পৃথিবীরা বুঝি-বা এক বাঁকে এসে মেশে, যেখানে কল্পনা এসে বিজ্ঞানের হাত ধরে। জন্ম নেয় কল্পবিজ্ঞান।

→

নগ্ন সত্যকে দেখানোর জেদই জাফর পানাহির চলচ্চিত্রভাষা

পানাহির সিনেমার প্রতিটি ফ্রেম বুঝিয়ে দিয়েছে ইরানের সরকার, নীতি-নির্ধারক মন্ত্রালয় এমনকী পুলিশও শিল্পের ভাষা ও শক্তিকে কী পরিমাণ ভয় করতেন। অনিশ্চয়তায় ভুগতেন সরকারি আধিকারিক ও প্রতিষ্ঠান, তাই ‘ফ্রিডম অফ স্পিচ’ ব্যাপারটা এদের অভিধানে ছিল না। তাই কুড়ি বছরের জন্য সিনেমা-নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা।

→

জাফর পানাহির চলচ্চিত্রভাষা বদলাচ্ছে, তাঁর পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিটি কি একটি রিভেঞ্জ ড্রামা?

‘ইট ওয়াস জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট ’ পাঁচজন লোকের কথা বলবে, যে পাঁচজন রাজনৈতিক বন্দি একসময় একটি লোককে খুঁজে পায়, যাকে দেখে তাদের মনে হয় এই সেই লোক, যে জেলখানায় তাদের ওপর অত্যাচার করেছিল। তারা লোকটিকে অপহরণ করে এবং ঠিক করে তাকে একটি নির্জন মরুপ্রান্তরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করবে। তাহলে পানাহির এই ছবি কি একটি রিভেঞ্জ ড্রামা?

→

বানু মুশতাকের লেখা সংস্কৃতিগতভাবে আলাদা, তবুও নারীপৃথিবীর অভিজ্ঞতায় খুব আলাদা নয়

মুসলিম সমাজের প্রেক্ষিতে এই বই লেখা হলেও কোনও এক নির্দিষ্ট ধর্ম বা ভৌগোলিক অবস্থানে এই বইকে সীমাবদ্ধ করা যাবে না। নারীর জন্ম এবং এই পুঁজিবাদী, ভোগবাদী, পিতৃতান্ত্রিক, ধর্মান্ধ পৃথিবীতে তার যাপন এক অর্থে বিপ্লব।

→

‘সেকু’ বনাম ‘কীসের কুসুম’

বলুক ওরা সেকু, বলুক দেশদ্রোহী, বলুক গান্ডে-পিন্ডে দেশের খাচ্ছি, বলুক নজরুল ভুল, বলুক কীসের কুসুম, তবু আমরা ওদের থামাব। থামাতেই হবে ওদের রক্তপিপাসা আর যুদ্ধজিগিরের মৌলবাদী উসকানি।

→