সিনেমাহল যেমন অন্ধকারের সাম্যবাদ দেয়, সে সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্নও করে দেয়, ঠিক বাইরের বাস্তবতা থেকে। কিন্তু এমন সিনেমাহলের ম্যাজিক টিকিট ছাড়াও ধরা দেয়। উত্তর কলকাতার এক গলির ভেতর, প্রতি দুপুরে যেমন অবধারিত চোখে পড়ে যাবে একটি স্যাকরার দোকান। সেই কবেকার পুরনো একটা ঘরে চল্লিশ পাওয়ারের বাল্ব জ্বলে। গেঞ্জি-লুঙ্গি পরা লোকটা বসে একমনে কাজ করে যায়, চোখে ভারী চশমা। কোনও দিন বাজছে ‘নিশিরাত বাঁকাচাঁদ আকাশে’, কোনও দিন বা ‘ও শাম মস্তানি’।
২৩.
লেখার সময় অব্যক্ত থাকে, কিন্তু সবসময় তা হয়ে ওঠে না। এই লেখা যখন লেখা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ রক্তাক্ত। শহিদের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে তাহমিদ নামের এক ক্লাস নাইনের ছেলে। আন্দোলনের তীব্রতা ও তার রাজনীতি পেরিয়ে ‘জনতা সিনেমাহল’-এর নিশান আজ অর্ধনমিত, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শহিদদের জন্য। বিশেষ করে, ওই নবম শ্রেণির ছেলেটির জন্য আজ বিষাদঘন হয়ে উঠছে গণসিনেমার স্মৃতিভার। হয়তো হারিয়ে যাওয়া সিনেমাহলগুলির মনে পড়ে যাচ্ছে, যে বছর রক অ্যান্ড রোল, হিপি আন্দোলন, বিট প্রজন্মের ছোঁয়াচ এসে একটু একটু করে লেগেছে, সেই বছর, বাংলাদেশ স্বাধীন হচ্ছিল, জয় বাংলা রেডিওতে কান পাতত কলকাতা, ব্ল্যাকআউটের দুরুদুরু বুকে নিয়ে সেই শহর লালন করত আরও এক গণবিদ্রোহের গেরিলা আঁচ। এই বঙ্গে সরকার তখন অস্থায়ী। তার মধ্যেই চোরাগোপ্তা নাশকতা। সেই বছর সেই বিখ্যাত ও বিতর্কিত ‘হরেকৃষ্ণ হরেরাম’ অথবা ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘আনন্দ’, ‘হাতি মেরে সাথী’ দেখতে স্কুল পালিয়ে এসেছে এমনই কত ক্লাস নাইনের ছেলেমেয়ে, যাদের কানে হয়তো তখনই আসতে শুরু করেছে পার্টি ক্লাসের মন্ত্রণা। সেই একই সময়ে পাশের দেশে তাহমিদের বয়সিই কত স্কুলপড়ুয়া শহিদ হচ্ছিল, এখানেও শহিদ হয়েছে কেউ কেউ হয়তো। কলকাতার সিনেমাহলরা তাদের হাসিকান্না নিয়ে কেউ বা হয়ে গিয়েছে গুপ্তধনের শহর, কেউ বা বৃদ্ধ জাদুকরের মতো ন্যুব্জ হয়ে এখনও বহন করছে সেইসব স্মৃতি। স্কুল কাটিয়ে লুকিয়ে আসা ছেলেটা শহিদ হলে সিনেমাহল জানতে না পারুক, অন্তত টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তো টের পেয়েছে।
সিনেমাহল যেমন অন্ধকারের সাম্যবাদ দেয়, সে সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্নও করে দেয়, ঠিক বাইরের বাস্তবতা থেকে। কিন্তু এমন সিনেমাহলের ম্যাজিক টিকিট ছাড়াও ধরা দেয়। উত্তর কলকাতার এক গলির ভেতর, প্রতি দুপুরে যেমন অবধারিত চোখে পড়ে যাবে একটি স্যাকরার দোকান। সেই কবেকার পুরনো একটা ঘরে চল্লিশ পাওয়ারের বাল্ব জ্বলে। গেঞ্জি-লুঙ্গি পরা লোকটা বসে একমনে কাজ করে যায়, চোখে ভারী চশমা। কোনও দিন বাজছে ‘নিশিরাত বাঁকাচাঁদ আকাশে’, কোনও দিন বা ‘ও শাম মস্তানি’। ওই একটি দৃশ্যকল্প, কর্মব্যস্ত যাতায়াতের পথে, মনে পড়িয়ে দেয় অলস, ছুটির দুপুরগুলো, যখন টিভি চ্যানেলগুলোই হয়ে উঠত ছোটখাটো বায়োস্কোপ শো। ছোটপর্দাতেই সত্তর, আশি এসে ধরা দিত আমাদের প্রজন্মের কাছে, সেই সময়, যখন বলিউডের গোলকায়ন সম্পূর্ণ হয়েছে। আমাদের বয়ঃসন্ধি গোলাপি আলো বিছিয়েছে। কেবল খেলাধুলো আর ভাল লাগে না। থেকে থেকে চঞ্চল মন আনমনা হয়। তখন ফারহান আখতারের ‘ডন’-এ ছবি শেষের টুইস্ট, শাহরুখ খান-করিনা কাপুরের সম্মোহনী ও ছলনার রসায়নে ‘ইয়ে মেরা দিল’-এর দুর্নিবার আকর্ষণ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আবেদন ও আক্রমণের চোটে ছটফট করে উঠছে স্কুলের শেষ বেঞ্চ। হলে গিয়ে সে ছবি দেখার সুযোগ তখনও ক্লাস এইট-নাইনের হয়নি। গোপন সিডি বা স্টার গোল্ডে তাই ঝাঁকিদর্শন চলছে। অন্যদিকে, ১৯৭৮-এর ‘ডন’ তখন টিভির দুপুরে, কিঞ্চিৎ ম্লান হয়েই পৌঁছচ্ছে। কিন্তু যারা সেই সময় ‘ডন’ দেখে উত্তেজিত হয়েছিল, হেলেনের নাচ ও স্পর্ধিত জিনাত আমনের জোড়া ফলার মাঝে অমিতাভ বচ্চনের ডাবল রোলের মজা, ও নতুন ছবির ফ্লপির বদলে লাল ডায়েরি নিয়ে হাস্যকর লোফালুফি, চিরকাল মার খাওয়া ভিলেন জগ্গু, বা ম্যাকমোহনের নকলনবিশ ধূর্ত চাহনি নিয়ে যাদের অপার বিস্ময় তখনও অটুট, তারা নতুন ‘ডন’ প্রত্যাখ্যান করে আবার ফিরে দেখার সুযোগ পাচ্ছিল সেই ছবি। আমরা তখন ‘মার্ডার’ বা ‘রেস’ বা ‘গ্যাংস্টার’-এর গানের দৃশ্য খোঁজার জন্য নাইনএক্সএম-জুমে শ্যেনদৃষ্টি রাখছি। অথচ সেই নাইনএক্সএম-এই, বা বিফোরইউ, মস্তি-র মতো চ্যানেলে রাত বাড়লে বেজে উঠছে ‘আনেওয়ালা পল যানেওয়ালা হ্যায়।’ ‘গোলমাল’ বলতে আমাদের প্রজন্ম বুঝছে অজয় দেবগন-আরশাদ ওয়ারসিদের ছবি, অন্যদিকে, অমল পালেকর-উৎপল দত্তর রসায়নে পুরনো ‘গোলমাল’-এর কমেডি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার সুযোগ করে দিচ্ছে টেলিভিশন, অকস্মাৎ কোনও দুপুরে।
……………………………………………………………………………..
মার্টিন স্করসেসি-র ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৬ সালে, সেই বছরেই মুক্তি পেল ‘রামোনস’। মার্কিন পাঙ্ক ছবির দুনিয়া তৈরি হচ্ছিল তখন, একলা একা সমাজ-প্রতিষ্ঠানবিরোধী নায়করা প্রতিষ্ঠা পাচ্ছিল। চার্লস ম্যানসনদের দশক পেরিয়ে এসে রবার্ট ডি নিরো-র চরিত্রায়ণে ট্র্যাভিস বিকিরা জায়গা করে নিল।
……………………………………………………………………………..
এই ম্যাটিনি শো-তেই আটের দশকের কিছুটা গোড়ার দিকে ‘রাম বলরাম’, ‘শান’ বা ‘জ্যোতি বনে জ্বালা’-র মতো ছবি চলেছে রমরমিয়ে, ‘পূর্ণশ্রী’, ‘রূপবাণী’, ‘মিত্রা’-য়। অমিতাভ, বিনোদ খান্না, ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্ররাই শাসন করছেন বক্স অফিস। কিন্তু তার মধ্যেই, মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ (১৯৭৬) ছবির নায়ক আস্তে আস্তে নিজের রাজত্ব বিস্তার করতে শুরু করেছেন। ১৯৮০ সালেই খাজা আহমেদ আব্বাসের ‘দ্য নক্সালাইটস’ মুক্তি পেয়েছিল। তার আগে মিঠুন ‘দো আনজানে’, ‘সুরক্ষা’, ‘হাম পাঁচ’, ‘হাম সে বড়কর কৌন’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন, ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’ বা ‘নদী থেকে সাগরে’-র নায়কও হয়েছেন। তাঁর নকশাল অতীত নিয়েও ততদিনে খানিক চর্চা হয়ে গিয়েছে। যদিও এক অধ্যাপক বলেছিলেন, ‘পাড়ায় পাড়ায় পেটো মেরে অনেকেই গৌরবে বহুবচনে নকশাল হয়ে গিয়েছিল। মিঠুন চক্রবর্তীও তেমনই নকশাল।’ সেই পরিস্থিতিতে স্মিতা পাতিলের সঙ্গে তাঁর জুটিতে খাজা আহমেদ আব্বাসের ওই ছবি যখন মুক্তি। পাচ্ছে, তখন নকশাল আন্দোলন ইতিহাস হয়ে গেছে, ইন্দিরা সরকারের পতন হয়েছে। আবার নবতরঙ্গও তখন উতরোল। কিন্তু এই ছবি নেহাতই হারিয়ে গেল। এবং মিঠুন চক্রবর্তীর নিয়তিতে সমান্তরাল নায়ক হওয়ার আর কোনও সূচক রইল না। আর ১৯৮২ সালে ‘ডিস্কো ডান্সার’ মুক্তি পেয়ে সেই রাস্তা একেবারেই বন্ধ করল।
মার্টিন স্করসেসি-র ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৬ সালে, সেই বছরেই মুক্তি পেল ‘রামোনস’। মার্কিন পাঙ্ক ছবির দুনিয়া তৈরি হচ্ছিল তখন, একলা একা সমাজ-প্রতিষ্ঠানবিরোধী নায়করা প্রতিষ্ঠা পাচ্ছিল। চার্লস ম্যানসনদের দশক পেরিয়ে এসে রবার্ট ডি নিরো-র চরিত্রায়ণে ট্র্যাভিস বিকিরা জায়গা করে নিল। ‘ডিস্কো ডান্সার’ অন্যদিকে, ভারতীয় পাঙ্ক সিনেমার নিজস্ব বয়ান তৈরি করল। কিছু বছর আগেই অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘কালা পাত্থর’-এর খনিশ্রমিক বিজয় বা ‘ডিস্কো ডান্সার’-এর ঠিক এক বছর পর মুসলিম কুলি ইকবালের চরিত্রে অবতীর্ণ হওয়া অমিতাভের মাঝে মিঠুন চক্রবর্তী হয়ে উঠলেন আরও ছকভাঙা; পৌরাণিক, ঐতিহাসিক, অভিজাত, রাগী ভিজিল্যান্টে নায়কদের ছাপিয়ে নব্য যৌবরাজ্যের অভিষিক্ত সম্রাট।
মুম্বইয়ের বস্তি থেকে উঠে আসা জিমি ক্লাইম্যাক্সে হয়তো শয়তান ওবেরয় ওরফে ওম শিবপুরী ও তার দলকে মেরে বৃন্দাবন দেখাল, কিন্তু তার আদত উদ্দেশ্য পুলিশ হওয়া, আদর্শবোধে উজ্জীবিত হয়ে দেশসেবা করা ছিল না। সে ছিল নেহাতই একজন ওয়েডিং সিঙ্গার, ছোটবেলায় মায়ের হেনস্থার কথা তাকে তাড়া করে বেড়াত, কিন্তু প্রতিশোধস্পৃহ করেনি। সত্তর জুড়ে বলিউড যে মাদার কাল্ট দেখেছে, এই ছবিতে তাও তাড়া করে বেরিয়েছিল, পাশাপাশি এসেছিল বস্তির প্রতিভাবান, আবেগী, বেপরোয়া ছেলে ও বড়লোকের লাডলা অথচ সাহসী মেয়ের প্রেমের চিরাচরিত ছকও। মাস্টার রাজু-রূপী রাজেশ খান্না, যিনি বলিউডের চিরকালীন ভালবাসার বাঘ, আর ডেভিড ব্রাউন-রূপী ওম পুরী এসবের মাঝে সংগীত ও নাচের সেতুটা বাঁধলেন। শিল্প দিয়েই জবাব দিল নায়ক জিমি, প্রেমিকা রিটা ও রাজু মাস্টারের সাহায্যে। কিন্তু শেষমেশ বোঝা গেল, সাবধানের মার এবং মারের সাবধান– দুই-ই নেই। তাই অ্যাকশন বোনাস। যদিও রাজুর নাচ-গানের কম্পিটিশনে জিতে ডিস্কো কিং হয়ে ওঠাই জনমনে আদত ক্লাইম্যাক্স হয়ে রইল। আর বাপ্পি লাহিড়ী নামে এক বাঙালি সংগীতকার মেলডির মোলায়েম রোদ দূর করে উপহার দিলেন ঝিকমিকি আলো। ভাসান থেকে লোফারদের কালীপুজো, মাতালের প্রলাপ থেকে কলেজের কমন রুমের টেবিল– সর্বত্র বেজে উঠল ‘জিমি জিমি আজা আজা’, ‘আই অ্যাম আ ডিস্কো ডান্সার’, ‘কোই ইয়াহাঁ নাচে নাচে’। ‘ইয়াদ আ রহা হ্যায়’ গেয়ে রোয়াক কাঁপাল সাবেক কলকাতার পেটে জমা হওয়া বস্তি থেকে উঠে আসা জিমিরা, যারা হয়তো ডিস্কো ডান্সার হয়ে উঠতে পারত, কিন্তু বেকারত্ব বা ছোটখাটো কলমপেষা চাকরির আড়ালে লালন করে গেল কেবল সেই স্বপ্ন।
‘ডিস্কো ডান্সার’ নামেই চুম্বকীয় টান লেগেছিল সেসময়ের স্কুলপড়ুয়াদের। আর সেই টানে মধ্য-উত্তর কলকাতার এক নামজাদা স্কুলের একদল ছাত্র স্কুল কেটে সেই ছবি দেখতে এসেছিল ‘বীণা’ সিনেমাহলে। একজন বাদ পড়েছিল। সে রাগে-ঈর্ষায় অধীর হয়ে নালিশ ঠুকল সোজা হেডস্যরের কাছে। হেডস্যার দ্বিরুক্তি না করে গার্জেন কল করলেন সেই বাঙ্ক করা ছাত্রদের গোটা গোষ্ঠীকে। অভিভাবকরা মাথায় বজ্রপাত নিয়ে হাজির হল স্কুলে। একজন অভিভাবক, অতি-উৎসাহী হয়েই বললেন, ‘মারুন স্যর, মেরে ডিস্কো ড্যান্স কাকে বলে দেখিয়ে দিন।’ হেডস্যর গম্ভীরভাবে বললেন, ‘স্লিপডিস্কের রুগীকে ডিস্কো ড্যান্স দেখাতে বলবেন না। নিজের ছেলেকে নিজেই ডিস্কো ড্যান্স দেখান।’
এসবের ফাঁকেই সিনেমাহল ব্যক্তিগত হয়ে উঠছে। সাতের দশকের শেষ থেকেই ঢাউস একটি যন্ত্র ঢুকে পড়েছে ঘরে ঘরে, টেলিভিশন তার নাম। বিনোদনের আরও একটি সমান্তরাল ধারা তৈরি হতে শুরু করল সেখানে। তার কিসসা আবার আলাদা।
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল
কিন্তু কেন আমরা এত হিংস্র হয়ে উঠলাম? কেন তাকে পিটিয়ে মারার আগে খেতে দিলাম? কী জানি, একেক সময় মনে হয়, পথের ধারে যে মাংসর দোকানের সামনে দিয়ে আমরা যাতায়াত করি আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি, সেখানেও কাটার আগে পাঁঠাকে কাঁঠাল পাতা খেতে দেওয়া হয়।